প্রশ্ন
জিহাদীরা গুপ্ত ও নিষিদ্ধ আন্দোলন করে কোথায় সাফল্য এনেছে ? ইসলামী আন্দোলনগুলো দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে পারেনি, কিন্তু সরকারের ইসলাম-বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমে তারা সাধ্যানুযায়ী প্রতিবাদ করেছে। সংস্কার এনেছে। এর বিপরীতে জিহাদীরা কয়েকজন নাস্তিককে দুনিয়া থেকে সরানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেনি। কারণ সাধারণ মানুষ দূরে থাক, আলেমদের সঙ্গেও এরা দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছে। এভাবে কোনো আন্দোলন সফল হয়?//
উত্তর
পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানেই বাতিল প্রবল ও প্রতাপশালী ছিল, সেখানেই হক্ব দূর্বল এবং গোপন অবস্থায় কিংবা নিষিদ্ধ থেকেছে। ইসলামের ইতিহাসে এর অগণিত সংখ্যক দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনকি কুরআনেও গুপ্ত থেকে দ্বীনের উপর টিকে থাকার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। আসহাবে কাহাফ, আসহাবে উখদুদ, ফির’আউনের বংশের ঈমান গোপন করা ব্যক্তি, বনী ইসরাঈলকে নিয়ে মূসা আঃ এর গোপনে পলায়নসহ আরো বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে স্বয়ং আল-কুরআনে। পুরো ইসলামের ইতিহাসে এমন একটি দৃষ্টান্ত থাকলে দেখাক, যখন ক্ষমতাশালী বাতিল দূর্বল হক্বকে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ দিয়েছে কিংবা নিষিদ্ধ করেনি !
আর জিহাদীরা কী করেছে কিংবা আন্দোলনের সফলতার কথা যদি বলা হয়, তার উত্তরে বলবো, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের প্রায় ৭০% এলাকা তালিবান জিহাদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। আল-কায়েদার সোমালিয়ান শাখা আল-শাবাব সোমালিয়ার বর্তমান মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮০% (যার আয়তন প্রায় আড়াই লক্ষ বর্গকিলোমিটার) এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বছরের পর বছর ধরে আল্লাহর শরী’আহ দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়া মালি, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ আরো বিভিন্ন দেশে আল-কায়েদা মুজাহিদদের শক্তিশালী অবস্থান এবং ভূমি নিয়ন্ত্রণ আজ প্রকাশ্য বিষয়, এটি নিশ্চয়ই কোনো গুপ্ত বিষয় নয়।
এটি শুধুমাত্র জিহাদী মিডিয়ার কোনো বক্তব্য নয় বরং দুনিয়াব্যাপী মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ক্রুসেডার ব্রিটেনের মিডিয়া ‘বিবিসি’ তে প্রকাশিত নিউজ ও ম্যাপের বক্তব্য। (প্রমাণ লাগলে শুধু জানালেই চলবে। ইনশাআল্লাহ এটিসহ পোস্টে উল্লিখিত প্রমাণগুলো রেডি আছে।)
আর জিহাদের বিরুদ্ধে ত্বগুত সরকারের আয়োজনে ১ লক্ষ আলিমের ফাতাওয়ার বাংলাদেশে আল-কায়েদা শুধুমাত্র শাতিম এবং ইসলামের শি’আর ধ্বংসকারীদের মধ্যে কতিপয়কে টার্গেট করে সফল ও হৃদয় প্রশান্তকারী অভিযান পরিচালনা করেছে।
রাসূল সাঃ কে অসম্মানকারী এতোগুলো শাতিমকে হত্যা করা যাদের হৃদয় প্রশান্ত করে না বরং প্রশ্নবিদ্ধ করে ,তাদের দৃষ্টিতে ভালো-মন্দ আর ইসলামী শরীয়ত সর্বদাই ভিন্ন হতে বাধ্য।
আগেই বলেছি, আল-কায়েদা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডে শরী’আহ কায়েম এবং আমেরিকা ও দুনিয়ার কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে আছে, আলহামদুলিল্লাহ্*। এটি সফলতা মনে হয় না, অথচ যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করেও গণতান্ত্রিক পন্থায় চেষ্টা চালিয়ে একদিনের জন্য একটি গ্রামেও আল্লাহর শরী’আহ বাস্তবায়ন করতে না পারাই বুঝি সফলতা !!! এই সফলতা মানদণ্ড কী তা জানতে পারলে চিন্তা করতে সুবিধা হত।
আর আল-কায়েদা এই ভূখণ্ডে এসেছেই আলিমদের হাত ধরে এবং এর নেতৃত্বেও রয়েছেন বিদগ্ধ আলিমগণ। সুতরাং আলিমদের সাথে বিরোধের প্রশ্নই আসে না। বরং জিহাদের বিরুদ্ধে একলক্ষ আলিমের ফাতাওয়া (!) এবং প্রতিনিয়ত জিহাদকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দিয়ে নিজেদের জান বাঁচানোর কসরতে লিপ্ত ব্যক্তিরা নিজেরাই জিহাদের বিরুদ্ধে লেগেছে।
