প্রিয় বোন ! যারা ফোরামে আছেন, কাজ করতেছেন , কাজগুলো ভাল । তবে আপনাদের পরিচয় না দেওয়াটা মনে হচ্ছে আরো ভাল। কারণ আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে ঐ স্থানগুলোতে মহিলাদেরকে সম্ভোধন করেছেন,যে স্থানগুলো শুধু মহিলাদের সাথে নির্ধারিত। আর অন্যান্য স্হানে পুরুষদের সম্ভোধন করে মহিলাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এজন্য আপনারা যে কাজটি করেছেন বা করতেছেন ছদ্মনাম ব্যবহার করে করলেই ভাল হয় ইনশাআল্লাহ। ( কারন عورة অর্থ সতর ,আর সতর যত গোপন থাকে তত গুনাহ মুক্ত থাকে। তা পুরুষ হোক বা মহিলা উভয়ের জন্য) তবে কাজ করতে হবে।
আর একাজগুলো কিন্ত সাহাবাদেরই কাজ বা তাদেরই নমুনা ।
আল্লাহ তাআলা বলেন: تعاونوا على البر والتقوى ولاتعاونوا على الاثم والعدوان
তোমরা ভাল ও কল্যাণের কাজে একে অপরের সহযোগীতা কর। গুনাহ ও শত্রুতার কাজে একে অপরকে সহযোগীতা করিওনা ।
অার আপনারা যে কাজটা করতেছেন, এটা ভাল ও কল্যাণের কাজ ,কারণ নিজেরা ফোরামে থেকে কল্যাণ মুলক কাজে অংশ নিচ্ছেন, আর আপনাদের কারনে অন্যান্য মেয়েরা ও ফোরামে অংশ নিতে উৎসাহিত হবে ইনশাআল্লাহ।
কারণ,সাহাবাদের মত মহিলা সাহাবিগণ ও এরুপ দ্বীনী কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করেছেন।
আপনাদের একাজে এভাবে অংশ নেওয়ার দ্বারা আশা করি যারা দ্বীন শিখতে ও বুঝতে আগ্রহী , তাদের জন্য অনেকটাই সহজ হবে। আগ্রহ ও পাবে। এবং পূণ্যের কাজে সহযোগীতাও হবে। ইনশাআল্লাহ।
কয়েকটি দৃষ্টান্ত পেশ করা হল !
★ইসলামের প্রথম শহীদ ছিলেন হযরত সুমাইয়া রাঃ। এটা নারী জাতির জন্য গৌরবের বিষয়।
★স্বয়ং রাসুল সাঃ এর যুগে উহুদের যুদ্ধে রাসুল সাঃ কে রক্ষার জন্য উম্মে উমারা রাজিঃ কুফ্ফারদের সম্মুখে বুক পেতে দাড়িয়ে গেলেন।
★ইয়ামামার যুদ্ধে মুসাইলামার মুকাবেলায় উম্মে উমারা রাজিঃ খতমে নবুয়তের পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি উক্ত যুদ্ধে বারটি আঘাত পান । এবং আল্লাহর রাস্তায় তার একটি হাতও শহীদ হয়।
★খন্দকের যুদ্ধে রাসুল সাঃ মহিলাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাসানকে দায়িত্বদেন ।ইহুদিরা গাদ্দারি করে, এবং মহিলাদের কেল্লায় আক্রমণের খেয়াল করে । এ উদ্দেশ্যে তারা গোয়েন্দা প্রেরণ করে । হযরত সুফিয়্যা রাজিঃ যিনি রাসুল সাঃ এর ফুফি ছিলেন । তাবুর একটি খুটিদিয়ে উক্ত গোয়েন্দাকে হত্যা করে ফেলেন। এ কারনে ইহুদিরা ভয় পেয়ে যায়। ও তারা উক্ত তাবুতে অনেক মুসলমান আছে মনে করে আক্রমণ থেকে বিরত থাকে।
