যারা এসব কথা বলেন যে তালিবান আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে তাদের কাছে যখন রেফারেন্স চাওয়া হয় তখন তারা দেখান যে দোহা অফিসের নেতৃবৃন্দ কি বলেছেন, সুহাইল শাহীন হাফিজাহুল্লাহ কি বলেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ের যে কোন মুজাহিদপ্রধান কিংবা আমিরের বক্তব্য দেখাতে পারেন না যে তিনি বলেছেন আল কায়দাকে আফগানিস্তান থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছি। বা আল কায়েদার পক্ষ থেকেও এমন কোনো বক্তব্য, প্রামাণ্য চিত্র, নিউজ আমরা পাইনি। যারাই এসব অভিযোগ করেন ভালো করে ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কিংবা জিওপলিটিক্স সম্পর্কিত জ্ঞান শূন্যের কাছাকাছি।
জিওপলিটিক্স যারা বুঝেন তারা একদম নিম্ন লেভেলের হলেও বুঝতে পারবেন যে মাঠ পর্যায়ের দৃশ্য আর রাজনৈতিক পর্যায়ের দৃশ্যপট এক হয় না। রাজনৈতিক পর্যায়ে মাঠ পর্যায়ের অনেক কিছুই গোপন করে রাখা হয়। রাজনৈতিক পর্যায়ে তালিবান অনেক কিছুই অস্বীকার করেছে যা ফিল্ডে সচল ও বলবৎ আছে। যেমন শরীয়াহ্ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে শিথিলতার কথা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে শুনবেন বাস্তবে ফিল্ডে গেলে তার উল্টো চিত্র দেখবেন। আর এই প্রেক্ষাপটটাও অবশ্যই দেখতে হবে যে কেন গোপন করে রাখা হচ্ছে।
শিয়া ইরান কয়েকটা আরব দেশে আরো শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে যে আর্থিক ও মিলিটারি সাপোর্ট করছে এগুলো কি সে ডাক ঢোল পিটিয়ে শুনিয়ে দেয় নাকি, আজকে এক জাহাজ ভর্তি মিসাইল যেমনে ইয়েমেনে হুথিদের উদ্দেশ্যে হুতিদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে? গত মাসে এক চালান গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে?
এখানে দোহা অফিসটা যে ছিলো, তার উদ্দেশ্য কি? তাদের দায়িত্ব কি? তাদের দায়িত্বটা হল বিশ্বের দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং স্বীকৃতির দিকে আগানো। কারন বর্তমানে একটা দেশ চালাতেও অনেক উপাদানের প্রয়োজন হয়। তালেবানকে সুস্থভাবে দেশ জ্বালিয়ে দেখাতে হবে যে বর্তমানে ইসলামী শাসন দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার সম্ভব। যাতে অন্যান্য ভূখণ্ডের যুবকরা ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার প্রতি আগ্রহী হয়।
যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মাঠ পর্যায়ের বিষয়গুলো গোপন রাখেন তাহলে তবে অবশ্যই এটা তাদের কৌশল এবং হিকমাহ। সুহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ যদি বলে থাকেন, আফগানিস্তানে আল কায়েদা নেই সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে তিনি কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। তার শ্রোতা কারা? এখানে তার কার্যকরী অডিয়েন্স