#কালেক্টেড৷
জিহাদীরা গুপ্ত ও নিষিদ্ধ আন্দোলন করে কোথায় সাফল্য এনেছে ? ইসলামী আন্দোলনগুলো দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে পারেনি, কিন্তু সরকারের ইসলাম-বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমে তারা সাধ্যানুযায়ী প্রতিবাদ করেছে। সংস্কার এনেছে। এর বিপরীতে জিহাদীরা কয়েকজন নাস্তিককে দুনিয়া থেকে সরানো ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছুই করতে পারেনি। কারণ সাধারণ মানুষ দূরে থাক, আলেমদের সঙ্গেও এরা দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছে। এভাবে কোনো আন্দোলন সফল হয়?//
উত্তর
পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানেই বাতিল প্রবল ও প্রতাপশালী ছিল, সেখানেই হক্ব দূর্বল এবং গোপন অবস্থায় কিংবা নিষিদ্ধ থেকেছে। ইসলামের ইতিহাসে এর অগণিত সংখ্যক দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনকি কুরআনেও গুপ্ত থেকে দ্বীনের উপর টিকে থাকার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। আসহাবে কাহাফ, আসহাবে উখদুদ, ফির’আউনের বংশের ঈমান গোপন করা ব্যক্তি, বনী ইসরাঈলকে নিয়ে মূসা আঃ এর গোপনে পলায়নসহ আরো বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে স্বয়ং আল-কুরআনে। পুরো ইসলামের ইতিহাসে এমন একটি দৃষ্টান্ত থাকলে দেখাক, যখন ক্ষমতাশালী বাতিল দূর্বল হক্বকে প্রকাশ্যে আসার সুযোগ দিয়েছে কিংবা নিষিদ্ধ করেনি !
আর জিহাদীরা কী করেছে কিংবা আন্দোলনের সফলতার কথা যদি বলা হয়, তার উত্তরে বলবো, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের প্রায় ৭০% এলাকা তালিবান জিহাদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। আল-কায়েদার সোমালিয়ান শাখা আল-শাবাব সোমালিয়ার বর্তমান মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮০% (যার আয়তন প্রায় আড়াই লক্ষ বর্গকিলোমিটার) এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বছরের পর বছর ধরে আল্লাহর শরী’আহ দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এছাড়া মালি, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ আরো বিভিন্ন দেশে আল-কায়েদা মুজাহিদদের শক্তিশালী অবস্থান এবং ভূমি নিয়ন্ত্রণ আজ প্রকাশ্য বিষয়, এটি নিশ্চয়ই কোনো গুপ্ত বিষয় নয়।
এটি শুধুমাত্র জিহাদী মিডিয়ার কোনো বক্তব্য নয় বরং দুনিয়াব্যাপী মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ক্রুসেডার ব্রিটেনের মিডিয়া ‘বিবিসি’ তে প্রকাশিত নিউজ ও ম্যাপের বক্তব্য। (প্রমাণ লাগলে শুধু জানালেই চলবে। ইনশাআল্লাহ এটিসহ পোস্টে উল্লিখিত প্রমাণগুলো রেডি আছে।)
আর জিহাদের বিরুদ্ধে ত্বগুত সরকারের আয়োজনে ১ লক্ষ আলিমের ফাতাওয়ার বাংলাদেশে আল-কায়েদা শুধুমাত্র শাতিম এবং ইসলামের শি’আর ধ্বংসকারীদের মধ্যে কতিপয়কে টার্গেট করে সফল ও হৃদয় প্রশান্তকারী অভিযান পরিচালনা করেছে।
রাসূল সাঃ কে অসম্মানকারী এতোগুলো শাতিমকে হত্যা করা যাদের হৃদয় প্রশান্ত করে না বরং প্রশ্নবিদ্ধ করে ,তাদের দৃষ্টিতে ভালো-মন্দ আর ইসলামী শরীয়ত সর্বদাই ভিন্ন হতে বাধ্য।
আগেই বলেছি, আল-কায়েদা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ডে শরী’আহ কায়েম এবং আমেরিকা ও দুনিয়ার কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে আছে, আলহামদুলিল্লাহ্*। এটি সফলতা মনে হয় না, অথচ যুগ যুগ ধরে আন্দোলন করেও গণতান্ত্রিক পন্থায় চেষ্টা চালিয়ে একদিনের জন্য একটি গ্রামেও আল্লাহর শরী’আহ বাস্তবায়ন করতে না পারাই বুঝি সফলতা !!! এই সফলতা মানদণ্ড কী তা জানতে পারলে চিন্তা করতে সুবিধা হত।
আর আল-কায়েদা এই ভূখণ্ডে এসেছেই আলিমদের হাত ধরে এবং এর নেতৃত্বেও রয়েছেন বিদগ্ধ আলিমগণ। সুতরাং আলিমদের সাথে বিরোধের প্রশ্নই আসে না। বরং জিহাদের বিরুদ্ধে একলক্ষ আলিমের ফাতাওয়া (!) এবং প্রতিনিয়ত জিহাদকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দিয়ে নিজেদের জান বাঁচানোর কসরতে লিপ্ত ব্যক্তিরা নিজেরাই জিহাদের বিরুদ্ধে লেগেছে।
#কালেক্টেড৷
Comment