শায়েখ তামীম আল আদনানী (হাফজাহুল্লাহ) এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়াগুলোর কাছে একটি আবেদন।
গত ৩০ ডিসেম্বরেরর দিনটা এমনিতেই ছিল আমাদের জন্য লজ্জার,কলঙ্কের এবং দু:স্বপ্নের একটি দিন।কারণ এ দিনটিতে জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহর পরিবর্তে ৩০০ আসনে ৩০০ জন রব নির্বাচন করা হয়েছে,এবং জনগণকে তাদের ইবাদত করতে, তাদের মতো মূর্খ,স্বল্পশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বিকৃত মস্তিস্কের লোকদের তৈরী করা আইনকানুন মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এই সব মূর্খ তাগুত গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আবারো জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে যাচ্ছে এক বর্বর কালাকানুন সম্বলিত অশ্লীল সভ্যতা-যে সভ্যতা ধর্ষকদের আশ্রয় দেয়,সুদখোর পুজিপতিদের প্রশ্রয় দেয়,কুলাঙ্গার মুরতাদ কাফের জিন্দিক নাস্তিকদের মাথায় তুলে রাখে,আর ধর্ষিতাকে, শোষিত ও পিড়িতদেরকে, অসহায় মাজলুম জনগণকে বিতাড়িত করে।এবং নতুন নতুন কায়দায় নতুন নতুন মাত্রায় তাদের উপর অত্যাচার অনাচার ও অবিচারের স্টিমরোলার চাপিয়ে দেয়।
তো,এমনিতেই কুফরি উৎসবের এ দিনটি ছিল কলঙ্কময় একটি দিন,এরই মধ্যে আমাদের গ্লানিকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ৩০ ডিসেম্বর রাতে মোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় ঘটে যাওয়া জঘণ্য ঘটনাটি।
একজন জননীকে,একজন নিরীহ গৃহবধুকে তার স্বামী সন্তানের চোখের সামনে গণধর্ষণ করেছে আওয়ামী তাগুতেরা-এবং এমন ঘটনা তারা অহরহই ঘটিয়ে থাকে।
বরাবরের মতোই পুলিশ প্রশাসন একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবী করছে তাদের তাদের উপাস্য তাগুতদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।মিডিয়াগুলোও মূল হোতাকে আড়াল করে রাখছে এবং মূল কারণটিকে চেপে যাচ্ছে।
নি:সন্দেহে এই বর্বর পাশবিক ঘটনার পেছনে গণতন্ত্র দায়ী,দায়ী গণতন্ত্রের অন্যতম একটি মৌলিক উপাদান দলীয় সাম্প্রদায়িকতা।
মুহতারাম শায়েখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লার কাছ থেকে ইতিমধ্যেই অতিসম্প্রতি আমরা গণতন্ত্র সম্পর্কে একটা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেয়েছি।
কিন্তু তারপরও শায়েখের কাছে অনুরোধ-এ ঘটনাটা নিয়েও যেন একটা বয়ান আসে,যেভাবে ইতিপূর্বে ছাত্র আন্দোলন,আদনান শাকীল হত্যাদী ইস্যুতে শায়েখের বার্তা এসেছিল।
কেন্দ্রীয় মিডিয়াগুলোর কাছে সবিনয় নিবেদন-শায়েখের বয়ানটা যদি ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে প্রকাশ করা যায় তাহলে ভালো হবে।ভিডিওতে এই ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন মিডিয়ার নিউজ,এবং এ ছাড়াও দেশে বিদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের কারণে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বর্বর ঘটনাগুলোর খন্ডচিত্র থাকতে পারে।এবারকার নির্বাচনের সহিংসতার খন্ডচিত্রগুলোও থাকতে পারে।
এবং কাজটা যথাসম্ভব দ্রুত করলেই ভালো হবে,কারণ অাওয়ামী লিগের তাগুতেরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন কোনো ইস্যু তুলে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করবে।
পরিশেষে বলব-আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো আশা করি এসব ঘটনা গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।কোনো কোনো ইসলামী দল ভোট দেওয়া ফরজ এবং ভোট না দেওয়া অন্যায় ও হারাম বলেও প্রচার করেছে।এটা না করে যদি তারা সামাজিক আন্দোলন করতেন,ভোটকে হারাম ও গণতন্ত্রকে কুফর বলে ফতোয়া দিতেন,মানুষকে তাওহীদের শিক্ষা দিতেন তাহলে অাপামর জনতার অনেকেই গণতন্ত্র,ভোট,ও দলান্ধতা থেকে সরে আসতো।আর এতে এ ধরনের অসভ্য ঘটনার ঝুঁকি থেকে অনেকেই মুক্ত থাকতে পারতেন।
ইসলামী দলগুলোই যদি ভোটে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে গণতন্ত্রের তাগুতকে বর্জন করবে?
