গুরুত্বপূর্ণ কথা-শাইখ খুবাইব আস সুদান

[Jannat1]

শাইখ খুবাইব আস সুদান

আল কায়েদার প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলোর গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- যে কোনো মুসলিমিকে প্রশিক্ষন দেয়া, যে সামরিক ও যুদ্ধকৌশলের প্রশিক্ষণ নিতে চায়। তাই হাজার হাজার মুজাহিদীন ক্যাম্পগুলো থেকে উপকৃত হয়।
আর বিভিন্ন জিহাদি ফ্রন্টে সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয় আর এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ ও সাহায্যেই সম্ভব হয়। আর ইয়েমেনের চলমান বছরগুলোতে বিভিন্ন উপজাতী এবং এলাকা থেকে
হাজার হাজার মুহাজিরীন ও আনসার তৈরি করেছে।
আল্লাহর অনুগ্রহে এখনও যারা এই ফরজিয়্যাত ধরে রাখতে চায়, তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেয়া অব্যাহত রেখেছি। আর আমরা প্রশিক্ষণার্থীদের আমাদের সংগঠনের সাথে কাজ করতে বা আমাদের অনুগত থাকতে বাধ্য করি না। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে উম্মাহর সম্মান এগিয়ে নেয়া এবং তাদের ফরজকে তাদের সামনে তুলে ধরা।একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুধুমাত্র অস্ত্র ও যুদ্ধ কৌশলই শিক্ষা দেয় না।বরং একটি প্রশিক্ষণ শিবির এমন একটি জায়গা যেখানে একজন যোদ্ধার মন ও আত্মা বিকশিত হয় এবং একজন সামরিক জিহাদি জীবন যাত্রার সাথে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। তাই শরীয়াহর প্রতি সচেতনতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যগুলোর প্রতি আগ্রহ থাকা এবং ঈমানের স্তর উন্নত করা জরুরি। যেন অস্ত্রধারী কেউ পথভ্রষ্ট হয়ে দস্যু বা সন্ত্রাসী না হয় অথবা মুসলিমদের রক্ত না ঝরায়। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য শরিয়াহর নিয়মাবলী জানা এবং ইসলাম ও তার নির্দেশনের মৌলিক বিষয়াবলীর প্রতি নিয়মানুবর্তী এবং জিহাদি ইবাদতের প্রতি বাস্তব সম্মত ধারনা থাকা জরুরি এবং একজন মুসলিমের জন্য অবশ্যই জানা জরুরি যে কিভাবে যুদ্ধ করত হয় আর এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য মানহায সীমা ও পরিসীমা কী?এটি আশ্চর্যের বিষয় নয় যে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের নামকরন করা হয়েছে, হামজা জিনজিবারী রহি: এর নামে। আর এটি যদি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এর প্রশিক্ষণ শিবির হয়। তাহলে হামজা জিনজিবারী ছিলেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের নেতা। তিনি কেবলমাত্র একজন সেনানায়কই ছিলেন না। বরং তিনি একজন কোর'আনের বাহকও ছিলেন যিনি বলতেন, "আমি কোর'আনের কত মন্দ বাহকই না হব! যদি তোমরা আমার দিক থেকে আক্রান্ত হও" যেভাবে সামিল মাওলা আবু হুযাইফা বলেছেন,
হামজা রহিমাহুল্লাহ সতিকারার্থেই কুর'আনের ধারন করেছিলেন। তিনি ইলমের ছাত্র এবং মুজাহিদ ছিলেন, এবং উত্তম গুণাবলী দ্বারা তাদের সংশোধনকারী। এবং তিনি ছিলেন তার গোত্রের নেতা। তিনি কথার আগে কাজের দ্বারাই মানুষকে আল্লাহ্'র দিকে আহবান করেছেন। উম্মাহর উচিত তার এবং তার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং মুজাহিদদের উচিত তার নাম কি সূউচ্চে তুলে ধরা এবং তার পদাঙ্ক অনুসরণ করা। হে আমেরিকা! তোমরা হামজা জিনজিবারী রহ. কে হত্যা করেছ। আর তোমরা তোমাদের লক্ষ্য অর্জনে বহু দূরে রয়েছ। আর এখানে, যে গাছটি তার রক্ত সিঞ্চিত হয়েছে। আর বর্মাকৃত হয়েছে তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা, আর তা এখন বেড়ে উঠেছে এবং উন্নত হয়ে পরিপক্ক হয়েছে। আর তার ফল এখন এখানে আমরা এমন এক উম্মাহ, যার জীবন নিহত আছে তার নেতৃবৃন্দের শাহাদাতে এবং তার উমারাগনের কোরবানিতে সুতরাং হে আমেরিকা! নিজের ক্রোধেই মৃত্যুবরণ কর। সুতরাং দেখো এরা হলো হামজার ছাত্রবৃন্দ,আজ যারা ময়দানে লড়াই করছে, অবশ্যই তারা পতাকা কে বহন করবে।
এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর শপথ গ্রহণ করেছে
আর কার্যক্রম কথার চেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।