Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভাইয়েরা! আমিরের বায়াহ ও আমীরুল মু‘মিনীন এবং তালেবানদের প্রসংগে কিছু বিষয় জানতে চাই।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভাইয়েরা! আমিরের বায়াহ ও আমীরুল মু‘মিনীন এবং তালেবানদের প্রসংগে কিছু বিষয় জানতে চাই।

    উত্তর জানতে চাই?
    আলহাদুলিল্লাহি ওয়াহদা ওয়াস সালাতু ওয়াসসালা মুয়ালা মান লা নাবিয়্যা বায়দা,

    প্রশ্ন গুলো হল,
    1. ১। আমিরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বায়াহ দেওয়া শরীয়ত সম্মত কিনা?

    2. ২। তালেবান প্রধান যেহেতু খলিফা নয় তাহলে উনি আমিরুল মুমিনীন উপাধি গ্রহণ করা শরীয়ত সম্মত কি?
    এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর বিস্তারিত কোরান ও হাদিস থেকে বিস্তারিত জানতে চাই ,


  • #2
    ভাই প্রশ্ন গুলো অনেক গুরুত্ব পুর্ন উত্তর গুলো প্রকাশ করা জরুরী আমার এই রকম প্রশ্ন একটা প্রশ্ন ছিল

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাইয়েরা, আজকের পেইজে ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের জামায়া নিয়ে একটি পোস্ট আছে সেটি আগে পড়ুন, উত্তর না পেলে ভাইকে অনুরোধ করুন। আর আমরা বাংলা বানানের প্রতি যত্নবান হয়।
      পূর্ণ, এভাবে হবে। গুলো শব্দটি আগের শব্দের সাথে মিলিত হয়ে আসবে। যেমনঃ ছাত্রগুলি খেয়েছে, তার অর্থ হচ্ছে ছাত্ররা খাদ্য যাতীয় কিছু খেয়েছে। আর যদি বলি ছাত্ররা গুলি খেয়েছে তাহলে অর্থ হবে, ছাত্রদের গায়ে বুলেট লেগেছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        প্রিয় ভাইয়েরা , আলেম ভাইদের কে বলছি কেউ আমার এই প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত উত্তর দলিলসহ জানিয়ে বাধিত করুন।

        Comment


        • #5
          Originally posted by উওর জানার জন্য View Post
          1. ১। আমিরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বায়াহ দেওয়া শরীয়ত সম্মত কিনা?

          2. ২। তালেবান প্রধান যেহেতু খলিফা নয় তাহলে উনি আমিরুল মুমিনীন উপাধি গ্রহণ করা শরীয়ত সম্মত কি?
          বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম

          ১. মুহতারাম ভাই, আমীরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বাইয়াত দেয়া বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন একটু খুলে বলুন। তাহলে ইনশাআল্লাহ জওয়াব দেয়া যাবে।

          ২. দ্বিতীয় প্রশ্নের ক্ষেত্রে যতটুকু বুঝতে পারছি, তালেবান প্রধানের জন্য আমীরুল মু’মিনীন উপাধী গ্রহণ করা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে অসুবিধার কিছু নেই। শায়খ আইমান আযযাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ তার বয়ানে মোল্লা উমর রহ.কে আমীরুল মু’মিনীন বলেই সম্বোধন করেন। মোল্লা আখতার মানসূর রহ. এবং বর্তমান তালেবান প্রধানকেও তিনি এভাবেই সম্বোধন করেন বলে মনে পড়ছে। অধিকন্তু এসব উপাধী মূলত তারা নিজেরা গ্রহণ করেন না। রাষ্ট্রপ্রধানের পদে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়, স্বাভাবিক তাকে আমীরুল মু’মিনীন বলা হয়। সকলে এ বলেই তাদের সম্বোধন করেন।


          এখানে হয়তো এ আপত্তিটি আসতে পারে যে, তিনি তো সারা বিশ্বের সকল মু’মিনের আমীর নন। সকলে তো তাকে আমীর হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাহলে কি হিসেবে তাকে আমীরুল মু’মিনীন বলা হবে?


          এর জওয়াব এটা হতে পারে যে, আমীরুল ম’মিনীন এ হিসেবে বলা হয় না যে, তিনি সারা বিশ্বের সকল মু’মিনের আমীর। বরং যেসকল মু’মিন-মুসলমান তাকে আমীর হিসেবে গ্রহণ করেছে, তাদের হিসেবে আমীরুল মু’মিনীন বলা হয়। যেমন,

          - আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে সকল মুসলমান বাইয়াত দেননি। এতদসত্ত্বেও তাকে আমীরুল মু’মিনীন বলা হয়।

          - হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহুর ক্ষেত্রেও একই কথা।

          - আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহুর ক্ষেত্রেও একই কথা।

          - খেলাফত যখন দু’ভাবে বিভক্ত ছিল: বাগদাদে একটা আর আন্দালুসে আরেকটা, তখন উভয়কেই আমীরুল মু’মিনীন বলা হত। অথচ একচ্ছত্র সারা দুনিয়ার সকল মুসলমানের আমীর ছিলেন না।