হচ্ছে আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন, ইন্ডিয়া, মিডল ইস্ট এবং গোটা বিশ্বের অন্যান্য কান্ট্রির শাসকগোষ্ঠী। জ্বি হ্যাঁ, আপনি-আমিও এর এর শ্রোতা কিন্তু শ্রোতাদের মধ্যে আমরা অনেকটুকু নিষ্ক্রিয় অংশ। কারণ আমরা কিছুই করতে পারব না তালিবানের জন্য। শুধু শুনেই যাবো। এই কার্যকরী অংশটারই তালেবানের প্রয়োজন আমাদের নয়। অথচ কার্যকরী শ্রোতা যারা তাদের প্রত্যেকেই আল-কায়েদার মজ্জাগত দুশমন। তাদের প্রত্যেককেই আল কায়েদা তাগুত বলে অভিহিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরয মনে করে।
আফগানিস্তানের প্রতিবছর ৪৫ লক্ষ টন তেলের এবং ৬৫৬ হাজার টন গ্যাসের প্রয়োজন হয়। যেগুলোর প্রোভাইডার কান্ট্রি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ইরান। তারপরে আছে রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার কান্ট্রিগুলো। এই দেশগুলোর মধ্যে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে আল-কায়েদা বিভিন্ন ভূখণ্ডে সরাসরি জিহাদে লিপ্ত। ইরানের অভ্যন্তরে আল-কায়েদা দুই বছরে অনেকগুলো অপারেশন চালিয়েছে। যদি আল-কায়েদা এভাবে হামলা চালাতে থাকে আর তালিবান বলতে থাকে আল-কায়দাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিচ্ছে; আর এই অভিযোগে ইরান ও রাশিয়া যদি আফগানিস্তানের তেলের সাপ্লাই অফ করে দেয় তাহলে অল্প ক'দিনের মধ্যে গোটা আফগানিস্তানের সকল ট্রান্সপোর্ট অফ হয়ে যাবে। হাজার হাজার গাড়ি, মালবাহী ট্রাক, ট্রেন তেলের অভাবে অকেজো হয়ে যাবে। তখন আফগানিস্তানের জনগণ তালিবানের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়বে। গোটা বিশ্বের মুসলিমগুলোকেও দেখানো হবে শরিয়াহ শাসন আসলেই ভয়ঙ্কর।
অনুরূপভাবে, আফগানিস্থানে প্রতিবছর ৬ লক্ষ টন চালের প্রয়োজন হয় যেটার সবচেয়ে বড় প্রোভাইডার হল পাকিস্তান। কারণ নৃতাত্ত্বিকভাবে আফগানিস্তানের অধিকাংশ ভূমি অনুর্বর। এতে ফসল বলতে আফিম, ধান, বার্লি, গম, ভুট্টা ইত্যাদি। কিন্তু সেটা ৪ কোটির বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তালেবান যদিও সম্প্রতি ব্যাপক কৃষির উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু সেটাও অনেক দীর্ঘমেয়াদী তাছাড়া পুরোপুরি জনগণের চাহিদা মেটাতে পারবে না।
তাছাড়া আফগানিস্তান টোটালি ল্যান্ডলকড কান্ট্রি হওয়ায় বাকি সকল পণ্য বাইরের দেশ থেকে সমুদ্রপথে আসলে তা প্রথমে পাকিস্তানের বন্দরে আসে। তারপরে তা পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। এখন তালিবান বলল যে তাদের সঙ্গে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান'-এর সম্পর্ক গভীর। এরপরে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান প্রতিদিনই পাকিস্তানি সেনাদের কে হত্যা করছে। এখন এই অভিযোগে যদি পাকিস্তানি ত্বাগুত সরকার ফুড সাপ্লাই অফ করে দেয় তাহলে?
