শুরু করছি মহান আল্লাহ তা’আলার নামে, শান্তি বর্ষিত হোক রাসুল্লাল্লাহ (সঃ) এবং উনার পরিবারের সকলের উপর এবং উনার মনোনীত সাহাবা (রাঃ) এর উপর, এবং শান্তি বর্ষিত হোক যারা উনার প্রদর্শিত পথে অনুসরণ করে কেয়ামত পর্যন্ত। আমার প্রিয় ভাই আপনাদের প্রতি আসসালামুয়ালাইকুম। হিন্দুস্থানের মুসলিম, আমরা এবং গজওয়ায়ে হিন্দ এবং কি আমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের বিজ্ঞ এনালিস্টগন মোটামুটি একটা রূপ তুলে ধরেছেন কি হওয়ার সম্ভবনা আছে, সেটা আমরা প্রায় সকলেই জানি। হতে পারে হিন্দুস্তানের একটা বিলাদ মুজাহিদগনের হস্তগত হবে এবং একটা মুসলিম অধ্যুষিত বিলাদ মুশরিকদের দখলে চলে যাবে ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী জানতে পেরেছি, বিজ্ঞজনগণ ধারণা করতেছেন সেটা হতে পারে এই বাংলার জমিন,কি রকম হতে পারে এখানকার ভয়াবহতার রূপ এটাও আমরা প্রায় সকলে জেনেছি। হ্যাঁ আমরা যারা আল্লাহর দ্বীনের জন্য এবং উম্মাহর জন্য হিন্দুস্তানের মুসলিমদের জন্য জিহাদি কাফেলায় শামিল হয়েছি বা শামিল হওয়ার চেষ্টা করতেছি আমরা এটাকে আন্তরিকভাবেই নিয়েছি।
এখন সপ্তাহখানেক ধরে দুইটা ইস্যু নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা নিয়ে চিন্তা করবোঃ
(১) ধর্মীয় নিপীড়িতদের জন্য sanction আর এর কতৃপক্ষ হচ্ছে ট্রাম্প নিজে। বিশ্বের বেশ কয়েকটা দেশ থেকে এসেছে ভিকটিমরা তাদের আর্জি নিয়ে, তারা সবাই নিপীড়িত, আর অনুষ্ঠানটি নিউজ ডেলিকাস্ট হয়েছে। মুসলিমদের থেকে অনেকে গেলেও উম্মাহর সত্যিকারের নির্যাতিতদের থেকেও একটা মেয়েকে দেখা গেছে, মেয়েটা তার সমস্যার কথা তুলে ধরার পর মি.ট্রাম্প মেয়েটিকে জিগ্যেস করে কোন এলাকার, মেয়েটি বলল উইঘুরের, তখন ট্রাম্পের মুখবয়বে একটা অদ্ভুত বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠে। হ্যাঁ এবার আসছি মিস বাংলাদেশ প্রিয়া সাহার দিকে, আপনারা সবাই দেখেছেন পুরো বাঙালি দেখেছে। আপনারা দেখেছেন, আপনারা খেয়াল করবেন, ট্রাম্প প্রিয়ার অভিযোগের অভ্যন্তরে দুইটা শব্দ ব্যাবহার করেছে, একটা ছিল, বাংলাদেশ? প্রিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী পুরো বাংলাদেশ ক্ষিপ্ত, যে যার মত করে ক্ষোভ প্রকাশ করতেছে। “তিন কোটি সত্তর লক্ষ লোক নিখোঁজ”। Wait A minute! ট্রাম্পের কেবল জিজ্ঞাসা ছিল বাংলাদেশ! তার কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না! অথচ কেউ একজন মিডিয়ার সামনে তাকে এক বিশাল বড় অংকের জনগোষ্ঠীর উদাও হয়ে যাওয়ার গল্প বলছে। এবং তার CIA এর ২২০০০ হাজার অফিসিয়াল সক্রিয় গুপ্তচর সারা বিশ্ব ব্যাপী কাজ করতেছে, যারা আমেরিকার স্বার্থের অনুকুলে ছোট থেকে ছোট ঘটনা এবং পরিস্থিতির খবর ওয়াশিংটনে পেশ করতেছে এবং যেসব ঘটনা এবং পরিস্থিতি তারা নিজেরা তৈরি করতেছে সেটাও পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ তার চেহারায় উদ্ভেক জনিত ভাব প্রকাশ পায় নাই। যাদেরকে নিয়ে এই বক্তব্য