ইন্নাল হামদালিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রসুলিল্লাহ
সেদিন কোথাও যাওয়ার জন্য রাস্তায় পাবলিক বাস এর জন্য অপেক্ষা করছি । সময়টা ছিল এমন যখন বাসে যাত্রীদের খুব প্রেসার থাকে । দাড়িয়ে আছি কিন্তু নির্দিষ্ট বাসের দেখা নেই । ওহ ! এখন দেখা পেলাম একটি বাসের কিন্তু আরে ! তা তো স্টপিজ করছেনা , কারন বাসের ভিতরে যাত্রী বসে দাড়িয়ে কোণঠাসা অবস্থা । তবুও আমি রাস্তার মাঝে গিয়ে চলন্ত বাসে একপ্রকার লাফিয়েই উঠলাম কিন্তু দাঁড়াবার যায়গা কোথায় ! নেই , একদমই নেই । কোন রকমে পায়ের পাতা রাখার যায়গা পেলাম বাসের দরজার নিকট যেখানে বাসের কন্ট্রাক্টর ঝুলে থাকে । এবং সেখানে আমি একা নই , আমার সাথে আরও ২ জন এবং কনট্রাক্টর সহ ৩ জন । অর্থাৎ দরজার সামনে সিঁড়ির নিচে একজনের যায়গায় দাড়িয়ে আছি ৪ জন ।
বাস চলছে... কিছুদূর গিয়ে বাস থেমেছে তার কোম্পানির লোক দেখানো কৃত্তিম নিয়ম চেকিং এর জন্য । এমন সময় একজন যুবতী নারী ও একজন স্বল্প বয়স্ক কলেজ ছাত্রী দূর থেকে দৌড়ে এসেছে বাসে উঠার জন্য । দরজার নিকটে আমাদের এমন কোণঠাসা অবস্থা দেখেও তারা উভয়ে বাসে উঠার জন্য পিড়াপিড়ি করছে । যেখানে আরেকজন পুরুষ মানুষ দাড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ সেখানে ২ জন মেয়ে ! ভাবা যায় !
আমি মুখ খুললাম - বললাম - একদম দাঁড়ানোর যায়গা নেই , আপনি তা দেখছেন । কিভাবে কোথায় দাঁড়াবেন ? এভাবে আপনারা মোটেও যেতে পারবেন না । এভাবে যাওয়া আপনাদের জন্য রিস্কি । প্রতি উত্তরে বোন বলল - " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " জাস্ট এতোটুকু বলেই দরজার নিকট আমাদের মানব প্রাচীর ভেদ করে তারা বাসে উঠতে চেষ্টা চালাচ্ছে । আর বাস তখন ছেড়ে দিয়েছে । তারাও উঠছে এমন একটি অবস্থা । একটু ভাবুন - মেয়ে মানুষ ! এমন অবস্থায় তাদের বাস থেকে ছিটকে পরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না । আর যদি সেতাই হতো তাহলে তাদের অবস্থাটা কেমন হতো !
