ঠগীরা ছিল ভারতীয় খুনি সম্প্রদায়। তারা ‘দেবী কালী’র পূজা করত। বাংলার ঠগীরা তাদের দেবীকে ‘ভবানী’ নামে ডাকত। ঠগীদের প্রধান তীর্থক্ষেত্র ছিল পশ্চিমবাংলার ’কালীঘাট’ ও উত্তরপ্রদেশের বিন্ধ্যাচলের ’ভবানী মন্দির’।
ঠগীরা যত মানুষ হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি। ঠগীরা ২০ লক্ষ এর বেশী মানুষ হত্যা করেছে। শুধু মাত্র ১৭৪০ সাল থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত ঠগিরা ১০ লক্ষের বেশি মানুষ হত্যা করেছিল।
ঠগীরা ১৩ থেকে ১৯ শতকে, ৬০০ বছর ধরে বাংলায় এবং উত্তর ভারতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল ।
ঠগীরা সাধারণত দলগতভাবে ব্যবসায়ী, তীর্থযাত্রীর কিংবা সৈন্যের ছদ্মবেশে ভ্রমণ করত এবং পথিমধ্যে অন্য তীর্থযাত্রীদের সাথে ভাল ব্যবহার করে তাদের সাথে মিশে যেত। তারপর তারা হঠাত করেই কোন যাত্রাবিরতিতে ভ্রমণকারীদের গলায় হলুদ রং এর কাপড়/রুমাল পেঁচিয়ে হত্যা করত। তাদের সম্পত্তি লুঠ করে মৃতদেহগুলোকে তারা হিন্দু দেবী কালীর নামে উতসর্গ করত। হত্যার পর মৃতদেহগুলোকে একসাথে হাড় ভেঙ্গে কবর দিয়ে রাখত যাতে পচন প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়।
এইখানে ঠগীদের হত্যায় কায়দা আমাদের মনে রাখতে হবে - ঠগীরা সাধারণত দূরের যাত্রী ও তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে দল বেধে চলাচল করত। আগন্তুক ভ্রমণকারীদের সঙ্গে মিশে যেত এবং তাদের প্রতি সহৃদয়তা ও সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করত। সময়-সুযোগ বুঝে ও নির্ধারিত স্থানে ঠগীরা তাদের প্রথানুযায়ী হতভাগ্য শিকারের গলায় হলুদ রং কাপড়/রুমাল পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত, তার সর্বস্ব লুণ্ঠন করত এবং লাশগুলি মাটিতে পুঁতে ফেলত।
এইবার আসা যাক বর্তমান হিন্দু সম্প্রদায় এর প্রসঙ্গে। এরাও ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে আগে মুসলিমদের বিশ্বাস, সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করে নেয়। মুসলমানরা সরল মনে এদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক ভেবে ভোট দেয় এবং ক্ষমতায় বসায়; তারপর দেখা যায় এদের আসল রূপ – একেরপর এক মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা, মুসলিম দের গণহত্যা, মুসলিম নারীদের গণধর্ষণ এবং মুসলিমদের সম্পত্তি লুটপাট।
আরও একটা দিক আছে, বর্তমান হিন্দু সম্প্রদায় এর একটা অংশ মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাস অর্জন করে। আর হিন্দু সম্প্রদায় এর অপর একটি অংশ একের পর এক মুসলিমদের প্রতি ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু যেহেতু হিন্দু সম্প্রদায় এর একটা অংশ মুসলিমদের বিশ্বাস অর্জন করে মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় তাই মুসলিমরা কোন জোরালো প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। এই না পারার কারণে হিন্দু সম্প্রদায় এর অপর অংশটি মুসলিমদের গলায় একের পর এক ফাঁস পরাতে থাকে, যেমনঃ
১। কুরবানী নিয়ে বাধা। হিন্দি বেল্টে এখন গোরু ও মোষ কুরবানী করা যায় না, উত্তরপ্রদেশের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা যায় কুরবানীর জন্য আনা ছাগল বাড়ী থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।
