Tweet
যেদিন থেকে তাদের'কে পাপীষ্ঠ বিদ্বেষী তাগুতদের কারাগারে একাকী নিক্ষেপ করা হয়...তাখন থেকেই জালিম জল্লাদদের পদাঘাত শুরু হয়... তখন থেকেই তারা যেন আমাদের'কে বিরহের আর্তনাদে ডেকে ডেকে আহব্বান করছে.... হায় কি হলো! আমরা কি তোমাদের (দ্বীনি) ভাই নই??
আমাদের এই অভিযোগটি কি জল্লাদের নিকট ছিল না যে, আমরা তোমার একজন জাতি ভাই??
বছরের পর বছর ধরে কি আমরা জালিম পাপিষ্ঠদের জিন্দানখানায় গুম নই??...বাস্তবে কেউই আমাদের এই দূরঅবস্থা সম্পর্কে অবগত নয়....অবগত হলেও তারা নিরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করছে...! হিংস্র মানব নামক পশুদের জুলুম থেকে আমি একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই?! তিনিই আমাদের একমাত্র অবিভাবক!
আমরা তো সর্বদা তোমাদের সবাইকে স্মরণ করি... অথচ তোমরা আমাদের'কে স্মরণ করো না... কেন ভাই! এটা কেন?!
তোমাদের পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকেই তো আমরা প্রতিরোধ করেছি... কিন্তু আমাদের পক্ষে তোমরা প্রতিরোধ করছো না... এটা কেন?? এটা কেমন অসম বন্টন হলো!??
আমরা কি তোমাদের কাছে এক লাইন লেখারও প্রাপ্য নই যে, একটি লাইন তুমি আমার পক্ষে লেখবে?!.. নাকি বহু বছর অতিবাহিত হয়েছে বিধায় ভাইদের'কে ভুলে গিয়েছো??!
আমরা কি মাজলুম নই?.... নাকি তুমি তাতেও সন্দেহ পোষন করো?.... আমরা ঐসকল হাজার হাজার মুসলিমদের মধ্যহতে এমন কিছু বান্দা নই, যাদেরকে জালিমদের কারাগার গুম করে রেখেছে.... যাদের সংবাদ পর্যন্ত তাদের পরিবার, সন্তানাদি ও ভাইদের থেকে গোপন রাখা হয়েছে!?
আমরা কি মানুষ নই.... এবং ঐসব উদ্বিগ্ন, ক্লান্ত মানবদের অন্তর্ভুক্ত নই, যাদের ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থাগুলো কাজ করে থাকে?... আমরাও তো মানুষ তাহলে আমরা কোন অপরাধ করলাম... আমাদের ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থার কর্ণধারগণ অন্ধ হয়ে আছে কেন!?...অসম্ভবের কিছু নয় অন্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক, আল্লাহর কোরআন তাই আমাদের'কে সাক্ষী দিচ্ছে...!
তাছাড়া তোমরা আমাদের এই করুণ আর্তনাদগুলি মানুষের নিকট-ও বর্ণনা করছোনা... তাহলে হয়তো সত্যিকারের গাইরতমান্দ (আত্মমর্যাদা সম্পূর্ণ) মুমেনদের অন্তরে আমাদের বিষয়টি স্পর্শ করতো এবং তাদের'কে নাড়া দিতো অতঃপর আমাদের অনুপস্থিতে তারা আমার জন্য কমপক্ষে দোয়া করতো.... যার ফলে তাদের দোয়া কারাগারের শক্ত প্রাচীরগুলো'কে ছেদন করে দিতো..... আর এর দ্বারা আমাদেরও উপকার হতো!?
হ্যাঁ তারাই হলেন সেসকল আমাদের কল্যাণকামী মরদে মুজাহিদ ভাই যারা আজ এই ভূখন্ড সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জালিমদের কারাগার ও গুমখানা গুলোতে বন্দী...! তাদের অনেকেই আজ বছরের পর বছর গুমখানা গুলোতে বন্দিত্বের স্বীকার... চলছে তাদের উপর ইতিহাসের নির্মম ভয়াবহ পাশবিক নির্যাতন...!
