Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভাল লেখার কয়েকটি টিপস

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভাল লেখার কয়েকটি টিপস

    ভাল লেখার কয়েকটি টিপস


    ইসলাম টাইমস ডেস্ক: লেখালেখি, আপনি হয়তো প্রতিদিনই করেন, কিন্তু আপনি কি নিজের লেখা গদ্যটিতে সবার সামনে একটু আলাদা করে তুলে ধরতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু নির্দেশনা মানতেই হবে।
    ১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু করুন।
    আপনি যে বিষয়ে যুক্তি দিতে চান বা যে বিষয়টি নিয়ে গল্পটি বলতে চান তার মোদ্দা কথাটি আপাতত ভুলে যান।
    শুরু করুন কোন একটি বর্ণনা বা উদাহরণ দিয়ে যা পাঠককে আপনার লেখা পড়তে সঠিক মেজাজটি এনে দেবে।
    “অনেক বছর পর, যখন তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে পড়তে হলো….” এভাবে নিজের বিখ্যাত রচনা ‘ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিটিউড’ বা ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’ শুরু করেছিলেন লেখক গ্র্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।
    ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখে কে রয়েছে এবং কেনই বা রয়েছে? এর চেয়ে শক্তিশালী কোন জিজ্ঞাসা দিয়ে কোন রচনা শুরু করা সম্ভব নয়।
    ২. বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন।
    সংক্ষিপ্ত বাক্যে লিখলে তা আসলে পাঠকের মেধাকে ছোট করা বোঝায় না।
    তবে এটা করাটা অতটা সোজাও নয়। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    এটা কোন স্টাইল নয়, কিন্তু মানুষের জৈবিক বৈশিষ্ট্য মাত্র: কারণ এভাবেই আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে।
    দীর্ঘ একটি বাক্য, বিশেষ করে যেসব বাক্যে একাধিক অধীনস্থ বাক্যাংশ থাকে, সে ধরণের বাক্য বুঝতে হলে পাঠককে ব্যাকরণের পাশাপাশি মূল বিষয়টিকে মাথায় একসাথে রাখতে হয়।
    যা অনেক বেশি কঠিন এবং পাঠককে আপনার লেখার ব্যাকরণ নিয়ে ব্যস্ত রাখারও কোন মানে হয় না।
    এর চেয়ে বরং লেখার মূল আধেয় বা বিষয় বস্তুর উপরই গুরুত্ব দেয়া উচিত।
    ৩. একই সাথে, বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের বাক্যও লিখতে হবে।
    আপনি হয়তো শুনে থাকবেন: “সব কিছুরই পরিমিতি বোধ থাকা উচিত, এমনকি পরিমিতিরও পরিমিতি বোধ থাকা জরুরী।”
    যেখানে ছোট ছোট বাক্যে লেখাটাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা উচিত, তবে সব বাক্যই যদি ছোট লেখা হয় এবং আর কোন ধরণের বাক্য যদি না থাকে তাহলে তা আপনার লেখায় এক ধরণের কাটা কাটা ভাব অর্থাৎ রসহীন করে তুলবে।
    এক ধরণের র*্যাট-টাট-টাট অনুভূতি দিবে পাঠককে যা হয়তো আপনি বাস্তবে দিতে চাননি এবং এটা পাঠকের জন্য বিরক্তির কারণও হতে পারে।
    তাই সব ধরণের বাক্যই লিখতে হবে।
    ৪. সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন।
    সঠিক শব্দের ব্যবহার পাঠককে দেখা, গন্ধ নেয়া, স্বাদ নেয়া কিংবা পায়ের আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার মতো অনুভূতি দেয়।
    এটা পাঠককে এমন কিছু দেয় যা দিয়ে তারা তাদের মনের চোখ দিয়ে এক ধরণের ছবি আঁকে।
    এই ছবি এবং শব্দ মিলে, আপনার বার্তাকে স্মরণীয় এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে পাঠকের কাছে।
    ৫. বিমূর্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন।
    ….বিশেষ করে এগুলোকে মাঝে মাঝে বলা হয়ে থাকে “মনোনীত করণ” বা আরো ভালভাবে বললে- “জম্বি নাউন বা ভৌতিক বিশেষ্য” বলা যায়।
    এগুলো অনেক বেশি প্রাণহীন শব্দ যেমন “ঘটনা”, “ফেনোমেনা”, “স্তর” বা “পর্যবেক্ষণ”।
    ফেনোমেনা শুনতে আসলে কেমন শোনায়? পর্যবেক্ষণকে কিভাবে অনুভব করা যায়?
    প্রাতিষ্ঠানিক, আমলাতান্ত্রিক এবং অন্যান্য প্রাচীন লেখার ধরণে এমন শব্দের প্রাচুর্য থাকে।
    এর পরিবর্তে স্পষ্টভাবে কল্পনা করা যায় এবং নির্দিষ্টভাবে বিষয় বস্তুকে তুলে ধরে এমন শব্দ বাছাই করা উচিত।
    ৬. নিজের লেখাটি জোরে জোরে পড়ুন।
    শুধু নিজে নিজে লেখা, পুনরায় লেখা এবং সম্পাদনাই যথেষ্ট নয়, বরং জোরে জোরে পড়ুন।
    যখন আপনি পড়বেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, লেখার সময় আসলে আপনি কোন ধরণের শব্দটি ভুলে গেছেন বা মিস করেছেন।
    যদি এটা বলতে কষ্ট হয়, তাহলে এটা পড়তেও কষ্ট হবে।
    এছাড়া কোথায় ছন্দপতন হয়েছে সেটিও আপনি সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন।
    ৭. দৃঢ়ভাবে শেষ করুন।
    শেষের জন্য আপনার জানা সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ বা বাক্য গুচ্ছ ব্যবহার করুন।
    আপনি কি ধরণের শব্দ বাছাই করছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমনকি শক্তিশালী, বা জোর রয়েছে এমন সিলেবল দিয়ে শেষ করার চেষ্টা করুন।
    শেষের শব্দগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
    বিবিসি অবলম্বনে

