مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
قاعدة الجهاد في جزيرة العرب
بيان: نداء عاجل لإغاثة أهلنا في غزة
তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
গাজায় আমাদের ভাইদের সাহায্যের জন্য জরুরি আহ্বান
২৭ মুহাররম ১৪৪৭ হিজরি | ২২ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
"Urgent Call for Help for Our Brothers in Gaza"

روابط بي دي اف
PDF (503 KB)
পিডিএফ [৫০৩ কিলোবাইট]
https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/bb6af3f5-b7f8-4e10-abcb-ace8dc0dc64b/4cdb20f10ab16849b5896643dbf009f4a782f645023e041df3 f8fe7373068985
روابط وورد
Word (361 KB)
ওয়ার্ড [৩৬১ কিলোবাইট]
https://secure.eu.internxt.com/d/sh/file/4aac2cbd-b271-4c45-bcc5-ac36a516cd96/baa7add4040b8e245cd5cd52cc4c94f9227c29c81e1c6e1634 ea2d25011ea0aa
روابط البانر
Banner (346 KB)
ব্যানার [৩৪৬ কিলোবাইট]
https://secure.internxt.com/d/sh/file/b6d5e592-a619-4857-b16c-dcab4fe9b5bf/b7c7781054597e03a13b2753d3583c00cc912b51467ded0384 b00f402a5eb35a
********
তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
গাজায় আমাদের ভাইদের সাহায্যের জন্য জরুরি আহ্বান
২৭ মুহাররম ১৪৪৭ হিজরি | ২২ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্র জন্য, যিনি বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرُكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহ্র সাহায্য করো, তবে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পদক্ষেপকে দৃঢ় করবেন।” [সূরা মুহাম্মদ: ৭]
আর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক সেই আল্লাহ্র রাসূলের প্রতি, যিনি বলেছেন:
مَا مِنَ امْرِئٍ يَخْذُلُ مُسْلِمًا فِي مَوْطِنٍ يُنْتَقَصُ فِيهِ مِنْ عِرْضِهِ وَيُنْتَهَكُ فِيهِ مِنْ حُرْمَتِهِ إِلَّا خَذَلَهُ اللهُ فِي مَوْطِنٍ يُحِبُّ فِيهِ نُصْرَتَهُ...
“কোনো ব্যক্তি যদি এমন কোনো স্থানে কোনো মুসলমানকে পরিত্যাগ করে যেখানে তার সম্মান লঙ্ঘিত হচ্ছে ও তার মর্যাদা হরণ করা হচ্ছে, তাহলে আল্লাহ্ও তাকে এমন এক দিনে পরিত্যাগ করবেন যেদিন সে আল্লাহ্র সাহায্য কামনা করবে…” [হাদীস: দারেমী-২৪৬৭]
এরপর বলছি—
আমাদের গাজাবাসী ভাইদের ওপর যে হত্যা ও প্রতিদিনের অনাহারের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তা এতটাই মারাত্মক যে আজ বিশ্ব প্রতিদিন অপেক্ষা করছে—শিশু, বৃদ্ধ, নারী ও দুধের শিশুদের মৃত্যুর সংবাদ শোনার জন্য—কখনো দশজন, আবার কখনো শত শত।
এ অবস্থা এমন এক আল্লাহ্র গজবের ইঙ্গিত দেয়, যা সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে আঘাত করতে পারে—আল্লাহ্ যাদের রহম করেন, তারা ছাড়া।
আল্লাহ্ বলেন:
وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنكُمْ خَاصَّةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
“তোমরা এমন এক ফিতনা (বিপর্যয়) থেকে সাবধান হও, যা শুধু তোমাদের মধ্যে যারা জুলুম করে তাদের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকবে না। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর।” [সূরা আনফাল: ২৫]