তাদের পরিবার-পরিজনদের আজো জানা নেই যে, তাদের মানিক কোথায় আছে... পারছেনা তার খোঁজ-খবর নিতে.... অনেকের ছোট ছোট সোনামণিরা কাঁদছে আব্বু আব্বু করে আবার অনেক মা-বাবা তারা আদরের সন্তান'কে হারিয়ে ব্যাথায় কাতর হয়ে আছেন...অনেকে তাদের প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে হয়ে আছেন দিশেহারা.... সে কোথায় পাবে আর কিভাবেই বা পাবে তার স্বামীকে কারণ অচেনা এক জাগতে তো হারিয়ে গেছে তার প্রানপ্রিয় স্বামী...!
কেউ হয়তো ধারণা করতে পারেন যে, তারা হয়ত কত বড় অপরাধী.... না-জানি কত বড় মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী... অথবা তারা পূর্বে কোন বড় ধরণের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত ছিল বা মোটা অংকের দূর্নীতিতে লিপ্ত ছিল -যার দরুন তারা দীর্ঘ সময় ধরে কারারুদ্ধ.... না... হাজার বলছি এমনটি না.... বরং (রাষ্ট্রের কর্ণধারদের নিকট) তাদের অপরাধ(!) ছিল এতটুকুই যে, তারা ছিলেন আমাদের পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকে একেকজন প্রতিরক্ষক.... তারা চেয়েছিলেন নিজ জাতি ও ভূখন্ড'কে কফ্ফারদের নাপাক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে....এবং তাদের নিজ ধর্ম ও জাতির আত্মমর্যাদাকে উন্নতি করতে!!
সে-সকল অত্যাচারী আল্লাহর দুশমনগুলো হলো; ""অরক্ষিত লোকদের উপর সিংহ... আর যুদ্ধে উটপাখি.... -বরং ভেড়ি... যে শিষ বাজানেওয়ালার শিষ থেকে পালায়ন করে""
(আল্লাহ তাদের উপর লানত বর্ষন করুন, আমিন।)
এটি একটি পুরো জাতির ট্রাজেডি.... যা চলেছিল একটি প্রজন্মের ওপর.... এখনও পর্যন্ত সেটি তার সমস্ত মাত্রা ও প্রভাব নিয়ে আঁকড়ে আছে!...
তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা দাবি করে চলছে যে, তারা নাকি সংশোধন নিয়ে এগিয়ে চলছে... এবং সারাদেশে যারা ফেতনা সৃষ্টি করছে তাদের সংশোধন করছে...! তারা নাকি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে মানব অধিকার আদায় করছে.... সর্বপরি তারা হলো শান্তিকামী...(!) যেমনটা দাবী করেছিল রাসুল (সঃ) এর যুগের মুনাফিক গোষ্ঠী... -অথচ তারাই হলো যুগের সবচেয়ে বড় ফাসাদ (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টিকারী...! আল্লাহর কোরআন এর জলন্ত সাক্ষী...!
কিছুই পরিবর্তন হয়নি.... জেলখানাগুলো এখনো নিরীহ মানুষে ভরা... তাদের মধ্যে কেউ যদি বেরও হয় তবে আরো দশজন তার স্থলাভিষিক্ত হয়... আর নির্যাতন, নির্বিচারে হত্যা এবং স্বেচ্ছাচারিতা তো আজও অব্যাহত।
ভয় এবং সন্ত্রাস এখনো সকলকে হতাশ করে চলছে... (বিভিন্ন ভূ-খন্ডের বন্দি) মুসলিমদের'কে প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে হত্যা করা হচ্ছে... কিন্তু কেউ আপত্তি জানাতে বা অস্বীকার করতে এমনকি একটি শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস পায় না, সকলেই নিস্তব্ধ নিরুপায়..!
কিন্তু বিপরীতে আপনি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতিত ও হাজার অপকর্মে যুক্ত হোন.... অতঃপর সে ব্যাপারে (অপব্যক্ষ্যা মূলক) কথা বলুন, কোন সমস্যা নেই...!
এই হলো; বিশ্বব্যাপী তাগুতগোষ্ঠি শৈরাচারী কতৃক নির্মিত কারাগার ও গুমখানা গুলোর নির্মম চিত্র.....!