তাদের মধ্যে অনেক বিশাল আকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। সবাই ক্ষিপ্ত হলেও আমি কিন্তু ক্ষিপ্ত হতে পারতেছি না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে মহিলা মিথ্যা বলছে না আর না হয় এই কথাটাকে সত্য বানাবো হবে। আমি কিন্তু সাথে সাথে ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না। ঘটনার যুক্তিযুক্ত কোন মিল নাই সবাই হয়ত বুঝতে পেরেছে। দেশের বড় বড় বেশ কয়েকজন মন্ত্রি ঘোষণা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে, তাদের এই ঘোষণাগুলো অথেনটিকই মনে হচ্ছিলো, সবাই দেখেছেন। সবাই যেভাবে এই ঘটনাকে নিচ্ছে এমনকি আমাদের হামখেয়াল যারা আছেন তারাও, কিন্তু আমার মন বলছে ভিন্ন কিছু। তারপর তো জট সে মহিলা দুই দিন পরেই নিজেই খুলে দিল, এক সাংবাদিকের সাথে ভিডিও কলে। তার বক্তব্যের জবাব সে এই ভিডিওতে দিয়েছে। (ভিডিও লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=eg-GOwgT05k)। যদিও সে রোষানল থেকে বাচার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফিরিস্তি টানল। দেখুন তার বক্তব্য ফেলে দেয়ার নয়। দেখেন সে তার ইনভাইটেশান কিভাবে পেয়েছে সেটা বলছে, সেটা থেকে কি আঁচ করা যাচ্ছে। কাদের মাধ্যমে সে এখানে এসেছে। এবং দেখেন এই ছবিতে তাকে দেখা যাচ্ছে ইসরাইল বাহরাইন Foreign Minister দের ১৭ জুলাইয়ের বৈঠকে তাকে দেখা যাচ্ছে; মানে ঘটনার দুই এক দিন আগে। নিউজ লিঙ্কঃhttps://www.timesofisrael.com/israel...rkF5oLmXUd6DS4
শাড়ি পড়া মহিলা। তার বক্তব্যের জবাবে সে বলছে, দেখেন বিষয়গুলো আপনারাও জানেন; বাংলাদেশের যেই পরিসংখ্যান বই রয়েছে, দেশ ভাগের সময় দেশের হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭% আর এখনকার দেশের সংখ্যালঘুর জনসংখ্যা হচ্ছে ৯.৭ ভাগ। বাকী ভিডিও টা সবাইকে দেখার অনুরোধ রইল।
এখন হ্যাঁ আপনারা হয়ত বলবেন এর পেছনে যে একটা চক্রান্ত লুকিয়ে সেটাতো সবাই বলছে। আল্লাহ মাফ করবেন, আল্লাহ ভাল জানেন, যে যেধরনের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে সবকিছুই আল্লাহ সঠিক জানেন। এখন আমার মনে যে আশংকার উদ্ভয় ঘটেছে তা আমি তুলে ধরবো। দেখুন আমি আগে বলেছিলাম সে হয়ত মিথ্যা বলে নাই, পরিসংখ্যান বই অনুযায়ী তাগুত সেটাকে সত্যে প্রমানিত করবে। এটা অমূলক নয়। সাংবাদিক তাকে বার বার জিগ্যেস করছে তাহলে এই লোকগুলো গেল কোথায় সে সেটার সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। এখন দেখুন ঘটনার যোগসাজেস, হিন্দুবাদি মানে ইন্ডিয়া তারপর ইসরাইল তারপর আমেরিকা।