এবার বলবেন, "এটাই কি তাহলে মু-জাহিদদের তাওয়াক্কুল" ভাই, তাওয়াক্কুল অবশ্যই আল্লাহর উপর, কিন্তু দুনিয়াতে জাহিরী ও প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবের ফলাফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে। সেটা আল্লাহর সুন্নাহ। আল্লাহ যদি আসমান থেকে বনী ইসরাইলের মতো মান্না-সালওয়া পাঠাতে থাকেন তাহলে আমাদের পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন হয় না, কিংবা আমাদের মধ্যে আর ইসরাইলিদের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। "আগে উট বাঁধ, তারপরে তাওয়াক্কুল করো।" মুজাহিদদের দুনিয়াতে কৌশলী হওয়ার মাধ্যমে যদি কিছু ফায়দা অর্জন করা যায় তাহলে সেটাকে বাদ দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
তানজিম ক্বাইদাহর একজন কল্যাণকামী এবং ভবিষ্যতে এর পতাকাতলে নিজেকে মুজাহিদ হিসেবে স্বপ্ন দেখা আমি নিজেও মনে করি, সুহাইল শাহীন(হাফি) যদি বলতে থাকতেন, "আফগানে আল কায়েদা আছে, আমাদের হাতে বাইয়াত আছে, আমরা তাদের সাপোর্ট দিচ্ছি।" তাহলে মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ করতেন না। কারণ একটা কথা বলার মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে চালিয়ে আসা পরিশ্রম ভন্ডুল হয়ে যেতো।
এই পর্যন্ত আমরা দেখিনি যে আল কায়েদা অভিযোগ করেছে তালেবান আমাদের সাথে এহেন আচরণ করছে। আল কায়েদার প্রতিষ্ঠা পর থেকে আজকে পর্যন্ত তালেবানের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগও করেনি। এবার আসুন দেখি নিই ফিল্ড লেভেলের কিছু কেইস।
১/ ২০০১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস। আমেরিকার অলআউট তীব্র বোম্বার্ডিং এর মুখে টিকতে না পেরে তালিবান পিছু হটছে। ইতিমধ্যে মোস্ট অফ আফগানিস্তান হাতছাড়া হয়ে গেছে। এয়ারস্ট্রাইক থেকে বাঁচতে তালিবান তার সেনাদের গ্রামাঞ্চলে, পাহাড়-পর্বতে, গিরি-কন্দরে, বন-জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে। ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তান সিদ্ধান্ত নিলো কান্দাহারের ক্ষমতা ক্রুসেডার ও কারজাই সরকারের হাতে দিবে না। তা যেকোনো মূল্যেই হোক ধরে রাখবে। কারজাই সরকারের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করা হলে কারজাই তা মেনে নিল। কিন্তু আমেরিকা তা প্রত্যাখান করলো। এবং গোটা কান্দাহারে বোম্বার্ডিং শুরু করলো। এই মুহূর্তটা ছিল খুবই ভয়ানক। আমেরিকার প্রচুর বোম্বার বিরতিহীন ভাবে পাহাড়ের উপর বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছিল। দানব আকারের বি-৫২ বোম্বার কার্পেট বোম্বিং করছিল কান্দাহারের উপর। যেখান দিয়ে বম্বিং করে যাচ্ছিল সেখানে লাশ আর ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমত অবস্থায় ইমারাতে ইসলামিয়া আফঘানিস্তানের সেনাগণ দ্রুত সটকে পড়তে চাইছিলেন। কারণ কান্দাহারে তাদের অবস্থান ছিল আত্মঘাতী। কিন্তু শুধু আরব মুজাহিদদের পরিবারগুলোর অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মোল্লা উমার(রহ.) তিন দিন বিলম্ব করেন। অথচ এই দিনে তাদের প্রচুর হতাহত হয়েছিল। কিন্তু মোল্লা উমার চাননি তারা চলে যান আর আরব মুজাহিদদের পরিবারগুলোকে আমেরিকানরা ক্যাপচার করুক। ঠিক যখন মোল্লা উমার(রহ.) নিশ্চিত হলেন যে আরব মুজাহিদগণ তাদের পরিবার নিয়ে কান্দাহার থেকে সরে পড়েছেন ঠিক তখনই তিনি ইমারাতের মুজা-হিদদের কান্দাহার ছাড়ার আদেশ দিলেন। এই ঘটনা শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরি সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।
২/ আল জাজিরার সাংবাদিক আহমদ যাইদান তালিবানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মোল্লা দাদুল্লাহ (রহ.)কে আল কায়েদার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন যা তিনি তার বই " The returns of black flag" এ উল্লেখ করেছেন। "আপনাদের ও আল কায়েদারের মধ্যে কি রকম সম্পর্ক এবং বর্তমান আল কায়েদার সাথে তালেবান এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?" মোল্লা দাদুল্লাহ্ হাফিঃ উত্তরে বলেছেন, "সমগ্র দুনিয়ায় জানে আল কায়েদার মুজাহিদদের জন্য আমরা শাসন ক্ষমতা ত্যাগ করেছি, এটা ছিল আমাদের দ্বীনি কর্তব্য। সুতরাং আমরা কিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করতে পারি? আমরা এবং তারা একই ময়দানের সৈনিক। আমাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রেও এক, আমাদের শত্রুও এক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এমনই ঐক্যবদ্ধ থাকব যতক্ষণনা বিজয় বা শাহাদাত আসে বিইযনিল্লাহ। আমাদের লক্ষ জি-হা-দ জারি রাখা। আমাদের দ্বীন এক, আমাদের লক্ষও এক ও অভিন্ন, আমাদের শত্রুও এক ও অভিন্ন। এবং ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের আল কায়েদার ভাইয়েদের সাথে থাকব যতক্ষণ না আমাদের শত্রু ক্রুসেডারকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করাতে পারি। এরপর সাংবাদিক যাইদান বলেন: আল কায়েদাকে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কি কোন অনুতাপ হয়? মোল্লা দাদুল্লাহ(রহ.) উত্তরে বলেন, "আমাদের কথা হচ্ছে শহীদদের কথা যখন তাকে কবরে রাখ হয় তখন সে জিহাদ ও শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দেখে বলে, হায়! আমি যদি আবার জীবিত হয়ে আবার শহিদ হতে পারতাম। তেমনিভাবে আমরাও বলি হায়! আমরা যদি হাজার বার শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতাম আর হাজার বার আল কায়েদার মুজাহিদ ভাইদের জন্য উৎসর্গ করতাম।" আল্লাহ আকবার!!!
