আজকে আল্লাহর ইলাহী ক্ষমতা,বড়ত্ব, দয়া নিয়ে কোন আলোচনা করা হয় না। আজকে নামায,রোযা, দ্বীন কায়েম ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হলেও যার জন্য ইবাদাত করা হবে তার অসীম ক্ষমতা, দয়া নিয়ে কোন আলোচনা হয় না।কুরআনে যেসব আয়াতে আল্লাহর ক্ষমতা, সৃষ্টির বিশালতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে সব আয়াত নিয়ে কোন আলোচনা করা হয় না। ফলে আল্লাহর জন্য যদি মা বাবা ত্যাগ দেওয়া লাগে তখন চিন্তা করে। যে মা বাবা আমার জন্য এত কষ্ট করলো সে মা বাবাকে কেমনে ত্যাগ দিয়।অথচ এটা চিন্তা করে না যে, তার মা বাবাকে আল্লাহ চাইলে ফকির, চোর বা পঙ্গু বানাতে পারতেন। মানুষ তাকে চোরের সন্তান বা ফকিরের সন্তান বলে ডাকতো।কিন্তু আল্লাহ দয়া করে তার বাবাকে সুস্থ রেখেছেন। ভালো মানুষ বানিয়েছেন আর তাই সন্তানের জন্য কষ্ট করে লালন পালন করেছে।মানুষ যখন আল্লাহর একটি হুকুম অমান্য করে তখন চিন্তা করে আমিতো মাত্র সামান্য একটু হুকুম অমান্য করেছি কি আর হবে? অথচ এটা চিন্তা করে না যে,আমি কার হুকুম অমান্য করতেছি।যিনি খুটি বিহীন সাত আসমান, সাত জমিন, চন্দ্র, সূর্য, কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন তার হুকুম অমান্য করলাম।যিনি সব কিছুর মালিক তার হুকুম আমি অমান্য করতেছি।এটা মানুষ চিন্তা করে না।কারন মানুষের নিকট আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা করা হয় না।মানুষ দুনিয়ার জন্য আল্লাহকে ভুলে যায় অথচ মানুষ এটা চিন্তা করে না যে,আমি যে দুনিয়ার জন্য আল্লাহর হুকুম অমান্য করতেছি তার নিকট এই দুনিয়া মশার ডানার সমতুল্যও না।সাতশকোটির বেশি মানুষ যে দুনিয়ায় বাস করে,যে দুনিয়ায় কত নদী, সমুদ্র, পাহাড় রয়েছে সেই দুনিয়া যদি আল্লাহ নিকট মশার ডানার সমতুল্যও না হয় তাহলে তিনি কত বিশাল ক্ষমতার মালিক। সুবহানাল্লাহ। অথচ মানুষ চিন্তা করে না আমি কিভাবে এই তুচ্ছ দুনিয়ার জন্য দুনিয়ার মালিককে ভুলে যাই। কারন মানুষের নিকট আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয় না।যুবকরা সামান্য সুখের জন্য আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নারীর পিছনে ছুটে কারন তার সামনে আলোচনা করা হয় না যে,সুখের মালিক আল্লাহ তিনি চাইলে সবচেরে সুন্দরী নারী কোন পুরুষকে দিয়েও অশান্তিতে রাখতে পারেন। তিনি চাইলে রাজ প্রাসাদে রেখেও কাউকে দুঃখে রাখতে পারেন। আবার তিনি চাইলে ইবরাহীম আঃ এর মত আগুনে রেখেও সবচেয়ে শান্তিতে রাখতে পারেন।মানুষের সামনে আল্লাহর বিশাল ক্ষমতা, বড়ত্ব নিয়ে আলোচনা না করার কারনে মানুষ আল্লাহকে ভুলে গিয়ে পাপাচার অশ্লীলতায় ডুবে যায়।
মানুষ আল্লাহর জন্য ত্যাগ দিত পারে না।ইবাদাত করেও মজা পায় না।একটু চিন্তা করে দেখুন একজন অমুসলিমকে যখন প্রথম দাওয়াত দেওয়া হয় তখন তাকে নামায, রোযা বা হজ্ব, যাকাতের কথা বলে দাওয়াত দেওয়া হয় না।তার সামনে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আল্লাহর বড়ত্ব, দয়া, অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে তার সামনে আলোচনা করা হয়। ফলে সে আল্লাহই যে একমাত্র রব, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি সব কিছুর মালিক ইত্যাদির প্রতি তার অন্তরে ভালোভাবে বিশ্বাস স্থাপন হয়। ফলে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ভালোবাসা এত বেশি হয় যে,সে আল্লাহর জন্য মা বাবা, স্ত্রী সন্তান ত্যাগ দেয়।সে জায়গা জমি ত্যাগ দিয়ে দেয় আল্লাহর জন্য।মাক্কী জিবনীর দিকে তাকান। তখন ইসলামের অনেক বিধিবিধান ছিলোই না।সাহাবারা কেউ তাওহীদের দাওয়াত দিতেন, কেউ শুনতেন আর কেউ তাওহীদের জন্য কষ্ট স্বীকার করতেন। মোট কথা সাহাবীদের মাঝে সার্বক্ষনিক আল্লাহর বড়ত্ব, ইলাহী ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হতো।ফলে তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা এত বেশি হয়েছে যে,হাজারো কষ্ট ব্যাথা বেদনা সহ্য করার পরেও তারা দ্বীনের উপর অটল ছিলো।
এজন্যই সবার আগে আল্লাহ পরিচয় নিয়ে এমনভাবে আলোচনা করা দরকার যেন একজন মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস ভালোভাবে গেঁথে যায়। একটি পাথরে যখন খোদাই করে কোন কিছু লেখা হয় তখন পাথরটি যেখানেই রাখা হোক লিখাটি পাথরের সাথে থাকে। পাথরকে ভেঙ্গে দেওয়া ছাড়া লিখাটি মুছা যায় না।মানুষের নিকট আল্লাহর পরিচয় এতবেশি আলোচনা করা দরকার যেন মূহুর্তের জন্যও অন্তর থেকে আল্লাহকে না ভুলে। কুরআনে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে যে আয়াতগুলো আলোচনা করা হয়েছে সে আয়াতগুলো নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে।কিন্তু এটা খুবই আপসোসের বিষয় যে, সে আয়াতগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়ই না।সে আয়াত গুলোর ব্যাখা বিশ্লেষণ নিয়ে কোন বই মার্কেটে পাওয়া খুবই দুষ্কর।