    সূত্র: https://islamtime24.com/2019/10/15/%...a6%be%e0%a6%b2


    *****************************


    প্রিয় লেখক ভাইদের সুবিধার্থে এই সাতটি পয়েন্ট একসাথে আবার দিচ্ছি, যাতে মনে রাখা সহজ হয়।

    ১. উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু করুন।
    ২. বাক্য সংক্ষিপ্ত রাখুন।
    ৩. একই সাথে, বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের বাক্যও লিখতে হবে।
    ৪. সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন।
    ৫. বিমূর্ত শব্দ এড়িয়ে চলুন।
    ৬. নিজের লেখাটি জোরে জোরে পড়ুন।
    ৭. দৃঢ়ভাবে শেষ করুন।


    -----------------------------------

    এই পোস্টের মাধ্যমে কোন ভাইয়ের যদি সামান্যতম উপকারও হয়, তাহলে এই অধমকে আপনার নেক দু‘আয় স্মরণ করবেন বলে আশাবাদী।
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মাশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,,।
    অনেক সুন্দর ও উপকারী পোষ্ট করেছেন।
    আল্লাহ তা'য়ালা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমীন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আপনাকে দীনের জন্য কবুল করুন ৷ আমিন
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        উপকারী পোষ্ট প্রিয় ভাই!
        আল্লাহ্ আমাদের সকল কে শহীদ হিসাবে কবুল করুন আমীন।

        Comment


        • #5
          মাশা আল্লাহ, উপকারী পোস্ট।
          আমাদের ফোরামে যে সমস্ত ভাই পোস্ট/কমেন্ট করি, তারা এদিকে লক্ষ্য রাখতে পারি, ইনশা আল্লাহ।
          আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে তাওফীক দান করুন ও পোস্টকারীকে উত্তম জাযা দান করুন। আমীন
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ভাইকে সুস্থতা, নিরাপত্তা দিন ও শহিদ হিসেবে কবুল করুন। সাথে আমাদেরকে ও কবুল করুন ।
            فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

            Comment


            • #7
              সুবহান আল্লাহ, ১৪ঘন্টায় ৩,০০০ এর উপর ভিউ এত অল্পসময়ে এত ভিউ ফোরামে আমি এই প্রথম দেখলাম।
              আল্লাহ এই লেখা আমাদের পর্যন্ত পৌছানোর সাথে জড়িত সকলকে সিরাতুল মুস্তাকিমের হিদায়াত দান করুন, আমিন।
              আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

              Comment


              • #8
                Originally posted by মারজান View Post
                সুবহান আল্লাহ, ১৪ঘন্টায় ৩,০০০ এর উপর ভিউ এত অল্পসময়ে এত ভিউ ফোরামে আমি এই প্রথম দেখলাম।
                আল্লাহ এই লেখা আমাদের পর্যন্ত পৌছানোর সাথে জড়িত সকলকে সিরাতুল মুস্তাকিমের হিদায়াত দান করুন, আমিন।
                আমীন ছুম্মা আমীন
                জি প্রিয় ভাই আপনি ঠিক বলেছেন!
                সব পোষ্টে আমারা যেনো এমন গুরুত্ব দিতে পারি আল্লাহ্ তাওফিক দিন আমীন।

                Comment


                • #9
                  আখি,আপনাকে ধন্যবাদ। আখি,লেখার উপর আরো কিছু পোস্ট করুন। যেমনঃ বিভিন্ন ঘটনা দিয়ে, যাতে অনেক কিছু শিখার আছে। উদাহরণ হিসেবে শাইখ আবু তাহের মিছবাহ হাফিজাহুল্লাহ এর মতো। ওনি পুষ্পের মাধ্যমে মুসলিমদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন।
                  والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                  Comment


                  • #10
                    কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও অভিনন্দন জানাচ্ছি

                    আলহামদু লিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, এই পোস্টটি অনেক-ই ভাই পড়েছেন।
                    কিছু ভাই কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়েছেন, দু‘আ করেছেন ও লাইক করেছেন,
                    আমি আলাদাভাবে সবার কমেন্ট-এর জবাব না দিয়ে একসাথে সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আপনাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জাযাকুমুূল্লাহু আহসানাল জাযা ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X