৩/ শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী IEA এর সাবেক আমির আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসূর রাহিঃ কে কিছু শর্তের ভিত্তিতে বাই’আত দিয়ে বলেন, "আমরা আপনাকে জিহাদের উপর বাই’আত প্রদান করছি। দখলকৃত ও ছিনতাইকৃত প্রত্যেক বিঘৎ মুসলিম ভূখণ্ড মুক্ত করার জন্য, কাশগর থেকে আন্দালুসিয়া{স্পেন} পর্যন্ত, কাওকাজ{চেচনিয়া} থেকে সোমালিয়া এমনকি মধ্য আফ্রিকা পর্যন্ত, কাশ্মির থেকে কুদস পর্যন্ত, ফিলিপাইন থেকে কাবুল,বোখারা ও সমরকন্দ পর্যন্ত। আমরা আপনাকে আল্লাহর শারী’আহ পরিবর্তনকারী শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য বাই’আত দিচ্ছি, যারা মুসলিম ভূখণ্ডসমূহে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শারী’আর আহকামকে বাতিল করে দিয়েছে। অতঃপর তারা মুসলিমদের উপর কুফফারদের বিধান চাপিয়ে দিয়েছে এবং তারা ফাসাদের বিস্তার ঘটিয়েছে ও ফাসাদ সৃষ্টি করেছে। তারা মুসলিমদের উপর মুরতাদ ও কুফফারদের দালাল সংস্থাগুলোকে চাপিয়ে দিয়েছে যারা শারী’আহকে তাচ্ছিল্য করে, কুফফারদের আকীদা ও দর্শনকে উপরে স্থান দেয়, তারা মুসলিমদের ভূখণ্ডসমূহ এবং সম্পদগুলোকে মুসলিমদের শত্রুদের কাছে সমর্পণ করে দেয়। আর আমরা মাযলুম মুমিনদেরকে সাহায্য করার উপর আপনাকে বাই’আত দিচ্ছি, তারা যেখানেই থাকুক না কেনো।" [মাসী-রাতু ওফাঅ- শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বার্তা ] .
////// শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কর্তৃক তালিবানদের আমীরকে বাই’আত প্রদানের উপরোক্ত বার্তাটি "তালিবানদের" অফিসিয়াল মাসিক আরবী পত্রিকা আস-সমূদের ১১৩ তম সংখ্যার ৬ পৃষ্ঠায় ছাপা হয়। )
////// অতঃপর আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মানসূর(রহ.) আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবানদের অফিসিয়াল আরবী পত্রিকা ‘আস-সমূদ’ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তার মাধ্যমে এর জবাব দিয়ে বলেছেনঃ- "শুরুতেই তানযীমু ক্বা’য়িদাতিল জিহাদ অর্থাৎ আল-কায়েদার আমীর ডাঃ আইমান আল-যাওয়াহিরীর বাই’আতকে গ্রহণ করছি। আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এজন্য যে, তিনি শোকবার্তা ও সমবেদনার পাশাপাশি উনার অধীনে থাকা সকল মুজাহিদদের বাই’আত আমাদের প্রতি প্রেরণ করেছেন।"
জিওপলিটিক্স যারা বুঝেন তারা একদম নিম্ন লেভেলের হলেও বুঝতে পারবেন যে মাঠ পর্যায়ের দৃশ্য আর রাজনৈতিক পর্যায়ের দৃশ্যপট এক হয় না। রাজনৈতিক পর্যায়ে মাঠ পর্যায়ের অনেক কিছুই গোপন করে রাখা হয়। রাজনৈতিক পর্যায়ে তালিবান অনেক কিছুই অস্বীকার করেছে যা ফিল্ডে সচল ও বলবৎ আছে। যেমন শরীয়াহ্ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে শিথিলতার কথা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে শুনবেন বাস্তবে ফিল্ডে গেলে তার উল্টো চিত্র দেখবেন। আর এই প্রেক্ষাপটটাও অবশ্যই দেখতে হবে যে কেন গোপন করে রাখা হচ্ছে।
শিয়া ইরান কয়েকটা আরব দেশে আরো শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে যে আর্থিক ও মিলিটারি সাপোর্ট করছে এগুলো কি সে ডাক ঢোল পিটিয়ে শুনিয়ে দেয় নাকি, আজকে এক জাহাজ ভর্তি মিসাইল যেমনে ইয়েমেনে হুথিদের উদ্দেশ্যে হুতিদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে? গত মাসে এক চালান গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে?
এখানে দোহা অফিসটা যে ছিলো, তার উদ্দেশ্য কি? তাদের দায়িত্ব কি? তাদের দায়িত্বটা হল বিশ্বের দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা এবং স্বীকৃতির দিকে আগানো। কারন বর্তমানে একটা দেশ চালাতেও অনেক উপাদানের প্রয়োজন হয়। তালেবানকে সুস্থভাবে দেশ জ্বালিয়ে দেখাতে হবে যে বর্তমানে ইসলামী শাসন দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার সম্ভব। যাতে অন্যান্য ভূখণ্ডের যুবকরা ইসলামী শরীয়াহ প্রতিষ্ঠার প্রতি আগ্রহী হয়।
যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মাঠ পর্যায়ের বিষয়গুলো গোপন রাখেন তাহলে তবে অবশ্যই এটা তাদের কৌশল এবং হিকমাহ। সুহাইল শাহিন হাফিজাহুল্লাহ যদি বলে থাকেন, আফগানিস্তানে আল কায়েদা নেই সেটা আমাদেরকে দেখতে হবে তিনি কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। তার শ্রোতা কারা? এখানে তার কার্যকরী অডিয়েন্স হচ্ছে আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন, ইন্ডিয়া, মিডল ইস্ট এবং গোটা বিশ্বের অন্যান্য কান্ট্রির শাসকগোষ্ঠী। জ্বি হ্যাঁ, আপনি-আমিও এর এর শ্রোতা কিন্তু শ্রোতাদের মধ্যে আমরা অনেকটুকু নিষ্ক্রিয় অংশ। কারণ আমরা কিছুই করতে পারব না তালিবানের জন্য। শুধু শুনেই যাবো। এই কার্যকরী অংশটারই তালেবানের প্রয়োজন আমাদের নয়। অথচ কার্যকরী শ্রোতা যারা তাদের প্রত্যেকেই আল-কায়েদার মজ্জাগত দুশমন। তাদের প্রত্যেককেই আল কায়েদা তাগুত বলে অভিহিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরয মনে করে।