অথচ মক্কাতে সে আয়াতগুলোই নাযিল হয়েছে। সে আয়াত গুলো দিয়ে রাসূল সাঃ দাওয়াত দিতেন।আজ ইসলামী সংগঠনের অনেক কর্মী কয়দিন ভালোভাবে কাজ করলেও কিছুদিন পরে তাকে কোন আদেশ দিলে কর্নপাত করে না।সে চিন্তা করে একটি আদেশ অমান্য করলে কি হবে? সে চিন্তা করে না যে,সে ইসলামী সংগঠন থেকে দূরে সরে গিয়ে কার হুকুম অমান্য করতেছে। যিনি সাত আসমান, সাত জমিনের মালিক তার হুকুম অমান্য করতেছে এটা সে চিন্তাও করে না।অনেক সময় আমীর তার মামুরকে কোন আদেশ দিলে তুচ্ছজ্ঞান করে।জামায়াতের সাথে থাকতে থাকতে এমন অবস্থা হয় যে,জামায়াতের আদেশ নিষেধ গুলোকে শুধুমাত্র আমীরের বা জামায়াতের আদেশ মনে করে।কোন আদেশ পালন করলে মনে করে যে,জামায়াতের জন্য বা আমীরের জন্য বড় কিছু করেছে।সে ভুলে যায় যে, সে আল্লাহর জন্য এত কষ্ট করতেছে। সে কোন ত্যাগ স্বীকার করলে বা কুরবানী করলে সে সারা বিশ্ব জাহানের মালিকের জন্যই করেছে এটা চিন্তা করে না।সে কোন সন্তুষ্টি অর্জন করলে কার সন্তুষ্টি অর্জন করেছে সেটা চিন্তা করে না।কারন তাদের সামনে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয় না।অনেকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে বা দ্বীনের পথে চলতে কেমন কেমন লজ্জা পায়। অথচ সে চিন্তা করে না সেতো আল্লাহর সৈনিক। যে আল্লাহ চাইলে তাকে পঙ্গু বা অন্ধ বানাতে পারতেন। আর তখন লজ্জা না করে রাস্তার পাশে বসে বসে হয়ত ভিক্ষা করতে হতো।
অনেকে দিনের পর দিন নামায আদায় করে না।মনে করে সামান্য একটি হুকুম অমান্য করলে কি আর হবে? অথচ দৈনিক সে কার হুকুম অমান্য করতেছে এটা ভেবে দেখে না।এজন্যই প্রত্যেকে বৈঠকে, ওয়াজ নসীহাহ আল্লাহর পরিচয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করতে হবে।আল্লাহর অসীম দয়া,বড়ত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা না করার কারনেই আজ অনেক মুসলিম পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কথা বলে। তা না হলে পশ্চিমাদের সাথে পেরে উঠতে পারবে না।মুসলিমরা আজ আল্লাহর সাহায্যের কথার প্রায়ই ভুলেই গেছে।অথচ মানুষ এটা চিন্তা করে না পশ্চিমারা যে অস্র দিয়ে ক্ষমতা দেখায় সে অস্রের মালিক আল্লাহ। তিনি চাইলে মুহূর্তে সব অস্র অকেজো করে দিতে পারেন।তাদের এই অস্র বানানো জ্ঞান তো আল্লাহই দিছে।তিনি চাইলে ভুমিধসের মাধ্যমে তাদের তলিয়ে দিতেন পারেন। আল্লাহ নমরুদ কে ক্ষুদ্র মশা দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।অথচ আজ অনেক মুসলিম পশ্চিমাদের নিয়ে তুলনায় নিজেদের মশার চেয়েও দূর্বল মনে করে।কারন তাদের কানে জন্মের পর থেকে পশ্চিমাদের ক্ষমতা নিয়ে অনেক আলোচনা পৌছানো হয়েছে।পশ্চিমাদের কার কত অস্র কান কত বোম ইত্যাদি নিয়ে মানুষ দ্বীনের পর দিন আলোচনা শুনেছে। অথচ মানুষের কানে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, বড়ত্ব, রহমত নিয়ে আলোচনা খুবই কম শুনানো হয়েছে।
ইসলামী সংগঠন গুলো যদি তাদের কর্মীদের ভালোভাবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে সর্বদা সব বৈঠকে, সাক্ষাৎ আল্লাহর পরিচয় নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। আল্লাহর ক্ষমতা, বড়ত্ব, সংক্রান্ত আয়াতগুলোর উপর ভালোভাবে গভেষনা করতে হবে।তাহলে কর্মীরাও যখন আল্লাহর পরিচয় নিয়ে মানুষকে দাওয়াত দিবে তখন কর্মীদের দাওয়াতে কেউ দ্বীনের পথে না আসলেও কর্মীর অন্তরে আল্লাহর বড়ত্ব,রহম সম্পর্কে ইমান দৃঢ় হবে।একজন দায়ী যখন কোন আমলের দাওয়াত দেন তখন প্রথম ওই আমলের উপর দায়ীর নিজের আগ্রহ বাড়ে।দায়ী ওই আমল নিয়ে নতুন নতুন কথা বলার জন্য অনেক গভেষনা করে।কিন্তু একজন দায়ী যখন মানুষকে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে দাওয়াত দিবে তখন আল্লাহর পরিচয় নিয়ে অনেক গবেষনা করবে। কুরআনের আয়াত গুলো নিয়ে চিন্তা করবে।
যখন দায়ী আল্লাহর পরিচয় নিয়ে যত বেশি দাওয়াত দিবে ততবেশী দায়ীর আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।দায়ীর অন্তরে বার বার আল্লাহকে স্মরন হবে। দায়ী আল্লাহর পরিচয় নিয়ে নতুন নতুন দাওয়াত দেওয়ার জন্য নিজে পড়বে এবং চিন্তা গভেষনা করবে। ধরুন একজন দায়ী আল্লাহর রিযিকদাতা এবিষয়ে যদি কাউকে দাওয়াত দিতে হয় তাহলে সে নিজে আগে এ বিষয়ে পড়বে ও চিন্তা করবে এরপর যখন বার বার দাওয়াত দিবে তখন দায়ীর নিজের ভিতরেই রিযিক নিয়ে চিন্তা থাকবে না। সে রিযিকের ভয়ে দ্বীন থেকে দূরে সরবে না ইনশাআল্লাহ।