          যাহোক, আশাকরি এতে কোন সমস্যা নেই। যারা তাকে আমীরুল মু’মিনীন বলে সম্বোধন করেন, তারাও এ হিসেবে করেন না যে, তিনি সারা দুনিয়ার সকল মুসলমানের আমীর। বিষয়টা আশাকরি সকলের কাছেই স্পষ্ট। সবাই বুঝে যে, তিনি তার নিজস্ব ভূখণ্ড ও নিজস্ব অনুসারিদের হিসেবে আমীরুল মু’মিনীন। এ হিসেবে আমীরুল মু’মিনীন উপাধী মিথ্যা, ধোঁকা বা অযাচিত কোন উপাধী নয়। ইনশাআল্লাহ এতে কোন সমস্যা নেই।


          এর একটা দৃষ্টান্ত যেমন, শায়খুল হাদিস। যিনি কোন মাদ্রাসায় বোখারী পড়ান, তাকে শায়খুল হাদিস বলে। অথচ তিনি সারা দেশের সকল তালিবুল ইলমের হাদিসের বড় বা প্রধান শায়খ নন। তাকে যখন শায়খুল হাদিস বলা হয়, তখন নির্দিষ্ট একটা পরিমণ্ডল হিসেবেই বলা হয়। বিষয়টা স্পষ্ট। সকলেই বুঝে। তাই এ উপাধীকে কেউ মিথ্যা বলে না। আমীরুল মু’মিনীনকেও এমনটা ধরতে পারেন।


          কুরআনে কারীমেও এ ধরণের ব্যবহার আছে। যেমন,
          বনী ইসরাঈলের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
          وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
          “আর এও স্বরণ কর যে, আমি তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।”- বাকারা: ৪৭


          আয়াতে তৎকালীন যামানা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ তৎকালীন সকলের উপর আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলেন। নতুবা সকলেরই জানা যে, উম্মতে মুহাম্মাদী সকল উম্মতের শ্রেষ্ঠ।


          এমন আরো ব্যবহার আছে। অতএব, আমীরুল মু’মিনীন উপাধীতে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নেই। যদি কারো আপত্তি থাকে, তাহলে দলীল প্রমাণসহ জানালে ইনশাআল্লাহ দেখা যাবে। ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআলা আ’লাম।

          Comment


          • #6
            খুব সুন্দর উত্তর।

            Comment


            • #7
              Originally posted by উওর জানার জন্য View Post
              উত্তর জানতে চাই?
              আলহাদুলিল্লাহি ওয়াহদা ওয়াস সালাতু ওয়াসসালা মুয়ালা মান লা নাবিয়্যা বায়দা,

              প্রশ্ন গুলো হল,
              1. ১। [FONT="]আমিরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বায়াহ দেওয়া শরীয়ত সম্মত কিনা?[/FONT]

              2. ২। তালেবান প্রধান যেহেতু খলিফা নয় তাহলে উনি আমিরুল মুমিনীন উপাধি গ্রহণ করা শরীয়ত সম্মত কি?
              এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর বিস্তারিত কোরান ও হাদিস থেকে বিস্তারিত জানতে চাই ,

              সম্মানিত ভাই! ”আমিরুল মুমিনীন” শব্দটি কোন কুরআনী পরিভাষা নয়, বা সুন্নাহরও পরিভাষা নয়, বা ফিকহেরও পরিভাষা নয়। অর্থাৎ কুরআন, সুন্নাহ বা ফিকহের মাধ্যমে এটাকে সংজ্ঞায়িত করে নির্দিষ্ট কোন কিছুর সাথে খাস করা হয়নি।
              তাই এটা বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে আভিধানিক অর্থে যেখানে প্রয়োগ হওয়ার উপযুক্ত সেখানেই প্রয়োগ করা যায়। এটা নিয়ে জায়েয-নাজায়েয প্রশ্ন করা অনর্থক।আপনার ভিন্ন কোন কথা থাকলে দলিল পেশ করুন!

              Comment


              • #8
                {মুহতারাম ভাই, আমীরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বাইয়াত দেয়া বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন একটু খুলে বলুন। তাহলে ইনশাআল্লাহ জওয়াব দেয়া যাবে।}

                ভাই আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমিরের আনুগত্য করি তাঁকে আমি চিনি না তার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা শুধু অন্ধভাবে অনুসরন করছি সেটা শরীয়ত সম্মত কিনা ?

                আর সারা বিশ্বের খলিফা ছাড়া কারু জন্য আমিরুল মুমিনীন শব্দটা ব্যবহার করা আপনি বলছেন জায়েজ আছে , আপনার কথার সমর্থনে আকাবীরদের উক্তি আছে কি? অথবা খলিফা ছাড়া এটা কেউ ব্যবহার করেছেন এমন দলিল আছে কি? সাহাবীদের যে দলীল আপনি দিয়েছেন তারা তো খলিফা হিসাবে সেটা ব্যবহার করেছেন আর আমরা তো খলিফা দাবী করছিনা এটা এখন ব্যবহার করা সেই দলীল দিয়ে জায়েজ হয় কি?

                হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের ক্ষমা করুণ আপনার করুণা দ্বারা, এবং আপনার করুণা দিয়ে আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করে দিন,

                Comment


                • #9
                  ভাই, এটা একটি ওরফী (সমাজ যা ব্যবহার করা হয়) শব্দ। শরয়ী শব্দ নয়। যেমন, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি। উরফী বিষয়ের জন্য দলিল দরকার নেই। উরফী আরো কিছু শব্দ আছে, যা আমরা ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি। যেমন, ফকীহুন নফস, হাকিমুল উম্মত, আরেফ বিল্লাহ, আমিরুল উমারা, খতিবে আজম, মুজাহিদে মিল্লাত, কুতুবে আলম, রুমিয়ে যমানা ইত্যাদি। এগুলো করো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার জন্য শরয়ী দলিলের প্রয়োজন নেই। তবে উপযুক্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে, অপাত্রে প্রয়োগ করা যাবে না।
                  ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

                  Comment


                  • #10
                    উওর জানার জন্য;53626]{মুহতারাম ভাই, আমীরের ব্যাপারে অজ্ঞ থেকে বাইয়াত দেয়া বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন একটু খুলে বলুন। তাহলে ইনশাআল্লাহ জওয়াব দেয়া যাবে।}

                    ভাই আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমিরের আনুগত্য করি তাঁকে আমি চিনি না তার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা শুধু অন্ধভাবে অনুসরন করছি সেটা শরীয়ত সম্মত কিনা ?

                    আর সারা বিশ্বের খলিফা ছাড়া কারু জন্য আমিরুল মুমিনীন শব্দটা ব্যবহার করা আপনি বলছেন জায়েজ আছে , আপনার কথার সমর্থনে আকাবীরদের উক্তি আছে কি? অথবা খলিফা ছাড়া এটা কেউ ব্যবহার করেছেন এমন দলিল আছে কি? সাহাবীদের যে দলীল আপনি দিয়েছেন তারা তো খলিফা হিসাবে সেটা ব্যবহার করেছেন আর আমরা তো খলিফা দাবী করছিনা এটা এখন ব্যবহার করা সেই দলীল দিয়ে জায়েজ হয় কি?

                    ভাই! এই কথার সমর্থনে অসংখ্য আকাবিরদের উক্তি আছে।

                    ১. জিহাদের জন্য যে আমির শর্ত বলে অনেকে, সেই আমিরের শর্ত পুরণ করার জন্য পাকিস্তানের সমস্ত উলামায়ে কেরাম মিলে মোল্লা ওমরকে মুসলমানদের আমির বানিয়ে তালেবান জিহাদের শুরু হয়েছিল। আপনি এ বিষয়টা পাবেন ওবায়দুর রহমান খান নদভীর ‘তালিবান ও বাংলাদেশ’ (এধরণের একটি নামক) বইয়ে। তখন থেকেই পাকিস্তানের সমস্ত উলামায়ে কেরামের প্রত্যক্ষ তত্তবাধনে তাকে আমিরুল মুমিনীন বলা হচ্ছে। আপনি ওই বইটি পড়ুন।
                    ২. এখনো পর্যন্ত কওমী মাদ্রাসার জিহাদ বিরোধী বা জিহাদী কোন আলেম তাকে আমিরুল মুমিনীন শব্দ ব্যবহার করারি বিরোধী কোন কথা বলেননি। এ শব্দটি প্রয়োগ নিযে কেউ কোন আপত্তি করেনি।
                    ৩. আপনি মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহা্ম্মদ ইয়াইয়া সাহেবের লিখিত দারুল উলুম দেওব্দ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদান নামক বইয়ে পাবেন, যে হিন্দুস্থানে হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী, কাসেম নানুতবী ও রশিদ আহমাদ গাঙ্গুহী সহ অনেক হক্কানী উলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব সাহারানপুর কেন্দ্রিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটা ছিল ইংরেজদের শাসনামল। তো সেই রাষ্ট্রে হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ.কে আমিরুল মুমিনীন ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই এটাও আপনার জন্য দলিল। খলিফা কিন্তু ঘোষনা করা হয়নি। খেলাফতও না।

                    ৪. আপনার কাছে নাজায়েয মনে হচ্ছে কেন, সেটা আগে বলুন। আপনর সংশয়ের কোন কারণ বা দলিল উল্লেখ করা ছাড়া কিভাবে সংশয়ের উত্তর দেওয়া হবে?
                    আপনার কাছে আবেদন করছি, আপনি এটা নাজায়েয হওয়ার ব্যাপারে কুরআন, *সুন্নাহ ও ফিকহ থেকে দলিল পেশ করুন!

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি সকল ভাইকে কবুল করুন, এবং শহিদ হওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন।
                      আমি হতে চাই খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা এর মত রণকৌশল ও ওমর (রা এর মত কাফেরদের প্রতি কঠোর।

                      Comment

                      Working...
                      X