আফগানিস্তানের প্রতিবছর ৪৫ লক্ষ টন তেলের এবং ৬৫৬ হাজার টন গ্যাসের প্রয়োজন হয়। যেগুলোর প্রোভাইডার কান্ট্রি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ইরান। তারপরে আছে রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার কান্ট্রিগুলো। এই দেশগুলোর মধ্যে ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে আল-কায়েদা বিভিন্ন ভূখণ্ডে সরাসরি জিহাদে লিপ্ত। ইরানের অভ্যন্তরে আল-কায়েদা দুই বছরে অনেকগুলো অপারেশন চালিয়েছে। যদি আল-কায়েদা এভাবে হামলা চালাতে থাকে আর তালিবান বলতে থাকে আল-কায়দাকে সব ধরনের সাপোর্ট দিচ্ছে; আর এই অভিযোগে ইরান ও রাশিয়া যদি আফগানিস্তানের তেলের সাপ্লাই অফ করে দেয় তাহলে অল্প ক'দিনের মধ্যে গোটা আফগানিস্তানের সকল ট্রান্সপোর্ট অফ হয়ে যাবে। হাজার হাজার গাড়ি, মালবাহী ট্রাক, ট্রেন তেলের অভাবে অকেজো হয়ে যাবে। তখন আফগানিস্তানের জনগণ তালিবানের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়বে। গোটা বিশ্বের মুসলিমগুলোকেও দেখানো হবে শরিয়াহ শাসন আসলেই ভয়ঙ্কর।
অনুরূপভাবে, আফগানিস্থানে প্রতিবছর ৬ লক্ষ টন চালের প্রয়োজন হয় যেটার সবচেয়ে বড় প্রোভাইডার হল পাকিস্তান। কারণ নৃতাত্ত্বিকভাবে আফগানিস্তানের অধিকাংশ ভূমি অনুর্বর। এতে ফসল বলতে আফিম, ধান, বার্লি, গম, ভুট্টা ইত্যাদি। কিন্তু সেটা ৪ কোটির বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তালেবান যদিও সম্প্রতি ব্যাপক কৃষির উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু সেটাও অনেক দীর্ঘমেয়াদী তাছাড়া পুরোপুরি জনগণের চাহিদা মেটাতে পারবে না।
তাছাড়া আফগানিস্তান টোটালি ল্যান্ডলকড কান্ট্রি হওয়ায় বাকি সকল পণ্য বাইরের দেশ থেকে সমুদ্রপথে আসলে তা প্রথমে পাকিস্তানের বন্দরে আসে। তারপরে তা পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে। এখন তালিবান বলল যে তাদের সঙ্গে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান'-এর সম্পর্ক গভীর। এরপরে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান প্রতিদিনই পাকিস্তানি সেনাদের কে হত্যা করছে। এখন এই অভিযোগে যদি পাকিস্তানি ত্বাগুত সরকার ফুড সাপ্লাই অফ করে দেয় তাহলে?
এবার বলবেন, "এটাই কি তাহলে মু-জাহিদদের তাওয়াক্কুল" ভাই, তাওয়াক্কুল অবশ্যই আল্লাহর উপর, কিন্তু দুনিয়াতে জাহিরী ও প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবের ফলাফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে। সেটা আল্লাহর সুন্নাহ। আল্লাহ যদি আসমান থেকে বনী ইসরাইলের মতো মান্না-সালওয়া পাঠাতে থাকেন তাহলে আমাদের পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজন হয় না, কিংবা আমাদের মধ্যে আর ইসরাইলিদের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। "আগে উট বাঁধ, তারপরে তাওয়াক্কুল করো।" মুজাহিদদের দুনিয়াতে কৌশলী হওয়ার মাধ্যমে যদি কিছু ফায়দা অর্জন করা যায় তাহলে সেটাকে বাদ দেওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
তানজিম ক্বাইদাহর একজন কল্যাণকামী এবং ভবিষ্যতে এর পতাকাতলে নিজেকে মুজাহিদ হিসেবে স্বপ্ন দেখা আমি নিজেও মনে করি, সুহাইল শাহীন(হাফি) যদি বলতে থাকতেন, "আফগানে আল কায়েদা আছে, আমাদের হাতে বাইয়াত আছে, আমরা তাদের সাপোর্ট দিচ্ছি।" তাহলে মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ করতেন না। কারণ একটা কথা বলার মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে চালিয়ে আসা পরিশ্রম ভন্ডুল হয়ে যেতো।
এই পর্যন্ত আমরা দেখিনি যে আল কায়েদা অভিযোগ করেছে তালেবান আমাদের সাথে এহেন আচরণ করছে। আল কায়েদার প্রতিষ্ঠা পর থেকে আজকে পর্যন্ত তালেবানের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগও করেনি। এবার আসুন দেখি নিই ফিল্ড লেভেলের কিছু কেইস।