মানুষের মাঝে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হলে মানুষ ইবাদাতেও স্বাদ পাবে। কেননা একজন ব্যক্তি নামায পড়া আগে চিন্তা করবে আমি দুনিয়ার সামান্য একজন নেতা বা আলেমের সামনে কথা বললে কত সম্মানের সাথে বলি। একটুও এদিক ওদিক করি না।অথচ আমি সকল রাজা বাদশাহর মালিকের সামনে দাড়ালাম। তিনি আমাকে দেখছেন। আমিতো তারই প্রসংশা করতেছি। আর তিনি শুনতেছেন।এমন চিন্তা আসলে নামায কত সুন্দর হবে।সিজদা থেকে মাথা উঠাতেই মন চাইবে না।
আজ অনেকে নেতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কারন নেতার ক্ষমতা সম্পর্কে জানে। অথচ আল্লাহর জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকার করে না কারন আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে জানে না।কিন্তু সমস্যা হলো এ চিন্তাগুলো মানুষের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় না।মানুষের মাঝে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা হয় না।আজ কমবেশী শিরক কুফর নিয়ে আলোচনা হলেও আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয় না।নেট দুনিয়ায় এ ব্যাপারে কোন আলোচনা পাওয়া খুবই দুষ্কর। অথচ সবচেয়ে বেশি এ বিষয়ে আলোচনা থাকার দরকার ছিলো। সর্বদাই এ ব্যাপারে চারদিকে আলোচনার দরকার ছিলো।আজ তাযকিয়ার জন্য বিভিন্ন ইমামদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উক্তি মানুষের সামনে বলা হয়।আর এত উক্তি মানুষ কিছুদিন মনে রেখে এরপর ভুলে যায়।কিন্তু যদি আল্লাহর পরিচয় নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হতো। মানুষের অন্তরে আল্লাহর বড়ত্ব, বিশাল ক্ষমতা নিয়ে খুব গভীর থেকে গভীর চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়া যেত তাহলে মানুষ সার্বক্ষণিক আল্লাহকে এমন ভাবে স্মরন রাখতো যে,কখনই আল্লাহ থেকে বিমুখ হতো না। আল্লাহর অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে সবসময় ভাবতো। কোন কিছু ত্যাগ দেওয়ার সময় ভাবতো যে,আল্লাহতো আছেন তিনি আমার এই ত্যাগ দেখতেছেন।একজন ব্যক্তি জ্বেলের ভিতরে নির্যাতিত হলে চিন্তা করতো আমার উপর প্রতিটি আঘাত স্বয়ং আল্লাহ দেখতেছেন। তিনি আমাকে এর চাইতে উত্তম কিছু দিবেন।আজ অনেক দ্বীনদার আল্লাহর জন্য ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে চায় না।ক্যারিয়ার ঠিক রেখে দ্বীন পালন করতে চায়। অথচ এটা চিন্তা করে না যে,আল্লাহ তাকে সুস্থ রেখেছেন বলেই সে ভালো ভাবে পড়ালেখা করতে পেরেছে।এমন অনেকেই তো আছে যাদের পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে আল্লাহ তাদের কোন গাড়ির দূর্ঘটনায় তাদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছেন বা পড়ালেখা শেষ করার পূর্বে পাগল হয়ে গেছে। মানুষের মাঝে এসব নিয়ে আলোচনা না হওয়ার কারনে মানুষ মনে করে তার কষ্টের কারনেই সে সফলতা লাভ করে। সে আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে চিন্তা করে না।আপনি যদি তাকিয়ে দেখুন তাহলে দেখবেন এ সম্পর্কে আলোচনা ভালোভাবে কোথাও আলোচনা হয় না।কোন কোন সংগঠন মাশাআল্লাহ দ্বীন কায়েম নিয়ে এত বেশি আলোচনা করেন যে,দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে খুবই তাত্ত্বিক আলোচনা করেন। গভীর থেকে গভীর আলোচনা করেন। আবার কেউ বিভিন্ন নফল ইবাদাত নিয়ে গভীর গভীর থেকে আলোচনা করতে পারেন।কারন উনারা খুব নফল ইবাদাত করেন এবং নফল ইবাদাতের ফজিলত নিয়ে খুব ভালো পড়াশুনা করেন।কিন্তু আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, বড়ত্ব নিয়ে আলোচনা না হওয়াতে এসব নিয়ে কেউ গভীর থেকে গভীর আলোচনা কেউ করতে পারেন না।তাত্ত্বিক কোন আলোচনাই করতে পারেন না।আজ দ্বীনের পথে চললে অনেক কষ্ট নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।অথচ যার জন্য কষ্ট করবে তাকে নিয়ে আলোচনা হয় না।আল্লাহর বড়ত্ব,দয়া নিয়ে যদি আলোচনা হতো তাহলে মানুষকে দ্বীনের জন্য কষ্ট করার কথা বলা লাগতো না। বরং মুমিনরা নিজেই আল্লাহর জন্য ত্যাগ কষ্ট স্বীকার করার জন্য পেরেশান থাকতো।একজন মানুষ যখন ভালোভাবে জানবে যে,সে এমন রবের জন্য কষ্ট করতেছে যিনি সকল ক্ষমতার মালিক সব কিছু দেখেন এমনকি আল্লাহর জন্য গহীন জঙ্গলে একটি মশার কামড়ের কারনে শরির থেকে সামান্য রক্ত বের হয় তাও তিনি দেখেন তখন মুমিনরা আল্লাহর জন্য কষ্ট করতে কুরবান করতে আরাম পাবে।
উপরোক্ত লিখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টঃ
১. মানুষের সামনে আজ পশ্চিমাদের শক্তি নিয়ে আলোচনা হয় অথচ আল্লাহর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয় না।
২.মানুষ জানে তার জন্য তার বাবা, মা ভাই বোন অনেক কষ্ট করেছে। কিন্তু মানুষ এটা জানে না যে,এই কষ্ট করার তাওফিক আল্লাহ দিয়েছেন।
৩. মানুষ হুকুম অমান্য করার সময় হুকুমের দিকে তাকায়। কিন্তু কার হুকুম অমান্য করলো সে দিকে তাকায় না।
