আজকের যে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনী, তাদের পূর্বসূরি হলো ব্রিটিশদের তৈরি রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মি। ৪৭ এর দশকে যখন সাইরিল রেডক্লিফের কলমের খোঁচায় হিন্দুস্তান দুইভাগে ভাগ হয়, তখন ব্রিটিশরা দুই অংশ পাকিস্তান ও ভারত এর দায়িত্ব তাদের অনুগত বিশ্বস্ত বাহিনীর হাতে দিয়ে যায়। পাকিস্তান অংশের দায়িত্ব পড়ে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির জেনারেলদের হাতে, ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের হাতে ভারতীয় অংশ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হিন্দুস্থান ও রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির ভূমিকা।
__________________________
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মিকে উসমানী খিলাফতের বিরুদ্ধে "এক্সপেডিশনারি ফোর্স" বা "দ্রুত আক্রমণকারী বাহিনী" হিসেবে প্রস্তুত করে :
• ব্রিটেনের প্রথম এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির লাহাের ও মিরাঠি বাহিনী থেকে গঠিত ছিল। তারা প্রথমে ফ্রান্স যায় এবং সেখানে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেক ক্ষতির শিকার হওয়ার পর তাদেরকে চতুর্থ এক্সপেডিশনারি ফোর্সের সাথে উসমানী খিলাফতের সেনাদের বাধা দিতে মিশর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
.
• দ্বিতীয় এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা বেঙ্গালাের ব্রিগেড, সিকান্দারাবাদ ডিভিশন ও ইম্প্রেল সাের্স ব্রিগেড থেকে গঠিত হয়েছিল। তাদেরকে পূর্ব আফ্রিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়; যাতে সেখানের জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। . তৃতীয় এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা ইম্প্রেল সাের্স ও পাঞ্জাব ব্যাটালিয়ন থেকে গঠিত ছিল। তাদেরকে উগান্ডা থেকে মােম্বাসা রেললাইন রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
.
• চতুর্থ এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা গ্রিস ডিভিশন থেকে গঠিত ছিল। জেনারেল টাউন শেডের নেতৃত্বে উসমানী সেনাদের হাতে পরাজিত হয়। এরপর ছয় ডিভিশন সেনা জেনারেল মােডির নেতৃত্বে সাজানাে হয়। যা মিরাঠ ও ইন্ডিয়ান ডিভিশন থেকে গঠিত ছিল । তাদের কাজ ছিল উসমানী খিলাফতের সেনাদের পরাজিত করে ইরাক ও বাগদাদের পতন ঘটানো।
.
• পঞ্চম এক্সপেডিশনারি ফোর্স ঘােড়সওয়ার ডিভিশন, মিরাঠ ও লাহোরের পদাতিক ডিভিশন থেকে গঠিত হয়েছিল, যাদের নেতৃত্ব ছিল জেনারেল এলেনবির হাতে। তাদের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিন ও শামের পতন ঘটানো। এরা উসমানী বাহিনীকে পরাজিত করে বাইতুল মোকাদ্দাস ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয়।
.
• ষষ্ঠ এক্সপেডিশনারি ফোর্স ইন্ডিয়ান ডিভিশন থেকে গঠিত হয়েছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল সুয়েজ খালকে রক্ষা করা। উসমানী সেনারা সুয়েজ খাল দখল করতে চাইলে এরা উসমানীদের হটিয়ে দেয়। যদি উসমানিরা ব্রিটিশদের হাত থেকে সুয়েজ খাল উদ্ধার করতে পারতো তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের মারাত্বক পরিণতি হতো।
.