২। মসজিদ নিয়ে বাধা। দিল্লীতে ২টি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে, প্রায়ই অনলাইন মিডিয়াতে দেখা যায় মসজিদের উপর আক্রমণ, তৈরি করতে বাধা দেওয়া। সম্প্রতি হরিয়ানার বিনা কারণে একটি মসজিদ সীল করা হল।
৩। প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিয়ে বাধা। হরিয়ানার প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিয়ে বাধা দেওয়ার কথা সবাই জানে।
৪। দাড়ি, টুপি ও আরবী নাম নিয়ে বাধা। সম্প্রতি হরিয়ানার একটি গ্রামে সার্কুলার জারী করা হয় যে মুসলিমরা দাড়ি রাখতে পারবে না, টুপি পরতে পারবে না এমনকি আরবী নাম রাখতে পারবে না। শুধু হরিয়ানাতেই নয়, এই সমস্যা গোটা দেশে, দাড়ি ও টুপি দেখলেই নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আরবী নাম রাখার কারণে হিন্দু সম্প্রদায় মুসলিমদের বাঙালী বলে মেনে নিতে চায় না।
৫। তিন তালাক ব্যান।
৬। মসজিদ নামাজের জন্য অপরিহার্য নয় হাইকোর্ট থেকে এই রায় দেওয়া
৭।বাংলাদেশি ট্যাগ দিয়ে আসামের মুসলিমদের উপর অত্যাচার
৮। ৭জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে মায়ানমারের হাতে তূলে দেওয়া
৯। সীমান্তে হত্যা করা
১০। ফারাক্কা, তিস্তার পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলিমদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া ইত্যাদি
ঠগী গলায় ফাঁস পরাতে পারত তাদের টার্গেটদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে, বর্তমানের ঠগীরা মুসলিমদের গলায়ও একের পর এক ফাঁস পরাতে সক্ষম হয় মুসলিমদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে; এই সত্যটা মুসলিমরা যতদিন না বুঝবে ততদিন গলায় ফাঁস পরাতেই থাকবে তারা।
ঠগীরা যত মানুষ হত্যা করেছিল পৃথিবীর কোনও সংগঠিত খুনি কাল্ট এত নিরীহ মানুষ হত্যা করেনি। ঠগীরা ২০ লক্ষ এর বেশী মানুষ হত্যা করেছে। শুধু মাত্র ১৭৪০ সাল থেকে ১৮৪০ সাল পর্যন্ত ঠগিরা ১০ লক্ষের বেশি মানুষ হত্যা করেছিল।
ঠগীরা ১৩ থেকে ১৯ শতকে, ৬০০ বছর ধরে বাংলায় এবং উত্তর ভারতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল ।
ঠগীরা সাধারণত দলগতভাবে ব্যবসায়ী, তীর্থযাত্রীর কিংবা সৈন্যের ছদ্মবেশে ভ্রমণ করত এবং পথিমধ্যে অন্য তীর্থযাত্রীদের সাথে ভাল ব্যবহার করে তাদের সাথে মিশে যেত। তারপর তারা হঠাত করেই কোন যাত্রাবিরতিতে ভ্রমণকারীদের গলায় হলুদ রং এর কাপড়/রুমাল পেঁচিয়ে হত্যা করত। তাদের সম্পত্তি লুঠ করে মৃতদেহগুলোকে তারা হিন্দু দেবী কালীর নামে উতসর্গ করত। হত্যার পর মৃতদেহগুলোকে একসাথে হাড় ভেঙ্গে কবর দিয়ে রাখত যাতে পচন প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়।
এইখানে ঠগীদের হত্যায় কায়দা আমাদের মনে রাখতে হবে - ঠগীরা সাধারণত দূরের যাত্রী ও তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে দল বেধে চলাচল করত। আগন্তুক ভ্রমণকারীদের সঙ্গে মিশে যেত এবং তাদের প্রতি সহৃদয়তা ও সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শন করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করত। সময়-সুযোগ বুঝে ও নির্ধারিত স্থানে ঠগীরা তাদের প্রথানুযায়ী হতভাগ্য শিকারের গলায় হলুদ রং কাপড়/রুমাল পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত, তার সর্বস্ব লুণ্ঠন করত এবং লাশগুলি মাটিতে পুঁতে ফেলত।