৪.মানুষের সমানে ইবাদাত বন্দেগি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু যার জন্য ইবাদাত করবে তার বড়ত্ব রহমত নিয়ে আলোচনা হয় না।
এবার আল্লাহর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে সামান্য আলোচনা দেওয়া হলোঃ
আমরা আজ যে দুনিয়ায় বাস করি, যে দুনিয়াকে এত ভালোবাসি যে দুনিয়ায় ছয়স বা সাতশ কোটি মানুষ বাস করে, যে দুনিয়ায় এত সমুদ্র, নদ নদী, খালবিল, বিশাল বিশাল মরুভুমি ও সমুদ্র,যে দুনিয়ায় আরো লক্ষ কোটি মানুষ বাস করতে পারবে সে দুনিয়া আল্লাহর অন্য সৃষ্টির তুলনায় কত ছোট জানেন?এই দুনিয়া কত নগন্য জানেন? এই দুনিয়ার সূর্যের তুলনায় তেরো লক্ষ গুন ছোট। সূর্য পৃথিবীর চেয়ে তেরো লক্ষ গুন বড়। তেরো লক্ষ পৃথিবী একসাথে করলে একটা সূর্যের সমান হবে। সুবহানাল্লাহ
অথচ সূর্য আল্লাহর একটি নক্ষত্র। এরকম আরো নক্ষত্র আছে।যেগুলো সূর্যের লক্ষকোটি গুন বড়। এরকম লক্ষকোটি মিলিয়ন নক্ষত্রের প্রয়োজন একটি গ্যালাক্সী ( ছায়াপথ) তৈরী করতে। কোটি কোটি গ্যালাক্সি আছে এই মহাবিশ্বে। আপনি উপরে তাকিয়ে যত নক্ষত্র দেখুন না কেন এসব লক্ষ কোটি নক্ষত্র সবই হলো প্রথম আকাশে। আর আল্লাহ হলেন সাতআসমানের মালিক।প্রথম আসমান থেকে দ্বীতিয় আসমানের দুরত্ব হলো ৫০০ বছরের।আর এ ৫০০ বছরে যে দুরত্ব অতিক্রম করা যাবে কি গতিতে?একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।কিন্তু ৫০০ বছর লাগবে প্রথম আসমান থেকে দ্বিতীয় আসমানে যেতে।৫০০ বছর লাগবে দ্বীতিয় আসমান থেকে তৃতীয় আসমান যেতে।তৃতীয় থেকে চতুর্থ আসমান যেতে ৫০০ বছর লাগবে। চতুর্থ থেকে পঞ্চম ৫০০ বছর ও ৫ম থেকে ৬ষ্ট আসমান যেতে ৫০০ লাগবে।আর ৬ষ্ট থেকে ৭ম যেতে ৫০০ বছরের দুরত্ব।এসব কিছুর পর হলো আল্লাহর কুরসি।যে সাত আসমানের আলোচনা করা হলো। এই সাত আসমান কুরসির তুলনায় কতটুকু জানেন?কুরসির তুলনায় এদের কোন অস্তিত্বই নাই। রাসুল সাঃ এক হাদিসে একটি উদাহরণ দিয়েছেন আমাদের বোঝানোর জন্যে।সাত আসমানে সাপেক্ষে আল্লাহর কুরসি হলো।আপনার হাতে একটি আংটি নিন। ছোট যে আংটিটি আপনার আছে তা খুলে নিন। ছোট্ট যে আংটিটি আপনার আঙ্গুল থেকে খুলে নিয়েছি তা সাহারা মরুভূমিতে রাখি। এবার বলুন সাহারা মরুভূমিতে আপনার আংটিটির আকার কি?কিছুই না।সে আংটিটি হলো সাত আসমান আর সাহারা মরুভূমির হলো আল্লাহর কুরসি। ( উদারহরনের জন্য সাহারা মরুভূমির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাঃ আংটির তুলনায় যে মরুভূমির কথা বলেছেন। সেটা কোন নির্দিষ্ট মরুভুমির কথা বলেন নি)।কুরসির পরে আছে আল্লাহর আরশ।পুনরায় রাসুলুল্লাহ সাঃ বর্ননা করেছেন আমাদের বোঝানোর জন্য। এইবার আংটিটি নিয়ে মরুভূমিতে রাখি। এইবার আংটিটি হচ্ছে কুরসি। আর আরশ হচ্ছে মরুভূমি। এই বার চিন্তা করুন আরশের তুলনায় কুরসি কি? কিছুই না।এরপর আছেন ফেরেশতারা যারা আল্লাহর আরশ বহন করছেন।যাদের মাথা সপ্ত আসমানে আর পা সর্বনিম্ন দুনিয়াতে। আর এ সব কিছুর মালিক আল্লাহ।আল্লাহ কত মহান। কত বিশাল ক্ষমতার মালিক। কত বিশাল তার রাজত্ব। আর আমরা সে আল্লাহর নাফরমানি করি। আমরা সে আল্লাহর হুকুম মানি না।ইন্না-লিল্লাহ।আল্লাহ আপনার প্রতি কত দয়া করেছেন আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন? যে চোখ দিয়ে অশ্লিল ছবি দেখেন কত অগনিত পাপ করেন।সে চোখের বিনিময় যদি গোটা পৃথিবী আপনাকে দেওয়া হয়। স্বর্নের পাহাড় দেওয়া হয় আপনি সে চোখ দিবেন? এবার ভেবে দেখুন কত বড় নেয়ামত তিনি দিয়েছেন।আপনি যখন অশ্লীল ছবি দেখেন তখন তিনি চাইলে আপনাকে অন্ধ করে দিতে পারেন।কিন্তু তিনি আপনার প্রতি কত দয়া করেন।তিনি যদি আপনার দুইটি পা না দিতেন তাহলে আজ আপনি রাস্তার ধারে বসে হয়ত ভিক্ষা করা লাগতো।আপনার সামনে দিয়ে কত সুন্দরি মেয়ে যেত। তারা হয়ত আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে চলে যেত কিন্তু আপনি কি তাদের প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারতেন?অথচ আজ আল্লাহর এত অনুগ্রহ পেয়ে আপনি আল্লাহর নাফারমানি করেন।আমরা আজ রিযিক নিয়ে চিন্তা করি অথচ যখন আমি মায়ের পেটে ছিলাম। যখন আমি নিজেকে নিজে দেখতাম না। কত মারাত্নক অন্ধকারে ছিলাম তখন আল্লাহ সেখানে আমাদের রিযিকের ব্যাবস্থা করেছেন।দুনিয়ায় আসার আগে আল্লাহর মায়ের বুকে আমার রিযিক পাঠিয়ে দিয়েছেন।আল্লাহ আড়াই বছর আমার রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন এমন জায়গা থেকে যেখানে ইতিপূর্বে কোন রিযিক ছিলোই না।কেউ যদি বলে আমি উত্তপ্ত মরুভূমির মাঝখানে হঠাৎ পাথর থেকে দুধের ঝরনা বের হতে দেখেছি। কারও হয়তো বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু আমার জন্মের আগে যে মায়ের স্তনে কোন দুধ ছিলোই না। আমি জন্মের পর আল্লাহ সেখান থেকে আমার রিযিকের ব্যাবস্থা করে দিলেন।এমন রিযিক দিলেন যে রিযিক গ্রহনের পর আর কোন খাবার খেতে হয় না। সুবহানাল্লাহ।