গাজায় আমাদের ভাইদের ওপর যা ঘটছে, সে বিষয়ে নীরবতা পালন করা মুসলিম উম্মাহর জন্য এক লজ্জাজনক কলঙ্ক, যে ইতিহাস কখনো ভুলে যাবে না এবং কেউ তা চুপচাপ মেনে নেবে না। বরং পরবর্তী প্রজন্মগুলো তা বারবার স্মরণ করবে এবং কামনা করবে—হায় যদি তারা আমাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পারত, যদি এই লজ্জা ঘোচাতে পারত, নিজেদের মাঝে আত্মসম্মান জাগিয়ে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে গাজার ভাইদের ব্যাপারে নিজেদের দায়িত্ব যদি পালন করতে পারত।
আমরা এই মুহূর্তে—আমাদের সম্মানিত মিশরবাসীর প্রতি একটি জরুরি আহ্বান জানাই, বিশেষ করে আমাদের প্রিয় সিনাইয়ের সম্মানিত সাহসী গোত্রগুলোর প্রতি.. আমরা বলতে চাই:
হে মিশরের জনগণ! আল্লাহকে ভয় করুন—আপনাদের গাজাবাসী মুসলিম ভাইদের ব্যাপারে, যারা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যাচ্ছে সেই কৃত্রিম প্রাচীর ও সীমান্তের ওপারে। আল্লাহর কসম! কীভাবে আপনারা শান্তিতে জীবনযাপন করেন, অথচ আপনারা জানেন আপনার ভাইয়েরা বিপর্যস্ত জীবন কাটাচ্ছে? কীভাবে কারও পক্ষে সম্ভব হয় মুখে খাবার তোলা, যখন আপনারই প্রতিবেশীরা—ছোট-বড় নির্বিশেষে সবাই—ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে? আর কীভাবে আপনার মুসলিম প্রতিবেশীরা তৃষ্ণায় প্রাণ হারায়, যখন আপনাদের মাঝে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নীলনদ? কবির ভাষায়;
دخلتُ على المرَأةِ وهيَ تبكي
فقلتُ على ما تنتحبُ الفتاةُ
فقالتْ كيفَ لا أبكي وأهلي
جميعًا دون خلقَ اللهُ ماتُوا
“তোমাদের অন্তর কি মরেছে সব?
যেখানে ছিল গৌরব, সাহস, ধবধবে সব!
আমি গিয়েছিলাম মর্যাদার দ্বারে,
দেখি—সে কাঁদে, নির্জনে চুপিসারে।
আমি জিজ্ঞেস করি, “কেন কাঁদো এভাবে?”
সে বলে, “কাঁদব না কেন বলো তবে?
আমার আপনজন, মর্যাদার দল,
দুনিয়ার মাঝে হারাল সব বল।”
আল্লাহর দয়া লাভের আশায় আপনারা এগিয়ে আসুন—ভেঙে ফেলুন সেই কৃত্রিম ও ভুয়া সীমানা! আপনাদের ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন—খাবার, পানি ও ঔষুধ নিয়ে। আপনাদের উপর তাদের প্রতি সাহায্যের দায়িত্ব আরও বড়, আরও জরুরি। কেউ যেন আপনাদের থামাতে না পারে—কোনো এমন ব্যক্তি, যে আপনাদের ভাষায় কথা বলে, আপনাদের মতো পোশাক পরে, এমনকি আপনাদের সঙ্গেই বসবাস করে, কিন্তু আদতে সে একজন ইহুদিবাদী। কারণ বিচার হয় কাজে—বাহ্যিক রূপ, ভাষা কিংবা নাগরিকত্বে নয়। প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
এক নারী জাহান্নামী হয়েছিল কারণ সে একটি বিড়ালকে আটকে রেখেছিল—
না সে তাকে খেতে দিয়েছিল, না ছেড়ে দিয়েছিল জমিন থেকে কুড়িয়ে কিছু খেতে। [সহীহ বুখারী, পরিচ্ছেদঃ ৫৯/১৬, হাদিস নং ৩৩১৮]
তবে চিন্তা করো—আজ যারা গাজার পুরো জনগণকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে, যেমন মিশরে সিসির সরকার—তারা তো কেবল একটা বিড়াল নয়, একটি গোটা জাতিকেই বন্দী করে রেখেছে!
