Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || ওয়ানা অপারেশনের ব্যাপারে পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || ওয়ানা অপারেশনের ব্যাপারে পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া

    اداره الحکمہ
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al Hikmah Media

    پیش کرتے ہیں
    পরিবেশিত
    Presents

    بنگالی ترجمہ
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    عنوان:
    শিরোনাম:
    Titled



    وانا آپریشن کے بارے میں پاکستان کے علماء کا متفقہ فتویٰ

    ওয়ানা অপারেশনের ব্যাপারে পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া

    Pakistan's Ulema-e-Keram issues fatwa on Wana operation






    پی ڈی ایف
    PDF (2.1 MB)
    পিডিএফ [২.১ মেগাবাইট]








    ورڈ
    Word (9.4 MB)
    ওয়ার্ড [৯.৪ মেগাবাইট]








    غلاف
    Book Cover (655 KB)
    কভার [৬৫৫ কিলোবাইট]







    بينر
    Banner (426 KB)
    ব্যানার [৪২৬ কিলোবাইট]








    মূল পোস্ট
    PDF - 1.2 MB







    *****

    ওয়ানা[1] অপারেশনের ব্যাপারে পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া[2]
    প্রশ্ন:
    আমেরিকার তীব্র চাপের কারণে পাকিস্তানের সৈনিকরা ওয়াজিরিস্তানে মুজাহিদীন ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে অভিযান পরিচালনা করছে এবং নিরপরাধ যে সকল মুসলমান প্রতিবাদ করছে তাদেরকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করছে- এই বিষয়ে সম্মানিত উলামা ও মুফতী সাহেবগণের অভিমত কী? এই পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরামের নিকট কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
    এক. পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক নিজ মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা, হত্যা করা অথবা অন্যের মাধ্যমে হত্যা করানো জায়েয কি না?
    দুই. শাসক যদি নিজ জনগণ অথবা সেনাবাহিনীকে নিরপরাধ কোন মানুষকে হত্যা অথবা গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়, তবে কি এই আদেশ পালন করা আবশ্যক? এই সূরতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য এজাতীয় অভিযানে অংশ গ্রহণ কি জায়েয?
    তিন. উল্লেখিত সূরতে যে সকল সৈনিক অভিযানে অংশগ্রহণ করবে, তাদের মৃত্যু কেমন মৃত্যু বলে বিবেচিত হবে? তারা কি শহীদ হবে, না এটি হারাম মৃত্যু হবে? এ ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের জানাযা পড়ানো অথবা তাতে অংশগ্রহণ করা জায়েয কি না?
    চার. যে সকল মুজাহিদ ও নিরপরাধ মুসলমানদের উপর জোরপূর্বক যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হল, তাদের মৃত্যুর কী হুকুম?
    প্রশ্নকারী: কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান

    উত্তর:
    এক. বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ওয়াজিরিস্তানে মুজাহিদীন ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা, হত্যা করা অথবা অন্যের মাধ্যমে হত্যা করানো- কুরআন-সুন্নাহর সুস্পষ্ট নুসুসের খেলাফ হওয়ায় নাজায়েয, হারাম ও গুরুতর অপরাধ। এই অভিযান আমেরিকার তীব্র চাপের কারণে হোক অথবা চাপ ছাড়া এমনিতেই হোক, উভয় সূরতে কাফেরদের সন্তুষ্ট করার জন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযান চালানো একাধিক আয়াত, হাদীস ও ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্যের আলোকে নাজায়েয ও হারাম। চাই এ অভিযানে মুসলমানদেরকে শহীদ করা হোক অথবা তাদের আটক করে কোনো কাফেরের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
    শরীয়ত এক মুসলিমের জন্য অপর মুসলিমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হারাম সাব্যস্ত করেছে। যদিও মুসলমানদের এই আশঙ্কা হয় যে, আমরা কাফেরদের এই দাবি না মানলে তারা আমাদেরকেই হত্যা করে ফেলবে অথবা কোন মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে, তবুও কাফেরদের এই দাবি মেনে নেয়া মুসলমানদের জন্য বৈধ নয়।
    দুই. শাসকের শরীয়ত বিরোধী নির্দেশ মানা ও আনুগত্য করা সর্বাবস্থায় নাজায়েয ও হারাম। তাই শাসক নিজ জনগণ অথবা সেনাবাহিনীকে নিরপরাধ কোন মানুষ হত্যা অথবা গ্রেপ্তারের আদেশ দিলে এই আদেশ পালন কখনও বৈধ নয়। ওয়াজিরিস্তানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান যেহেতু শরীয়ত বিরোধী, তাই সেনাবাহিনীর জন্য এই অভিযানে অংশগ্রহণ করা নাজায়েয। মুসলিম সৈন্যদের জন্য আবশ্যক হল, তারা নিজ মুসলিম ভাইদের বিরুদ্ধে এজাতীয় কোন অভিযানে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাবে। অন্যথায় তারাও এই অপরাধে সমান অংশীদার হবে।
    তিন. শাসক বা সেনাপ্রধানের শরীয়ত বিরোধী আদেশ পালন করার লক্ষ্যে যে সৈনিক এই অভিযানে অংশ গ্রহণ করবে, সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত বলে গণ্য হবে। অভিযানে তার মৃত্যু ঘটলে তাকে কিছুতেই তাকে শহীদ বলা যাবে না। একজন মুসলমানের গায়রত, আত্মমর্যাদা এবং ধর্মীয় অনুরাগের দাবি হলো, এদের জানাযায় কেউ অংশগ্রহণ করবে না এবং জানাযা পড়ানোর জন্য কেউ অগ্রসরও হবে না।
    চার. যে সকল ব্যক্তি এই অন্যায় সামরিক অভিযানগুলোতে নিহত হচ্ছেন, যেহেতু তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে নির্দোষ এবং নিরপরাধ, তাই তারা শহীদ হিসেবে গণ্য হবেন।

    আল্লাহ তাআলা বলেন:
    وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا. -النساء: 93
    যে ব্যক্তি কোনও মুমিনকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, যাতে সে সর্বদা থাকবে। তার উপর আল্লাহর গযব ও লানত। আল্লাহ তার জন্য কঠোর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।” –সূরা নিসা: ৯৩
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُونَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوا بِمَا جَاءَكُمْ مِنَ الْحَقِّ. -الممتحنة: 1
    হে মুমিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা যে সত্য তোমাদের কাছে আগমন করেছে, তা অস্বীকার করছে।” –সূরা মুমতাহিনাহ: ১
    بَشِّرِ الْمُنَافِقِينَ بِأَنَّ لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا. الَّذِينَ يَتَّخِذُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ أَيَبْتَغُونَ عِنْدَهُمُ الْعِزَّةَ فَإِنَّ الْعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا. -النساء: 138، 139
    যে সকল মুনাফিক মুমিনদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানায়, তাদেরকে এই সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। তারা কি সম্মানের প্রত্যাশায় কাফেরদের কাছে গমন করে? অথচ যাবতীয় সম্মান তো শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।” –সূরা নিসা: ১৩৮-১৩৯