• সপ্তম এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা ২৯তম ইন্ডিয়ান ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তারা উসমানিদের বিরুদ্ধে গ্যালিপলি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মিশর ফিরে আসে।
[এই রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির বর্তমান পাকিস্তানি ভার্শনকে দিয়েই পাক-বাংলার মুসলিম ও উলামায়ে কেরাম কাশ্মীর এর স্বাধীনতা আশা করে আসছেন। অনেক জাঁদরেল আলেম তো তাদের মুজাহিদ বাহিনীর সাথেই তুলনা করছেন।]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হিন্দুস্থান ও রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির ভূমিকা।
__________________________
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মিকে উসমানী খিলাফতের বিরুদ্ধে "এক্সপেডিশনারি ফোর্স" বা "দ্রুত আক্রমণকারী বাহিনী" হিসেবে প্রস্তুত করে :
• ব্রিটেনের প্রথম এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির লাহাের ও মিরাঠি বাহিনী থেকে গঠিত ছিল। তারা প্রথমে ফ্রান্স যায় এবং সেখানে জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেক ক্ষতির শিকার হওয়ার পর তাদেরকে চতুর্থ এক্সপেডিশনারি ফোর্সের সাথে উসমানী খিলাফতের সেনাদের বাধা দিতে মিশর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
.
• দ্বিতীয় এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা বেঙ্গালাের ব্রিগেড, সিকান্দারাবাদ ডিভিশন ও ইম্প্রেল সাের্স ব্রিগেড থেকে গঠিত হয়েছিল। তাদেরকে পূর্ব আফ্রিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়; যাতে সেখানের জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। . তৃতীয় এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা ইম্প্রেল সাের্স ও পাঞ্জাব ব্যাটালিয়ন থেকে গঠিত ছিল। তাদেরকে উগান্ডা থেকে মােম্বাসা রেললাইন রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
.
• চতুর্থ এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা গ্রিস ডিভিশন থেকে গঠিত ছিল। জেনারেল টাউন শেডের নেতৃত্বে উসমানী সেনাদের হাতে পরাজিত হয়। এরপর ছয় ডিভিশন সেনা জেনারেল মােডির নেতৃত্বে সাজানাে হয়। যা মিরাঠ ও ইন্ডিয়ান ডিভিশন থেকে গঠিত ছিল । তাদের কাজ ছিল উসমানী খিলাফতের সেনাদের পরাজিত করে ইরাক ও বাগদাদের পতন ঘটানো।
.
• পঞ্চম এক্সপেডিশনারি ফোর্স ঘােড়সওয়ার ডিভিশন, মিরাঠ ও লাহোরের পদাতিক ডিভিশন থেকে গঠিত হয়েছিল, যাদের নেতৃত্ব ছিল জেনারেল এলেনবির হাতে। তাদের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিন ও শামের পতন ঘটানো। এরা উসমানী বাহিনীকে পরাজিত করে বাইতুল মোকাদ্দাস ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয়।
.
• ষষ্ঠ এক্সপেডিশনারি ফোর্স ইন্ডিয়ান ডিভিশন থেকে গঠিত হয়েছিল, তাদের লক্ষ্য ছিল সুয়েজ খালকে রক্ষা করা। উসমানী সেনারা সুয়েজ খাল দখল করতে চাইলে এরা উসমানীদের হটিয়ে দেয়। যদি উসমানিরা ব্রিটিশদের হাত থেকে সুয়েজ খাল উদ্ধার করতে পারতো তাহলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের মারাত্বক পরিণতি হতো।
.
• সপ্তম এক্সপেডিশনারি ফোর্স, যা ২৯তম ইন্ডিয়ান ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তারা উসমানিদের বিরুদ্ধে গ্যালিপলি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মিশর ফিরে আসে।
[এই রয়েল ইন্ডিয়ান আর্মির বর্তমান পাকিস্তানি ভার্শনকে দিয়েই পাক-বাংলার মুসলিম ও উলামায়ে কেরাম কাশ্মীর এর স্বাধীনতা আশা করে আসছেন। অনেক জাঁদরেল আলেম তো তাদের মুজাহিদ বাহিনীর সাথেই তুলনা করছেন।]
Comment