১/ ২০০১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস। আমেরিকার অলআউট তীব্র বোম্বার্ডিং এর মুখে টিকতে না পেরে তালিবান পিছু হটছে। ইতিমধ্যে মোস্ট অফ আফগানিস্তান হাতছাড়া হয়ে গেছে। এয়ারস্ট্রাইক থেকে বাঁচতে তালিবান তার সেনাদের গ্রামাঞ্চলে, পাহাড়-পর্বতে, গিরি-কন্দরে, বন-জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে। ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তান সিদ্ধান্ত নিলো কান্দাহারের ক্ষমতা ক্রুসেডার ও কারজাই সরকারের হাতে দিবে না। তা যেকোনো মূল্যেই হোক ধরে রাখবে। কারজাই সরকারের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করা হলে কারজাই তা মেনে নিল। কিন্তু আমেরিকা তা প্রত্যাখান করলো। এবং গোটা কান্দাহারে বোম্বার্ডিং শুরু করলো। এই মুহূর্তটা ছিল খুবই ভয়ানক। আমেরিকার প্রচুর বোম্বার বিরতিহীন ভাবে পাহাড়ের উপর বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছিল। দানব আকারের বি-৫২ বোম্বার কার্পেট বোম্বিং করছিল কান্দাহারের উপর। যেখান দিয়ে বম্বিং করে যাচ্ছিল সেখানে লাশ আর ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এমত অবস্থায় ইমারাতে ইসলামিয়া আফঘানিস্তানের সেনাগণ দ্রুত সটকে পড়তে চাইছিলেন। কারণ কান্দাহারে তাদের অবস্থান ছিল আত্মঘাতী। কিন্তু শুধু আরব মুজাহিদদের পরিবারগুলোর অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য মোল্লা উমার(রহ.) তিন দিন বিলম্ব করেন। অথচ এই দিনে তাদের প্রচুর হতাহত হয়েছিল। কিন্তু মোল্লা উমার চাননি তারা চলে যান আর আরব মুজাহিদদের পরিবারগুলোকে আমেরিকানরা ক্যাপচার করুক। ঠিক যখন মোল্লা উমার(রহ.) নিশ্চিত হলেন যে আরব মুজাহিদগণ তাদের পরিবার নিয়ে কান্দাহার থেকে সরে পড়েছেন ঠিক তখনই তিনি ইমারাতের মুজা-হিদদের কান্দাহার ছাড়ার আদেশ দিলেন। এই ঘটনা শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরি সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।
২/ আল জাজিরার সাংবাদিক আহমদ যাইদান তালিবানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব মোল্লা দাদুল্লাহ (রহ.)কে আল কায়েদার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন যা তিনি তার বই " The returns of black flag" এ উল্লেখ করেছেন। "আপনাদের ও আল কায়েদারের মধ্যে কি রকম সম্পর্ক এবং বর্তমান আল কায়েদার সাথে তালেবান এর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?" মোল্লা দাদুল্লাহ্ হাফিঃ উত্তরে বলেছেন, "সমগ্র দুনিয়ায় জানে আল কায়েদার মুজাহিদদের জন্য আমরা শাসন ক্ষমতা ত্যাগ করেছি, এটা ছিল আমাদের দ্বীনি কর্তব্য। সুতরাং আমরা কিভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করতে পারি? আমরা এবং তারা একই ময়দানের সৈনিক। আমাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রেও এক, আমাদের শত্রুও এক। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এমনই ঐক্যবদ্ধ থাকব যতক্ষণনা বিজয় বা শাহাদাত আসে বিইযনিল্লাহ। আমাদের লক্ষ জি-হা-দ জারি রাখা। আমাদের দ্বীন এক, আমাদের লক্ষও এক ও অভিন্ন, আমাদের শত্রুও এক ও অভিন্ন। এবং ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের আল কায়েদার ভাইয়েদের সাথে থাকব যতক্ষণ না আমাদের শত্রু ক্রুসেডারকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করাতে পারি। এরপর সাংবাদিক যাইদান বলেন: আল কায়েদাকে সাহায্য করার জন্য আপনাদের কি কোন অনুতাপ হয়? মোল্লা দাদুল্লাহ(রহ.) উত্তরে বলেন, "আমাদের কথা হচ্ছে শহীদদের কথা যখন তাকে কবরে রাখ হয় তখন সে জিহাদ ও শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দেখে বলে, হায়! আমি যদি আবার জীবিত হয়ে আবার শহিদ হতে পারতাম। তেমনিভাবে আমরাও বলি হায়! আমরা যদি হাজার বার শাসন ক্ষমতা ফিরে পেতাম আর হাজার বার আল কায়েদার মুজাহিদ ভাইদের জন্য উৎসর্গ করতাম।" আল্লাহ আকবার!!!
