মানব জীবনে " লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র" স্বীকৃতির প্রভাব -১
১। এ কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তিরা কখনো সংকীর্ণমনা হয় না। পক্ষান্তরে
যারা একাধিক ইলাহে বিশ্বাসী কিংবা কালিমাতে অবিশ্বাসী, তারা
হয় সংকীর্ণ মনের ও অপ্রশস্ত হৃদয়ের।
২। এ কালিমার প্রতি বিশ্বাস অন্তরে এমন গর্ব ও আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি
করে,যার সামনে দুনিয়ার কোন কিছুই দাঁড়াতে পারে না। কারণ উপকারের ও ক্ষতির
একমাত্র মালিক আল্লাহ। তিনিই একমাত্র জীবন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই
শাসন, ক্ষমতা ও নেতৃত্বের মালিক। একারণেই কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তির অন্তর
থেকে এক আল্লাহর ভয় ছাড়া সমস্ত তাগুতি শক্তির ভয় উপড়ে ফেলা হয়।
ফলে সে কোন তাগুতি শক্তির সামনে মস্তক অবনত করে না এবং তাদের
বড়ত্ব ও বিশালত্ব দেখে ভয় পায় না। কেননা সে জানে আল্লাহ তা আলাই মহা শক্তিশালী ও ক্ষামতাধর।
৩। এই কালিমার প্রতি বিশ্বাস থেকে গর্ব ও আত্মমর্যাদাবোধের পাশাপাশি
জন্ম লাভ করে লাঞ্ছনাহীন বিনয় ও অহংকারমুক্ত উচুঁতা। ফলে ধোকাবাজ শয়তান
ধোকার মাধ্যমে তার রগ ফোলাতে পারেনা এবং তার ক্ষমতা ও শক্তিমত্তা দ্বারা তাকে অহংকারী বানাতে
পারে না। কেননা সে নিশ্চিত ভাবে জানে, যে আল্লাহ তাকে তার নিকট থাকা সবকিছু দান
করেছেন,তিনি সেগুলো যখন ইচ্ছা ছিনিয়ে নিতে পারেন।ধর্মদ্রোহী ব্যক্তির অবস্থা এর বিপরীত।
সে যখন কোনো তাৎক্ষণিক কোনো কিছুর নিয়ামত লাভ করে,তখন সে অহংকার ও তার অহমিকা প্রদর্শন করে।
৪। এই কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তি নিশ্চিত ভাবে জানে আত্মশুদ্ধি ও নেকআমল ব্যতিত মুক্তি ও
সফলতার কোনো পথ নেই।পক্ষান্তরে মুশরিক ও কাফেররা নিজেদের জীবনকে কিছু পার্থিব আশা
আকাক্ষার উপর অতিবাহিত করে।
তাদের কেউ বলে, আল্লাহর পুত্র তার পিতার নিকট আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে চলে গেছে
আবার কেউ বলে,আমরা আল্লাহর সন্তান ও প্রিয়জন। তাই তিনি আমাদের পাপের কারনে আমাদের
কিছুতেই শাস্তি দিবেন না।
আবার কেউ বলে, আমরা আমাদের বড় ও মুত্তাকিদেরকে আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করতে
বলব।
আবার কেউ কেউ ত নিজ উপাস্যের নিকট এই ধারনাবশত মান্নত পেশ করে যে,সে তা দ্বারা যা ইচ্ছা তাই করার ছাড়পত্র
পেয়ে যাবে।পক্ষান্তরে ধর্মদ্রোহী ব্যক্তি যে আল্লাহতে বিশ্বাসী নয় সে মনে করে এই দুনিয়ায় সে স্বাধীন। আল্লাহর শরিয়তের
নিকট সে দায়বদ্ধ নয়।তার উপাস্য হলো তার প্রবৃত্তি ও মনের চাহিদা এবং সে এই দুইয়ের দাস।
৫। এই কালিমার প্রবক্তার নিকট পৌঁছার জন্য 'হতাশা' পথ খুঁজে পাই না এবং তার নিকট আসন গেড়ে বসতেও পারে না কারণ তার বিশ্বাস রয়েছে যে আল্লাহ তা আলাই আসমান-জমিনের ধনভান্ডারের মালিক। এ কারণেই সে থাকে শান্ত, নিশ্চিন্ত ও আশাবাদী যদিও তাকে বিতাড়িত করা হয়, লাঞ্ছিত করা হয় এবং যদিও জীবন উপকরণ তার জন্য সংকীর্ণ হয়ে যায়।
৬। এ কালিমার প্রতি বিশ্বাস মানুষকে দৃঢ়সংকল্প, পদক্ষেপগ্রহণ, ধৈর্যধারণ, স্থিরতা ও অবিচলতা প্রভৃতি মহান শক্তির উপর প্রতিপালিত করে, যখন সে এ গুণগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ধারণ করে। সে অনুভব করে তার পেছনে রয়েছে আসমান ও জমিনের মালিকের অদৃশ্য শক্তি।
ফলে তার দৃঢ়তা, অবিচলতা এবং আকীদা থেকে গৃহীত অনড়তা হয় সুদৃঢ় পাহাড়সম। কাফের ও মুশরিক এ শক্তি কোথা থেকে পাবে ????