চলবে ইনশাআল্লাহ....
আমাদের এই অভিযোগটি কি জল্লাদের নিকট ছিল না যে, আমরা তোমার একজন জাতি ভাই??
বছরের পর বছর ধরে কি আমরা জালিম পাপিষ্ঠদের জিন্দানখানায় গুম নই??...বাস্তবে কেউই আমাদের এই দূরঅবস্থা সম্পর্কে অবগত নয়....অবগত হলেও তারা নিরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করছে...! হিংস্র মানব নামক পশুদের জুলুম থেকে আমি একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাই?! তিনিই আমাদের একমাত্র অবিভাবক!
আমরা তো সর্বদা তোমাদের সবাইকে স্মরণ করি... অথচ তোমরা আমাদের'কে স্মরণ করো না... কেন ভাই! এটা কেন?!
তোমাদের পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকেই তো আমরা প্রতিরোধ করেছি... কিন্তু আমাদের পক্ষে তোমরা প্রতিরোধ করছো না... এটা কেন?? এটা কেমন অসম বন্টন হলো!??
আমরা কি তোমাদের কাছে এক লাইন লেখারও প্রাপ্য নই যে, একটি লাইন তুমি আমার পক্ষে লেখবে?!.. নাকি বহু বছর অতিবাহিত হয়েছে বিধায় ভাইদের'কে ভুলে গিয়েছো??!
আমরা কি মাজলুম নই?.... নাকি তুমি তাতেও সন্দেহ পোষন করো?.... আমরা ঐসকল হাজার হাজার মুসলিমদের মধ্যহতে এমন কিছু বান্দা নই, যাদেরকে জালিমদের কারাগার গুম করে রেখেছে.... যাদের সংবাদ পর্যন্ত তাদের পরিবার, সন্তানাদি ও ভাইদের থেকে গোপন রাখা হয়েছে!?
আমরা কি মানুষ নই.... এবং ঐসব উদ্বিগ্ন, ক্লান্ত মানবদের অন্তর্ভুক্ত নই, যাদের ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থাগুলো কাজ করে থাকে?... আমরাও তো মানুষ তাহলে আমরা কোন অপরাধ করলাম... আমাদের ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থার কর্ণধারগণ অন্ধ হয়ে আছে কেন!?...অসম্ভবের কিছু নয় অন্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক, আল্লাহর কোরআন তাই আমাদের'কে সাক্ষী দিচ্ছে...!
তাছাড়া তোমরা আমাদের এই করুণ আর্তনাদগুলি মানুষের নিকট-ও বর্ণনা করছোনা... তাহলে হয়তো সত্যিকারের গাইরতমান্দ (আত্মমর্যাদা সম্পূর্ণ) মুমেনদের অন্তরে আমাদের বিষয়টি স্পর্শ করতো এবং তাদের'কে নাড়া দিতো অতঃপর আমাদের অনুপস্থিতে তারা আমার জন্য কমপক্ষে দোয়া করতো.... যার ফলে তাদের দোয়া কারাগারের শক্ত প্রাচীরগুলো'কে ছেদন করে দিতো..... আর এর দ্বারা আমাদেরও উপকার হতো!?
হ্যাঁ তারাই হলেন সেসকল আমাদের কল্যাণকামী মরদে মুজাহিদ ভাই যারা আজ এই ভূখন্ড সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জালিমদের কারাগার ও গুমখানা গুলোতে বন্দী...! তাদের অনেকেই আজ বছরের পর বছর গুমখানা গুলোতে বন্দিত্বের স্বীকার... চলছে তাদের উপর ইতিহাসের নির্মম ভয়াবহ পাশবিক নির্যাতন...!
তাদের পরিবার-পরিজনদের আজো জানা নেই যে, তাদের মানিক কোথায় আছে... পারছেনা তার খোঁজ-খবর নিতে.... অনেকের ছোট ছোট সোনামণিরা কাঁদছে আব্বু আব্বু করে আবার অনেক মা-বাবা তারা আদরের সন্তান'কে হারিয়ে ব্যাথায় কাতর হয়ে আছেন...অনেকে তাদের প্রিয় স্বামীকে হারিয়ে হয়ে আছেন দিশেহারা.... সে কোথায় পাবে আর কিভাবেই বা পাবে তার স্বামীকে কারণ অচেনা এক জাগতে তো হারিয়ে গেছে তার প্রানপ্রিয় স্বামী...!
