Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোদী অথবা কংগ্রেস, মুসলিমদের জন্য কে বেশি কল্যাণকর?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোদী অথবা কংগ্রেস, মুসলিমদের জন্য কে বেশি কল্যাণকর?

    কেমন জান মনে হয় কংগ্রেসের চেয়ে মোদি সরকার ভারতের শাসন ক্ষমতায় থাকুক, যতদিন মুসলিমদের বিজয় না হচ্ছে। বিএনপির চেয়ে হাসিনা সরকার বরং থাকুক। বিজয়ের আগ পর্যন্ত তারা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখুক। জুলুম নির্যাতনের হাইড্রোলিক প্রেসে মুসলিমদেরকে চিপুক।


    কি রাগান্বিত হচ্ছেন? চিন্তা করুন। মোদি কিংবা হাসিনা এরা জালিম এবং তীব্র ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষী, কিন্তু এরা উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণের প্রভাবক (catalyst)। গায'ওয়াতুল হিন্দের লাকড়ি। এরা মুসলিমদের উপর নির্যাতন করছে ঠিকই কিন্তু বিনিময়ে মুসলিমদের ভিতরে জি-হাদের তামান্না জাগিয়ে দিচ্ছে। উপমহাদেশে এক মহা'জিহাদকে আমন্ত্রণ করছে।


    কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল তারা মুসলিমদের সঙ্গে লোকদেখানো ভালো ব্যবহার করেছে। ফলে মুসলিমরা তাদের গোলামি মেনে নিয়েছে। যখন কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিল, ইসলামিক কনফারেন্স কিংবা মাদ্রাসা ও দেওবন্দে যেত, উলামায়ে দেওবন্দের ভুয়সী প্রশংসা করতো, মুসলিমরা খুশিতে বাগবাগ হয়ে যেত। বাংলাদেশ থেকে এই প্রশংসার পাল্টা প্রশংসা করা হতো। সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও সংহতির কথা বলত। হিন্দু মুসলিম, পরস্পর ফ্রেন্ডশিপ চলতো।



    মুসলিমরা নিজেদের দ্বীন বিসর্জন দিয়ে ভারতমাতাকে প্রাধান্য দিতো। কাশ্মীরি, পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মুসলিমদের মুসলিমই মনে হতো না তাদের। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের তারা সন্ত্রাস বলতো, হিন্দুদের দেখাদেখি। আল কায়েদা কিংবা তালিবানের ওপর বিরক্ত ছিলো, কারণ তাদের কারণে হিন্দুদের কাছ থেকে জঙ্গি ডাক শুনতে হয়! বাচ্চারা স্কুলে সহপাঠীদের কাছ থেকে আর বড়রা অফিসে বা প্রতিবেশীর কাছ থেকে জঙ্গি ডাক শুনে।


    কংগ্রেসের আমলে ভারতে হিন্দু আর মুসলিম এতটাই একমন একপ্রাণ হয়েছিল যে অনেকে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতকে মুসলিমদের জন্য সেইফ জায়গা মনে করতেন। কংগ্রেসের শাসনামলে মুসলিমরা গোলামীর শান্তিতে ছিল ঠিকই কিন্তু ছিল না ইসলামী শাসন। ছিল না মুসলিমদের স্বাধীনতা। বরং গোলাম হিসেবে তাদের আন্ডারে থাকতে হয়েছে।

    খাঁচার ভিতরেও তো পাখিকে খুব ভালো ভালো খাবার দিয়ে রাখা হয়।


    এরপর মোদি সরকার আসলো হিন্দু মুসলিম বিভাজিত হয়ে গেল। ইসলাম ও কুফর আলাদা হয়ে গেল। এবার কুফর প্রস্তুতি নিতে থাকল ইসলামকে বিলুপ্ত করতে। হিন্দুরা তাদের আসল চেহারায় ফিরে গেলো। আটশো বছর তারা মুসলিমদের গোলামী সয়েছে, এবার এই কিটগুলোকে বিতাড়িত করতে হবে। প্রিপারেশন নিতে থাকলো মুসলিমদেরকে ভারত থেকে বিতাড়িত করে পিউর হিন্দুরাষ্ট্র কায়েম করতে।



