Announcement

Collapse
No announcement yet.

একজন নেককার স্ত্রী পুরুষের জন্য কতবড় নেয়ামত! সুবহানাল্লাহ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একজন নেককার স্ত্রী পুরুষের জন্য কতবড় নেয়ামত! সুবহানাল্লাহ।

    একজন নেককার স্ত্রী পুরুষের জন্য কতবড় নেয়ামত! সুবহানাল্লাহ।


    একজন নেককার স্ত্রী মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় এক নেয়ামত।

    একজন পুরুষ যদি হালালভাবে টাকা পয়সা রুযি করে তখন পুরুষের টাকার মাঝে হারামের সংমিশ্রণ কখনো কখনো হতেও পারে।ফলে দোয়া কবুল হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

    কিন্তু ঘরে যদি একজন নেককার স্ত্রী থাকে তাহলে সেতো পুরুষের রুযি থেকে যা খাবে তাই তার জন্য হালাল। ফলে তার জন্য মুসতাযাবুদ দাওয়াত হওয়া খুব বেশি সহজ।
    কেননা হালাল খেয়ে দোয়া করলে সে দোয়া অবশ্যই আল্লাহ কবুল করেন।
    আর একজন নেককার স্ত্রী যদি হালাল খেয়ে বেশি বেশি তার স্বামীর দুনিয়া ও আখেরাতের সুখের জন্য দোয়া করে তাহলে এই দোয়াতো আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন।

    হাদীসে এসেছেঃ

    রাসূল (সাঃ)বলেছেনঃ আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেনঃ "যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ব ঘোষনা করি। বান্দা আমার নৈকট্য অর্জনের জন্য ফরয আদায়ের চাইতে প্রিয় কোন কাজ করেনি। আর বান্দা নফল ইবাদাতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে, এক পর্যায়ে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলি। আমি যখন তাকে ভালোবাসি তখন তার চোখ, কান হাত, ও পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে, শোনে, ধরে ও চলে। ( যেহেতু তার অঙ্গ প্রতঙ্গ থেকে সকল কাজ কর্ম আল্লাহর সন্তুষ্টি মোতাবেক প্রকাশ পায় এজন্যে বলা হয়েছে যে,আমি যেন তার চোখ, কান, হাত ও পা হয়ে যাই। কেননা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টি বিপরীত সে ব্যক্তি কান দ্বারা কিছু শোনে না, চোখ দ্বারা কিছু দেখে না, তার বিধানের খেলাফ হাত পা চালায় না, বরং যা কিছু করে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং তার হুকুমের আওতায় থেকে করে।তখন তার চোখ, কান, হাত পা নিজের রইল কোথায় কার্যত আল্লাহ তায়ালারই হয়ে গেছে)
    যদি সে আমার কাছে চায় তাহলে তাকে তা দিয়ে দেই : যদি আমার কাছে আশ্রয় কামনা করে তাহলে আশ্রয় দান করি। " (বুখারী শরীফ)

    এ হাদীসে বলা হয়েছে , কেউ যদি আল্লাহর ওলী হতে পারে তাহলে তার সাথে যদি কেউ শত্রুতা করে আল্লাহ তার বিরুদ্ধে যুদ্ব ঘোষনা করে। আর ওলী হওয়ার জন্য প্রথমে ফরযগুলো ঠিক হতে হবে৷ এরপর নফল ইবাদাত করতে করতে একসময় কোন পর্যায়ে পৌছে সেটাতো হাদিসে উল্লেখ করা হলো।
    হাদীসের শেষে বলা হয়েছে আল্লাহর ওলী যদি তার নিকট কিছু চায় তিনি অবশ্যই দিবেন। আর তার নিকট যদি আশ্রয় চায় তিনি আশ্রয় দিবেন।

    এবার চিন্তা করুন একজন মেয়ের জন্য আল্লাহর ওলী হওয়া কত সহজ। কারন একজন মেয়ের উপর ফরয ইবাদাত খুব কম।
    পর্দা করা,নামায,রোযা পড়া, স্বামীর খেদমত করা সহ আরো কিছু ফরয ইবাদাত আছে। এই অল্প সংখ্যক ফরযের পাশাপাশি যদি বেশি বেশি নফল ইবাদাত করে তাহলে তার জন্য আল্লাহর ওলী হওয়া কত সহজ।
    আর আল্লাহর ওলী হলেতো সে যেই দোয়াই করবে আল্লাহ তা কবুল করবেন। সে যদি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় তাহলে আল্লাহ আশ্রয় দিবেন।
    এরকম একজন স্ত্রী যদি কেউ লাভ করতে পারে তার জন্য কতই না সৌভাগ্যের বিষয়। কারন এরকম নেককার স্ত্রী আল্লাহর ওলী হয়ে যদি রাতের আধারে বা দিনের আলোতে আল্লাহর নিকট দোয়া করে যে,আল্লাহ আমাকে ও আমার স্বামী একত্রে জান্নাতুল ফেরদাউসে থাকার তাওফীক দিও। তাহলে আল্লাহ তো তার ওলীর দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন।

    এরকম একজন নেককার স্ত্রী যদি স্বামীর দুঃখ কষ্টের এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় আল্লাহ তা'য়ালাতো অবশ্যই আশ্রয় দিবেন। চিন্তা করুন একজন নেককার স্ত্রী কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ একজন পুরুষের জন্য।

    তাই সবসময় রবের নিকট দোয়া করুন তিনি যেন নেককার স্ত্রী দান করেন। যার দিকে তাকালে আপনার চোখ শীতল হবে। যার কথা দ্বীনের কাজে আপনার অনুপ্রেরনা যোগাবে।
    রাসূল সাঃ যখন প্রথম নবুওয়াত পেয়েছেন এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়েছেন তখন হযরত খাদীজা রাঃ কথা দিয়ে সাহস যুগিয়েছেন। খাদীজা রাঃ ই ওরাকা বিন নওফেলের কাছে নিয়ে গেছেন। আল্লাহ আমাদের খাদীজা রাঃ এর উত্তরসুরীদের স্বামী হওয়ার তাওফীক দেন।
    আপনি যত সুন্দর ঘর বাড়িই করুন না কেন যদি আপনার স্ত্রী নেককার না হয় তাহলে এই ঘরবাড়িই একজন আযাবের টুকরায় পরিনত হয়।

    তাই এখন থেকে নেককার স্ত্রীর জন্য দোয়া করুন৷ কারন একজন পুরুষের জন্য আল্লাহর ওলী হওয়া নারীর চেয়ে অনেকটা কঠিন। কারন পুরুষের উপর ফরয ইবাদাত থাকে বেশি। অনেকেতো ফরযই ঠিক মত আদায় করতে পারে না।

    কিন্তু যদি এমন স্ত্রী থাকে যে স্ত্রী আল্লাহর ওলী তাহলে এমন স্ত্রীর দোয়ার কারনে একদিন আপনিও আল্লাহর ওলী হবেন।

    তাই সময় থাকতে বেশি বেশি আল্লাহর নিকট নিকট স্ত্রী লাভের দোয়া করুন।

    [ বি দ্রঃ স্বামী যদি হারাম ইনকাম করে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য বিশেষ মাসয়ালা আছে। সেটা বড় আলিম থেকে জেনে নিবেন]
Working...
X