Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসুন! একটু চেষ্টা করে দেখি পারি কিনা?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসুন! একটু চেষ্টা করে দেখি পারি কিনা?



    আসুন! একটু চেষ্টা করে দেখি পারি কিনা?
    ১। মাদ্রাসা, মাসজিদে, স্কুল, কলেজে কিংবা কোন কাজে রাস্তায় বের হয়েছি। রাস্তার দুপাশে হরেক রকমের খাবারের দোকান। মন তাড়া করছে কিছু খাওয়ার জন্য। অথচ এই তো আমি সকালে নাস্তা করেছি। আবার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও আমার ঘরে আছে।
    হে ভাই তখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবারটি গ্রহণ করার আগে আমরা একটু ভাবতে পারি কি আমাদের সেসকল ভাই বোনদের কথা , যারা আজ কুফফাদের হামলায় আহারহীন জীবনযাপন করছেন?


    ২। আমার প্রয়োজন পরিমাণ জামা-কাপড় আছে। আমার এতটুকু অভাব নেই যে, বস্ত্রহীন অবস্থায় আমাকে রাস্তায় বের হতে হয়। কিন্ত এরপরও আমার মনের বাসনা আরেকটি সুন্দর জামা তৈরী করা। আমি মনকে খুশি করার জন্য হয়তো তাই করে চলেছি।

    কিন্ত হে ভাই! যখন আমাদের মন প্রয়োজনের অতিরিক্ত জামা চাচ্ছে, তখন কি আমরা স্মরণ করতে পারি আমাদের সেসকল মাজলুম ভাই-বোনদের কথা ,যারা আজ বস্ত্রহীনতাকেই বস্ত্ররুপে গ্রহণ করেছেন?


    ৩।বিকেলে কিংবা রাতে, হাটে কিংবা ঘাটে বন্ধু মহলের আবদার রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই আমরা খরচ করে চলেছি কত অর্থ। কিন্ত হে ভাই! এভাবে অর্থ উড়ানোর সময় কি আমাদের এখনো আছে?


    ৪। যখন উম্মাহর বীর সেনানীরা আল্লাহর দীনকে সমুন্নত করতে ঘর ছেড়ে অবস্থান করছেন ময়দানে। হে ভাই রবের নামে শপথ করে বলুন! তখন কি আমাদের জন্য আরামের বিছানায় রাত্রিযাপন করা রবের কাছে পছন্দনীয় হবে?

    ৫। যখন উম্মাহর একাংশের মা-বোনেরা আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করার জন্য নিজের স্বর্ণ-গহনা এমনকি কলিজার টুকরা সন্তানদেরকে পর্যন্ত কোরবান করে দিয়েছেন, তখন উম্মাহর আরেক অংশ কিভাবে তাদের মা-বোন, স্ত্রীদেরকে এখনো অলঙ্কারে সুসজ্জিত করে রাখে?

    হে ভাই! যদি আমরা ভেবে থাকি অনাহারে, অর্ধাহারে কষ্টে জিবিনযাপন করতে থাকা আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের কথা, যদি আমরা ভেবে থাকি আমাদের বস্ত্রহীন মুসলিম ভাই-বোনদের কথা, যদি আমরা মনে করে থাকি এখন আর সময় নেই বন্ধু মহলের মন জয়ের নেশায় অর্থ খরচের, এখন আর সমচীন নয় আরামের বিছানায় ঘুমানোর ও মা-বোন, স্ত্রীকে অলংকারে সুসজ্জিত করা; তাহলে আসুন! যখন আমাদের নফস আমাদেরকে তাড়া করে অতিরিক্ত খাবের পেছনে; তখন অতিরিক্ত খাবারটি গ্রহণ না করে সে অর্থটি হেসেব করে জমা করে রাখি আলাদাভাবে। যাতে করে আমাদের এ-অর্থে অন্তত কিছুটা হলেও মাজলুমানের ক্ষুধা মেটে।