    হাদীস শরীফে এসেছে:
    عن البراء بن عازب، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لزوال الدنيا أهون على الله من قتل مؤمن بغير حق». رواه ابن ماجه (2/874 رقم: 2619 ط. دار إحياء الكتب العربية) وقال المنذري في «الترغيب والترهيب» (3/293 ط. مكتبة مصطفى الحلبي) : «إسناد حسن، ورواه البيهقي والأصبهاني، وزاد فيه: «ولو أن أهل سمواتهِ، وأهل أرضهِ اشتركوا في دم مؤمنٍ لأدخلهمُ الله النار». وقال البوصيري في «مصباح الزجاجة» (3/ 122) : «هذا إسناد صحيح رجاله ثقات .... وله شاهد من حديث عبد الله بن عمرو، رواه النسائي...».
    অর্থঃ বারা ইবনে আযেব রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলার নিকট পুরো পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া একজন মুমিনকে হত্যার তুলনায় অধিক সহজ।”
    অপর বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে, “যদি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সকলেই একযোগে কোনো মুমিনের হত্যায় শামিল হয়, তবে আল্লাহ তাআলা তাদের সকলকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।” -সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৬১৯; আত-তারগীব ওয়াত তারহীব: ৩/২৯৩
    عن ابن عمر رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «المسلم أخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه». صحيح البخاري (3/ 128 رقم: 2442 ط. دار طوق النجاة) صحيح مسلم (4/1996 رقم: 2580 ط. دار إحياء التراث)
    অর্থঃ ইবনে উমর রাযিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে না তার উপর জুলুম করতে পারে, না তাকে জুলমের সামনে অসহায় ছেড়ে দিতে পারে।” -সহীহ বুখারী: ২৪৪২; সহীহ মুসলিম: ২৫৮০
    عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «السمع والطاعة على المرء المسلم فيما أحب وكره، ما لم يؤمر بمعصية، فإذا أمر بمعصية فلا سمع ولا طاعة». صحيح البخاري (9/63 رقم الحديث: 7144) صحيح مسلم (3/ 1469 رقم: 1839)
    অর্থঃ ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “পছন্দ হোক বা না হোক উভয়াবস্থায় মুসলমানের জন্য আমীরের নির্দেশ শোনা ও মান্য করা আবশ্যক। যতক্ষণ না আমীর তাকে কোন গুনাহের কাজের আদেশ দেয়। যখন সে গুনাহের কাজের আদেশ দিবে তখন না তার নির্দেশ শোনা হবে, না মানা হবে।” –সহীহ বুখারী: ৯/৬৩ হাদীস: ৭১৪৪; সহীহ মুসলিম: ৩/১৪৬৯ হাদীস: ১৮৩৯

    শরহুস সিয়ার গ্রন্থে এসেছে:
    وإن قالوا لهم قاتلوا معنا المسلمين وإلا قتلناكم لم يسعهم القتال مع المسلمين. لأن ذلك حرام على المسلمين بعينه. فلا يجوز الإقدام عليه بسبب التهديد بالقتل، كما لو قال له: اقتل هذا المسلم وإلا قتلتك. -شرح السير: (4/253 ط. دار الكتب العلمية)
    যদি কাফেররা মুসলিমদের বলে, তোমরা আমাদের সাথে মিলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, অন্যথায় আমরা তোমাদেরকে হত্যা করব, তাহলে মুসলিমদের জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বৈধ হবে না। কারণ মুসলিমদের জন্য তা হারাম। হত্যার হুমকির কারণে তা করা বৈধ হবে না। যেমনিভাবে যদি কোন ব্যক্তি কোন মুসলিমকে বলে, তুমি এই মুসলিমকে হত্যা করো নতুবা আমি তোমাকে হত্যা করবো (তখন তার জন্য ঐ মুসলিমকে হত্যা করা বৈধ হবে না।) –শরহুস সিয়ার: ৪/২৫৩
    মালিকুল উলামা আল্লামা আলাউদ্দিন কাসানী রহ. (৫৮৭ হি.) বলেন:
    وكذلك من .... عدا على قوم ظلما فقتلوه لا يكون شهيدا؛ لأنه ظلم نفسه. –بدائع الصنائع(1/320 ط. دار الكتب العلمية)
    এমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে এবং তারা তাকে হত্যা করে ফেলে, সে শহীদ হবে না। কারণ সে নিজের উপর অবিচার করে মৃত্যুবরণ করেছে।” –বাদায়েউস সানায়ে: ১/৩২০
    ফাতাওয়া হিন্দিয়ায় এসেছে:
    ومن قتل مدافعا عن نفسه أو ماله أو عن المسلمين أو أهل الذمة بأي آلة قتل بحديد أو حجر أو خشب فهو شهيد، كذا في محيط السرخسي. –الهندية (1/168 ط. دار الفكر)
    যে ব্যক্তি নিজের অথবা মুসলিমদের বা আহলে যিম্মার জানমাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সে শহীদ। চাই লোহা, পাথর, কাঠ বা অন্য যে কোন ধাতু দিয়ে তাকে হত্যা করা হোক।” –আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়া: ১/১৬৮
    والله أعلم بالصواب

    আব্দুদ দাইয়ান আফাল্লাহু আনহু
    দারুল ইফতা, মারকাযী জামে লাল মসজিদ (ইসলামাবাদ)