আসুন একটু চিন্তা করি - আচ্ছা যদি ওনারা এই বাসে না উঠতো তাহলে তাদের কি এমন বিশাল ক্ষতি হতো ! হয়তো যেখানে যাচ্ছে অফিস বা কলেজ সেখানে যেতে একটু দেরী হতো । যদি এমন হয় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বা চাকরির সাক্ষাৎকার ছিল তাহলে হয়তো তাতে ইনটাইম প্রেসেন্ত মিস হতো । এটাই সর্বচ্চো সম্ভাব্য ক্ষতি , এর বেশী কিছু নয় হয়তো আল্লাহু আলাম । আবার এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল যে - এসবের কিছুই হয়তো হতো না , কারণ তিনি এই বাসে না উঠে আরেকটু অপেক্ষা করলেই অন্য বাস পেয়ে যেতেন । তাই নয় কি ? তাহলে সম্ভাব্য ক্ষতির তুলনায় ঝুঁকি গ্রহণ টা খুব বেশী হয়ে গেলো না ! বরং এটা বললেও তো হয়তো অতিরঞ্জন কিছু হবেনা - এই বোন যেমন রিস্ক নিয়ে বাসে উঠেছে তাতে বাস থেকে ছিটকে পড়ে তার কোন অঙ্গহানি হতে পারতো , এমনকি মৃত্যুও হতে পারতো । আল্লাহু আলাম ।
হৃদয়ের ব্যথা - ১
আমরা আসলে এমনই করি - খুব ছোট ছোট পার্থিব কিছু বিষয়ের জন্য আমরা অনেক সময়ই বড় বড় ঝুঁকি গ্রহণ করি কিন্তু আহ ! যদি তার কিছুও স্বীয় দ্বীন বা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর জন্য নিতাম বা করতাম তাহলে কামিয়াব হয়ে যেতাম ।
হৃদয়ের ব্যথা - ২
উপরিউল্লেখিত ছোট বাক্যটি - " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " । এটি যদিও একটি কমন সেন্টেনস , যা আমরা ইহকালিন এই জীবনে বা যেকোনো কাজে অহরহ ব্যাবহার করে থাকি বা শুনে থাকি । কিন্তু উল্লেখিত ঘটনার বোনের কথার সাথে মুখের এক্সপ্রেশন এমন ছিল , যা অদম্য এক মানসিকতা এবং কর্ম সম্পন্ন করার তরে নাছোড়বান্দা স্বভাব কে স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলেছে । যা যেকোনো ঝুঁকি , বাঁধা-বিপত্তি কিংবা প্রতিবন্ধকতাকে পিছু ঠেলে সম্মুখে অগ্রসর হতে অসীম সাহস যোগায় ।
ইস ! যদি দ্বীন কায়েমের তরে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর কাজে আমাদের প্রত্যেক ভাইদের এমনই এক অদম্য মানসিকতা বা সংগঠনে নিজ অধিনস্ত ভাইদের থেকে কাজ আদায়ের ব্যাপারে আমরা হতাশ না হয়ে বরং বিনয়ের সাথে নাছোড়বান্দা স্বভাবের হতে পারতাম তাহলে কতোই না উত্তম হতো ! এবং দ্বীন কায়েমের পথ কতোই না সুগম হতো !
আসলে পার্থিব কিংবা ইহকালিন যেকোনো কাজেই সাফল্লের সর্বপ্রথম বা সর্বপ্রধান উপাদান বা সোপান হল অদম্য কিংবা নাছোড়বান্দা স্বভাবের মেহনত । ইহকালিন কাজ বা চেষ্টার বদৌলতে আল্লাহ্* তার ফল দিয়ে থাকেন । ঠিক এ কারনেই আমরা দেখি , যে যেই বিষয়ে দীর্ঘসময় লেগে থেকে খুব হার্ডওয়ার্ক করে , সে সেটাতে একসময় খুব এক্সপার্ট হয়ে উঠে এবং তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করে । এই হল ইহকালিন কাজের ফিতরাত বা ফল । আর দ্বীনী কাজে হার্ডওয়ার্ক এর সাথে আমাদের অতি কাঙ্ক্ষিত এবং পছন্দনীয় আরেকটি বিশেষ উপাদান যুক্ত হয় । তাহলো আল্লাহর ওয়াদাকৃত নুসরাহ । যা তখনই আসে বা আসবে যখন আমরা অকৃতিম ও অদম্য মানসিকতাসম্পন্ন হার্ডওয়ার্ক এর শেষ প্রান্তে উপনীত হবো । মানুষ ইহকালিন কাজে মৌলিক উপাদান