    আসুন! যখন মন অতিরিক্ত জামার পেছনে আমাদেরকে ছুটতে বলে, তখন আমরা মনকে প্রবোধ দেই জান্নাতের রেশমি পোশাকের; আর টাকাটি হিসেব করে রেখে দেই আলাদাভাবে। যাতে এর দ্বারা উপকৃত হতে পারে আমাদের সেসকল মাজলুম ভাই-বোনেরা , যারা আজ বস্ত্রহীনতাকে বস্ত্ররুপে গ্রহণ করে নিয়েছেন



    প্রিয় ভাই যদি আমরা ভেবে থাকি আমাদের বীর মুজাহিদীন ভাইদের কথা, তাহলে আসুন! এখন আর অর্থ খরচ বন্ধুর মন জয়, আরামের বিছানা আর স্ত্রির অলঙ্কারের জন্য নয়! বরং, এখন এই অর্থগুলোই আমরা খরচ করি মুজাহিদীনদের অস্ত্র কিংবা কয়েকটি বুলেট কেনার জন্য।



    হে ভাই! আমরা কি চাইনা আমাদের অর্থে কেনা বুলেটগুলো আবু জেহেলদের বক্ষগুলো ছিদ্র করে রক্ত প্রবাহিত করুক? একটু আহারে আনন্দের হাসি ফুটুক নিষ্পাপ চাহনিগুলোতে? আর বস্ত্রহীনদের ভগ্ন হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কিছুটা হলেও স্থীর থাকুক?

    তাহলে ভাই আর দেরী কেন? আসুন না! একটু চেষ্টা করে দেখি পারি কিনা?
    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 09-17-2018, 03:35 PM.

  • #2
    আখি, আপনাকে ধন্যবাদ। আখি, মানুষকে দূর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই মানুষ বারবার মনের ভাষণার দিকে ছুটে যায়। আল্লাহ আমাদে ছবর করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment


    • #3
      কথাগুলি যেনো আমাকেই বলা হচ্ছে।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        barakallah

        Comment


        • #5
          ইনশাআল্লাহ

          Comment


          • #6
            আখি, আপনাকে ধন্যবাদ।

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহু খাইরান
              আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক ভাবে আমল করার তাউফিক দান করুন , আমিন ৷

              Comment


              • #8
                May Allah open our hearts .... amin.

                Comment


                • #9
                  আর আল্লাহ সুবহানাহু অতা'আলা পবিত্র কোর'আনে এরশাদ করেন-
                  [ তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করতে পারবেনা! যদি না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু হতে খরচ করো]
                  হে ভাই! যখন এভাবে কিছু কিছু কোরবানী করতে থাকবো, নিঃসন্দেহে তা হবে নিজের প্রিয় বস্তু হতে খরচ করা। আর এব্যয় করাটা হবে আমাদের জন্য কল্যানের কারণ। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সকলের তাওফিক বাড়িয়ে দিন। আমীন ইয়া রাব্বাত তাওফিক।

                  Comment


                  • #10
                    আসুন! জিহাদ বিল মালে উৎসাহিত হই!!

                    মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ সংক্রান্ত আলোচনার এক পর্যায়ে এসে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মাফিক মাল খরচ করাও বান্দাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেছেন-

                    وَ اَنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ اِلَی التَّهۡلُکَۃِ ۚۖۛ وَ اَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

                    অর্থঃ (আর তোমরা জানের সাথে) মালও ব্যয় করো আল্লাহর পথে। এবং ( এউভয় কাজ ত্যাগ করে) নিজেদেরকে নিজেরা ধ্বংসের পথে নিক্ষেপ করোনা। আর কাজ সম্পন্ন করো ইহসানের সাথে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ভালোবাসেন ইহসানের সাথে কার্যসম্পাদনকারীদের।(সূরা বাক্বারাঃ ১৯৫)