    এই ফাতওয়ায় পাকিস্তানের বিভিন্ন চিন্তাধারার সাথে সম্পৃক্ত পাঁচশোর অধিক বিশিষ্ট মুফতী, আলেম ও শায়খুল হাদীসগণের স্বাক্ষর রয়েছে। জায়গার স্বল্পতার দরুন কেবল অল্প কয়েকজন আলেমের নাম ও স্বাক্ষর নিচে দেওয়া হল-
    ১। মাওলানা মুফতী নেযামুদ্দীন শামযাঈ শহীদ রহ.। শায়খুল হাদীস, জামেয়া বানুরী টাউন, করাচী।
    ২। মাওলানা জুহুরুল হক সাহেব। পরিচালক, দারুল উলুম মাআরিফুল কুরআন, মাদানী মসজিদ, হাসান আবদাল, পাঞ্জাব।
    ৩। মাওলানা আবদুস সালাম সাহেব। শায়খুল হাদীস, ইশাআতুল কুরআন, হুজরো, আটক, পাঞ্জাব।
    ৪। কারী চান মুহাম্মাদ। শিক্ষক, ইশাআতুল কুরআন, হুজরো।
    ৫। মুফতী সাইফুল্লাহ হক্বানী সাহেব। প্রধান মুফতী, দারুল উলুম হক্বানিয়া, আকুড়া খটক, নওশেরা, খায়বার-পাখতুনখোয়া।
    ৬। মাওলানা আবদুর রহীম সাহেব। খতীব, জামে মসজিদ, ৩৩ দক্ষিণ সারগোদা, পাঞ্জাব।
    ৭। ফাতহ মুহাম্মাদ সাহেব। পরিচালক, জামেয়া সিদ্দীকিয়া, ওয়াহ ক্যান্ট, রাওয়ালপিন্ডি।
    ৮। মাওলানা ড. আবদুর রাযযাক সেকান্দার সাহেব। মুহতামিম, জামিয়া বানুরী টাউন, করাচী।
    ৯। মুফতী হামীদুল্লাহ জান সাহেব। জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর।
    ১০। মুফতী শের মুহাম্মাদ সাহেব।
    ১১। মুফতী যাকারিয়া সাহেব। দারুল ইফতা, জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর।
    ১২। মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক সাহেব। মুহতামিম, মাদরাসা তাদরীসুল কুরআন এবং খতীব, মারকাযী জামে লালারুখ, ওয়াহ ক্যান্ট।
    ১৩। মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হক্বানী সাহেব। মুহতামিম, জামিয়া আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু, যারাহ মিয়ানা, নওশেরা।
    ১৪। মুফতী হাবীবুল্লাহ সাহেব। দারুল ইফতা ওয়াল ইরশাদ, নাযেমাবাদ, করাচী।
    ১৫। মাওলানা মুহাম্মাদ সিদ্দীক সাহেব। মুহতামিম, জামিয়া তালীমুল কুরআন, মাদানী মসজিদ, লায়েক আলী চক, ওয়াহ ক্যান্ট।
    ১৬। মাওলানা আবদুল মাবুদ সাহেব। জামে মসজিদ, ফুলুঁওয়ালী, রহমানপুরা, রাওয়ালপিন্ডি।
    ১৭। কারী সাঈদুর রহমান সাহেব। পরিচালক, জামিয়া ইসলামিয়া, সদর, রাওয়ালপিন্ডি।
    ১৮। কাযী আবদুর রশীদ সাহেব। মুহতামিম, দারুল উলুম জামিয়া ফারুকিয়া, ধামিয়াল ক্যাম্প, রাওয়ালপিন্ডি।
    ১৯। মাওলানা মুহাম্মাদ সিদ্দীক আখুন্দযাদাহ সাহেব। এম এন এ (অর্থাৎ ন্যাশনাল এসেম্বলীর সদস্য)
    ২০। মুফতী রিয়াদ আহমাদ সাহেব। দারুল ইফতা, দারুল উলুম তালীমুল কুরআন, রাজা বাজার, রাওয়ালপিন্ডি।
    ২১। মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল কারীম সাহেব। পরিচালক, জামিয়া কাসেমিয়া, ইসলামাবাদ।
    ২২। মুফতী মুহাম্মাদ ইসমাঈল তুরু সাহেব। দারুল ইফতা, জামিয়া ইসলামিয়া, সদর, রাওয়ালপিন্ডি।
    ২৩। মাওলানা মুহাম্মাদ শরীফ হাজারাভী সাহেব। খতীব, দারুল ইসলাম মসজিদ, ইসলামাবাদ।
    ২৪। মাওলানা ফয়জুর রহমান উসমানী সাহেব। পরিচালক, ইদারায়ে উলুমে ইসলামিয়া, ইসলামাবাদ।
    ২৫। মাওলানা আবদুল্লাহ হক্বানী সাহেব। শায়খুল হাদীস, জামিয়া খাদীজাতুল কুবরা রাযি:, ইসলামাবাদ।
    ২৬। মাওলানা মাহমুদুল হাসান তাইয়েব সাহেব। মুফতী, মাদরাসা নুসরাতুল উলুম, গুজরানওয়ালা, পাঞ্জাব।
    ২৭। মাওলানা মুহাম্মাদ বশীর সিয়ালকোটি সাহেব। পরিচালক, মা’হাদুল লুগাতিল আরাবিয়া ও বায়তুল ইলম, ইসলামাবাদ।
    ২৮। মাওলানা ওহীদ কাসেমী সাহেব। জেনারেল সেক্রেটারি, আলমী মজলিসে খতমে নবুওয়াত এবং পরিচালক, মাদরাসা ফারুকিয়া, ইসলামাবাদ।
    ২৯। মাওলানা ড. শের আলী শাহ সাহেব। শায়খুল হাদীস, দারুল উলুম হক্বানিয়া, আকুড়া খটক, নওশেরা।
    ৩০। মাওলানা মুফতী মুখতারুদ্দীন সাহেব। কারবুগা শরীফ, খায়বার-পাখতুনখোয়া। খলীফায়ে মুজায শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মদ যাকারিয়া কান্ধলভী রহ. (অর্থাৎ তিনি শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. এর খলিফা, যাকে যাকারিয়া রহ. অন্যদের বাইয়াত ও ইসলাহ করার অনুমতি দিয়েছেন)
    ৩১। মাওলানা ফজল মুহাম্মাদ সাহেব। উস্তাযুল হাদীস, জামিয়া বানুরী টাউন, করাচী।
    ৩২। মাওলানা সাঈদুল্লাহ শাহ সাহেব। উস্তাযুল হাদীস।
    ৩৩। মাওলানা সুবহানুল্লাহ সাহেব। মুফতী, জামিয়া ইমদাদুল উলুম, সদর, পেশাওয়ার।
    ৩৪। মাওলানা মুহাম্মাদ কাসেম ইবনে মাওলানা মুহাম্মাদ আমীর। বিজলী ঘর, পেশাওয়ার।
    ৩৫। মুফতী গোলামুর রহমান সাহেব। প্রধান মুফতী, জামিয়া উসমানীয়া, সদর, পেশাওয়ার।
    ৩৬। মাওলানা মুফতী সাইয়েদ কমর সাহেব। দারুল ইফতা, দারুল উলুম সারহদ, পেশাওয়ার।
    ৩৭। মাওলানা মুহাম্মাদ আমীন উর্কযাই। শাহু ওয়াম, হানগু, খায়বার-পাখতুনখোয়া।
    ৩৮। মাওলানা শায়খুল হাদীস মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ সাহেব।
    ৩৯। মুফতী দ্বীন আজহার সাহেব।
    ৪০। মাওলানা মুফতী আবদুল হামীদ দ্বীনপুরী সাহেব।
    ৪১। মুফতী আবু বকর সাঈদুর রহমান সাহেব।
    ৪২। মুফতী মুহাম্মাদ শফীক আরিফ সাহেব।
    ৪৩। মুফতী ইনআমুল হক সাহেব।
    ৪৪। মুফতী আবদুল কাদের। জামিয়া বানুরী টাউন, করাচী।
    ৪৫। মাওলানা সাইয়েদ সুলাইমান বানুরী সাহেব। নায়েবে মুহতামিম, জামিয়া বানুরী টাউন, করাচী।
    ৪৬। মুফতী জামাল আহমাদ সাহেব। দারুল উলুম, ফয়সালাবাদ, পাঞ্জাব।
    ৪৭। মাওলানা মুহাম্মাদ যাহেদ সাহেব। জামিয়া ইমদাদিয়া, ফয়সালাবাদ।
    ৪৮। পীর সাইফুল্লাহ খালেদ সাহেব। পরিচালক, জামিয়াতুল মানযুরুল ইসলামিয়া, লাহোর।
    ৪৯। মাওলানা আযীযুর রহমান সাহেব। মুফতী, জামিয়াতুল মানযুরুল ইসলামিয়া, লাহোর।
    ৫০। মাওলানা আহমাদ আলী সাহেব। মাদরাসাতুল হাসানাইন, গ্রীন এরিয়া, ফয়সালাবাদ।
    ৫১। মুফতী মুহাম্মাদ ঈসা সাহেব। দারুল উলুম ইসলামিয়া, কামরান ব্লক, লাহোর।
    ৫২। মাওলানা রশীদ আহমাদ আলাবী সাহেব। পরিচালক, দারুল উলুম ইসলামিয়া।
    ৫৩। কাযী হামীদুল্লাহ সাহেব (এম এন এ)। মারকাযী জামে মসজিদ, শেরানওয়ালাবাগ, গুজরানওয়ালা।
    ৫৪। মাওলানা ফখরুদ্দীন সাহেব। জামিয়া আশরাফুল উলুম, গুজরানওয়ালা।
    ৫৫। মুফতী আব্দুদ দাইয়ান সাহেব। মুফতী, মারকাযী জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ।
    ৫৬। মুফতী মুহাম্মাদ ফারুক সাহেব। প্রধানী মুফতী, জামিয়া ফরিদিয়া, ইসলামাবাদ।
    ৫৭। মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল আযীয সাহেব। খতীব, মারকাযী জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ।
    ৫৮। মুফতী সাইফুদ্দীন সাহেব। জামিয়া মুহাম্মাদিয়া, ইসলামাবাদ।