এক নারীর বীরত্ব ও বাহাদুরিই তাদেরকে এ আক্রমণের চিন্তা-ফিকির নস্যাৎ করেদেয় ।
★উম্মে আতিয়া রাজিঃ বলেন, আমি নবিজির সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি। যুদ্ধের ময়দানে পিছনের তাবুতে থাকতাম, তাদের জন্য খাবার পাকাতাম ।আহতদের ব্যান্ডেজ বাধতাম। অসুস্থদের শুশ্রূষা করতাম। (মুসলিম)
★ইয়ারমুকের যুদ্ধে ,মুজাহিদের সংখ্যা ছিল মাত্র 30 হাজার। এর বিপরীত কাফেরদের সংখ্যা ছিল 6 থেকে 9 লক্ষ। কয়েক গ্রুপে যুদ্ধ সংঘটিত হল।এক পর্যায়ে কাফের সেনাপ্রধান বাহান এমন আক্রমণ করল যে, মুসলমানগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মুসলমানরা মহিলাদের তাবুর নিকট চলে আসে।
তাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় ও লজ্জা দেওয়ার কারনে , পুনরায় মুসলমানগণ বাহানের সৈন্যদের উপর ঈমানী জজবায় এমন প্রচন্ড আক্রমণ করলেন যে, তাতে তারা পলায়ন করতে বাধ্য হয়।
এ যুদ্ধে যে সকল রমনীগণ অংশ নিয়েছেন তাদের কয়েকজনের নাম
আসমা বিনতে আবুবকর, উম্মেআবান, উম্মে হাকিম, হযরত খাওলা, হিন্দা, হযরত সালমা, হযরত লুবনা।
হে বোন ! আপনি তো জানেন ,আপনাদেরই সন্তান খালেদ বিন অলিদ,
মুহাঃ বিন কাসেম, টিপু সুলতান, সালাহুদ্দিন আয়ুবি। তারাত আপনারই মত মায়ের সন্তান,আপনারই মত বোনের ভাই।
তারা যদি নিজেদের গর্ভে এমন সন্তান ধারণ করে,তাহলে ফিকির করুন, আপনিও তো তাদেরই মত মা, তাদেই মত বোন, তাদেরই মত মেয়ে। তাদের সন্তান বীর-বাহাদুর হলে, আপনার সন্তান হবে না কেন? আপনি কি কোন দিন চিন্তা-ফিকির করেছেন, যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন? ক্বিতালের প্রায় (288 )আয়াত কেন অন্তরে বসালে না। যদি বসাতে ,তাহলে তুমি প্রস্ততি নিতে। নিজে না হয় ছেলে, স্বামী, ভাই, ভাতিজা ও আত্মীয়-সজনকে তৈরী করতে। মেয়ে, বোন , ভাতিজি, ভাগিনি,ভাইজি প্রয়োজনে নিজেও মুজাহিদা হতে, বা মুজাহিদ ছেলের জন্য তৈরী করতে, তাহলে তারা মুজাহিদের সঙ্গীনি হয়ে দ্বীনের কাজে সহযোগীতা করত। কেন তুমি তা করলে না। ঐসময় কি উওর দিবেন ? প্রস্ততি নিয়েছেন তো?
হে মুজাহিদ ভাই! আপনি কি কখনো আপনার মা,আপনার বোন, ভাতিজি , ভাগিনি, পাড়া পড়শীর মেয়েদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন? যদি তারা আপনার ব্যপারে অভিযোগ করে যে, তারাতো হক্ব, সঠিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে, সুন্দর করে খোলাখুলি বলেনি। ঐসময় উওর দিতে পারবেন তো?