আল্লাহ কত দয়াবান কত রহমান।যখন আমি নিজেকেই চিনতাম না। জানতাম না তখন তিনি কত বিপদ থেকে আমাকে বাচালেন। আমি রিযিকের জন্য কথা পর্যন্ত বলতে পারতাম না। আর তখন আমার রিযিকের ব্যাবস্থা করলেন।আমি একটু হাটতে পারতাম না। চলতে পারতাম। তিনি হাটার ও চলার শক্তি দিলেন।তিনি সব কিছু মালিক। যাকে চান তাকে সুখী করতে পারেন আর যাকে চান তাকে সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়িতে রেখেও দুঃখকষ্টে রাখতে পারেন।তার হাতেই সকল ক্ষমতা।যাকে চান তাকে ক্ষমতা দেন। আর যাকে চান তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেন।কত রাজার ছেলে রাজা হওয়া কথা। অথচ তিনি ফকির বানিয়ে দিয়েছেন।তিনি হযরত ইউসুফ আঃ কে গহীন অন্ধকার কুফ থেকে আযীযে মিশরের ঘরে নিয়ে গেলেন।আবার জ্বেল থেকে কোন যুদ্ব ছাড়াই মিশরের বাদশাহ বানালেন।তিনি হযরত সুলাইমান আঃ কে সারা দুনিয়ার রাজত্ব দান করলেন।তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন। আর যাকে চান তাকে বাদশার আসনে বসিয়ে অপমানিত করতে পারেন। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতার আসনে মানুষের থাপ্পর খাইয়েছেন।তিনি সকল বাদশাহ মালিক। সব কিছুর মালিক।
মানুষ আল্লাহর জন্য ত্যাগ দিত পারে না।ইবাদাত করেও মজা পায় না।একটু চিন্তা করে দেখুন একজন অমুসলিমকে যখন প্রথম দাওয়াত দেওয়া হয় তখন তাকে নামায, রোযা বা হজ্ব, যাকাতের কথা বলে দাওয়াত দেওয়া হয় না।তার সামনে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। আল্লাহর বড়ত্ব, দয়া, অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে তার সামনে আলোচনা করা হয়। ফলে সে আল্লাহই যে একমাত্র রব, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই, তিনি সব কিছুর মালিক ইত্যাদির প্রতি তার অন্তরে ভালোভাবে বিশ্বাস স্থাপন হয়। ফলে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ভালোবাসা এত বেশি হয় যে,সে আল্লাহর জন্য মা বাবা, স্ত্রী সন্তান ত্যাগ দেয়।সে জায়গা জমি ত্যাগ দিয়ে দেয় আল্লাহর জন্য।মাক্কী জিবনীর দিকে তাকান। তখন ইসলামের অনেক বিধিবিধান ছিলোই না।সাহাবারা কেউ তাওহীদের দাওয়াত দিতেন, কেউ শুনতেন আর কেউ তাওহীদের জন্য কষ্ট স্বীকার করতেন। মোট কথা সাহাবীদের মাঝে সার্বক্ষনিক আল্লাহর বড়ত্ব, ইলাহী ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হতো।ফলে তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা এত বেশি হয়েছে যে,হাজারো কষ্ট ব্যাথা বেদনা সহ্য করার পরেও তারা দ্বীনের উপর অটল ছিলো।
এজন্যই সবার আগে আল্লাহ পরিচয় নিয়ে এমনভাবে আলোচনা করা দরকার যেন একজন মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, বিশ্বাস ভালোভাবে গেঁথে যায়। একটি পাথরে যখন খোদাই করে কোন কিছু লেখা হয় তখন পাথরটি যেখানেই রাখা হোক লিখাটি পাথরের সাথে থাকে। পাথরকে ভেঙ্গে দেওয়া ছাড়া লিখাটি মুছা যায় না।মানুষের নিকট আল্লাহর পরিচয় এতবেশি আলোচনা করা দরকার যেন মূহুর্তের জন্যও অন্তর থেকে আল্লাহকে না ভুলে। কুরআনে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে যে আয়াতগুলো আলোচনা করা হয়েছে সে আয়াতগুলো নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে।কিন্তু এটা খুবই আপসোসের বিষয় যে, সে আয়াতগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়ই না।সে আয়াত গুলোর ব্যাখা বিশ্লেষণ নিয়ে কোন বই মার্কেটে পাওয়া খুবই দুষ্কর।
অথচ মক্কাতে সে আয়াতগুলোই নাযিল হয়েছে। সে আয়াত গুলো দিয়ে রাসূল সাঃ দাওয়াত দিতেন।আজ ইসলামী সংগঠনের অনেক কর্মী কয়দিন ভালোভাবে কাজ করলেও কিছুদিন পরে তাকে কোন আদেশ দিলে কর্নপাত করে না।সে চিন্তা করে একটি আদেশ অমান্য করলে কি হবে? সে চিন্তা করে না যে,সে ইসলামী সংগঠন থেকে দূরে সরে গিয়ে কার হুকুম অমান্য করতেছে। যিনি সাত আসমান, সাত জমিনের মালিক তার হুকুম অমান্য করতেছে এটা সে চিন্তাও করে না।অনেক সময় আমীর তার মামুরকে কোন আদেশ দিলে তুচ্ছজ্ঞান করে।জামায়াতের সাথে থাকতে থাকতে এমন অবস্থা হয় যে,জামায়াতের আদেশ নিষেধ গুলোকে শুধুমাত্র আমীরের বা জামায়াতের আদেশ মনে করে।কোন আদেশ পালন করলে মনে করে যে,জামায়াতের জন্য বা আমীরের জন্য বড় কিছু করেছে।সে ভুলে যায় যে, সে আল্লাহর জন্য এত কষ্ট করতেছে। সে কোন ত্যাগ স্বীকার করলে বা কুরবানী করলে সে সারা বিশ্ব জাহানের মালিকের জন্যই করেছে এটা চিন্তা করে না।সে কোন সন্তুষ্টি অর্জন করলে কার সন্তুষ্টি অর্জন করেছে সেটা চিন্তা করে না।কারন তাদের সামনে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয় না।অনেকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে বা দ্বীনের পথে চলতে কেমন কেমন লজ্জা পায়। অথচ সে চিন্তা করে না সেতো আল্লাহর সৈনিক। যে আল্লাহ চাইলে তাকে পঙ্গু বা অন্ধ বানাতে পারতেন। আর তখন লজ্জা না করে রাস্তার পাশে বসে বসে হয়ত ভিক্ষা করতে হতো।
