Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || AQAP || ভূমিকম্প এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || AQAP || ভূমিকম্প এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা || ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:



    مُواساةٍ لمُصابِ المُسلمِين جَرَّاء الزَلازِل وَسُيولِ الأمْطَار

    ভূমিকম্প এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা
    ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

    "Condolences to Muslims Affected by Earthquake and Heavy Rains"








    روابط بي دي اف
    PDF (259 KB)
    পিডিএফ [২৫৯ কিলোবাইট]



    https://mega.nz/file/aA1hiBwI#cwpWO5s4E23OrD7ogNvThR58NxVkz2wAJdoTfzK30 i0




    روابط وورد
    Word (370 KB)
    ওয়ার্ড [৩৭০ কিলোবাইট]








    روابط البانر
    Banner (366 KB)
    ব্যানার [৩৬৬ কিলোবাইট]







    *****
    ভূমিকম্প এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিমদের প্রতি সমবেদনা
    ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ



    সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মতো কষ্ট ও বিপদ দিয়েও পরীক্ষা করেন। তিনি মানবজাতিকে পরীক্ষা করেন তাদের ভেতরের অবস্থা যাচাই করার জন্য এবং তাদের প্রকৃত মর্যাদা পরীক্ষা করার জন্য। তিনি আনুগত্যের চুক্তির মাধ্যমে মুমিনদের অন্তরকে যেমন এক করেন, তেমনি পরীক্ষার বন্ধন দিয়েও তাদের অন্তরকে এক করেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সেই নবীর ওপর, যিনি সবচেবেশি বিপদ-পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং যিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ধৈর্যশীল ও দৃঢ়, এবং আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ওপর, তাঁর পরিবার, তাঁর সাহাবি এবং যারা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁকে অনুসরণ করবে তাদের ওপর।
    হামদ ও সালাতের পর:
    আজকাল মুসলিম উম্মাহ বড়ো বড়ো সব ধরণের বিপদ-পরীক্ষায় আক্রান্ত এবং তাদের উপর নেমে এসেছে গুরুতর দুর্যোগ। মুসলিম বিশ্বের এক প্রান্তে অবস্থিত গাজায় সম্মানিত লোকদের রক্ত ​​প্রবাহিত হচ্ছে এবং পবিত্র ভূমি ধ্বংস করা হচ্ছে। এটিই সেই গাজা, যা গৌরব, ধৈর্য এবং দৃঢ়তার ভূমি, সেখানে সৎ ব্যক্তিদের রক্ত ​​ঝরেছে, শ্রেষ্ঠ শহীদগণ শাহাদাত বরণ করেছেন। এবং সেখানে দুর্বলদের কষ্ট-দুর্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যাদের একমাত্র পরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া কোনো সাহায্যকারী নেই। এদিকে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অংশে, যেমন ইয়েমেন, পাকিস্তান এবং অন্যান্য অঞ্চলে, বন্যা যেন প্লাবনের মতো আঘাত হেনেছে। এটি ভূমি ও তার উপর বসবাসকারীদের গ্রাস করেছে, ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দিয়েছে। এর ফলে শত শত মানুষ ডুবে মারা গেছে, অসংখ্য মানুষ তাদের প্রিয়জনদের হারানোর বেদনায় ভুগছে, দুর্বলরা গৃহহীন হয়েছে এবং তাদের জন্য পৃথিবী সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। আর আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে এক ভূমিকম্প; এতে ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছে। আমরা করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন তিনি আমাদের ডুবে যাওয়া শহীদদের এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের তাঁর প্রশস্ত রহমত দিয়ে ঢেকে রাখেন, তাদের বিপদকে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ বানান এবং তাদেরকে সিদ্দিকীন ও শহীদদের সাথে স্থান দেন। আমরা তাঁর কাছে আরও প্রার্থনা করি যেন তিনি তাদের প্রিয়জনদের অন্তরে শান্তি ও সুন্দর ধৈর্য দান করেন। আমরা আরও প্রার্থনা করি যেন তিনি আহতদের আরোগ্য দান করেন, গৃহহীনদের আশ্রয় দেন এবং দুর্বলদের জন্য সহায়ক ও সাহায্যকারী হন।
    হে লোকসকল!
    জেনে রাখুন, এই ধরনের দুর্যোগে সাহায্য করা প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির ওপর ফরজ এবং আল্লাহ যাদেরকে সম্পদ, সম্মান বা প্রভাব প্রতিপত্তি দিয়েছেন, তাদের ওপর এটি কর্তব্য। বিশেষত সেই ব্যবসায়ীরা যাদের জীবিকাকে আল্লাহ প্রসারিত করেছেন, এবং সেই আলেমগণ যাদের উপর আল্লাহ জ্ঞান ও হেদায়েতের আমানত অর্পণ করেছেন। কেননা, সবচেয়ে বড় জিহাদ হলো বিপদগ্রস্তকে উদ্ধার করা এবং সবচেয়ে মহৎ ইবাদত হলো আহতকে সাহায্য করা। তাই, অর্থ, সম্মান ও দোয়ার মাধ্যমে আপনাদের ভাইদের সাহায্যকারী হন, আল্লাহ আপনাদের জন্য এর বিনিময়ে মহা প্রতিদান লিপিবদ্ধ করবেন।