শুধুমাত্র হার্ডওয়ার্ক এর বদৌলতেই এতো বড় বড় ফল লাভ বা সাফল্য পেয়ে থাকে । তাহলে দ্বীনী বা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ তে যখন মৌলিক ২ টা উপাদান [ একনিষ্ঠ হার্ডওয়ার্ক ও আল্লাহ্* প্রদত্ত নুসরাহ ] মিশ্রিত হবে তখন সেই কাজে আমাদের কতো তড়িৎ বিশাল সাফল্য আসার কথা ! কিন্তু আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো তার সাক্ষাত মিলে না । কারণ আল্লাহ্*র নুসরাহ পাবার প্রথম শর্ত হল একনিষ্ঠ ইখলাস সম্পন্ন মজবুত ও অদম্য হার্ডওয়ার্ক । কিন্তু আমরা তেমন একনিষ্ঠ দিঢ় ও অবিচল হার্ডওয়ার্কও করিনা , আর তাই আল্লাহ্* প্রদত্ত নুসরাহ অবলোকনের সৌভাগ্যও আমাদের কপালে জোটে না । আসলে এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের সবারই খুব ভালো জানা কিন্তু আমাদের কাজ দেখে মনে হয় যেন তা আমাদের একদমই অজানা । আল্লাহ্* আমাদের উপর দয়া ও রহম করুন ।
হৃদয়ের ব্যথা - ৩
ইস ! যদি আমাদের সাধারণ মুসলিম বা দ্বীনদার কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া তরুণ-তরুণী , যুবক-যুবতী , আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কিংবা গোটা উম্মাহ চিরস্থায়ী ভোগ বিলাস আনন্দ ফুর্তির জান্নাতে যাওয়ার ব্যাপারে উপরিউল্লেখিত ছোট বাক্যটি [ " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " ] ব্যাবহার করতো এবং তদ্রূপ নাছোড়বান্দা স্বভাবের ন্যায় কর্ম নামক রূপক বাসে উঠে পরতো , তাতে যতো বড় থেকে বড় কিংবা বিশাল ঝুঁকি বা প্রতিবন্ধকতাই থাক না কেন !
আল্লাহ্* এমনই করে দিন আমাদের মুসলিম সমাজ টাকে । সর্বোপরি আপন হৃদয়ের ব্যথার উপর আগে আমাকেই আমল করার তাওফিক দান করুন । আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন ।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ...
সেদিন কোথাও যাওয়ার জন্য রাস্তায় পাবলিক বাস এর জন্য অপেক্ষা করছি । সময়টা ছিল এমন যখন বাসে যাত্রীদের খুব প্রেসার থাকে । দাড়িয়ে আছি কিন্তু নির্দিষ্ট বাসের দেখা নেই । ওহ ! এখন দেখা পেলাম একটি বাসের কিন্তু আরে ! তা তো স্টপিজ করছেনা , কারন বাসের ভিতরে যাত্রী বসে দাড়িয়ে কোণঠাসা অবস্থা । তবুও আমি রাস্তার মাঝে গিয়ে চলন্ত বাসে একপ্রকার লাফিয়েই উঠলাম কিন্তু দাঁড়াবার যায়গা কোথায় ! নেই , একদমই নেই । কোন রকমে পায়ের পাতা রাখার যায়গা পেলাম বাসের দরজার নিকট যেখানে বাসের কন্ট্রাক্টর ঝুলে থাকে । এবং সেখানে আমি একা নই , আমার সাথে আরও ২ জন এবং কনট্রাক্টর সহ ৩ জন । অর্থাৎ দরজার সামনে সিঁড়ির নিচে একজনের যায়গায় দাড়িয়ে আছি ৪ জন ।
বাস চলছে... কিছুদূর গিয়ে বাস থেমেছে তার কোম্পানির লোক দেখানো কৃত্তিম নিয়ম চেকিং এর জন্য । এমন সময় একজন যুবতী নারী ও একজন স্বল্প বয়স্ক কলেজ ছাত্রী দূর থেকে দৌড়ে এসেছে বাসে উঠার জন্য । দরজার নিকটে আমাদের এমন কোণঠাসা অবস্থা দেখেও তারা উভয়ে বাসে উঠার জন্য পিড়াপিড়ি করছে । যেখানে আরেকজন পুরুষ মানুষ দাড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ সেখানে ২ জন মেয়ে ! ভাবা যায় !
