Announcement

Collapse
No announcement yet.

দিল্লীবাসী এক বাংলাভাষী মুসলিমের নসীহত, বাংলাদেশের ধ্বংসোন্মুখ মুসলমানদের উদ্দেশ্

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দিল্লীবাসী এক বাংলাভাষী মুসলিমের নসীহত, বাংলাদেশের ধ্বংসোন্মুখ মুসলমানদের উদ্দেশ্




    দিল্লীবাসী এক বাংলাভাষী মুসলিমের নসীহত, বাংলাদেশের ধ্বংসোন্মুখ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে !
    =================

    (১)
    দিল্লী জ্বলছে। সেই দিল্লী, যা হাজার বছর ধরে মুসলিম শাসকদের রাজধানী ছিল, ছিল গোটা উপমহাদেশের শিক্ষা-সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু। ৪৭ এর ভারত রাষ্ট্র গঠনের পর এই দিল্লী হিন্দু অধ্যুষিত শহরে পরিণত হলো। যেই মুসলমানরা হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় এই শহরে বাস করত, যারা কবি আমীর খসরু-হাফিজের কাব্যের ধারকবাহক ছিল, শাহজাহান-আলমগীরের দরবারের সভাসদদের বংশধর যারা, তারা বিতাড়িত হলো তাদের গড়া ঐতিহ্য থেকে। তাদেরকে প্রতিস্থাপিত করা হয় পাঞ্জাবি শিখ ও হিন্দুদের দিয়ে। এ নিয়ে লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পেলের এই বিখ্যাত বই রয়েছে “দিল্লী: সিটি অফ জ্বিনস” নামে।

    বইটির লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পল থাকত দিল্লীতে। গবেষণা করতে করতে সে খুঁজে পায় যে, বর্তমানে দিল্লীতে যারা হিন্দু ও শিখ বাসিন্দা রয়েছে, তারা কেউ এই শহরটির আদি বাসিন্দা নয়। তারা হলো দখলদার, মূলত বাসিন্দা যারা মুসলমান, তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে।

    এদের মধ্যে ছিল ব্রিটিশ আমলের ইংরেজি ভাষার অন্যতম ঔপন্যাসিক আহমদ আলী, যার ‘টুইলাইট ইন দিল্লী’ বইটির ভূমিকা লিখে দিয়েছিল তৎকালীন প্রখ্যাত লেখক ই এম ফরস্টার। আহমদ আলীকে দেশভাগের পর হিন্দুরা দিল্লীতে থাকতে দেয়নি, কারণ তারা এই মুসলিম ঐতিহ্যবাহী শহরটিকে পরিণত করতে চেয়েছিল একটি আগাগোড়া হিন্দু শহরে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোনো মুসলিম বুদ্ধিজীবী শহরটিতে থাকলে যে শহরটির হিন্দুকরণ কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হবে, বিষয়টি সহজেই বোঝা যায়।

    আহমদ আলীর খোঁজে লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পেল ছুঁটে যায় করাচিতে, সেই করাচির ঘটনা একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে “দিল্লী: সিটি অফ জ্বিনস” বইটির মাঝে। সেখানে একটি কথোপকথন এরকম যে-

    “ওরা কি স্কুলে এখনো গালিবের কবিতা পড়ায়? নাকি শুধু কালিদাস আর রামায়ণ পড়ানো হয়।

    পরে শানুল হক ধীরে গাড়ি চালিয়ে করাচির রাস্তা দিয়ে আমাকে নিয়ে যায়। সে আমাকে অনেক দোকান দেখায়, যেগুলো একসময় দিল্লীর রাস্তার পাশে ছিল। কনট প্লেসের ইংলিশ বুট হাউজ, চাঁদনী চকের বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রেতা আবদুল খালিকের দোকান, দিল্লী জুমা মসজিদের সিঁড়ির পাশের কাবাবওয়ালা নিহারির দোকান। সে আমার কাছে ব্যাখা করে যে, কীভাবে করাচির অমুক-অমুক এলাকা এখনো সুনির্দিষ্ট বাগবিধি, কুর্তা-পাজামার বিশেষ চমৎকার বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করে, যা দিল্লির অমুক অমুক এলাকায় ব্যবহৃত হতো।”

