মানব জীবনে "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র স্বীকৃতির প্রভাব-২
৭। এ কালিমা মানুষকে সাহসী বানায় এবং তাদের অন্তর সাহসে ভরে দেয়। কারণ দুটি জিনিস মানুষকে কাপুরুষ ও হীনবল বানায়।
১) নিজের জান-মাল ও পরিবার-পরিজনের ভালোবাসা।
২)এই ভ্রান্ত বিশ্বাস থাকা যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ মৃত্যু দিতে পারে।
আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস অন্তর থেকে এ উভয় কারণ উপড়ে ফেলে দেয়।
কালিমা তাকে এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী বানায় যে,আল্লাহই তার জান-মালের একমাত্র মালিক।
তখন সে তার কাছে থাকা সাধারণ ও মূল্যবান সবকিছু তার রবের সন্তুষ্টির পথে বিসর্জন দিয়ে দেয়।
আর এ বিশ্বাস দ্বিতীয় কারণটিকে এমন ভাবে মূলোৎপাটন করে যে, কোন মানুষ, কোন প্রাণী,
কোন বোমা,কোন কামান, কোন তরবারি,কোন পাথর তার জীবন ছিনিয়ে নিতে পারে না। একমাত্র আল্লাহ তা'আলার হুকুম ছাড়া।
এ কারণে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ব্যক্তির তুলনায় অধিক সাহসী ও নির্ভীক মানুষ পৃথিবীতে হয় না।
সেনাবাহিনীর অভিযান, উন্মুক্ত তরবারী,বুলেট ও বোমাবর্ষণ তাকে আতঙ্কিত করতে পারেনা এবং তার সামনে দাঁড়াতেও পারে না। কেননা সে যখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য অগ্রসর হয় তখন নিজের শক্তির তুলনায় দশগুণ বেশি শক্তিকে পর্যন্ত পরাজিত করে ছাড়ে। কাফের মুশরিকরা এ শক্তি কোথা থেকে পাবে??
৮। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে বড়ত্ববোধ,
অল্পেতুষ্টি, মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষিতা।
এবং তাদের অন্তরকে লোভ-লালসা হিংসা-বিদ্বেষ,হীনতা,নিচুতা
প্রভৃতি মন্দ অভ্যাস থেকে পবিত্র করে।
৯। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে,লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস মানুষকে শরিয়তের
দায়বদ্ধ ও তার প্রতি যত্নশীল বানায়।কারণ ঈমানদার নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে আল্লাহ তা'আলা সবকিছু সম্পর্কে
অবগত এবং তিনি "শাহরগের" চেয়েও মানুষের অধিক নিকটবর্তী এবং সে কোনো মানুষের পাকঁড়াও থেকে বেঁচে যেতে পারলেও
আল্লাহর পাকঁড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না।
মানুষের অন্তরে এ বিশ্বাস, যে পরিমাণ থাকবে সে সেই পরিমাণ শরিয়তের বিধি বিধানের অনুসরণ করবে। আল্লাহ যা কিছু হারাম করেছেন তা করার দুঃসাহস সে দেখাবে না।
উপরন্ত আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা পালনে এবং কল্যাণকর কাজে দ্রুত অগ্রসর হবে।
এ কারণেই লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাসকে একজন ব্যক্তি মুসলমান হওয়ার জন্য প্রথম ও সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ রোকন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। মুসলমান হলো ঐ ব্যক্তি যে, আল্লাহর অনুগত ও তাঁর সমীপে আত্মসমর্পণকারী।
আর কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হয় না যতক্ষণ না সে অন্তর থেকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'তে বিশ্বাসী হয়।
এটাই হল ইসলামের গোড়ার কথা ও শক্তির উৎস।
এছাড়া ইসলামের যত আকিদা ও হুকুম এবং বিশ্বাস ও বিধান রয়েছে সেগুলো এর উপর নির্ভরশীল এবং এর থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে।
এ ভিত্তিমূল দূর হয়ে গেলে ইসলামের আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
এই কালিমার ফজিলত সম্পর্কে আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ বলেন,,,,
মানুষকে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ'র সঙ্গে পরিচিত করার চেয়ে বড় কোন নেয়ামত আল্লাহ তা`আলা কাউকে দান করেননি।
দুনিয়াবাসীদের জন্য ঠান্ডা পানি যেমন জান্নাতিদের জন্য লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তেমন।
এ কালিমার জন্যই শান্তির নিবাস ও শাস্তির ঘর তৈরী করা হয়েছে।
এর প্রয়োজনেই রাসূলগনকে জিহাদ করার আদেশ করা হয়েছে।
অতএব যে ব্যক্তি তা গ্রহন করল, সে তার জান-মাল নিরাপদ করে ফেলল।
আর যে তা প্রত্যাখ্যান করল তার জান-মাল আর নিরাপদ থাকল না।
এ কালিমাই জান্নাতের চাবি এবং রাসূলগণের দাওয়াতের কুঞ্জি।