    তারপর জেনে রাখুন যে, এই দুর্ভোগের কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো মুসলিম দেশগুলোতে শাসকদের দুর্নীতি এবং তাদের করুণাময় আল্লাহর শরীয়ত থেকে বিচ্যুত হওয়া। তাদের জুলুম ও অবহেলার নীতির প্রতি ঝুঁকে পড়া, যার ফলে বিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমানত নষ্ট হয়েছে এবং পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর এটি কেবল এই সত্যেরই একটি নিদর্শন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর হেদায়েত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে পথভ্রষ্ট হবে, এবং যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হবে, সে পিছলে যাবে।
    ইরশাদ হচ্ছে-
    وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا
    “আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবন হবে সংকীর্ণ।” (সূরা ত্বহা, আয়াত: ১২৪)
    পরিশেষে, জেনে রাখুন, আজ মুজাহিদদের তরবারি প্রতিটি সীমান্তে উদ্যত রয়েছে। তারা তাদের বিশ্বাস এবং সম্মান রক্ষার জন্য এবং তাদের পবিত্র স্থান ও ভূমিকে রক্ষা করার জন্য উম্মাহর পক্ষ থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। যদি তাদের হাত রণক্ষেত্রে ব্যস্ত না থাকত এবং তাদের বর্শা সীমালঙ্ঘনকারীদের রক্তে রঞ্জিত না থাকত, তবে এই কঠিন সময়ে তারা তাদের মুসলিম ভাইদের পাশে থাকত। তারা তাদের সাথে খাবার এবং অশ্রু ভাগ করে নিত এবং মাটি ও পানি বহন করার কাজে অংশ নিত, যেভাবে তারা অস্ত্র ও রক্ত ​​বহন করার কাজে অংশ নেয়। কিন্তু এটি একটি ব্যাপক যুদ্ধ। এই যুদ্ধের গুরুত্ব কেবল তারাই উপলব্ধি করতে পারে, যারা নিশ্চিতভাবে জানে যে জিহাদ হলো জাতির ঢাল এবং আশ্রয়স্থল, এবং এর মাধ্যমেই এর ঐক্য রক্ষা করা যায় এবং বিপদ ও ফিতনা প্রতিহত করা যায়।
    হে ইসলামের অনুসারীরা, দৃঢ় সংকল্প করুন এবং মহানুভবদের মতো ধৈর্য ধারণ করুন। কারণ মুজাহিদদের রক্ত ​​এবং দুর্দশাগ্রস্তদের আর্তনাদ এক স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিজয়, গৌরব এবং ক্ষমতার বন্যায় পরিণত হবে।
    ইরশাদ হয়েছে-
    وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
    “অত্যাচারীরা অচিরেই জানতে পারবে তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল কেমন হবে।” (সূরা আশ-শু’আরা, আয়াত: ২২৭)
    হে আল্লাহ, মুসলিমদের সত্যের উপর ঐক্যবদ্ধ করুন, তাদের পতাকা শত্রুদের উপর উঁচিয়ে দিন, প্রতিটি সীমান্তে মুজাহিদ ও রিবাতকারীদের সাহায্য করুন, তাদের শক্তি বৃদ্ধি করুন, তাদের লক্ষ্যকে সঠিক করুন, তাদের পদকে সুদৃঢ় রাখুন এবং তাদের বিরুদ্ধে যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের উপর বিপদ চাপিয়ে দিন। হে আল্লাহ, গাজায় আমাদের শহীদদের এবং মুসলিমদের মধ্যে যারা ডুবে মারা গেছে তাদের প্রতি রহম করুন, তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করুন, আমাদের আহতদের সুস্থ করুন, আমাদের বিপদগ্রস্তদের ত্রাণ দিন, আমাদের ভয়কে শান্তিতে, আমাদের দুর্বলতাকে শক্তিতে, আমাদের লাঞ্ছনাকে গৌরবে, এবং আমাদের পরাজয়কে বিজয় ও ক্ষমতায় রূপান্তরিত করুন। হে আল্লাহ, আমাদের উপর অত্যাচারীদের কোনো ক্ষমতা দেবেন না এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আমাদের রক্ষা করুন যেভাবে আপনি চান এবং যেভাবে চান। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
    এবং আমাদের শেষ দোয়া হচ্ছে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।


    *****

    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent

  • #2
    হে লোকসকল!
    জেনে রাখুন, এই ধরনের দুর্যোগে সাহায্য করা প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির ওপর ফরজ এবং আল্লাহ যাদেরকে সম্পদ, সম্মান বা প্রভাব প্রতিপত্তি দিয়েছেন, তাদের ওপর এটি কর্তব্য। বিশেষত সেই ব্যবসায়ীরা যাদের জীবিকাকে আল্লাহ প্রসারিত করেছেন, এবং সেই আলেমগণ যাদের উপর আল্লাহ জ্ঞান ও হেদায়েতের আমানত অর্পণ করেছেন। কেননা, সবচেয়ে বড় জিহাদ হলো বিপদগ্রস্তকে উদ্ধার করা এবং সবচেয়ে মহৎ ইবাদত হলো আহতকে সাহায্য করা। তাই, অর্থ, সম্মান ও দোয়ার মাধ্যমে আপনাদের ভাইদের সাহায্যকারী হন, আল্লাহ আপনাদের জন্য এর বিনিময়ে মহা প্রতিদান লিপিবদ্ধ করবেন।​
    জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

    কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

    Comment

    Working...
    X