চলবে ইনশাআল্লাহ,,,
১। এ কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তিরা কখনো সংকীর্ণমনা হয় না। পক্ষান্তরে
যারা একাধিক ইলাহে বিশ্বাসী কিংবা কালিমাতে অবিশ্বাসী, তারা
হয় সংকীর্ণ মনের ও অপ্রশস্ত হৃদয়ের।
২। এ কালিমার প্রতি বিশ্বাস অন্তরে এমন গর্ব ও আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি
করে,যার সামনে দুনিয়ার কোন কিছুই দাঁড়াতে পারে না। কারণ উপকারের ও ক্ষতির
একমাত্র মালিক আল্লাহ। তিনিই একমাত্র জীবন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই
শাসন, ক্ষমতা ও নেতৃত্বের মালিক। একারণেই কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তির অন্তর
থেকে এক আল্লাহর ভয় ছাড়া সমস্ত তাগুতি শক্তির ভয় উপড়ে ফেলা হয়।
ফলে সে কোন তাগুতি শক্তির সামনে মস্তক অবনত করে না এবং তাদের
বড়ত্ব ও বিশালত্ব দেখে ভয় পায় না। কেননা সে জানে আল্লাহ তা আলাই মহা শক্তিশালী ও ক্ষামতাধর।
৩। এই কালিমার প্রতি বিশ্বাস থেকে গর্ব ও আত্মমর্যাদাবোধের পাশাপাশি
জন্ম লাভ করে লাঞ্ছনাহীন বিনয় ও অহংকারমুক্ত উচুঁতা। ফলে ধোকাবাজ শয়তান
ধোকার মাধ্যমে তার রগ ফোলাতে পারেনা এবং তার ক্ষমতা ও শক্তিমত্তা দ্বারা তাকে অহংকারী বানাতে
পারে না। কেননা সে নিশ্চিত ভাবে জানে, যে আল্লাহ তাকে তার নিকট থাকা সবকিছু দান
করেছেন,তিনি সেগুলো যখন ইচ্ছা ছিনিয়ে নিতে পারেন।ধর্মদ্রোহী ব্যক্তির অবস্থা এর বিপরীত।
সে যখন কোনো তাৎক্ষণিক কোনো কিছুর নিয়ামত লাভ করে,তখন সে অহংকার ও তার অহমিকা প্রদর্শন করে।
৪। এই কালিমায় বিশ্বাসী ব্যক্তি নিশ্চিত ভাবে জানে আত্মশুদ্ধি ও নেকআমল ব্যতিত মুক্তি ও
সফলতার কোনো পথ নেই।পক্ষান্তরে মুশরিক ও কাফেররা নিজেদের জীবনকে কিছু পার্থিব আশা
আকাক্ষার উপর অতিবাহিত করে।
তাদের কেউ বলে, আল্লাহর পুত্র তার পিতার নিকট আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে চলে গেছে
আবার কেউ বলে,আমরা আল্লাহর সন্তান ও প্রিয়জন। তাই তিনি আমাদের পাপের কারনে আমাদের
কিছুতেই শাস্তি দিবেন না।
আবার কেউ বলে, আমরা আমাদের বড় ও মুত্তাকিদেরকে আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করতে
বলব।
আবার কেউ কেউ ত নিজ উপাস্যের নিকট এই ধারনাবশত মান্নত পেশ করে যে,সে তা দ্বারা যা ইচ্ছা তাই করার ছাড়পত্র
পেয়ে যাবে।পক্ষান্তরে ধর্মদ্রোহী ব্যক্তি যে আল্লাহতে বিশ্বাসী নয় সে মনে করে এই দুনিয়ায় সে স্বাধীন। আল্লাহর শরিয়তের
নিকট সে দায়বদ্ধ নয়।তার উপাস্য হলো তার প্রবৃত্তি ও মনের চাহিদা এবং সে এই দুইয়ের দাস।
৫। এই কালিমার প্রবক্তার নিকট পৌঁছার জন্য 'হতাশা' পথ খুঁজে পাই না এবং তার নিকট আসন গেড়ে বসতেও পারে না কারণ তার বিশ্বাস রয়েছে যে আল্লাহ তা আলাই আসমান-জমিনের ধনভান্ডারের মালিক। এ কারণেই সে থাকে শান্ত, নিশ্চিন্ত ও আশাবাদী যদিও তাকে বিতাড়িত করা হয়, লাঞ্ছিত করা হয় এবং যদিও জীবন উপকরণ তার জন্য সংকীর্ণ হয়ে যায়।
৬। এ কালিমার প্রতি বিশ্বাস মানুষকে দৃঢ়সংকল্প, পদক্ষেপগ্রহণ, ধৈর্যধারণ, স্থিরতা ও অবিচলতা প্রভৃতি মহান শক্তির উপর প্রতিপালিত করে, যখন সে এ গুণগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ধারণ করে। সে অনুভব করে তার পেছনে রয়েছে আসমান ও জমিনের মালিকের অদৃশ্য শক্তি।
ফলে তার দৃঢ়তা, অবিচলতা এবং আকীদা থেকে গৃহীত অনড়তা হয় সুদৃঢ় পাহাড়সম। কাফের ও মুশরিক এ শক্তি কোথা থেকে পাবে ????
চলবে ইনশাআল্লাহ,,,
Comment