বোন আমীনা শাহিনের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এরদোগানকে নিয়ে আবার আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের বৈধতা দিতে নানান যুক্তি পেশ করছে।
তাকে যারা ডিফেন্স করে লিখছে তাদের অবস্থা হল,একবার যখন তাকে সাপোর্ট করে ফেলেছি তখন আর কোনভাবেই তার ( আসল চেহারা স্পষ্ট হওয়ার পর ও) বিরুদ্ধে বলা যাবে না। এটা করলে কি আমার জাত থাকবে! এখন তার পক্ষে এমন এমন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দাঁড় করাচ্ছে, মনে হয় এরদোগান নিজেও এটা কল্পনা করেনি, ভাবেও নি।
তাদের ব্যপারে আমার সন্দেহ হয়, তারা কি আসলেই বিশুদ্ধ ইসলামী জাগরণ ও খিলাফা ব্যবস্থা চায় নাকি তাদের মডরেট সুলতানের মত সেকুলার রাষ্ট্র চায়। যারা পরিপূর্ণ রূপে শরীয়াহ দ্বারা এলাকা পরিচালনা করছে, তাদের নিয়ে এসব সমর্থকদের সামান্য ও মুখ খুলতে দেখা যায় না। এরদোগানের ছোট-খাটো কীর্তি যেগুলো অনেক বিধর্মী রাষ্ট্র ও করে থাকে, সেগুলোকে নিয়ে তারা অবান্তর আনন্দে মেতে উঠে ঠিকই। কিন্তু আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র নিয়মিত অর্জন নিয়ে তাদের আনন্দ তো দূরের কথা খবর রাখার ও প্রয়োজন বোধ করে না।
এরদোগানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে তাদের সামনে বিশ্ব রাজনীতি, স্থানীয় রাজনীতি চলে আসে। মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখন্দের কথা উঠলে এসব আর মাথায় থাকে না। তখন দাজ্জালি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ঠিকই হুকুম লাগিয়ে বসে।" উগ্র, অসামরিক নাগরিক হত্যাকারী, নারী-শিশু হত্যাকারী ব্লা ব্লা...। সংবাদ যাচাই ও বিশ্ব মিডিয়ার মারপেঁচ বোঝার সময় কোথায়?
এরদোগানকে নিয়ে কিছু বললে সবক দিবে "দূর থেকে অনেক কিছুই বলা যায়। দেশের ভিতরের সিচিউশন বুঝুন।স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে জানুন" আবার নিউজের ক্ষেত্রে অনেক সময় আল-জাজিরা ও পরিত্যাজ্য। কিন্তু আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র ক্ষেত্রে বিবিসি- সিএন ও গ্রহণযোগ্য।তখন আর স্থানীয় রাজনীতি জানার সবক লাগে না।
প্রশ্ন হতে পারে যারা আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র পক্ষে লিখে তারাও তো এরদোগান নিয়ে বলে না। এর উত্তরে বলব, এরদোগানের রাজনীতিতে এমন অনেক কিছুই আছে যা তার ব্যপারে সন্দিহান করে তুলে। হায়বাতুল্লাহ আখন্দের বিরুদ্ধে তার সামরিক কর্ম, ঘাঁটি নীতি, কুফফার প্রীতি, সেকুলার রাষ্ট্র গঠণের স্বীকারোক্তি ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় স্বাভাবিকভাবেই একজন সচেতন মুসলিমকে সন্দেহের স্টডেজে রাখে। তাছাড়া তার রাষ্ট্রে এখনো সেকুলার সংবিধান প্রতিষ্ঠিত। দাবি করা হচ্ছে, সে ইসলামী শরীয়ার পথে যেতে চাচ্ছে।ফলে বিষয়টা অনিশ্চিত এবং ভবিষ্যৎ। পক্ষান্তরে হায়বাতুল্লাহ আখন্দরা সাক্ষাত শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। ফলে তাদের বিষয়টা নিশ্চিত এবং বর্তমান। আর নিশ্চিত ও বর্তমান নিয়েঅ গর্ব করতে হয়, মেতে উঠতে হয়। সুতরাং যারা হায়বাতুল্লাহ আখন্দ থেকে বিমুখ, তারা মূলত বাস্তবতা ও বর্তমান বিরোধী। অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে এরা বিলাসিতায় ভুগছে।
