مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
تنظيم قاعدة الجهاد في جزيرة العرب
بيان بشأن جرائم صهاينة العرب الممنهجة ضد أهلنا المسلمين في السودان
তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতুল আরব
সুদানে আমাদের মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে ‘আরব জায়নবাদীদের পরিকল্পিত অপরাধযজ্ঞ প্রসঙ্গে বিবৃতি।
Al-Qaeda in the Arabian Peninsula
Statement on the 'Planned Crimes of Arab Zionists' against our Muslim brothers in Sudan.

روابط بي دي اف
PDF (337 KB)
পিডিএফ [৩৩৭ কিলোবাইট]
روابط وورد
Word (368 KB)
ওয়ার্ড [৩৬৮ কিলোবাইট]
روابط البانر
Banner (233 KB)
ব্যানার [২৩৩ কিলোবাইট]
https://sudanbarta.wordpress.com/wp-content/uploads/2025/11/aqap-barta-sudan.jpg
মূল পোস্ট
PDF - 3.5MB
https://drive.google.com/file/d/1nKDw4Yb08yI7lWShByIMekAcnHmdqDAM/view?usp=sharing
*****
সুদানে আমাদের মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে ‘আরব জায়নবাদীদের পরিকল্পিত অপরাধযজ্ঞ প্রসঙ্গে বিবৃতি।
সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, যিনি বলেছেন:
﴿إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا * وَأَكِيدُ كَيْدًا * فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا﴾
“নিশ্চয়ই তারা গভীর ষড়যন্ত্র করছে, আর আমিও গভীর কৌশল করছি। অতএব, কাফিরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে সামান্য অবকাশ দিন।” [সূরা তারিক: ১৫-১৭]
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্বস্ত রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর উপর, যিনি বলেছেন:
إِنَّ اللهَ لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ حَتَّى إِذَا أَخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা জালিমকে অবকাশ দেন। অবশেষে যখন তাকে পাকড়াও করেন, তখন আর ছাড়েন না।”
অতঃপর:
আমরা গভীর দুঃখ ও তীব্র বেদনার সাথে আমাদের প্রিয় সুদানের আল-ফাশিরে আমাদের মুসলিম ভাই ও স্বজনদের বিরুদ্ধে সংঘটিত পাশবিক অপরাধযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছি। এই অপরাধযজ্ঞ ঘটিয়েছে জায়নবাদীদের ক্রীড়নক ও ইহুদিদের দালালরা—আল্লাহ তাদের লাঞ্ছিত করুন। গাজায় আমাদের মুসলিম ভাইদের উপর জায়নবাদীদের ঘৃণ্য অপরাধযজ্ঞ কিছুটা স্তিমিত হতে না হতেই, ‘আরব জায়নবাদীরা’ মুসলিম ভূমি সুদানে আমাদের মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে নতুন করে জঘন্য অপরাধের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
এই লজ্জাজনক অপরাধগুলো মূলত মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র নিজেদের স্বার্থে পরিবর্তন করার জন্য ইহুদিদের ব্যর্থ ষড়যন্ত্রেরই একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। এর মাধ্যমে তারা ভাড়াটে দালালদের ব্যবহার করে অত্র অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিয়ে কথিত (নীল থেকে ফোরাত পর্যন্ত বৃহত্তর ইসরায়েল) রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা করছে। এই দালালরা অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে চায়। কিন্তু তারা ব্যর্থ ও পর্যুদস্ত হয়েছে।
বস্তুত, এই যুদ্ধের দিকে গভীর দৃষ্টিপাত করলে যে কেউই বুঝতে পারবে যে, এর সময়কাল কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। কারণ, একই সময়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দুটি উন্মুক্ত জায়নবাদী ফ্রন্টে অর্থায়ন করা জায়নবাদীদের এবং জায়েদের সন্তানদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটি প্রমাণ করে যে, হত্যা, ধর্ষণ, বন্দীত্ব ও বাস্তুচ্যুতির মতো যে অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে, তার সবই এক উৎস থেকে এবং এক নির্দেশনাতেই পরিচালিত হচ্ছে। এই নির্দেশনা জারি করছে বৈশ্বিক কুফরি শক্তি, যার নেতৃত্বে রয়েছে ইহুদি, আমেরিকান, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং তাদের মতো অন্যান্যরা, যারা ইতিপূর্বে এই শতাব্দীর শুরুতে আফগানিস্তান ও ইরাকে আমাদের মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
ইসলামের শত্রুদের এই আস্ফালন কেবল তখনই এই রূপ ধারণ করতে পেরেছে, যখন তারা তাদের জন্য একজন একনিষ্ঠ ও সস্তা দালাল খুঁজে পেয়েছে। এই দালাল হলো জায়নবাদী-মুরতাদ রাষ্ট্র (তথাকথিত) আরব আমিরাতের শাসক ‘বিন জায়েদের সন্তানেরা’। যদি আরবের প্রথম গাদ্দার ‘আবু রিগাল’ও আজ জীবিত থাকত এবং কুফরের প্রতি তাদের এই গাদ্দারি ও দালালি দেখত, তাহলে আরবরা তার কবরে পাথর নিক্ষেপ করার আগেই সে হয়তো তাদের ব্যক্তি ও কবরে পাথর নিক্ষেপ করত। সে তাদের এই ঘৃণ্য আঁতাতকে অস্বীকার করত; এমন দালালের সন্ধান পাওয়া কোনো ষড়যন্ত্রকারীর কল্পনাতেও হয়তো আসেনি।
মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষত লিবিয়া, ইয়েমেন, আফ্রিকার কিছু অঞ্চল এবং বিশেষভাবে সুদানের আল-ফাশিরে জায়নবাদী-মুরতাদ আমিরাতের প্রজ্বলিত আগুনে দগ্ধ আমাদের ভাইদেরকে আমরা বলতে চাই: আপনাদের রক্ত আমাদের রক্ত, আপনাদের সম্মান আমাদের সম্মান।
নিশ্চয়ই আপনাদের এবং সকল দুর্বল মুসলমানদের সাহায্য করা আজ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ওয়াজিব। কারণ, যন্ত্রণা এক ও অভিন্ন। আপনাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধী, ইয়েমেনেও সে-ই একই অপরাধী। আমিরাত এবং তার দালালরা ইয়েমেনে কোনো আলেম, মসজিদের ইমাম, খতিব, স্বাধীনচেতা সম্মানিত ব্যক্তি বা আত্মমর্যাদাশীল কাউকেই ছাড়েনি; হয়তো অপহরণ করেছে, নয়তো হত্যা করেছে, নয়তো কারাগারে নিক্ষেপ করেছে বা বাস্তুচ্যুত করেছে এবং গুপ্তহত্যার পাঁয়তারা করেছে। আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক! তবে আপনারা সুসংবাদ গ্রহণ করুন এবং আপনাদের শত্রুর বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য ও প্রতিশোধের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাস রাখুন। যেমনটি আপনাদের রব ওয়াদা করেছেন:
﴿إِنَّا لَنَنصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ﴾
“নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনদেরকে দুনিয়ার জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীরা দণ্ডায়মান হবে সেদিন সাহায্য করব।” [সূরা গাফির: ৫১]
এবং তিনি আরও বলেন:
﴿إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ﴾
“নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদেরকে রক্ষা করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।” [সূরা হজ: ৩৮]
আর আমরা মুজাহিদগণ, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর ইচ্ছায় ও শক্তিতে, যতদিন আমাদের দেহে প্রাণস্পন্দন থাকবে, ততদিন আমাদের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের সাহায্য করতে এবং তাদের রক্তের বদলা নিতে আমরা বিন্দুমাত্রও দ্বিধা করব না।
আমরা যেমন পূর্বে বিশ্বের আনাচে-কানাচে সকল মুসলমানকে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং তাদের সমর্থকদের স্বার্থে আঘাত হানার আহ্বান জানিয়েছিলাম, তেমনই আমরা আজ (তথাকথিত) আমিরাত রাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানার উপর পুনরায় জোর দিচ্ছি। কারণ এই রাষ্ট্রটিই হলো শত্রুর চোখ, কান এবং সেই হাত, যা দিয়ে সে আঘাত হানে। আজ ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে এর বিদ্বেষ ও যুদ্ধ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তাই আমিরাতের ভেতরে বা বাইরে অবস্থানরত এর সম্মানিত ও স্বাধীনচেতা নাগরিক কিংবা অধিবাসীদের মধ্যে যারা সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের উপর এই ওয়াজিব (দায়িত্ব) আরও সুনিশ্চিত হয়ে পড়েছে যে, তারা যেন সেখানে ছোট বা বড় যেকোনো ধরনের বীরত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করেন। অতএব, জায়েদের সন্তানেরা এবং তাদের মুরতাদ সরকার আপনাদের সামনে। এক মুহূর্তও বিলম্ব করবেন না। এটিই এই সময়ের অপরিহার্য ওয়াজিব, যা পালনে সক্ষম ব্যক্তির জন্য বিলম্ব করা জায়েজ নয়। আল্লাহ আপনাদেরকে তাঁর দ্বীন ও তাঁর অনুসারীদের সাহায্য করার তাওফিক দিন এবং এ কাজে আপনাদেরকে সহায়তা করুন।
হে আল্লাহ, ইসলামের সকল শত্রুর ষড়যন্ত্র তাদের উপরই নিক্ষিপ্ত করুন। হে আল্লাহ, সুদানে ও সর্বত্র আমাদের দুর্বল ভাইদের জন্য আপনি সাহায্যকারী ও সহায়ক হয়ে যান এবং তারা যে পরিস্থিতিতে আছেন, তা থেকে তাদের মুক্তি দিন। হে আমাদের রব, আমাদের উপর ধৈর্য বর্ষণ করুন, আমাদের পদসমূহ সুদৃঢ় রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।
আর আমাদের শেষ কথা এই যে, সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
*****
তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতিল আরব
(আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা)
১৬ জুমাদাল উলা, ১৪৪৭ হিজরি (৭ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী)
***************
অনুবাদ ও প্রকাশনা
*****
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
Comment