অনেকে দিনের পর দিন নামায আদায় করে না।মনে করে সামান্য একটি হুকুম অমান্য করলে কি আর হবে? অথচ দৈনিক সে কার হুকুম অমান্য করতেছে এটা ভেবে দেখে না।এজন্যই প্রত্যেকে বৈঠকে, ওয়াজ নসীহাহ আল্লাহর পরিচয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করতে হবে।আল্লাহর অসীম দয়া,বড়ত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা না করার কারনেই আজ অনেক মুসলিম পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কথা বলে। তা না হলে পশ্চিমাদের সাথে পেরে উঠতে পারবে না।মুসলিমরা আজ আল্লাহর সাহায্যের কথার প্রায়ই ভুলেই গেছে।অথচ মানুষ এটা চিন্তা করে না পশ্চিমারা যে অস্র দিয়ে ক্ষমতা দেখায় সে অস্রের মালিক আল্লাহ। তিনি চাইলে মুহূর্তে সব অস্র অকেজো করে দিতে পারেন।তাদের এই অস্র বানানো জ্ঞান তো আল্লাহই দিছে।তিনি চাইলে ভুমিধসের মাধ্যমে তাদের তলিয়ে দিতেন পারেন। আল্লাহ নমরুদ কে ক্ষুদ্র মশা দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন।অথচ আজ অনেক মুসলিম পশ্চিমাদের নিয়ে তুলনায় নিজেদের মশার চেয়েও দূর্বল মনে করে।কারন তাদের কানে জন্মের পর থেকে পশ্চিমাদের ক্ষমতা নিয়ে অনেক আলোচনা পৌছানো হয়েছে।পশ্চিমাদের কার কত অস্র কান কত বোম ইত্যাদি নিয়ে মানুষ দ্বীনের পর দিন আলোচনা শুনেছে। অথচ মানুষের কানে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, বড়ত্ব, রহমত নিয়ে আলোচনা খুবই কম শুনানো হয়েছে।
ইসলামী সংগঠন গুলো যদি তাদের কর্মীদের ভালোভাবে গড়ে তুলতে চায় তাহলে সর্বদা সব বৈঠকে, সাক্ষাৎ আল্লাহর পরিচয় নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে। আল্লাহর ক্ষমতা, বড়ত্ব, সংক্রান্ত আয়াতগুলোর উপর ভালোভাবে গভেষনা করতে হবে।তাহলে কর্মীরাও যখন আল্লাহর পরিচয় নিয়ে মানুষকে দাওয়াত দিবে তখন কর্মীদের দাওয়াতে কেউ দ্বীনের পথে না আসলেও কর্মীর অন্তরে আল্লাহর বড়ত্ব,রহম সম্পর্কে ইমান দৃঢ় হবে।একজন দায়ী যখন কোন আমলের দাওয়াত দেন তখন প্রথম ওই আমলের উপর দায়ীর নিজের আগ্রহ বাড়ে।দায়ী ওই আমল নিয়ে নতুন নতুন কথা বলার জন্য অনেক গভেষনা করে।কিন্তু একজন দায়ী যখন মানুষকে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে দাওয়াত দিবে তখন আল্লাহর পরিচয় নিয়ে অনেক গবেষনা করবে। কুরআনের আয়াত গুলো নিয়ে চিন্তা করবে।
যখন দায়ী আল্লাহর পরিচয় নিয়ে যত বেশি দাওয়াত দিবে ততবেশী দায়ীর আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।দায়ীর অন্তরে বার বার আল্লাহকে স্মরন হবে। দায়ী আল্লাহর পরিচয় নিয়ে নতুন নতুন দাওয়াত দেওয়ার জন্য নিজে পড়বে এবং চিন্তা গভেষনা করবে। ধরুন একজন দায়ী আল্লাহর রিযিকদাতা এবিষয়ে যদি কাউকে দাওয়াত দিতে হয় তাহলে সে নিজে আগে এ বিষয়ে পড়বে ও চিন্তা করবে এরপর যখন বার বার দাওয়াত দিবে তখন দায়ীর নিজের ভিতরেই রিযিক নিয়ে চিন্তা থাকবে না। সে রিযিকের ভয়ে দ্বীন থেকে দূরে সরবে না ইনশাআল্লাহ।
মানুষের মাঝে আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হলে মানুষ ইবাদাতেও স্বাদ পাবে। কেননা একজন ব্যক্তি নামায পড়া আগে চিন্তা করবে আমি দুনিয়ার সামান্য একজন নেতা বা আলেমের সামনে কথা বললে কত সম্মানের সাথে বলি। একটুও এদিক ওদিক করি না।অথচ আমি সকল রাজা বাদশাহর মালিকের সামনে দাড়ালাম। তিনি আমাকে দেখছেন। আমিতো তারই প্রসংশা করতেছি। আর তিনি শুনতেছেন।এমন চিন্তা আসলে নামায কত সুন্দর হবে।সিজদা থেকে মাথা উঠাতেই মন চাইবে না।
আজ অনেকে নেতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কারন নেতার ক্ষমতা সম্পর্কে জানে। অথচ আল্লাহর জন্য সামান্য ত্যাগ স্বীকার করে না কারন আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে জানে না।কিন্তু সমস্যা হলো এ চিন্তাগুলো মানুষের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় না।মানুষের মাঝে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা হয় না।আজ কমবেশী শিরক কুফর নিয়ে আলোচনা হলেও আল্লাহর পরিচয় নিয়ে আলোচনা হয় না।নেট দুনিয়ায় এ ব্যাপারে কোন আলোচনা পাওয়া খুবই দুষ্কর। অথচ সবচেয়ে বেশি এ বিষয়ে আলোচনা থাকার দরকার ছিলো। সর্বদাই এ ব্যাপারে চারদিকে আলোচনার দরকার ছিলো।আজ তাযকিয়ার জন্য বিভিন্ন ইমামদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উক্তি মানুষের সামনে বলা হয়।আর এত উক্তি মানুষ কিছুদিন মনে রেখে এরপর ভুলে যায়।