মানুষ মৃত্যু থেকে বাচার চেষ্টা করে, জাহান্নাম থেকে নয়। অথচ মৃত্যু থেকে বাচা সম্ভব নয়।
তবে ইচ্ছা করলে জাহান্নাম থেকে বাচা যায়।
এ
শেষ সবক এটা হওয়া উচিত
اللهم ازقنا شهادة كاملة في سبيلك
কারণ মৃত্যু থেকে পলায়ন করতে ইচ্ছুক।
তাহলে শুনোন আল্লাহ তাআলা বলেন
فان الموت الذي تفرون منه فانه ملاقيكم.....
আর একাজগুলো কিন্ত সাহাবাদেরই কাজ বা তাদেরই নমুনা ।
আল্লাহ তাআলা বলেন: تعاونوا على البر والتقوى ولاتعاونوا على الاثم والعدوان
তোমরা ভাল ও কল্যাণের কাজে একে অপরের সহযোগীতা কর। গুনাহ ও শত্রুতার কাজে একে অপরকে সহযোগীতা করিওনা ।
অার আপনারা যে কাজটা করতেছেন, এটা ভাল ও কল্যাণের কাজ ,কারণ নিজেরা ফোরামে থেকে কল্যাণ মুলক কাজে অংশ নিচ্ছেন, আর আপনাদের কারনে অন্যান্য মেয়েরা ও ফোরামে অংশ নিতে উৎসাহিত হবে ইনশাআল্লাহ।
কারণ,সাহাবাদের মত মহিলা সাহাবিগণ ও এরুপ দ্বীনী কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করেছেন।
আপনাদের একাজে এভাবে অংশ নেওয়ার দ্বারা আশা করি যারা দ্বীন শিখতে ও বুঝতে আগ্রহী , তাদের জন্য অনেকটাই সহজ হবে। আগ্রহ ও পাবে। এবং পূণ্যের কাজে সহযোগীতাও হবে। ইনশাআল্লাহ।
কয়েকটি দৃষ্টান্ত পেশ করা হল !
★ইসলামের প্রথম শহীদ ছিলেন হযরত সুমাইয়া রাঃ। এটা নারী জাতির জন্য গৌরবের বিষয়।
★স্বয়ং রাসুল সাঃ এর যুগে উহুদের যুদ্ধে রাসুল সাঃ কে রক্ষার জন্য উম্মে উমারা রাজিঃ কুফ্ফারদের সম্মুখে বুক পেতে দাড়িয়ে গেলেন।
★ইয়ামামার যুদ্ধে মুসাইলামার মুকাবেলায় উম্মে উমারা রাজিঃ খতমে নবুয়তের পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি উক্ত যুদ্ধে বারটি আঘাত পান । এবং আল্লাহর রাস্তায় তার একটি হাতও শহীদ হয়।
★খন্দকের যুদ্ধে রাসুল সাঃ মহিলাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হাসানকে দায়িত্বদেন ।ইহুদিরা গাদ্দারি করে, এবং মহিলাদের কেল্লায় আক্রমণের খেয়াল করে । এ উদ্দেশ্যে তারা গোয়েন্দা প্রেরণ করে । হযরত সুফিয়্যা রাজিঃ যিনি রাসুল সাঃ এর ফুফি ছিলেন । তাবুর একটি খুটিদিয়ে উক্ত গোয়েন্দাকে হত্যা করে ফেলেন। এ কারনে ইহুদিরা ভয় পেয়ে যায়। ও তারা উক্ত তাবুতে অনেক মুসলমান আছে মনে করে আক্রমণ থেকে বিরত থাকে।
এক নারীর বীরত্ব ও বাহাদুরিই তাদেরকে এ আক্রমণের চিন্তা-ফিকির নস্যাৎ করেদেয় ।
★উম্মে আতিয়া রাজিঃ বলেন, আমি নবিজির সঙ্গে সাতটি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছি। যুদ্ধের ময়দানে পিছনের তাবুতে থাকতাম, তাদের জন্য খাবার পাকাতাম ।আহতদের ব্যান্ডেজ বাধতাম। অসুস্থদের শুশ্রূষা করতাম। (মুসলিম)