    এই প্রিপারেশনের বেশ কয়েকটি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। মোট দশটি পর্যায় আছে একটা জাতিগত গনহত্যার। এই দশটি পর্যায়ের মধ্যে মোটামুটি ৭ম পর্যায় শুরু হচ্ছে। ৭ম পর্যায় হলো গণহত্যার প্রস্তুতি।
    অষ্টম পর্যায়ে নির্যাতন-নিপীড়ন, পশ্চাদ্ধাবন।
    নবম পর্যায়ে শুরু হয় মাস-কিলিং তথা মূল গণহত্যা। মুসলিম ক্লিনিং মিশন।

    আর দশম পর্যায় হলো মুসলিমদের পক্ষ থেকে যখন কোন বিদ্রোহ শুরু হবে তা সামাল দেওয়ার প্রচেষ্টা। কিন্তু নবম পর্যায় পর্যন্ত হিন্দুরা সফল হয়ে গেলেও দশম পর্যায়ে যে তারা ফেইল হবে তা নিশ্চিত।
    -------------------



    বাংলাদেশে যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল ইসলামপন্থীরা বিএনপিকে ইসলামী শাসন বলতো।
    "চারদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তারা দেশ ও ইসলামের সঙ্গে দুশমনি করবে" এমন কথা বলেছিলেন মাওলানা দিলোয়ার হোসেন সাঈদী।
    "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" এগুলোর মত বিষাক্ত বইগুলো আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(রহ)গণ বিএনপির শাসনামলেই লেখতে সাহস পেয়েছিলেন।


    এখন তো হিন্দুত্ববাদী আওয়ামী লীগের শাসন আমল, এখন কেন জঙ্গিবাদের উপর কোন বই লেখা হয়না? কেন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেওয়া হয় না? কেন দিনে দিনে তরুণদের মধ্যে জিহাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে? কেন জঙ্গিবাদ তথা জিহাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কতক আহলে হাদীস আলেমদের কে নিয়ে হাসি তামাশা করে তরুণরা?


    কারণ হিন্দুত্ববাদী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে মুসলিম বনাম হিন্দু-হিন্দুত্ববাদী-সেক্যুলার আলাদা হয়ে গেছে। মুসলিমরা এখন বুঝতে পারছে নিজেদের নিজস্ব শাসনের প্রয়োজনীয়তা। দিনে দিনে কুফুরি গণতন্ত্রের প্রতি ঘৃণা এবং ইসলামী শাসনের প্রতি আগ্রহ তরুণ ও যুবকদের মধ্যে বাড়ছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের ক্রুসেডারদের পরাজয় এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা এদেশের তরুণদের ভিতরে ইসলামী শাসনের প্রতিষ্ঠার আগ্রহকে অদম্য করে তুলেছে। এদেশের তরুণদের মধ্যে তো জাগরণ ও আল ওয়ালা ওয়াল বারার প্র্যাকটিস শুরু হচ্ছে ধীরে ধীরে।



    কিন্তু ইন্ডিয়া মুসলিমদের খবর কি? তাদের মহাসমুদ্রে ঝড় শুরু হচ্ছে তো? কারণ তারা তো বাঙাল মুসলিমদের চেয়েও আরো ডেঞ্জার জোনে আছে। তাদের মধ্যে কি জাগরণের শুরু হচ্ছে?
    নাকি দীর্ঘ ৭০ বছরের হিন্দুশাসনের আনুগত্য তাদের কাপুরুষ বানিয়ে রেখেছে?

    গণহত্যার কাছাকাছি এসে কি তাদের ঘুম ভাঙবে না? নাকি ঘুম ভাঙবে তখন, যখন নিজের পরিবার ও বাচ্চাকাচ্চার রামদার কোপে পড়ে থাকা রক্তাক্ত নিথর দেহ নিজের হাতে কবরস্থ করতে হবে?

  • #2
    আল্লাহ আপনার ইলমে-আমলে বারাকা দান করুন।আমি-ন

    Comment


    • #3
      আল্লাহর কসম।
      অচিরেই এমন এক আল্লাহর বাহিনী আসবে যারা মোদি হোক কিংবা কংগ্রেস সরকার হোক তাদেরকে শিকল দিয়ে বেধে নিয়ে যাওয়া হবে।
      আর উদিত হবে আল্লাহর কালিমার পতাকা। ইনশাআল্লাহ।

      Comment

      Working...
      X