এবার আমাদের সবার আশংকার ব্যাপারে আসি, তাগুত, মুশরিক এবং কাফের আমাদের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। সবসময় একটা চিন্তা আমার মধ্যে গুরপাক খেত, হ্যাঁ একদিন না একদিন তারা আমাদের সকলকে শেষ করে দেয়ার জন্য সরাসরি কার্যক্রম শুরু করে দেবে। কিন্তু সেটা কিভাবে, আমাকে তাড়া করে ফেরে সবসময়। যখন আমি নিজেকে জাতীয়তাবাদী একজন বাংলাদেশী দেশপ্রেমীদের কাতারে দাড় করাই তখন দেখি সব তো ঠিক আছে, আমরা তো তাগুতের চাওয়া অনুযায়ী প্রায় সব কিছু মেনে নিচ্ছি, তাহলে তারা আমাদের সমূলে শেষ করে দিতে চাইবে কেন। বাস্তবতা হচ্ছে তারা এটা হয়ত অবশ্যই করবে। কিন্তু শুরুটার একটা অফিসিয়াল শুরু কিভাবে হবে। কারণ তারা চাইলে কোন কওমের উপর সরাসরি আঘাত হানা শুরু করবে না।
হ্যাঁ আমার ইরাকের কথা মনে পড়ে গেল, আপনারা জানেন ইরাকের উপর হামলার জন্য CIA ফাঁস হয়ে যাওয়া সে নাটকের কথা, তারা অফিসিয়ালি ইরাকের উপর হামলার জন্য যে মিথ্যা নাটক খাড়া করেছিল। এখন আমার মনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে আশংকা উদয় হয়েছে, ইরাকের ব্যাপারে অফিসিয়াল অনুমোদন মিথ্যে নাটক দিয়ে তৈরি হলেও। এই ঘটনাটা দেখুন, পরিসংখ্যান বই অনুযায়ী অনেকটা সত্য। কিন্তু মূল সত্য তারা প্রকাশ না করলেও তারাও জানে আমরা সকলেও জানি দেশ বিভাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধীরে ধীরে অনেক হিন্দু এই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমার ব্যক্তিগত একটা জরীপ ছিল অনেক আগে থেকে অনেক জেলায়, আমি দেখেছি এই মালায়নরা কেমন খারাপ দেখুন, এরা তার এলাকার মুসলিমদের কাছে তুলনা মূলক কম দামে কয়েক জনের কাছে বিক্রি করত কয়েকবার, তার মানে দেখা যেত এক জমি তিন জনের কাছে বিক্রি করতো। পরে দেখা যেত ঐ তিন জনের মধ্যে ক্রোন্দল তৈরি হত। এই রকম বহু ঘটনা হয়েছে। আচ্ছা যাক, এই যে লোকগুলো ত্যাগ করতেছে একদেশ থেকে অন্য দেশে, চলে যাওয়ার সময় এগুলোর কোন সরকারী ডকুমেন্ট বা নথিপত্র করা হয় না। এই জন্য এর কোন সঠিক দলিল প্রমান থাকে না। (Disappear) এই জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই শব্দটাকে তুলে ধরেছে। যদিও পরিমানটা এত বড় অংকের নয়, কিন্তু তারা একটা হিসেব নিকেশ করেই এই পরিমাণটা দাড় করিয়েছে, আপনারা দেখেছেন সে পরিমাণটা অবলীলায় বলেছে। আপনাদের হয়ত মনে আছে মোদী প্রথম ক্ষমতায় আসাকালিন একটা ঘোষণা দিয়ে ছিল বাংলাদেশের অর্ধেক জায়গা ইন্ডিয়ার। এই হিসেবটা ঢাকার অফিসে না থাকলেও দিল্লীর অফিসে ঠিকই আছে। যখন তারা তাদের final execution শুরু করবে, তখন হয়ত তারা এই কারণটা দ্রষ্টাবে। আল্লাহ ভাল জানেন, এটা আমার মনে পরিস্থিতির কারনে উত্থিত হয়েছে মাত্র। আপনারা কি মনে করতেছেন জানিনা। যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের শায়েখ তামিম আদনানি ভাইয়ের কথা সঠিক, কাফের তাদের তলোয়ারের ধার দিচ্ছে। ইয়া রব, আমাদের সাহায্য প্রদান করুন, ইয়া রব, আমাদের আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রস্তুত হওয়ার শক্তি দান করুন।
(২) গত সপ্তাহের পরিস্থিতি দুই, গুজব। আসলেই কি গুজব! সব ধরনের গুজবের প্রোপাগান্ডাই আমরা দেখলাম। এটা কি এমনেই কেউ একজন বলে ফেলেছে বা করে ফেলেছে তারপর থেকেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে! নাকি some shadows behind this !