আমি মুখ খুললাম - বললাম - একদম দাঁড়ানোর যায়গা নেই , আপনি তা দেখছেন । কিভাবে কোথায় দাঁড়াবেন ? এভাবে আপনারা মোটেও যেতে পারবেন না । এভাবে যাওয়া আপনাদের জন্য রিস্কি । প্রতি উত্তরে বোন বলল - " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " জাস্ট এতোটুকু বলেই দরজার নিকট আমাদের মানব প্রাচীর ভেদ করে তারা বাসে উঠতে চেষ্টা চালাচ্ছে । আর বাস তখন ছেড়ে দিয়েছে । তারাও উঠছে এমন একটি অবস্থা । একটু ভাবুন - মেয়ে মানুষ ! এমন অবস্থায় তাদের বাস থেকে ছিটকে পরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না । আর যদি সেতাই হতো তাহলে তাদের অবস্থাটা কেমন হতো !
আসুন একটু চিন্তা করি - আচ্ছা যদি ওনারা এই বাসে না উঠতো তাহলে তাদের কি এমন বিশাল ক্ষতি হতো ! হয়তো যেখানে যাচ্ছে অফিস বা কলেজ সেখানে যেতে একটু দেরী হতো । যদি এমন হয় যে কোন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বা চাকরির সাক্ষাৎকার ছিল তাহলে হয়তো তাতে ইনটাইম প্রেসেন্ত মিস হতো । এটাই সর্বচ্চো সম্ভাব্য ক্ষতি , এর বেশী কিছু নয় হয়তো আল্লাহু আলাম । আবার এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল যে - এসবের কিছুই হয়তো হতো না , কারণ তিনি এই বাসে না উঠে আরেকটু অপেক্ষা করলেই অন্য বাস পেয়ে যেতেন । তাই নয় কি ? তাহলে সম্ভাব্য ক্ষতির তুলনায় ঝুঁকি গ্রহণ টা খুব বেশী হয়ে গেলো না ! বরং এটা বললেও তো হয়তো অতিরঞ্জন কিছু হবেনা - এই বোন যেমন রিস্ক নিয়ে বাসে উঠেছে তাতে বাস থেকে ছিটকে পড়ে তার কোন অঙ্গহানি হতে পারতো , এমনকি মৃত্যুও হতে পারতো । আল্লাহু আলাম ।
হৃদয়ের ব্যথা - ১
আমরা আসলে এমনই করি - খুব ছোট ছোট পার্থিব কিছু বিষয়ের জন্য আমরা অনেক সময়ই বড় বড় ঝুঁকি গ্রহণ করি কিন্তু আহ ! যদি তার কিছুও স্বীয় দ্বীন বা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর জন্য নিতাম বা করতাম তাহলে কামিয়াব হয়ে যেতাম ।
হৃদয়ের ব্যথা - ২
উপরিউল্লেখিত ছোট বাক্যটি - " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " । এটি যদিও একটি কমন সেন্টেনস , যা আমরা ইহকালিন এই জীবনে বা যেকোনো কাজে অহরহ ব্যাবহার করে থাকি বা শুনে থাকি । কিন্তু উল্লেখিত ঘটনার বোনের কথার সাথে মুখের এক্সপ্রেশন এমন ছিল , যা অদম্য এক মানসিকতা এবং কর্ম সম্পন্ন করার তরে নাছোড়বান্দা স্বভাব কে স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলেছে । যা যেকোনো ঝুঁকি , বাঁধা-বিপত্তি কিংবা প্রতিবন্ধকতাকে পিছু ঠেলে সম্মুখে অগ্রসর হতে অসীম সাহস যোগায় ।
ইস ! যদি দ্বীন কায়েমের তরে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর কাজে আমাদের প্রত্যেক ভাইদের এমনই এক অদম্য মানসিকতা বা সংগঠনে নিজ অধিনস্ত ভাইদের থেকে কাজ আদায়ের ব্যাপারে আমরা হতাশ না হয়ে বরং বিনয়ের সাথে নাছোড়বান্দা স্বভাবের হতে পারতাম তাহলে কতোই না উত্তম হতো ! এবং দ্বীন কায়েমের পথ কতোই না সুগম হতো !