কেউ হয়তো ধারণা করতে পারেন যে, তারা হয়ত কত বড় অপরাধী.... না-জানি কত বড় মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী... অথবা তারা পূর্বে কোন বড় ধরণের সন্ত্রাসী কাজে জড়িত ছিল বা মোটা অংকের দূর্নীতিতে লিপ্ত ছিল -যার দরুন তারা দীর্ঘ সময় ধরে কারারুদ্ধ.... না... হাজার বলছি এমনটি না.... বরং (রাষ্ট্রের কর্ণধারদের নিকট) তাদের অপরাধ(!) ছিল এতটুকুই যে, তারা ছিলেন আমাদের পুরো উম্মাহর পক্ষ থেকে একেকজন প্রতিরক্ষক.... তারা চেয়েছিলেন নিজ জাতি ও ভূখন্ড'কে কফ্ফারদের নাপাক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে....এবং তাদের নিজ ধর্ম ও জাতির আত্মমর্যাদাকে উন্নতি করতে!!
সে-সকল অত্যাচারী আল্লাহর দুশমনগুলো হলো; ""অরক্ষিত লোকদের উপর সিংহ... আর যুদ্ধে উটপাখি.... -বরং ভেড়ি... যে শিষ বাজানেওয়ালার শিষ থেকে পালায়ন করে""
(আল্লাহ তাদের উপর লানত বর্ষন করুন, আমিন।)
এটি একটি পুরো জাতির ট্রাজেডি.... যা চলেছিল একটি প্রজন্মের ওপর.... এখনও পর্যন্ত সেটি তার সমস্ত মাত্রা ও প্রভাব নিয়ে আঁকড়ে আছে!...
তা সত্ত্বেও তারা মিথ্যা দাবি করে চলছে যে, তারা নাকি সংশোধন নিয়ে এগিয়ে চলছে... এবং সারাদেশে যারা ফেতনা সৃষ্টি করছে তাদের সংশোধন করছে...! তারা নাকি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে মানব অধিকার আদায় করছে.... সর্বপরি তারা হলো শান্তিকামী...(!) যেমনটা দাবী করেছিল রাসুল (সঃ) এর যুগের মুনাফিক গোষ্ঠী... -অথচ তারাই হলো যুগের সবচেয়ে বড় ফাসাদ (বিশৃঙ্খলা) সৃষ্টিকারী...! আল্লাহর কোরআন এর জলন্ত সাক্ষী...!
কিছুই পরিবর্তন হয়নি.... জেলখানাগুলো এখনো নিরীহ মানুষে ভরা... তাদের মধ্যে কেউ যদি বেরও হয় তবে আরো দশজন তার স্থলাভিষিক্ত হয়... আর নির্যাতন, নির্বিচারে হত্যা এবং স্বেচ্ছাচারিতা তো আজও অব্যাহত।
ভয় এবং সন্ত্রাস এখনো সকলকে হতাশ করে চলছে... (বিভিন্ন ভূ-খন্ডের বন্দি) মুসলিমদের'কে প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে হত্যা করা হচ্ছে... কিন্তু কেউ আপত্তি জানাতে বা অস্বীকার করতে এমনকি একটি শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করার সাহস পায় না, সকলেই নিস্তব্ধ নিরুপায়..!
কিন্তু বিপরীতে আপনি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতিত ও হাজার অপকর্মে যুক্ত হোন.... অতঃপর সে ব্যাপারে (অপব্যক্ষ্যা মূলক) কথা বলুন, কোন সমস্যা নেই...!
এই হলো; বিশ্বব্যাপী তাগুতগোষ্ঠি শৈরাচারী কতৃক নির্মিত কারাগার ও গুমখানা গুলোর নির্মম চিত্র.....!
চলবে ইনশাআল্লাহ....
Comment