আমি ভাবতেছিলাম এটা কেউ না কেউ তো এমন কিছু করাতে চাচ্ছে আর বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলোর সাথে কোন মিল নাই। এটা এমন যে আপনারাও হয়ত বুঝতে পেরেছেন হুজুগে বাঙ্গালীর কারনে নয়, আমি অনেক জাতিকে দেখেছি, হুজুগ সব জাতির মধ্যে আছে এবং একচেটিয়া সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর দোষও নাই, বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলোর দ্বারা বুঝা যায়।
বাসে করে দূর এক এলাকা থেকে ফিরতেছিলাম, পাশের সিটে একটা বাচ্চার দিকে তাকালাম, সবাই আদরের দৃষ্টিতে বাচ্চাদের সাথে কথা বলে, আমিও সেই বাচ্চার সাথে আদর করে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। বাচ্চার মায়ের দিকে চোখ পড়তেই আমার মধ্যে একটা আড়ষ্টতা কাজ করল। আমি আর তাকাই নাই, পাচে মহিলা কি মনে করে। এটা একটা আতঙ্ক। এটা নিয়ে ভাবতেছিলাম, জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি, হঠাত মনে হল এই এলাকা হচ্ছে অপরিচিত এলাকা আমি যদি এখানে কোন ছোট ক্রন্দনরত অবস্থায় একা একটা বাচ্চা দেখি, আমার মন আমাকে বাধ্য করবে তার সাহায্যে এগিয়ে যেতে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই মুহূর্তে যা হচ্ছে আপনারা জানেন এটা খুবই কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ভাইরাল হতে লাগল, কোথাও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে সাথে সাথে ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। মোবাইলগুলোতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মেসেজ আসতেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন। আতংক তৈরির বড় সড় ইঞ্জেকশান!। কিন্তু এই আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি? এটা কোথায় নিয়ে যাবে, আপাতত আমরা তো এতটুকু বুঝতে পারছি আমরা কিছুটা জিম্মি হয়ে গেছি। এটা কি একটা বিশেষ ক্ষেত্র তৈরির পদ্ধতি নয়তো সবাইকে যার যার ঘরে জিম্মি করার! সব ধরনের কন্ট্রোল পুলিশ প্রাশাসনের করায়ত্ত করানো হচ্ছে। হয়ত এমন পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চাইবে আপনার পাশের ঘরে বা বাড়িতে কি হবে আপনি খোঁজ নেয়ারও সাহস পাবেন না। আল্লাহ আলম, আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন। আমি বলছি না এটা এমন হবে, কিন্তু কেন যেন আমার মনে উদয় হচ্ছে, আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। তাই ইচ্ছে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
তবে সত্য হচ্ছে তারা সব কিছুর প্রস্তুতির গ্রহন করতেছে, তাই আবারো শায়েখ তামিম ভাইয়ের কথা অনুযায়ী বলব তারা তাদের তলোয়ারের শান দেয়া শেষ করতেছে।
এখন সপ্তাহখানেক ধরে দুইটা ইস্যু নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা নিয়ে চিন্তা করবোঃ
(১) ধর্মীয় নিপীড়িতদের জন্য sanction আর এর কতৃপক্ষ হচ্ছে ট্রাম্প নিজে। বিশ্বের বেশ কয়েকটা দেশ থেকে এসেছে ভিকটিমরা তাদের আর্জি নিয়ে, তারা সবাই নিপীড়িত, আর অনুষ্ঠানটি নিউজ ডেলিকাস্ট হয়েছে। মুসলিমদের থেকে অনেকে গেলেও উম্মাহর সত্যিকারের নির্যাতিতদের থেকেও একটা মেয়েকে দেখা গেছে, মেয়েটা তার সমস্যার কথা তুলে ধরার পর মি.