    কোহাটের মুফতীগণের ফাতওয়া
    শরীয়তের দৃষ্টিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইকারী সৈনিক আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিদ্রোহী হিসেবে বিবেচিত হবে। তার মৃত্যু হারাম মৃত্যু হবে। তার হুকুম দস্যু ও ডাকাতদের অনুরূপ। দস্যু ও ডাকাতদের জানাযার নামাযের যে হুকুম, তারও একই হুকুম।”

    মুফতী নেযামুদ্দীন শামযাঈ শহীদ রহ. (-এর ফাতওয়া)
    যদি কোন সৈনিককে একজন মুসলিমকে হত্যা করা কিংবা ফাঁসি বা কোর্ট-মার্শালের[3] মধ্যে কোন একটি বিষয় বেছে নিতে হয়, তবে আল্লাহর আইন অনুযায়ী তার জন্য পরকালীন দৃষ্টিকোণ থেকে সহজ, সুবিধাজনক এবং বৈধ এটাই যে, সে নিজের জন্য কোর্ট-মার্শাল ও ফাঁসির কাষ্ঠের পথ গ্রহণ করবে।[4]

    দারুল উলুম আকুড়া খটকের সম্মানিত মুফতীগণের ফাতওয়া
    ফিকহের গ্রহণযোগ্য ও প্রসিদ্ধ কিতাব দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতারে আছে, অন্যায়ের পক্ষাবলম্বনকারীর জানাযার নামায পড়া যাবে না।”