                    এআয়াত অবতীর্ণের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা - স্বীয় অর্থ সম্পদ থেকে জিহাদের জন্য প্রয়োজন মত খরচ করা মুসলমানদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। এই আয়াত থেকে ফিকাহ শাস্ত্রের মুজতাহিদ আলেমগণ এ-সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, মুসলমানদের উপর ফরয যাকাত ব্যতিত আরো এমন কিছু দায়-দায়িত্ব ও ব্যয়খাত রয়েছে, যেগুলো ফরয। এগুলোর মধ্যে যখন যে পরিমাণ প্রয়োজন, তখন সে পরিমাণ খরচ করা ফরয। আর জিহাদে অর্থ ব্যয় করা এরই পর্যায়ভুক্ত।
                    আর উক্ত আয়াতের মাধ্যমে মহান রব্বুল আলামিন জিহাদ পরিত্যাগ করাকে মুসলমানদের ধ্বংসের কারণ বলেও সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন। ( তাফসিরে আনওয়ারুল কোরআন-১/২৭৮)

                    এছাড়াও মহান রব্বুল আলামিন আরো বহু আয়াতে জিহাদে অর্থদানের ব্যপারে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন-


                    مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ

                    অর্থঃ যারা আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাঁদের ব্যয়কৃত সম্পদের দৃষ্টান্ত তো এরুপ, যেমন-একটি শস্যবীজ, যা থেকে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়। প্রতিটি শীষের মধ্যে শত শস্য হয়। আর আল্লাহ তা'আলা যাকে চান তাকে এভাবেই বাড়িয়ে দেন। এবং আল্লাহ প্রশস্তময় মহাজ্ঞানী। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬১)

                    এরপরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন-

                    اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَهُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ اَنۡفَقُوۡا مَنًّا وَّ لَاۤ اَذًی ۙ لَّهُمۡ اَجۡرُهُمۡ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ

                    অর্থঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় সম্পদ ব্যয় করে এবং ব্যয় করার পর খোটা দেয়না ও কষ্ট প্রকাশ করেনা, তাঁরা তাঁদের বিনিময় পাবে স্বীয় রবের নিকট। আর তাঁদের নেই কোন ভয় এবং তাঁদের নেই কোন চিন্তা। (সূরা বাক্বারাঃ ২৬২)

                    অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা বলেন-

                    وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَ نَفَقَۃً صَغِیۡرَۃً وَّ لَا کَبِیۡرَۃً وَّ لَا یَقۡطَعُوۡنَ وَادِیًا اِلَّا کُتِبَ لَهُمۡ لِیَجۡزِیَهُمُ اللّٰهُ اَحۡسَنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ

                    অর্থঃ আর তাঁরা অল্প-বিস্তর যা কিছুই জিহাদের জন্য ব্যয় করে এবং জিহাদের জন্য যতপ্রান্তর অতিক্রম করে, এর সবকিছুই তাঁদের নামে লিখে রাখা হয়, যাতে আল্লাহ তা'আলা তাঁদেরকে উত্তম বিনিময় দিতে পারেন। (সূরা তাওবাঃ ১২১)


                    আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন-

                    لَنۡ تَنَالُوا الۡبِرَّ حَتّٰی تُنۡفِقُوۡا مِمَّا تُحِبُّوۡنَ ۬ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیۡمٌ
                    অর্থঃ কখনোই তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারবেনা! যদি তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু হতে দান না করো। আর তোমরা যা ব্যয় করো, আল্লাহ তা'আলা সেসব জানেন। (সূরা আল-ইমরানঃ ৯২)

                    প্রিয় ভাই! এমন আরো অনেক আয়াত রয়েছে, যা মহান রব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের জন্য নাজিল করেছেন। যাতে করে বান্দা স্বীয় মাল ও জান জিহাদের জন্য ব্যয় করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে। এবং কাল কেয়ামতের ময়দানে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে ও জান্নাত লাভ করতে পারে।

                    Comment


                    • #11
                      মুহতারাম অশ্বারোহী ভাই- হরকতবিহীন কুরআনের আয়াত লেখা ঠিক না। উচিতও না।
                      তাই সবগুলো আয়াতে হরকত যুক্ত করে দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। শুকরান
                      নোট: কোন কারণে আপনার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব না হলে তাও জানাতে পারেন।
                      “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                      Comment


                      • #12
                        শুকরান ওয়া জাযাকাল্লাহ ভাই! আমি আমার ভুল সংশোধন করে নিয়েছি।।

                        Comment

                        Working...
                        X