ট্রাম্প মেয়েটিকে জিগ্যেস করে কোন এলাকার, মেয়েটি বলল উইঘুরের, তখন ট্রাম্পের মুখবয়বে একটা অদ্ভুত বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠে। হ্যাঁ এবার আসছি মিস বাংলাদেশ প্রিয়া সাহার দিকে, আপনারা সবাই দেখেছেন পুরো বাঙালি দেখেছে। আপনারা দেখেছেন, আপনারা খেয়াল করবেন, ট্রাম্প প্রিয়ার অভিযোগের অভ্যন্তরে দুইটা শব্দ ব্যাবহার করেছে, একটা ছিল, বাংলাদেশ? প্রিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী পুরো বাংলাদেশ ক্ষিপ্ত, যে যার মত করে ক্ষোভ প্রকাশ করতেছে। “তিন কোটি সত্তর লক্ষ লোক নিখোঁজ”। Wait A minute! ট্রাম্পের কেবল জিজ্ঞাসা ছিল বাংলাদেশ! তার কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না! অথচ কেউ একজন মিডিয়ার সামনে তাকে এক বিশাল বড় অংকের জনগোষ্ঠীর উদাও হয়ে যাওয়ার গল্প বলছে। এবং তার CIA এর ২২০০০ হাজার অফিসিয়াল সক্রিয় গুপ্তচর সারা বিশ্ব ব্যাপী কাজ করতেছে, যারা আমেরিকার স্বার্থের অনুকুলে ছোট থেকে ছোট ঘটনা এবং পরিস্থিতির খবর ওয়াশিংটনে পেশ করতেছে এবং যেসব ঘটনা এবং পরিস্থিতি তারা নিজেরা তৈরি করতেছে সেটাও পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ তার চেহারায় উদ্ভেক জনিত ভাব প্রকাশ পায় নাই। যাদেরকে নিয়ে এই বক্তব্য তাদের মধ্যে অনেক বিশাল আকারের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। সবাই ক্ষিপ্ত হলেও আমি কিন্তু ক্ষিপ্ত হতে পারতেছি না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে মহিলা মিথ্যা বলছে না আর না হয় এই কথাটাকে সত্য বানাবো হবে। আমি কিন্তু সাথে সাথে ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না। ঘটনার যুক্তিযুক্ত কোন মিল নাই সবাই হয়ত বুঝতে পেরেছে। দেশের বড় বড় বেশ কয়েকজন মন্ত্রি ঘোষণা দিয়েছে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে, তাদের এই ঘোষণাগুলো অথেনটিকই মনে হচ্ছিলো, সবাই দেখেছেন। সবাই যেভাবে এই ঘটনাকে নিচ্ছে এমনকি আমাদের হামখেয়াল যারা আছেন তারাও, কিন্তু আমার মন বলছে ভিন্ন কিছু। তারপর তো জট সে মহিলা দুই দিন পরেই নিজেই খুলে দিল, এক সাংবাদিকের সাথে ভিডিও কলে। তার বক্তব্যের জবাব সে এই ভিডিওতে দিয়েছে। (ভিডিও লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=eg-GOwgT05k)। যদিও সে রোষানল থেকে বাচার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফিরিস্তি টানল। দেখুন তার বক্তব্য ফেলে দেয়ার নয়। দেখেন সে তার ইনভাইটেশান কিভাবে পেয়েছে সেটা বলছে, সেটা থেকে কি আঁচ করা যাচ্ছে। কাদের মাধ্যমে সে এখানে এসেছে। এবং দেখেন এই ছবিতে তাকে দেখা যাচ্ছে ইসরাইল বাহরাইন Foreign Minister দের ১৭ জুলাইয়ের বৈঠকে তাকে দেখা যাচ্ছে; মানে ঘটনার দুই এক দিন আগে। নিউজ লিঙ্কঃhttps://www.timesofisrael.com/israel...rkF5oLmXUd6DS4
শাড়ি পড়া মহিলা। তার বক্তব্যের জবাবে সে বলছে, দেখেন বিষয়গুলো আপনারাও জানেন; বাংলাদেশের যেই পরিসংখ্যান বই রয়েছে, দেশ ভাগের সময় দেশের হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২৯.৭% আর এখনকার দেশের সংখ্যালঘুর জনসংখ্যা হচ্ছে ৯.৭ ভাগ। বাকী ভিডিও টা সবাইকে দেখার অনুরোধ রইল।
এখন হ্যাঁ আপনারা হয়ত বলবেন এর পেছনে যে একটা চক্রান্ত লুকিয়ে সেটাতো সবাই বলছে। আল্লাহ মাফ করবেন, আল্লাহ ভাল জানেন, যে যেধরনের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে সবকিছুই আল্লাহ সঠিক জানেন। এখন আমার মনে যে আশংকার উদ্ভয় ঘটেছে তা আমি তুলে ধরবো। দেখুন আমি আগে বলেছিলাম সে হয়ত মিথ্যা বলে নাই, পরিসংখ্যান বই অনুযায়ী তাগুত সেটাকে সত্যে প্রমানিত করবে। এটা অমূলক নয়। সাংবাদিক তাকে বার বার জিগ্যেস করছে তাহলে এই লোকগুলো গেল কোথায় সে সেটার সঠিক উত্তর দিচ্ছে না। এখন দেখুন ঘটনার যোগসাজেস, হিন্দুবাদি মানে ইন্ডিয়া তারপর ইসরাইল তারপর আমেরিকা।