৩/ শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী IEA এর সাবেক আমির আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মদ মানসূর রাহিঃ কে কিছু শর্তের ভিত্তিতে বাই’আত দিয়ে বলেন, "আমরা আপনাকে জিহাদের উপর বাই’আত প্রদান করছি। দখলকৃত ও ছিনতাইকৃত প্রত্যেক বিঘৎ মুসলিম ভূখণ্ড মুক্ত করার জন্য, কাশগর থেকে আন্দালুসিয়া{স্পেন} পর্যন্ত, কাওকাজ{চেচনিয়া} থেকে সোমালিয়া এমনকি মধ্য আফ্রিকা পর্যন্ত, কাশ্মির থেকে কুদস পর্যন্ত, ফিলিপাইন থেকে কাবুল,বোখারা ও সমরকন্দ পর্যন্ত। আমরা আপনাকে আল্লাহর শারী’আহ পরিবর্তনকারী শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য বাই’আত দিচ্ছি, যারা মুসলিম ভূখণ্ডসমূহে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে শারী’আর আহকামকে বাতিল করে দিয়েছে। অতঃপর তারা মুসলিমদের উপর কুফফারদের বিধান চাপিয়ে দিয়েছে এবং তারা ফাসাদের বিস্তার ঘটিয়েছে ও ফাসাদ সৃষ্টি করেছে। তারা মুসলিমদের উপর মুরতাদ ও কুফফারদের দালাল সংস্থাগুলোকে চাপিয়ে দিয়েছে যারা শারী’আহকে তাচ্ছিল্য করে, কুফফারদের আকীদা ও দর্শনকে উপরে স্থান দেয়, তারা মুসলিমদের ভূখণ্ডসমূহ এবং সম্পদগুলোকে মুসলিমদের শত্রুদের কাছে সমর্পণ করে দেয়। আর আমরা মাযলুম মুমিনদেরকে সাহায্য করার উপর আপনাকে বাই’আত দিচ্ছি, তারা যেখানেই থাকুক না কেনো।" [মাসী-রাতু ওফাঅ- শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বার্তা ] .
////// শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কর্তৃক তালিবানদের আমীরকে বাই’আত প্রদানের উপরোক্ত বার্তাটি "তালিবানদের" অফিসিয়াল মাসিক আরবী পত্রিকা আস-সমূদের ১১৩ তম সংখ্যার ৬ পৃষ্ঠায় ছাপা হয়। )
////// অতঃপর আমীরুল মুমিনীন মোল্লা আখতার মানসূর(রহ.) আনুষ্ঠানিকভাবে তালিবানদের অফিসিয়াল আরবী পত্রিকা ‘আস-সমূদ’ এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বার্তার মাধ্যমে এর জবাব দিয়ে বলেছেনঃ- "শুরুতেই তানযীমু ক্বা’য়িদাতিল জিহাদ অর্থাৎ আল-কায়েদার আমীর ডাঃ আইমান আল-যাওয়াহিরীর বাই’আতকে গ্রহণ করছি। আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এজন্য যে, তিনি শোকবার্তা ও সমবেদনার পাশাপাশি উনার অধীনে থাকা সকল মুজাহিদদের বাই’আত আমাদের প্রতি প্রেরণ করেছেন।"
Comment