,,,,,,,,,,,,সংগৃহীত,,,,,,,,,,
৭। এ কালিমা মানুষকে সাহসী বানায় এবং তাদের অন্তর সাহসে ভরে দেয়। কারণ দুটি জিনিস মানুষকে কাপুরুষ ও হীনবল বানায়।
১) নিজের জান-মাল ও পরিবার-পরিজনের ভালোবাসা।
২)এই ভ্রান্ত বিশ্বাস থাকা যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ মৃত্যু দিতে পারে।
আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস অন্তর থেকে এ উভয় কারণ উপড়ে ফেলে দেয়।
কালিমা তাকে এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী বানায় যে,আল্লাহই তার জান-মালের একমাত্র মালিক।
তখন সে তার কাছে থাকা সাধারণ ও মূল্যবান সবকিছু তার রবের সন্তুষ্টির পথে বিসর্জন দিয়ে দেয়।
আর এ বিশ্বাস দ্বিতীয় কারণটিকে এমন ভাবে মূলোৎপাটন করে যে, কোন মানুষ, কোন প্রাণী,
কোন বোমা,কোন কামান, কোন তরবারি,কোন পাথর তার জীবন ছিনিয়ে নিতে পারে না। একমাত্র আল্লাহ তা'আলার হুকুম ছাড়া।
এ কারণে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ব্যক্তির তুলনায় অধিক সাহসী ও নির্ভীক মানুষ পৃথিবীতে হয় না।
সেনাবাহিনীর অভিযান, উন্মুক্ত তরবারী,বুলেট ও বোমাবর্ষণ তাকে আতঙ্কিত করতে পারেনা এবং তার সামনে দাঁড়াতেও পারে না। কেননা সে যখন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য অগ্রসর হয় তখন নিজের শক্তির তুলনায় দশগুণ বেশি শক্তিকে পর্যন্ত পরাজিত করে ছাড়ে। কাফের মুশরিকরা এ শক্তি কোথা থেকে পাবে??
৮। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করে এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে বড়ত্ববোধ,
অল্পেতুষ্টি, মাখলুক থেকে অমুখাপেক্ষিতা।
এবং তাদের অন্তরকে লোভ-লালসা হিংসা-বিদ্বেষ,হীনতা,নিচুতা
প্রভৃতি মন্দ অভ্যাস থেকে পবিত্র করে।
৯। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে,লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাস মানুষকে শরিয়তের
দায়বদ্ধ ও তার প্রতি যত্নশীল বানায়।কারণ ঈমানদার নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে আল্লাহ তা'আলা সবকিছু সম্পর্কে
অবগত এবং তিনি "শাহরগের" চেয়েও মানুষের অধিক নিকটবর্তী এবং সে কোনো মানুষের পাকঁড়াও থেকে বেঁচে যেতে পারলেও
আল্লাহর পাকঁড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না।
মানুষের অন্তরে এ বিশ্বাস, যে পরিমাণ থাকবে সে সেই পরিমাণ শরিয়তের বিধি বিধানের অনুসরণ করবে। আল্লাহ যা কিছু হারাম করেছেন তা করার দুঃসাহস সে দেখাবে না।
উপরন্ত আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা পালনে এবং কল্যাণকর কাজে দ্রুত অগ্রসর হবে।
এ কারণেই লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ'র বিশ্বাসকে একজন ব্যক্তি মুসলমান হওয়ার জন্য প্রথম ও সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ রোকন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। মুসলমান হলো ঐ ব্যক্তি যে, আল্লাহর অনুগত ও তাঁর সমীপে আত্মসমর্পণকারী।
আর কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান হয় না যতক্ষণ না সে অন্তর থেকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ'তে বিশ্বাসী হয়।
এটাই হল ইসলামের গোড়ার কথা ও শক্তির উৎস।
এছাড়া ইসলামের যত আকিদা ও হুকুম এবং বিশ্বাস ও বিধান রয়েছে সেগুলো এর উপর নির্ভরশীল এবং এর থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে।
এ ভিত্তিমূল দূর হয়ে গেলে ইসলামের আর কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
এই কালিমার ফজিলত সম্পর্কে আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ বলেন,,,,
মানুষকে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ'র সঙ্গে পরিচিত করার চেয়ে বড় কোন নেয়ামত আল্লাহ তা`আলা কাউকে দান করেননি।
দুনিয়াবাসীদের জন্য ঠান্ডা পানি যেমন জান্নাতিদের জন্য লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তেমন।
এ কালিমার জন্যই শান্তির নিবাস ও শাস্তির ঘর তৈরী করা হয়েছে।
এর প্রয়োজনেই রাসূলগনকে জিহাদ করার আদেশ করা হয়েছে।
অতএব যে ব্যক্তি তা গ্রহন করল, সে তার জান-মাল নিরাপদ করে ফেলল।
আর যে তা প্রত্যাখ্যান করল তার জান-মাল আর নিরাপদ থাকল না।
এ কালিমাই জান্নাতের চাবি এবং রাসূলগণের দাওয়াতের কুঞ্জি।
,,,,,,,,,,,,সংগৃহীত,,,,,,,,,,
Comment