আসলে পার্থিব কিংবা ইহকালিন যেকোনো কাজেই সাফল্লের সর্বপ্রথম বা সর্বপ্রধান উপাদান বা সোপান হল অদম্য কিংবা নাছোড়বান্দা স্বভাবের মেহনত । ইহকালিন কাজ বা চেষ্টার বদৌলতে আল্লাহ্* তার ফল দিয়ে থাকেন । ঠিক এ কারনেই আমরা দেখি , যে যেই বিষয়ে দীর্ঘসময় লেগে থেকে খুব হার্ডওয়ার্ক করে , সে সেটাতে একসময় খুব এক্সপার্ট হয়ে উঠে এবং তার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করে । এই হল ইহকালিন কাজের ফিতরাত বা ফল । আর দ্বীনী কাজে হার্ডওয়ার্ক এর সাথে আমাদের অতি কাঙ্ক্ষিত এবং পছন্দনীয় আরেকটি বিশেষ উপাদান যুক্ত হয় । তাহলো আল্লাহর ওয়াদাকৃত নুসরাহ । যা তখনই আসে বা আসবে যখন আমরা অকৃতিম ও অদম্য মানসিকতাসম্পন্ন হার্ডওয়ার্ক এর শেষ প্রান্তে উপনীত হবো । মানুষ ইহকালিন কাজে মৌলিক উপাদান শুধুমাত্র হার্ডওয়ার্ক এর বদৌলতেই এতো বড় বড় ফল লাভ বা সাফল্য পেয়ে থাকে । তাহলে দ্বীনী বা কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ তে যখন মৌলিক ২ টা উপাদান [ একনিষ্ঠ হার্ডওয়ার্ক ও আল্লাহ্* প্রদত্ত নুসরাহ ] মিশ্রিত হবে তখন সেই কাজে আমাদের কতো তড়িৎ বিশাল সাফল্য আসার কথা ! কিন্তু আমাদের অনেকের মধ্যেই হয়তো তার সাক্ষাত মিলে না । কারণ আল্লাহ্*র নুসরাহ পাবার প্রথম শর্ত হল একনিষ্ঠ ইখলাস সম্পন্ন মজবুত ও অদম্য হার্ডওয়ার্ক । কিন্তু আমরা তেমন একনিষ্ঠ দিঢ় ও অবিচল হার্ডওয়ার্কও করিনা , আর তাই আল্লাহ্* প্রদত্ত নুসরাহ অবলোকনের সৌভাগ্যও আমাদের কপালে জোটে না । আসলে এই বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের সবারই খুব ভালো জানা কিন্তু আমাদের কাজ দেখে মনে হয় যেন তা আমাদের একদমই অজানা । আল্লাহ্* আমাদের উপর দয়া ও রহম করুন ।
হৃদয়ের ব্যথা - ৩
ইস ! যদি আমাদের সাধারণ মুসলিম বা দ্বীনদার কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া তরুণ-তরুণী , যুবক-যুবতী , আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কিংবা গোটা উম্মাহ চিরস্থায়ী ভোগ বিলাস আনন্দ ফুর্তির জান্নাতে যাওয়ার ব্যাপারে উপরিউল্লেখিত ছোট বাক্যটি [ " যেতেই হবে যেভাবেই হোক " ] ব্যাবহার করতো এবং তদ্রূপ নাছোড়বান্দা স্বভাবের ন্যায় কর্ম নামক রূপক বাসে উঠে পরতো , তাতে যতো বড় থেকে বড় কিংবা বিশাল ঝুঁকি বা প্রতিবন্ধকতাই থাক না কেন !
আল্লাহ্* এমনই করে দিন আমাদের মুসলিম সমাজ টাকে । সর্বোপরি আপন হৃদয়ের ব্যথার উপর আগে আমাকেই আমল করার তাওফিক দান করুন । আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন ।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ...
Comment