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “সে আমার প্রতি ঈমান আনেনি—যে রাতে পেট ভরে ঘুমায়, অথচ তার পাশে থাকা প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং সে তা জানে।”
তবে কি আফসোসের বিষয় নয়? আজ ইউরোপ থেকে আসা ‘কাফেলাতুস সুমুদের (Soumoud Convoy) নন-মুসলিমরাও—
গাজার মুসলিম শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের জন্য তোমাদের তুলনায় বেশি দরদ দেখায়, বেশি সাহস দেখায়?! তবে জেনে রাখো—তোমাদের ভেতর কোনো কল্যাণ নেই, যদি তোমরা শৃঙ্খল না ভাঙো, সীমান্ত না পার হও এবং তোমাদের ভাইদের রক্ষা না করো ইহুদি জুলুম ও অভুক্তির হাত থেকে।
যারা ফিলিস্তিনের পাশেই জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননে অবস্থান করছেন, আমরা আমাদের সেই প্রিয় প্রতিবেশীদের উদ্বুদ্ধ করি, যেন তাঁরা নিজেদের বিপর্যস্ত ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। আর এটাও জেনে রাখুন, এই দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি আপনাদের ওপর এবং মিশরের জনগণের ওপরই বর্তায়। আপনাদের উচিত সর্বশক্তি নিয়োগ করা, যত ত্যাগই করতে হোক না কেন—এমনকি যদি প্রাণও বিসর্জন দিতে হয়। আর যদি এই প্রখর গ্রীষ্মের দিনে ক্ষুধার্ত মানুষের কঙ্কালসার দেহ ও পিপাসায় অচেতন শিশুদের করুণ চিত্র আপনাদের অন্তরকে জাগিয়ে না তোলে, তাহলে আর কখন তা জাগ্রত হবে?!”
“আলোচনার শেষাংশে আমরা ধনবানদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি সেই ভয়াবহ শাস্তির কথা, যা কিয়ামতের ময়দানে এমন আতঙ্ক নিয়ে হাজির হবে যে, সেদিন তোমরা কামনা করবে—হায়! যদি দুনিয়াতে নিঃস্ব অবস্থায় জীবন কাটাতাম। সুতরাং, তোমাদের ধন-সম্পদে আল্লাহর হক কিছুতেই ভুলে যেও না।
এই সম্পদের প্রতি তোমাদের ওপর যে বিরাট দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা অনুধাবন করো। আগেভাগেই এই সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে দাও সেদিন আশার আগেই, যে দিন তোমাদের কপাল এই ধন-সম্পদের আগুনে দগ্ধ হবে। এই সম্পদ হয় তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির ও জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার মাধ্যম হবে এবং সে-ই হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সফল ব্যক্তি; অথবা এই সম্পদই তোমার জন্য হবে জাব্বার (অপরাজেয় মহান রব)-এর রোষ ও জাহান্নামের কঠিন শাস্তির কারণ—আর সে-ই হবে প্রকৃতই দুর্ভাগা ব্যবসায়ী, যে নিজেকে ধ্বংসের ঘরে নিয়ে গেল!”
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ❖ يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هُذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنتُمْ تَكْنِزُونَ
“আর যারা সোনা রুপা সঞ্চয় করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না—তাদেরকে শোনাও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সংবাদ। সেদিন (কেয়ামতের দিন) সোনা রুপা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, তারপর তা দিয়ে তাদের কপাল, পার্শ্ব ও পিঠ দগ্ধ করা হবে। বলা হবে: ‘এটাই তোমার সেই সম্পদ, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে—সুতরাং এখন আস্বাদন করো তোমরা যা সঞ্চয় করে রেখেছিলে।’ [সূরা তাওবাহ, আয়াত ৩৫]
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের নিপীড়িত ভাই-বোনদের সাথে থাকো, যারা গাজায় অসহায় অবস্থায় আছে। হে আল্লাহ! তুমি তাদের এই দুঃখ-গ্লানি দূর করে দাও, তাদের ওপর থেকে এই বিপদ তুলে নাও। হে পরম দয়ালু! তুমি তোমার অনুগ্রহে তাদের এমনভাবে অভাবমুক্ত করে দাও, যাতে তারা তোমাকে ছাড়া আর কারো মুখাপেক্ষী না থাকে।
হে আল্লাহ! তুমি তাদের ক্ষুধার মধ্যে আহার দাও, ভয়-ভীতির মধ্যে নিরাপত্তা দান করো—হে মর্যাদা ও দয়ার অধিপতি!
আর আমাদের শেষ কথা এই যে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।”
*********
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
Comment