Announcement

Collapse
No announcement yet.

*আল্লাহ সুবানাহু ওয়া তায়ালা কি উনার সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে আমাদেরকে সরিয়ে দিতে পারেন*?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • *আল্লাহ সুবানাহু ওয়া তায়ালা কি উনার সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে আমাদেরকে সরিয়ে দিতে পারেন*?

    إِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِينُهُ ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

    الحمد لله رب العالمين وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله وعلى آله وأصحابه أجمعين،

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব্ব। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর তার পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর।

    السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
    অনুবাদ - আপনার ওপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত,আল্লাহর বরকত বর্ষিত হোক

    أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
    “আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম”
    অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

    بِسْمِ الّٰلهِ الرَّحْمٰنِ الرَحِيْمِ

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

    ▶▶▶▶▶▶▶কিছু প্রশ্ন◀◀◀◀◀◀◀

    প্রশ্নঃ১। ফূটবল অথবা ক্রিকেট মুল টিম এ অনেক গুলা খেলোয়ার থেকে বাছাই করে কোন ধরনের খেলোয়ারদের কে সিলেক্ট করা হয়?


    ০২। কোন অফিসে জখন চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়া হয়, তখন অনেক মানুষ ফর্ম জমা দেয়, ছিবি জমা দেয়।অফিস পরিক্ষা নেয়।পরিশেষে অফিস তাদের কোম্পানির জন্য কোন মানুষ গুলাকে সিলেক্ট করে?





    ০৩। আল্লাহ তায়ালা যদি উনার বিশেষ কোন কাজের জন্য কিছু মানুষ্কে বাছাই করে নিতে চান তাহলে কাদের কে বাছাই করে নিতে পারেন আর কারা বাদ পরে যেতে পারেন?





    ০৪। যারা আল্লাহ তায়ালার দিয়া হুকুম, আহকাম ঠিক ভাবে পালোন করে না, আল্লাহ তায়ালার অবাদ্ধ হয়, নবিজি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার অবাদ্ধ হয়, তখন কি আমরা আশা করতে পারি সাধারন ভাবে যে অই অবাদ্ধ বেক্তিকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কোন কাজে সিলেক্ট করবেন এবং কোন অযোগ্য মানুষ্কে বিশেষ কোন কাজ এর জন্য সিলেক্ট করা হবে?


    ০৫।আমরা ইমারার সকল ভাইরা, ইমারার আন্ডারে এক সাথে যেই উদ্ধেশ্যকে সাম্নে রেখে কাজ করে যাচ্ছি তাকি কোন সাধারন কাজ নাকি বিশেষ কোন কাজ?


    ০৬। এই বিশেষ কাজের জন্য কি আমরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পার্মানেন্টলি সিলেক্ট হয়ে গেছি? নাকি এখনও এই সম্ভাবনা আছে যে আমাদেরকে আল্লাহ তায়ালা বহিষ্কার করে দিতে পারেন?

    উত্তরঃ

    47:38

    দেখ, তোমরা তো তারাই, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য ডাক দেয়া হচ্ছে, তখন তোমাদের কিছু লোক কৃপণতা করছে। যে কৃপণতা করে, সে কৃপণতা করে কেবল নিজের আত্মার সাথে। আল্লাহ তো অভাবহীন আর তোমরাই অভাবী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে নিয়ে আসবেন, তখন তারা তোমাদের মত হবে না।সুরা মুহাম্মদঃ৩৮।


    9:38
    হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হয়েছে কী যে, যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তখন তোমরা আরো জোরে মাটি কামড়ে ধর। তোমরা কি আখেরাতের স্থলে দুনিয়ার জীবনকেই বেশি পছন্দ কর? আখেরাতের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী তো অতি সামান্য।

    9:39
    যদি তোমরা (যুদ্ধে) বের না হও, তিনি তোমাদের বেদনাদায়ক আযাব দেবেন এবং তোমাদের পরিবর্তে অন্য এক কওমকে আনয়ন করবেন, আর তোমরা তাঁর কিছুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।সুরা তওবা ৩৮-৩৯


    5:54

    হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।সুরা মায়েদা ৫৪।


    “যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য- কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।”[সূরা মুলক, আয়াত: ২]

    “আর তিনিই আসমানসমূহ ও যমীনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, আর তাঁর আর্*শ ছিল পানির উপর, তোমাদের মধ্যে কে আমলে শ্রেষ্ঠ তা পরীক্ষা করার জন্য।”[সূরা হুদ, আয়াত: ০৭]



    “নিশ্চয় যমীনের উপর যা কিছু আছে আমরা সেগুলোকে তার শোভা করেছি, মানুষকে এ পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ।”[সূরা কাহাফ, আয়াত: ৭]


    কর্মে কে শ্রেষ্ঠ!! তথা আহসানু আ'মালা কার?

    এখানে আকসারু আ'মলের কথা বলা হয় নি.

    আকসার মানে বশি.

    আর, এই ধারণা যদি আমরা বুঝতে পারি তবে আমাদের জন্য বাকি বিষয়সমূহ বুঝা সহজ হবে ইনশা আল্লাহ,
    উত্তম আমলের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে বেশি, একারণেই একজন মুজাহিদ ঘুমিয়ে যে সওয়াব পায়, ঘরে বসে থাকা ব্যক্তি অনবরত ইবাদতে লেগে থাকলেই কেবল তা আশা করতে পারে।

    সাধারণ যে কেউ শুনে বুঝবে না, একজন আরাম করে ঘুমাচ্ছে, আরেকজন কেঁদে কেঁদে আলাহর কাছে ফরিয়াদ করছে। দুজন সমান হয় কিভাবে?

    কারণটা হলো, আহসান আমল।

    সংখ্যার থেকে মান গুরুত্বপূর্ণ, কোয়ান্টিটির চেয়ে্ কোয়ালিটি গুরুত্বপূর্ণ।

    একারণে ভাই, আমরা আমল করার সময় যেন ফিকির করি, আল্লাহ কোন আমলকে আহসান বলেছেন।

    তাহলে আমরা সর্বত্তোম ফায়দা নিতে পারবো।

    নয়তো আমরা জানি, হাদিসে এসেছে, একটি শহর ধ্বংসের সময় সে শহরের আবিদকে সবার আগে ধ্বংস করার হুকুর এসেছিলো, যিনি নিজে ভালো আমল করতেন কিন্তু নহী আনিল মুঙ্কার করতেন না, আমলদার অথচ ধ্বংস্প্রাপ্ত, নাউজুবিল্লাহ মিন ঝালিক।

    ওয়াসসালাম





  • #2
    মাশাআল্লাহ।
    অনেক সুন্দর পোষ্ট করেছেন।
    আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      মাশা'আল্লাহ। খুব উপকারী পোষ্ট। নিয়মিত চাই ভাই।
      বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
      কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

      Comment

      Working...
      X