এবার আমাদের সবার আশংকার ব্যাপারে আসি, তাগুত, মুশরিক এবং কাফের আমাদের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। সবসময় একটা চিন্তা আমার মধ্যে গুরপাক খেত, হ্যাঁ একদিন না একদিন তারা আমাদের সকলকে শেষ করে দেয়ার জন্য সরাসরি কার্যক্রম শুরু করে দেবে। কিন্তু সেটা কিভাবে, আমাকে তাড়া করে ফেরে সবসময়। যখন আমি নিজেকে জাতীয়তাবাদী একজন বাংলাদেশী দেশপ্রেমীদের কাতারে দাড় করাই তখন দেখি সব তো ঠিক আছে, আমরা তো তাগুতের চাওয়া অনুযায়ী প্রায় সব কিছু মেনে নিচ্ছি, তাহলে তারা আমাদের সমূলে শেষ করে দিতে চাইবে কেন। বাস্তবতা হচ্ছে তারা এটা হয়ত অবশ্যই করবে। কিন্তু শুরুটার একটা অফিসিয়াল শুরু কিভাবে হবে। কারণ তারা চাইলে কোন কওমের উপর সরাসরি আঘাত হানা শুরু করবে না।
হ্যাঁ আমার ইরাকের কথা মনে পড়ে গেল, আপনারা জানেন ইরাকের উপর হামলার জন্য CIA ফাঁস হয়ে যাওয়া সে নাটকের কথা, তারা অফিসিয়ালি ইরাকের উপর হামলার জন্য যে মিথ্যা নাটক খাড়া করেছিল। এখন আমার মনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে আশংকা উদয় হয়েছে, ইরাকের ব্যাপারে অফিসিয়াল অনুমোদন মিথ্যে নাটক দিয়ে তৈরি হলেও। এই ঘটনাটা দেখুন, পরিসংখ্যান বই অনুযায়ী অনেকটা সত্য। কিন্তু মূল সত্য তারা প্রকাশ না করলেও তারাও জানে আমরা সকলেও জানি দেশ বিভাগের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ধীরে ধীরে অনেক হিন্দু এই দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমার ব্যক্তিগত একটা জরীপ ছিল অনেক আগে থেকে অনেক জেলায়, আমি দেখেছি এই মালায়নরা কেমন খারাপ দেখুন, এরা তার এলাকার মুসলিমদের কাছে তুলনা মূলক কম দামে কয়েক জনের কাছে বিক্রি করত কয়েকবার, তার মানে দেখা যেত এক জমি তিন জনের কাছে বিক্রি করতো। পরে দেখা যেত ঐ তিন জনের মধ্যে ক্রোন্দল তৈরি হত। এই রকম বহু ঘটনা হয়েছে। আচ্ছা যাক, এই যে লোকগুলো ত্যাগ করতেছে একদেশ থেকে অন্য দেশে, চলে যাওয়ার সময় এগুলোর কোন সরকারী ডকুমেন্ট বা নথিপত্র করা হয় না। এই জন্য এর কোন সঠিক দলিল প্রমান থাকে না। (Disappear) এই জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই শব্দটাকে তুলে ধরেছে। যদিও পরিমানটা এত বড় অংকের নয়, কিন্তু তারা একটা হিসেব নিকেশ করেই এই পরিমাণটা দাড় করিয়েছে, আপনারা দেখেছেন সে পরিমাণটা অবলীলায় বলেছে। আপনাদের হয়ত মনে আছে মোদী প্রথম ক্ষমতায় আসাকালিন একটা ঘোষণা দিয়ে ছিল বাংলাদেশের অর্ধেক জায়গা ইন্ডিয়ার। এই হিসেবটা ঢাকার অফিসে না থাকলেও দিল্লীর অফিসে ঠিকই আছে। যখন তারা তাদের final execution শুরু করবে, তখন হয়ত তারা এই কারণটা দ্রষ্টাবে। আল্লাহ ভাল জানেন, এটা আমার মনে পরিস্থিতির কারনে উত্থিত হয়েছে মাত্র। আপনারা কি মনে করতেছেন জানিনা। যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের শায়েখ তামিম আদনানি ভাইয়ের কথা সঠিক, কাফের তাদের তলোয়ারের ধার দিচ্ছে। ইয়া রব, আমাদের সাহায্য প্রদান করুন, ইয়া রব, আমাদের আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী প্রস্তুত হওয়ার শক্তি দান করুন।
(২) গত সপ্তাহের পরিস্থিতি দুই, গুজব। আসলেই কি গুজব! সব ধরনের গুজবের প্রোপাগান্ডাই আমরা দেখলাম। এটা কি এমনেই কেউ একজন বলে ফেলেছে বা করে ফেলেছে তারপর থেকেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে! নাকি some shadows behind this !