লিখেছেন: ইফতিখার সিফাত
কিঞ্চিত সম্পাদিত
তাকে যারা ডিফেন্স করে লিখছে তাদের অবস্থা হল,একবার যখন তাকে সাপোর্ট করে ফেলেছি তখন আর কোনভাবেই তার ( আসল চেহারা স্পষ্ট হওয়ার পর ও) বিরুদ্ধে বলা যাবে না। এটা করলে কি আমার জাত থাকবে! এখন তার পক্ষে এমন এমন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দাঁড় করাচ্ছে, মনে হয় এরদোগান নিজেও এটা কল্পনা করেনি, ভাবেও নি।
তাদের ব্যপারে আমার সন্দেহ হয়, তারা কি আসলেই বিশুদ্ধ ইসলামী জাগরণ ও খিলাফা ব্যবস্থা চায় নাকি তাদের মডরেট সুলতানের মত সেকুলার রাষ্ট্র চায়। যারা পরিপূর্ণ রূপে শরীয়াহ দ্বারা এলাকা পরিচালনা করছে, তাদের নিয়ে এসব সমর্থকদের সামান্য ও মুখ খুলতে দেখা যায় না। এরদোগানের ছোট-খাটো কীর্তি যেগুলো অনেক বিধর্মী রাষ্ট্র ও করে থাকে, সেগুলোকে নিয়ে তারা অবান্তর আনন্দে মেতে উঠে ঠিকই। কিন্তু আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র নিয়মিত অর্জন নিয়ে তাদের আনন্দ তো দূরের কথা খবর রাখার ও প্রয়োজন বোধ করে না।
এরদোগানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুললে তাদের সামনে বিশ্ব রাজনীতি, স্থানীয় রাজনীতি চলে আসে। মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখন্দের কথা উঠলে এসব আর মাথায় থাকে না। তখন দাজ্জালি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ঠিকই হুকুম লাগিয়ে বসে।" উগ্র, অসামরিক নাগরিক হত্যাকারী, নারী-শিশু হত্যাকারী ব্লা ব্লা...। সংবাদ যাচাই ও বিশ্ব মিডিয়ার মারপেঁচ বোঝার সময় কোথায়?
এরদোগানকে নিয়ে কিছু বললে সবক দিবে "দূর থেকে অনেক কিছুই বলা যায়। দেশের ভিতরের সিচিউশন বুঝুন।স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে জানুন" আবার নিউজের ক্ষেত্রে অনেক সময় আল-জাজিরা ও পরিত্যাজ্য। কিন্তু আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র ক্ষেত্রে বিবিসি- সিএন ও গ্রহণযোগ্য।তখন আর স্থানীয় রাজনীতি জানার সবক লাগে না।
প্রশ্ন হতে পারে যারা আমীরুল মু'মিনীন মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফি.) র পক্ষে লিখে তারাও তো এরদোগান নিয়ে বলে না। এর উত্তরে বলব, এরদোগানের রাজনীতিতে এমন অনেক কিছুই আছে যা তার ব্যপারে সন্দিহান করে তুলে। হায়বাতুল্লাহ আখন্দের বিরুদ্ধে তার সামরিক কর্ম, ঘাঁটি নীতি, কুফফার প্রীতি, সেকুলার রাষ্ট্র গঠণের স্বীকারোক্তি ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় স্বাভাবিকভাবেই একজন সচেতন মুসলিমকে সন্দেহের স্টডেজে রাখে। তাছাড়া তার রাষ্ট্রে এখনো সেকুলার সংবিধান প্রতিষ্ঠিত। দাবি করা হচ্ছে, সে ইসলামী শরীয়ার পথে যেতে চাচ্ছে।ফলে বিষয়টা অনিশ্চিত এবং ভবিষ্যৎ। পক্ষান্তরে হায়বাতুল্লাহ আখন্দরা সাক্ষাত শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত রেখেছে। ফলে তাদের বিষয়টা নিশ্চিত এবং বর্তমান। আর নিশ্চিত ও বর্তমান নিয়েঅ গর্ব করতে হয়, মেতে উঠতে হয়। সুতরাং যারা হায়বাতুল্লাহ আখন্দ থেকে বিমুখ, তারা মূলত বাস্তবতা ও বর্তমান বিরোধী। অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে এরা বিলাসিতায় ভুগছে।
লিখেছেন: ইফতিখার সিফাত
কিঞ্চিত সম্পাদিত
Comment