কিন্তু যদি আল্লাহর পরিচয় নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা হতো। মানুষের অন্তরে আল্লাহর বড়ত্ব, বিশাল ক্ষমতা নিয়ে খুব গভীর থেকে গভীর চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়া যেত তাহলে মানুষ সার্বক্ষণিক আল্লাহকে এমন ভাবে স্মরন রাখতো যে,কখনই আল্লাহ থেকে বিমুখ হতো না। আল্লাহর অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে সবসময় ভাবতো। কোন কিছু ত্যাগ দেওয়ার সময় ভাবতো যে,আল্লাহতো আছেন তিনি আমার এই ত্যাগ দেখতেছেন।একজন ব্যক্তি জ্বেলের ভিতরে নির্যাতিত হলে চিন্তা করতো আমার উপর প্রতিটি আঘাত স্বয়ং আল্লাহ দেখতেছেন। তিনি আমাকে এর চাইতে উত্তম কিছু দিবেন।আজ অনেক দ্বীনদার আল্লাহর জন্য ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে চায় না।ক্যারিয়ার ঠিক রেখে দ্বীন পালন করতে চায়। অথচ এটা চিন্তা করে না যে,আল্লাহ তাকে সুস্থ রেখেছেন বলেই সে ভালো ভাবে পড়ালেখা করতে পেরেছে।এমন অনেকেই তো আছে যাদের পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে আল্লাহ তাদের কোন গাড়ির দূর্ঘটনায় তাদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছেন বা পড়ালেখা শেষ করার পূর্বে পাগল হয়ে গেছে। মানুষের মাঝে এসব নিয়ে আলোচনা না হওয়ার কারনে মানুষ মনে করে তার কষ্টের কারনেই সে সফলতা লাভ করে। সে আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে চিন্তা করে না।আপনি যদি তাকিয়ে দেখুন তাহলে দেখবেন এ সম্পর্কে আলোচনা ভালোভাবে কোথাও আলোচনা হয় না।কোন কোন সংগঠন মাশাআল্লাহ দ্বীন কায়েম নিয়ে এত বেশি আলোচনা করেন যে,দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে খুবই তাত্ত্বিক আলোচনা করেন। গভীর থেকে গভীর আলোচনা করেন। আবার কেউ বিভিন্ন নফল ইবাদাত নিয়ে গভীর গভীর থেকে আলোচনা করতে পারেন।কারন উনারা খুব নফল ইবাদাত করেন এবং নফল ইবাদাতের ফজিলত নিয়ে খুব ভালো পড়াশুনা করেন।কিন্তু আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, বড়ত্ব নিয়ে আলোচনা না হওয়াতে এসব নিয়ে কেউ গভীর থেকে গভীর আলোচনা কেউ করতে পারেন না।তাত্ত্বিক কোন আলোচনাই করতে পারেন না।আজ দ্বীনের পথে চললে অনেক কষ্ট নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।অথচ যার জন্য কষ্ট করবে তাকে নিয়ে আলোচনা হয় না।আল্লাহর বড়ত্ব,দয়া নিয়ে যদি আলোচনা হতো তাহলে মানুষকে দ্বীনের জন্য কষ্ট করার কথা বলা লাগতো না। বরং মুমিনরা নিজেই আল্লাহর জন্য ত্যাগ কষ্ট স্বীকার করার জন্য পেরেশান থাকতো।একজন মানুষ যখন ভালোভাবে জানবে যে,সে এমন রবের জন্য কষ্ট করতেছে যিনি সকল ক্ষমতার মালিক সব কিছু দেখেন এমনকি আল্লাহর জন্য গহীন জঙ্গলে একটি মশার কামড়ের কারনে শরির থেকে সামান্য রক্ত বের হয় তাও তিনি দেখেন তখন মুমিনরা আল্লাহর জন্য কষ্ট করতে কুরবান করতে আরাম পাবে।
উপরোক্ত লিখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টঃ
১. মানুষের সামনে আজ পশ্চিমাদের শক্তি নিয়ে আলোচনা হয় অথচ আল্লাহর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয় না।
২.মানুষ জানে তার জন্য তার বাবা, মা ভাই বোন অনেক কষ্ট করেছে। কিন্তু মানুষ এটা জানে না যে,এই কষ্ট করার তাওফিক আল্লাহ দিয়েছেন।
৩. মানুষ হুকুম অমান্য করার সময় হুকুমের দিকে তাকায়। কিন্তু কার হুকুম অমান্য করলো সে দিকে তাকায় না।
৪.মানুষের সমানে ইবাদাত বন্দেগি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু যার জন্য ইবাদাত করবে তার বড়ত্ব রহমত নিয়ে আলোচনা হয় না।
এবার আল্লাহর বিশাল ক্ষমতা নিয়ে সামান্য আলোচনা দেওয়া হলোঃ
আমরা আজ যে দুনিয়ায় বাস করি, যে দুনিয়াকে এত ভালোবাসি যে দুনিয়ায় ছয়স বা সাতশ কোটি মানুষ বাস করে, যে দুনিয়ায় এত সমুদ্র, নদ নদী, খালবিল, বিশাল বিশাল মরুভুমি ও সমুদ্র,যে দুনিয়ায় আরো লক্ষ কোটি মানুষ বাস করতে পারবে সে দুনিয়া আল্লাহর অন্য সৃষ্টির তুলনায় কত ছোট জানেন?এই দুনিয়া কত নগন্য জানেন? এই দুনিয়ার সূর্যের তুলনায় তেরো লক্ষ গুন ছোট। সূর্য পৃথিবীর চেয়ে তেরো লক্ষ গুন বড়। তেরো লক্ষ পৃথিবী একসাথে করলে একটা সূর্যের সমান হবে। সুবহানাল্লাহ
