অধিক ধারণার ব্যাপারটা কোরআনুল কারীমে এসেছে যে, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ অর্থঃ- হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। কতক ধারণা পাপের অন্তর্ভুক্ত। (সুরায় হুজরাতঃ- ৪৯)
আর এরই সংশ্লিষ্ট হাদীসটা হলো, إياكم والظنَّ، فإنَّ الظنَّ أكذب الحديث অর্থঃ- তোমরা কুধারণা থেকে দূরে থাক। কেননা কুধারণা সব চাইতে বড় মিথ্যা। (সহিহ বোখারীঃ ৫১৪৩)
আর উপরুক্ত বিষয় গুলোর ব্যাখ্যা হলোঃ- ظَنٌّ এর অর্থ ধারণা করা। অর্থাৎ, সৎ ও আল্লাহভীরু ভালো লোকদের ব্যাপারে এমন ধারণা পোষণ করা, যা মন্দ অথচ ভিত্তিহীন এবং যা মিথ্যা অপবাদের আওতায় পড়ে। তাই এর অনুবাদ করা হয়, কুধারণা। হাদীসে এটাকে أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ (সব চাইতে বড় মিথ্যা) গণ্য করে এ থেকে বিরত থাকার প্রতি তাকীদ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, (إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ) অর্থাৎ, তোমরা কুধারণা থেকে দূরে থাক। (বুখারী, মুসলিম)
পক্ষান্তরে পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের পাপের কারণে তাদের পাপের উপর কুধারণা পোষণ করা সেই কুধারণা নয়, যেটাকে এখানে পাপ বলা হয়েছে এবং যা থেকে বিরত থাকতে তাকীদ করা হয়েছে। উলামাগণ বলেন, বাহ্যতঃ ভালো লোকের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়। তবে বাহ্যতঃ মন্দ লোক পাপাচারীর প্রতি মন্দ ধারণা করা অবৈধ নয়। (কুরত্বুবী)
নোটঃ- কুধারনা হলো কারো ব্যাপারে গোনাহের কাজের ধারণা করা। অর্থাৎ এমন ধারণা করা যে সে ব্যক্তিটি যদি বাস্তবেই ঐ ধারণাকৃত কাজটা করে থাকে তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে সে একজন গোনাহগার বলে গণ্য হবে!
তো কোন দ্বীনদার-মুত্তাক্বী-মুমিনের ব্যাপারে শরিয়ত সম্মত প্রমাণ ব্যাতিত ঐ ধরনের ধারণা করাই এই ধারণাকারী ব্যক্তির জন্য একটা গোনাহের কাজ! পক্ষান্তরে কু-ধারনা করার মতো কোন ধরনের লক্ষ্মণ পাওয়ার পরেও সেটার কোন একটা পজেটিভ ব্যাখ্যা দিয়ে তার প্রতি সুধারণাই বজায় রাখাটা এই ধারণাকারীর জন্য স্বতন্ত্র একটা সাওয়াবের কাজ! সুবাহানাল্লাহ! যদিও বাস্তবে ঐ ব্যাক্তিটি গোনাহ বা কু-ধারণা বিশিষ্ট কাজটিতেই লিপ্ত থাকুকনা কেন!
ওয়াল্লাহু আ'লামু বিস-সওয়াব!
(Oporer likhata akjon muttaki vaier)
আর এরই সংশ্লিষ্ট হাদীসটা হলো, إياكم والظنَّ، فإنَّ الظنَّ أكذب الحديث অর্থঃ- তোমরা কুধারণা থেকে দূরে থাক। কেননা কুধারণা সব চাইতে বড় মিথ্যা। (সহিহ বোখারীঃ ৫১৪৩)
আর উপরুক্ত বিষয় গুলোর ব্যাখ্যা হলোঃ- ظَنٌّ এর অর্থ ধারণা করা। অর্থাৎ, সৎ ও আল্লাহভীরু ভালো লোকদের ব্যাপারে এমন ধারণা পোষণ করা, যা মন্দ অথচ ভিত্তিহীন এবং যা মিথ্যা অপবাদের আওতায় পড়ে। তাই এর অনুবাদ করা হয়, কুধারণা। হাদীসে এটাকে أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ (সব চাইতে বড় মিথ্যা) গণ্য করে এ থেকে বিরত থাকার প্রতি তাকীদ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, (إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ) অর্থাৎ, তোমরা কুধারণা থেকে দূরে থাক। (বুখারী, মুসলিম)
পক্ষান্তরে পাপাচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের পাপের কারণে তাদের পাপের উপর কুধারণা পোষণ করা সেই কুধারণা নয়, যেটাকে এখানে পাপ বলা হয়েছে এবং যা থেকে বিরত থাকতে তাকীদ করা হয়েছে। উলামাগণ বলেন, বাহ্যতঃ ভালো লোকের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়। তবে বাহ্যতঃ মন্দ লোক পাপাচারীর প্রতি মন্দ ধারণা করা অবৈধ নয়। (কুরত্বুবী)
নোটঃ- কুধারনা হলো কারো ব্যাপারে গোনাহের কাজের ধারণা করা। অর্থাৎ এমন ধারণা করা যে সে ব্যক্তিটি যদি বাস্তবেই ঐ ধারণাকৃত কাজটা করে থাকে তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে সে একজন গোনাহগার বলে গণ্য হবে!
তো কোন দ্বীনদার-মুত্তাক্বী-মুমিনের ব্যাপারে শরিয়ত সম্মত প্রমাণ ব্যাতিত ঐ ধরনের ধারণা করাই এই ধারণাকারী ব্যক্তির জন্য একটা গোনাহের কাজ! পক্ষান্তরে কু-ধারনা করার মতো কোন ধরনের লক্ষ্মণ পাওয়ার পরেও সেটার কোন একটা পজেটিভ ব্যাখ্যা দিয়ে তার প্রতি সুধারণাই বজায় রাখাটা এই ধারণাকারীর জন্য স্বতন্ত্র একটা সাওয়াবের কাজ! সুবাহানাল্লাহ! যদিও বাস্তবে ঐ ব্যাক্তিটি গোনাহ বা কু-ধারণা বিশিষ্ট কাজটিতেই লিপ্ত থাকুকনা কেন!
ওয়াল্লাহু আ'লামু বিস-সওয়াব!
(Oporer likhata akjon muttaki vaier)
Comment