এইবার আসা যাক বর্তমান হিন্দু সম্প্রদায় এর প্রসঙ্গে। এরাও ধর্মনিরপেক্ষতা ও অসাম্প্রদায়িকতার দোহাই দিয়ে আগে মুসলিমদের বিশ্বাস, সহানুভূতি ও সমর্থন আদায় করে নেয়। মুসলমানরা সরল মনে এদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক ভেবে ভোট দেয় এবং ক্ষমতায় বসায়; তারপর দেখা যায় এদের আসল রূপ – একেরপর এক মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা, মুসলিম দের গণহত্যা, মুসলিম নারীদের গণধর্ষণ এবং মুসলিমদের সম্পত্তি লুটপাট।
আরও একটা দিক আছে, বর্তমান হিন্দু সম্প্রদায় এর একটা অংশ মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে মুসলিমদের বিশ্বাস অর্জন করে। আর হিন্দু সম্প্রদায় এর অপর একটি অংশ একের পর এক মুসলিমদের প্রতি ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু যেহেতু হিন্দু সম্প্রদায় এর একটা অংশ মুসলিমদের বিশ্বাস অর্জন করে মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি দেখায় তাই মুসলিমরা কোন জোরালো প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না। এই না পারার কারণে হিন্দু সম্প্রদায় এর অপর অংশটি মুসলিমদের গলায় একের পর এক ফাঁস পরাতে থাকে, যেমনঃ
১। কুরবানী নিয়ে বাধা। হিন্দি বেল্টে এখন গোরু ও মোষ কুরবানী করা যায় না, উত্তরপ্রদেশের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে দেখা যায় কুরবানীর জন্য আনা ছাগল বাড়ী থেকে নিয়ে যায় পুলিশ।
২। মসজিদ নিয়ে বাধা। দিল্লীতে ২টি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে, প্রায়ই অনলাইন মিডিয়াতে দেখা যায় মসজিদের উপর আক্রমণ, তৈরি করতে বাধা দেওয়া। সম্প্রতি হরিয়ানার বিনা কারণে একটি মসজিদ সীল করা হল।
৩। প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিয়ে বাধা। হরিয়ানার প্রকাশ্যে নামাজ পড়া নিয়ে বাধা দেওয়ার কথা সবাই জানে।
৪। দাড়ি, টুপি ও আরবী নাম নিয়ে বাধা। সম্প্রতি হরিয়ানার একটি গ্রামে সার্কুলার জারী করা হয় যে মুসলিমরা দাড়ি রাখতে পারবে না, টুপি পরতে পারবে না এমনকি আরবী নাম রাখতে পারবে না। শুধু হরিয়ানাতেই নয়, এই সমস্যা গোটা দেশে, দাড়ি ও টুপি দেখলেই নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আরবী নাম রাখার কারণে হিন্দু সম্প্রদায় মুসলিমদের বাঙালী বলে মেনে নিতে চায় না।
৫। তিন তালাক ব্যান।
৬। মসজিদ নামাজের জন্য অপরিহার্য নয় হাইকোর্ট থেকে এই রায় দেওয়া
৭।বাংলাদেশি ট্যাগ দিয়ে আসামের মুসলিমদের উপর অত্যাচার
৮। ৭জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে মায়ানমারের হাতে তূলে দেওয়া
৯। সীমান্তে হত্যা করা
১০। ফারাক্কা, তিস্তার পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলিমদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া ইত্যাদি
ঠগী গলায় ফাঁস পরাতে পারত তাদের টার্গেটদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে, বর্তমানের ঠগীরা মুসলিমদের গলায়ও একের পর এক ফাঁস পরাতে সক্ষম হয় মুসলিমদের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে; এই সত্যটা মুসলিমরা যতদিন না বুঝবে ততদিন গলায় ফাঁস পরাতেই থাকবে তারা।
Comment