অথচ সূর্য আল্লাহর একটি নক্ষত্র। এরকম আরো নক্ষত্র আছে।যেগুলো সূর্যের লক্ষকোটি গুন বড়। এরকম লক্ষকোটি মিলিয়ন নক্ষত্রের প্রয়োজন একটি গ্যালাক্সী ( ছায়াপথ) তৈরী করতে। কোটি কোটি গ্যালাক্সি আছে এই মহাবিশ্বে। আপনি উপরে তাকিয়ে যত নক্ষত্র দেখুন না কেন এসব লক্ষ কোটি নক্ষত্র সবই হলো প্রথম আকাশে। আর আল্লাহ হলেন সাতআসমানের মালিক।প্রথম আসমান থেকে দ্বীতিয় আসমানের দুরত্ব হলো ৫০০ বছরের।আর এ ৫০০ বছরে যে দুরত্ব অতিক্রম করা যাবে কি গতিতে?একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।কিন্তু ৫০০ বছর লাগবে প্রথম আসমান থেকে দ্বিতীয় আসমানে যেতে।৫০০ বছর লাগবে দ্বীতিয় আসমান থেকে তৃতীয় আসমান যেতে।তৃতীয় থেকে চতুর্থ আসমান যেতে ৫০০ বছর লাগবে। চতুর্থ থেকে পঞ্চম ৫০০ বছর ও ৫ম থেকে ৬ষ্ট আসমান যেতে ৫০০ লাগবে।আর ৬ষ্ট থেকে ৭ম যেতে ৫০০ বছরের দুরত্ব।এসব কিছুর পর হলো আল্লাহর কুরসি।যে সাত আসমানের আলোচনা করা হলো। এই সাত আসমান কুরসির তুলনায় কতটুকু জানেন?কুরসির তুলনায় এদের কোন অস্তিত্বই নাই। রাসুল সাঃ এক হাদিসে একটি উদাহরণ দিয়েছেন আমাদের বোঝানোর জন্যে।সাত আসমানে সাপেক্ষে আল্লাহর কুরসি হলো।আপনার হাতে একটি আংটি নিন। ছোট যে আংটিটি আপনার আছে তা খুলে নিন। ছোট্ট যে আংটিটি আপনার আঙ্গুল থেকে খুলে নিয়েছি তা সাহারা মরুভূমিতে রাখি। এবার বলুন সাহারা মরুভূমিতে আপনার আংটিটির আকার কি?কিছুই না।সে আংটিটি হলো সাত আসমান আর সাহারা মরুভূমির হলো আল্লাহর কুরসি। ( উদারহরনের জন্য সাহারা মরুভূমির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাঃ আংটির তুলনায় যে মরুভূমির কথা বলেছেন। সেটা কোন নির্দিষ্ট মরুভুমির কথা বলেন নি)।কুরসির পরে আছে আল্লাহর আরশ।পুনরায় রাসুলুল্লাহ সাঃ বর্ননা করেছেন আমাদের বোঝানোর জন্য। এইবার আংটিটি নিয়ে মরুভূমিতে রাখি। এইবার আংটিটি হচ্ছে কুরসি। আর আরশ হচ্ছে মরুভূমি। এই বার চিন্তা করুন আরশের তুলনায় কুরসি কি? কিছুই না।এরপর আছেন ফেরেশতারা যারা আল্লাহর আরশ বহন করছেন।যাদের মাথা সপ্ত আসমানে আর পা সর্বনিম্ন দুনিয়াতে। আর এ সব কিছুর মালিক আল্লাহ।আল্লাহ কত মহান। কত বিশাল ক্ষমতার মালিক। কত বিশাল তার রাজত্ব। আর আমরা সে আল্লাহর নাফরমানি করি। আমরা সে আল্লাহর হুকুম মানি না।ইন্না-লিল্লাহ।আল্লাহ আপনার প্রতি কত দয়া করেছেন আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন? যে চোখ দিয়ে অশ্লিল ছবি দেখেন কত অগনিত পাপ করেন।সে চোখের বিনিময় যদি গোটা পৃথিবী আপনাকে দেওয়া হয়। স্বর্নের পাহাড় দেওয়া হয় আপনি সে চোখ দিবেন? এবার ভেবে দেখুন কত বড় নেয়ামত তিনি দিয়েছেন।আপনি যখন অশ্লীল ছবি দেখেন তখন তিনি চাইলে আপনাকে অন্ধ করে দিতে পারেন।কিন্তু তিনি আপনার প্রতি কত দয়া করেন।তিনি যদি আপনার দুইটি পা না দিতেন তাহলে আজ আপনি রাস্তার ধারে বসে হয়ত ভিক্ষা করা লাগতো।আপনার সামনে দিয়ে কত সুন্দরি মেয়ে যেত। তারা হয়ত আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে চলে যেত কিন্তু আপনি কি তাদের প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারতেন?অথচ আজ আল্লাহর এত অনুগ্রহ পেয়ে আপনি আল্লাহর নাফারমানি করেন।আমরা আজ রিযিক নিয়ে চিন্তা করি অথচ যখন আমি মায়ের পেটে ছিলাম। যখন আমি নিজেকে নিজে দেখতাম না। কত মারাত্নক অন্ধকারে ছিলাম তখন আল্লাহ সেখানে আমাদের রিযিকের ব্যাবস্থা করেছেন।দুনিয়ায় আসার আগে আল্লাহর মায়ের বুকে আমার রিযিক পাঠিয়ে দিয়েছেন।আল্লাহ আড়াই বছর আমার রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন এমন জায়গা থেকে যেখানে ইতিপূর্বে কোন রিযিক ছিলোই না।কেউ যদি বলে আমি উত্তপ্ত মরুভূমির মাঝখানে হঠাৎ পাথর থেকে দুধের ঝরনা বের হতে দেখেছি। কারও হয়তো বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু আমার জন্মের আগে যে মায়ের স্তনে কোন দুধ ছিলোই না। আমি জন্মের পর আল্লাহ সেখান থেকে আমার রিযিকের ব্যাবস্থা করে দিলেন।এমন রিযিক দিলেন যে রিযিক গ্রহনের পর আর কোন খাবার খেতে হয় না। সুবহানাল্লাহ।
আল্লাহ কত দয়াবান কত রহমান।যখন আমি নিজেকেই চিনতাম না। জানতাম না তখন তিনি কত বিপদ থেকে আমাকে বাচালেন। আমি রিযিকের জন্য কথা পর্যন্ত বলতে পারতাম না। আর তখন আমার রিযিকের ব্যাবস্থা করলেন।আমি একটু হাটতে পারতাম না। চলতে পারতাম। তিনি হাটার ও চলার শক্তি দিলেন।তিনি সব কিছু মালিক। যাকে চান তাকে সুখী করতে পারেন আর যাকে চান তাকে সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়িতে রেখেও দুঃখকষ্টে রাখতে পারেন।তার হাতেই সকল ক্ষমতা।যাকে চান তাকে ক্ষমতা দেন। আর যাকে চান তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেন।কত রাজার ছেলে রাজা হওয়া কথা। অথচ তিনি ফকির বানিয়ে দিয়েছেন।তিনি হযরত ইউসুফ আঃ কে গহীন অন্ধকার কুফ থেকে আযীযে মিশরের ঘরে নিয়ে গেলেন।আবার জ্বেল থেকে কোন যুদ্ব ছাড়াই মিশরের বাদশাহ বানালেন।তিনি হযরত সুলাইমান আঃ কে সারা দুনিয়ার রাজত্ব দান করলেন।তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন। আর যাকে চান তাকে বাদশার আসনে বসিয়ে অপমানিত করতে পারেন। তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতার আসনে মানুষের থাপ্পর খাইয়েছেন।তিনি সকল বাদশাহ মালিক। সব কিছুর মালিক।
Comment