আমি ভাবতেছিলাম এটা কেউ না কেউ তো এমন কিছু করাতে চাচ্ছে আর বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলোর সাথে কোন মিল নাই। এটা এমন যে আপনারাও হয়ত বুঝতে পেরেছেন হুজুগে বাঙ্গালীর কারনে নয়, আমি অনেক জাতিকে দেখেছি, হুজুগ সব জাতির মধ্যে আছে এবং একচেটিয়া সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর দোষও নাই, বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলোর দ্বারা বুঝা যায়।
বাসে করে দূর এক এলাকা থেকে ফিরতেছিলাম, পাশের সিটে একটা বাচ্চার দিকে তাকালাম, সবাই আদরের দৃষ্টিতে বাচ্চাদের সাথে কথা বলে, আমিও সেই বাচ্চার সাথে আদর করে কথা বলতে যাচ্ছিলাম। বাচ্চার মায়ের দিকে চোখ পড়তেই আমার মধ্যে একটা আড়ষ্টতা কাজ করল। আমি আর তাকাই নাই, পাচে মহিলা কি মনে করে। এটা একটা আতঙ্ক। এটা নিয়ে ভাবতেছিলাম, জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি, হঠাত মনে হল এই এলাকা হচ্ছে অপরিচিত এলাকা আমি যদি এখানে কোন ছোট ক্রন্দনরত অবস্থায় একা একটা বাচ্চা দেখি, আমার মন আমাকে বাধ্য করবে তার সাহায্যে এগিয়ে যেতে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই মুহূর্তে যা হচ্ছে আপনারা জানেন এটা খুবই কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ভাইরাল হতে লাগল, কোথাও এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে সাথে সাথে ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। মোবাইলগুলোতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মেসেজ আসতেছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ৯৯৯ নাম্বারে কল করুন। আতংক তৈরির বড় সড় ইঞ্জেকশান!। কিন্তু এই আতংক সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি? এটা কোথায় নিয়ে যাবে, আপাতত আমরা তো এতটুকু বুঝতে পারছি আমরা কিছুটা জিম্মি হয়ে গেছি। এটা কি একটা বিশেষ ক্ষেত্র তৈরির পদ্ধতি নয়তো সবাইকে যার যার ঘরে জিম্মি করার! সব ধরনের কন্ট্রোল পুলিশ প্রাশাসনের করায়ত্ত করানো হচ্ছে। হয়ত এমন পরিস্থিতি তারা তৈরি করতে চাইবে আপনার পাশের ঘরে বা বাড়িতে কি হবে আপনি খোঁজ নেয়ারও সাহস পাবেন না। আল্লাহ আলম, আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন। আমি বলছি না এটা এমন হবে, কিন্তু কেন যেন আমার মনে উদয় হচ্ছে, আল্লাহ আমাকে মাফ করুন। তাই ইচ্ছে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
তবে সত্য হচ্ছে তারা সব কিছুর প্রস্তুতির গ্রহন করতেছে, তাই আবারো শায়েখ তামিম ভাইয়ের কথা অনুযায়ী বলব তারা তাদের তলোয়ারের শান দেয়া শেষ করতেছে।
কিন্তু বলব, আমরা কি প্রস্তুত এবং কতটুকু প্রস্তুত ?
Comment