    [1] ওয়ানা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি শহর। যেখানে পাকিস্তানের না-পাক আর্মি ২০০৪ সালে আমেরিকার চাপে তালেবানদের সহায়তাকারী এবং ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত পাকিস্তানের মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে পৃথিবীর ইতিহাসে নযীরবিহিন ভাবে সরকার ও আর্মি নিজ দেশের নাগরিকদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করে। এতে অসংখ্য মুজাহিদ ও বেসামরিক মুসলিম নিহত হন। দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই আফগানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ও না-পাক আর্মির বিপক্ষে উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া প্রকাশ পায়। কাবায়েলি মুজাহিদিন ও পাকিস্তানের মুজাহিদগণ এই ফাতাওয়ার উপর ভিত্তি করেই নিজেদের প্রতিরক্ষায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এর আগে তারা শুধু আফগান তালেবানদের সহায়তা ও তাদের আশ্রয় দেয়ার কাজ করতো। আমেরিকা ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। বিশেষত করাচী বন্দর ব্যবহার করে ন্যাটো আফগানে যে রসদ সরবরাহ করতো কাবায়েলি মুজাহিদিন সেই সাপ্লাই চেইনে আক্রমণ করে ন্যাটোর রসদ সরবরাহে অত্যন্ত কার্যকর বাঁধা সৃষ্টি বন্ধ করেছিল।
    [2] মূল উর্দু ফাতাওয়ার লিংক:
    https://archive.org/download/JihadInPakistan/Lal%20Masjid%20Fatwa%20on%20Waziristan%20Assault.p df


    [3] কোর্ট-মার্শাল হলো একটি সামরিক আদালত, যা সামরিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সেনা সদস্যদের বিচার করে। এটি সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে বা সামরিক পরিবেশে গঠন করা হয়
    [4] অর্থাৎ কোন সৈনিকের জন্য সাধারণ মুসলিম ও মুজাহিদদের হত্যার ব্যাপারে পাকিস্তান সরকার ও না-পাক আর্মির অন্যায় আদেশ মান্য করার অবকাশ নেই। যদিও এই আদেশ অমান্য করার কারণে কোর্ট মার্শাল ও ফাঁসির সম্মুখীন হতে হয়
    ব্যাপারে আরো জানতে দেখুন, https://fatwaa.org/ প্রকাশিত ৪৩৪ নং ফাতওয়া লিংক: তাগুত বাহিনীর যুদ্ধরত মুসলিম সৈন্যকে হত্যার বিধান




    *****
    اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
    اداره الحکمہ براۓ نشر و اشاعت
    القاعدہ برِّ صغیر

    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ

    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent











  • #2
    ওয়ানা পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি শহর। যেখানে পাকিস্তানের না-পাক আর্মি ২০০৪ সালে আমেরিকার চাপে তালেবানদের সহায়তাকারী এবং ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত পাকিস্তানের মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। পৃথিবীর ইতিহাসে নযীরবিহিন ভাবে সরকার ও আর্মি নিজ দেশের নাগরিকদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করে। এতে অসংখ্য মুজাহিদ ও বেসামরিক মুসলিম নিহত হন। দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই আফগানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সরকার ও না-পাক আর্মির বিপক্ষে উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত ফাতওয়া প্রকাশ পায়। কাবায়েলি মুজাহিদিন ও পাকিস্তানের মুজাহিদগণ এই ফাতাওয়ার উপর ভিত্তি করেই নিজেদের প্রতিরক্ষায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এর আগে তারা শুধু আফগান তালেবানদের সহায়তা ও তাদের আশ্রয় দেয়ার কাজ করতো। আমেরিকা ও ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। বিশেষত করাচী বন্দর ব্যবহার করে ন্যাটো আফগানে যে রসদ সরবরাহ করতো কাবায়েলি মুজাহিদিন সেই সাপ্লাই চেইনে আক্রমণ করে ন্যাটোর রসদ সরবরাহে অত্যন্ত কার্যকর বাঁধা সৃষ্টি বন্ধ করেছিল।
    এই বিষয়গুলো না জানার কারণে অনেক কল্যাণকামী ভাইও মুজাহিদদের উপর অন্যায় অভিযোগ করেন।
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ। অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। পাকিস্তানের জিহাদের ব্যাপারে কথা বলার জন্য এই একটি রিসালাই যথেষ্ট আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তা' লা মিডিয়ার ভাইদের কাজে আরও বারাকাহ দান করুন। ইস্তেকামাত এর সাথে আমাদের সকলকে শাহাদাত পর্যন্ত অটল থাকার তাওফিক দিন, আমিন!

      Comment

      Working...
      X