    (২)

    দিল্লীর বর্তমান যে মুসলিম জনগোষ্ঠী, তা সাতচল্লিশের দাঙ্গার পর অবশিষ্ট কঙ্কালের ন্যায়, যেই কঙ্কালটির চিহ্নও আজ রাখতে চাইছে না দিল্লীর সেই দখলদার হিন্দুদের বংশধরেরা। শুধু দিল্লী নয়, হায়দারাবাদ, ভোপাল, লখনৌ, এলাহাবাদ, এগুলোর মুসলিম চরিত্র তারা সমূল উৎপাটন করেছে।

    এই কথাগুলো বলার কারণ, বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে দেখা যায় হিন্দুরা লজ্জা দিচ্ছে, যে তারা নাকি হিন্দুদের জমি কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস জ্ঞানবর্জিত মুসলমানরা তা শুনে অনুতপ্ত হয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধুতিপরা লেখক-কবিদের এনে উচ্চাসনে বসায়, সভা সেমিনার করে দেশবিভাগের বিরোধিতা করে। অথচ আহমদ আলীকে কখনোই দিল্লীতে ডাকা হয়নি। দিল্লীর মুঘলদের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম অভিজাত শ্রেণীটিকে বিতাড়ন করা নিয়ে, দিল্লীর হাজার বছরের ঐতিহ্য মুছে দেয়া নিয়ে হিন্দুরা কখনোই অনুতপ্ত হওয়া তো দূরের কথা, বরং গর্ব প্রকাশ করে সবসময়।

    আসলে বাংলাদেশের ইতিহাস জ্ঞানবর্জিত মুসলমানরা এটাও জানে না যে, তারা হিন্দুদেরটা কেড়ে নেয়নি, বরং হিন্দুরাই তাদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিয়েছিল দেশবিভাগের সময়ে। দেশবিভাগের সময়ে পাঞ্জাব অঞ্চলে মুসলমানদের কিছু দাবি মানা হলেও বাংলাভাগের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ হিন্দু তথা কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী কাজ হয়েছিল, যাদের মূল কথা ছিল বাংলঅর সমস্ত অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পশ্চিমবঙ্গেই থাকতে হবে। জয়া চ্যাটার্জির ‘দেশভাগের অর্জন’ বইটিতে রয়েছে, কংগ্রেস ও র্যা ডক্লিফের বাংলা ভাগের পরিকল্পনা ছিল একে অপরের ‘যমজ’। হিন্দুরা খুঁটে খুঁটে সব গুরুত্বপূর্ণ নদী, শহর, বন্দর পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় জিন্নাহ কিন্তু বাংলাদেশকে পাকিস্তানে নিতে চায়নি, বাঙালি নেতারাই অনুরোধ করে এই ভূখণ্ডকে পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত করেছিল।

    ভারতীয় মুসলমান হিসেবে বাংলাদেশের মুসলমানদের নিকট আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের হিন্দুরা কি বাংলাদেশকে দিল্লীর মতো একটি শহর দিতে পেরেছে? তাজমহল দিতে পেরেছে? ঢাবি দিতে পেরেছে? বুয়েট দিতে পেরেছে? পাটকলগুলো দিতে পেরেছে? হিন্দুরা বাংলাদেশকে কিছুই দিতে পারেনি, দৌলতদিয়া-কান্দাপাড়ার মতো কিছু পতিতালয় বাদে।

    পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা বাংলাদেশে এসে গোয়ালভরা গরু-ছাগল কেড়ে নেয়ার গল্প করে, আর টয়োটা গাড়ি চড়া বাংলাদেশী মুসলমানরা তা শুনেই অনুতাপে নতমস্তক হয়। শোনো বাংলাদেশী মুসলমানরা, এদেশের হিন্দুরা দিল্লী কেড়ে নিয়েছে, হায়দারাবাদ কেড়ে নিয়েছে, তারা কিন্তু কখনো তোমাদের মতো এতো লজ্জা পায়নি, নতমস্তক হয়নি।

    (৩)

    এই নতমস্তকই বাঙালি মুসলমানকে আস্তে আস্তে পরাধীনতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। হিন্দুরা তো দেখছে ভালোই তো! আমরা বাঙাল মোছলাদেরকে সাতচল্লিশে না খাইয়ে মারতে চেয়েছিলাম, নগর-বন্দর সব নিজের পাতে টেনেছিলাম। ভেবেছিলাম, মোছলাগুলো বোধহয় টিকবে না। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গই দুর্দশাগ্রস্ত, তাই বাংলাদেশে গিয়ে জমিদারীর দাবি করছি আর বলছি তাদের পাকিস্তান আর বাংলাদেশ আমলের সব অর্জন- কলকারখানা সবকিছু প্যাকেট করে দিতে, আর মোছলারাও নতমস্তকে সব মেনে নিচ্ছে। এরকম ভেড়ুয়া জাতি আর কোথায় পাওয়া যাবে মশাই?

    আমাদের হিন্দুদের সবচেয়ে বড় অর্জন, যবনদেরকে তাদের সঠিক ইতিহাস জানতে না দেয়া। তারা যেহেতু তাদের শৈশবের ইতিহাস জানে না, জানে না যে তার জন্মলগ্নে আমরাই তাকে মারতে চেয়েছিলাম, তাই তাদেরকে কখনো জানতেও দিও না। সর্বদা অসাম্প্রদায়িকতার মিষ্টি কথায় তাদেরকে ভুলিয়ে রেখো। অসাম্প্রদায়িকতার আফিমে মজিয়ে রেখে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে দিও না যে, আমরা হিন্দুদের কোনো অধিকারই যে এই ভূখণ্ডে নেই। বুঝলেই আমাদের জমিদারীর সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে যাবে।


    (সংগৃহিত)
    আনসারকে ভালোবাসা ঈমানের অংশ।
    নিজে আনসার হব, অন্যকে আনসার বানানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

  • #2
    খবরেও দেখলাম মার খেয়ে দিল্লির মুসলিমরা বলছে অসাম্প্রদায়িকতার কথা। হায়রে মুসলিম, ধোকা দিচ্ছে অথচ তুমি অন্য কিছু বুঝতেছ। তোমার মসজিদ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারপরও তুমি বলছ মিলেমিশে থাকার কথা। তুমিকি এই হাদিসটি কখনো ধোননি????
    انا بریٸ ممن سکن مع المشرکین
    والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

    Comment


    • #3
      Originally posted by Abo Khaled View Post
      বইটির লেখক উইলিয়াম ড্যালরিম্পল থাকত দিল্লীতে। গবেষণা করতে করতে সে খুঁজে পায় যে, বর্তমানে দিল্লীতে যারা হিন্দু ও শিখ বাসিন্দা রয়েছে, তারা কেউ এই শহরটির আদি বাসিন্দা নয়। তারা হলো দখলদার, মূলত বাসিন্দা যারা মুসলমান, তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পাকিস্তানে।
      চমৎকার কথা ৷
      হে আল্লাহ!আপনি হিন্দুস্তানকে আমাদের হাতে আবার ফিরিয়ে দিন ৷ আমিন
      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

      Comment


      • #4
        কিছু কিছু স্থানে বানান ভুল দেখলাম ৷ একটু ঠিক করে দিলে ভাল হত ৷
        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ আপনি মুসলামনদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment

          Working...
          X