মারকাযুদ দাওয়াহ সত্যের মাপকাঠি না
একজন ব্যক্তি, একটি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অনেক বড় অবদান থাকতে পারে, সেটাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই এবং সেটার মূল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা অনুচিত।
সম্প্রতি আমার এ খেয়ালটা এসেছে পথভ্রষ্ট চরমোনাই পীরের ব্যাপারে মারকাজুদ দাওয়াহ'র নীরব ভূমিকা দেখে। উস্তাযুল আসাতিযা আব্দুল মালেক সাহেব হাফিজাহুল্লাহ জিহাদের উপর চমৎকার একটি ভূমিকা লিখেছেন। মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে কিংবদন্তি মুজাহিদ আলম আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি'র "কিতাবুল জিহাদ" -এর অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এলমি এ কাজগুলো তারা করেছেন এবং যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন।অথচ একই বিষয়ে চরমোনাই পীরের কুফুরীর পর্যায়ের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির ব্যাপারে সেভাবে কিছু বলেননি। জানিনা কোন সীমাবদ্ধতার কারণে তারা এমনটি করেছেন? তবে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা সত্যের মাপকাঠি হতে পারেন না।
বস্তুত এই যুগে এবং সব যুগেই পুরোপুরি হক্বের ওপর তারাই, যারা "তায়িফায়ে মানসূরাহ" বা সাহায্যপ্রাপ্ত দলভুক্ত। আরে দলের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে হাদীসে এসেছে যে, তারা সশস্ত্র সংগ্রামে নিয়োজিত থাকবেন।
আর তাবলীগের সাধারণ এবং আলেম ভাইদের কথা আর কি বলব? ধরতে গেলে প্রতিটা মজলিসেই জিহাদের ফজিলতগুলোকে তাদের কাজের উপর প্রয়োগ করা হয় এবং কোন প্রকার রাখঢাক ছাড়াই। একটা সময় ছিল আলেমদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলছেন, সাধারণ মানুষদের দ্বারা ভুল হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আমরা যারা আলেম আছি, আমরা সেগুলো শুধরে দেবো।
আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি যে, সাঈদ আহমদ পালনপুরী সাহেব এবং আব্দুল মালেক সাহেবের মত আলেমদের ওয়াজাহাত সত্ত্বেও আজ খোদ আলেমদের দ্বারাই জিহাদের আয়াত ও ফজিলত সংবলিত হাদীসগুলোর অপপ্রয়োগ চলছে ব্যাপকহারে।
আসলে এগুলো কোন ফিতনা না। এগুলো সংশোধনের আওয়াজ উঠালে সেটা হয়ে যায় ফেতনা। আর তখন মারকাযুদ দাওয়াহ্ ফুযালাদের অনুষ্ঠানে সে ফেতনা মোকাবেলার জন্য ওয়াজাহাতি বয়ান পেশ করে।
একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অসম্পূর্ণতা থাকাটা দোষনীয় না। কিন্তু সেটা স্বীকার করার মানসিকতার কথা সকলকে বলা বড় একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে মারকাজের দায়িত্ব।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন! আমীন!!
Comment