তাই,আশা করি তারা গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।কোনোভাবেই তারা এসবের দায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে পারেননা।
আর আমরাও যদি তাওহিদের দাওয়াতের হক্ব আদায় না করি,ক্বিতাল সাবিলিল্লাহর হক্ব আদায় না করি তাহলে আমরাও দায় থেকে মুক্ত হতে পারিনা।
হে আল্লাহ!আপনি এই বর্বরতার অবসান ঘটিয়ে তাওহীদের নিশান উড়াবার,এবং ইসলামী শরীয়ার শ্যমল ছায়াতলে বাঁচবার ও মরবার তাওফিক দান করুন।
আমীন!ইয়া রব্বাল আলামিন।
গত ৩০ ডিসেম্বরেরর দিনটা এমনিতেই ছিল আমাদের জন্য লজ্জার,কলঙ্কের এবং দু:স্বপ্নের একটি দিন।কারণ এ দিনটিতে জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহর পরিবর্তে ৩০০ আসনে ৩০০ জন রব নির্বাচন করা হয়েছে,এবং জনগণকে তাদের ইবাদত করতে, তাদের মতো মূর্খ,স্বল্পশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বিকৃত মস্তিস্কের লোকদের তৈরী করা আইনকানুন মেনে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এই সব মূর্খ তাগুত গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আবারো জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে যাচ্ছে এক বর্বর কালাকানুন সম্বলিত অশ্লীল সভ্যতা-যে সভ্যতা ধর্ষকদের আশ্রয় দেয়,সুদখোর পুজিপতিদের প্রশ্রয় দেয়,কুলাঙ্গার মুরতাদ কাফের জিন্দিক নাস্তিকদের মাথায় তুলে রাখে,আর ধর্ষিতাকে, শোষিত ও পিড়িতদেরকে, অসহায় মাজলুম জনগণকে বিতাড়িত করে।এবং নতুন নতুন কায়দায় নতুন নতুন মাত্রায় তাদের উপর অত্যাচার অনাচার ও অবিচারের স্টিমরোলার চাপিয়ে দেয়।
তো,এমনিতেই কুফরি উৎসবের এ দিনটি ছিল কলঙ্কময় একটি দিন,এরই মধ্যে আমাদের গ্লানিকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ৩০ ডিসেম্বর রাতে মোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী এলাকায় ঘটে যাওয়া জঘণ্য ঘটনাটি।
একজন জননীকে,একজন নিরীহ গৃহবধুকে তার স্বামী সন্তানের চোখের সামনে গণধর্ষণ করেছে আওয়ামী তাগুতেরা-এবং এমন ঘটনা তারা অহরহই ঘটিয়ে থাকে।
বরাবরের মতোই পুলিশ প্রশাসন একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাবী করছে তাদের তাদের উপাস্য তাগুতদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।মিডিয়াগুলোও মূল হোতাকে আড়াল করে রাখছে এবং মূল কারণটিকে চেপে যাচ্ছে।
নি:সন্দেহে এই বর্বর পাশবিক ঘটনার পেছনে গণতন্ত্র দায়ী,দায়ী গণতন্ত্রের অন্যতম একটি মৌলিক উপাদান দলীয় সাম্প্রদায়িকতা।
মুহতারাম শায়েখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লার কাছ থেকে ইতিমধ্যেই অতিসম্প্রতি আমরা গণতন্ত্র সম্পর্কে একটা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেয়েছি।
কিন্তু তারপরও শায়েখের কাছে অনুরোধ-এ ঘটনাটা নিয়েও যেন একটা বয়ান আসে,যেভাবে ইতিপূর্বে ছাত্র আন্দোলন,আদনান শাকীল হত্যাদী ইস্যুতে শায়েখের বার্তা এসেছিল।
কেন্দ্রীয় মিডিয়াগুলোর কাছে সবিনয় নিবেদন-শায়েখের বয়ানটা যদি ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে প্রকাশ করা যায় তাহলে ভালো হবে।ভিডিওতে এই ঘটনার ব্যাপারে বিভিন্ন মিডিয়ার নিউজ,এবং এ ছাড়াও দেশে বিদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের কারণে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বর্বর ঘটনাগুলোর খন্ডচিত্র থাকতে পারে।এবারকার নির্বাচনের সহিংসতার খন্ডচিত্রগুলোও থাকতে পারে।
এবং কাজটা যথাসম্ভব দ্রুত করলেই ভালো হবে,কারণ অাওয়ামী লিগের তাগুতেরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন কোনো ইস্যু তুলে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করবে।
পরিশেষে বলব-আমাদের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো আশা করি এসব ঘটনা গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।কোনো কোনো ইসলামী দল ভোট দেওয়া ফরজ এবং ভোট না দেওয়া অন্যায় ও হারাম বলেও প্রচার করেছে।এটা না করে যদি তারা সামাজিক আন্দোলন করতেন,ভোটকে হারাম ও গণতন্ত্রকে কুফর বলে ফতোয়া দিতেন,মানুষকে তাওহীদের শিক্ষা দিতেন তাহলে অাপামর জনতার অনেকেই গণতন্ত্র,ভোট,ও দলান্ধতা থেকে সরে আসতো।আর এতে এ ধরনের অসভ্য ঘটনার ঝুঁকি থেকে অনেকেই মুক্ত থাকতে পারতেন।
ইসলামী দলগুলোই যদি ভোটে যায় তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে গণতন্ত্রের তাগুতকে বর্জন করবে?
তাই,আশা করি তারা গভীরভাবে ভেবে দেখবেন।কোনোভাবেই তারা এসবের দায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে পারেননা।
আর আমরাও যদি তাওহিদের দাওয়াতের হক্ব আদায় না করি,ক্বিতাল সাবিলিল্লাহর হক্ব আদায় না করি তাহলে আমরাও দায় থেকে মুক্ত হতে পারিনা।
হে আল্লাহ!আপনি এই বর্বরতার অবসান ঘটিয়ে তাওহীদের নিশান উড়াবার,এবং ইসলামী শরীয়ার শ্যমল ছায়াতলে বাঁচবার ও মরবার তাওফিক দান করুন।
আমীন!ইয়া রব্বাল আলামিন।
Comment