★ইয়ারমুকের যুদ্ধে ,মুজাহিদের সংখ্যা ছিল মাত্র 30 হাজার। এর বিপরীত কাফেরদের সংখ্যা ছিল 6 থেকে 9 লক্ষ। কয়েক গ্রুপে যুদ্ধ সংঘটিত হল।এক পর্যায়ে কাফের সেনাপ্রধান বাহান এমন আক্রমণ করল যে, মুসলমানগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মুসলমানরা মহিলাদের তাবুর নিকট চলে আসে।
তাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় ও লজ্জা দেওয়ার কারনে , পুনরায় মুসলমানগণ বাহানের সৈন্যদের উপর ঈমানী জজবায় এমন প্রচন্ড আক্রমণ করলেন যে, তাতে তারা পলায়ন করতে বাধ্য হয়।
এ যুদ্ধে যে সকল রমনীগণ অংশ নিয়েছেন তাদের কয়েকজনের নাম
আসমা বিনতে আবুবকর, উম্মেআবান, উম্মে হাকিম, হযরত খাওলা, হিন্দা, হযরত সালমা, হযরত লুবনা।
হে বোন ! আপনি তো জানেন ,আপনাদেরই সন্তান খালেদ বিন অলিদ,
মুহাঃ বিন কাসেম, টিপু সুলতান, সালাহুদ্দিন আয়ুবি। তারাত আপনারই মত মায়ের সন্তান,আপনারই মত বোনের ভাই।
তারা যদি নিজেদের গর্ভে এমন সন্তান ধারণ করে,তাহলে ফিকির করুন, আপনিও তো তাদেরই মত মা, তাদেই মত বোন, তাদেরই মত মেয়ে। তাদের সন্তান বীর-বাহাদুর হলে, আপনার সন্তান হবে না কেন? আপনি কি কোন দিন চিন্তা-ফিকির করেছেন, যদি আল্লাহ তাআলা জিঙ্গাসা করেন? ক্বিতালের প্রায় (288 )আয়াত কেন অন্তরে বসালে না। যদি বসাতে ,তাহলে তুমি প্রস্ততি নিতে। নিজে না হয় ছেলে, স্বামী, ভাই, ভাতিজা ও আত্মীয়-সজনকে তৈরী করতে। মেয়ে, বোন , ভাতিজি, ভাগিনি,ভাইজি প্রয়োজনে নিজেও মুজাহিদা হতে, বা মুজাহিদ ছেলের জন্য তৈরী করতে, তাহলে তারা মুজাহিদের সঙ্গীনি হয়ে দ্বীনের কাজে সহযোগীতা করত। কেন তুমি তা করলে না। ঐসময় কি উওর দিবেন ? প্রস্ততি নিয়েছেন তো?
হে মুজাহিদ ভাই! আপনি কি কখনো আপনার মা,আপনার বোন, ভাতিজি , ভাগিনি, পাড়া পড়শীর মেয়েদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন? যদি তারা আপনার ব্যপারে অভিযোগ করে যে, তারাতো হক্ব, সঠিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ভাবে, সুন্দর করে খোলাখুলি বলেনি। ঐসময় উওর দিতে পারবেন তো?
মানুষ মৃত্যু থেকে বাচার চেষ্টা করে, জাহান্নাম থেকে নয়। অথচ মৃত্যু থেকে বাচা সম্ভব নয়।
তবে ইচ্ছা করলে জাহান্নাম থেকে বাচা যায়।
এ
শেষ সবক এটা হওয়া উচিত
اللهم ازقنا شهادة كاملة في سبيلك
কারণ মৃত্যু থেকে পলায়ন করতে ইচ্ছুক।
তাহলে শুনোন আল্লাহ তাআলা বলেন
فان الموت الذي تفرون منه فانه ملاقيكم.....
Comment