দুনিয়া নিয়ে মশগুল মানুষদের থেকে বহুদূরে
কোথাও আপনারাই লিখেছিলেন বিজয়ের ইনকিলাব,
নিজেদের দুনিয়া ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন
দূর কোনো গন্তব্যের ঠিকানা।
ইসলামের শত্রুদের আগ্রাসন, মাজলুমের হাহাকার, সম্ভ্রম হারানো নারীর আর্তচিৎকার
শিশুদের ক্ষত-বিক্ষত ও ছিন্নভিন্ন দেহ
আর জালিমের আস্ফালনে যখন প্রকম্পিত হচ্ছিল এ পৃথিবী
নিঃস্বার্থভাবে আপনারাই এগিয়ে গিয়েছিলেন-
দ্বীনের শান ও মান রক্ষার্থে, দ্বীনকে জীবিত করতে,
মাজলুম ও মূমুর্ষ উম্মাহের মাঝে প্রাণ সঞ্চার করতে।
ঈমানের জৌলুস আপনাদের ঘরে থাকতে দেয় নি,
তাই তো বেঁধে নিয়েছিলেন মাথায় কাফন
ছুটেছেন দ্বীনের অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে।
পুরো দুনিয়া যখন আপনাদের বিরুদ্ধে
আপনারাই এক হাতে কুরআন, অন্য হাতে অস্ত্র নিয়ে
ছুটেছেন ময়দান থেকে ময়দানে।
আগ্রাসীদের আগ্রাসনের প্রতিউত্তরে উড়িয়েছিলেন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ঝান্ডা।
হাজারো পথ ও পন্থা ছেড়ে ধরেছিলেন নবীয়ে মালহামার সুন্নাহ
জীবিত করেছিলেন দীর্ঘ দিনের অনুলেখ্য এক ফরজ,
স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অবহেলিত এক দায়িত্বের কথা।
আপনারাই নিজেদের সিনাকে টান টান করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন
'আমরা পরাজিত হই না, আমরা পরাজিত হতে শিখি নি-
আমরা মৃত্যুভয়ে ভীত নই, বরং মৃত্যুর খোঁজে দিশেহারা।
এই কণ্টকাকীর্ণ পথের সব কাঁটাই তো বিঁধে নিলেন আপনারা আপনাদের শরীরে;
পরোয়া করেন নি কোনো নিন্দুকের নিন্দার
পরোয়া করেন নি এ পথে প্রাপ্ত আঘাত ও নির্যাতনের মাত্রার।
পরোয়া করেন নি নিজের পরিবার, সন্তানের
ছেড়েছেন যা কিছু ছাড়তে হয়েছে
ছুড়ে ফেলেছেন যা বাঁধা ও ফিতনা এসেছে
ঈমানের স্ফুলিঙ্গ দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন এক দাবানল
ভীত-প্রকম্পিত করেছেন জালিমদের
আর তারা ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমনের!!
আগ্রাসীদের এই নির্লিপ্ত অভিযানে, সন্ত্রাসবাদের এই ধোঁয়া তোলা গুঞ্জনে
এমনকি আপনাদের প্রতি এই উম্মাহের বিরাট অংশের প্রত্যাখ্যাত শব্দে, নির্লজ্জ চক্রান্তে
আপনারা ভীত হন নি, দমে যান নি
অব্যাহত রেখেছিলেন দাওয়াহ, ইদাদ ও জিহাদের যাত্রা
নিজেদের শাহাদাহর স্তূপে লিখেছিলেন
দ্বীন কায়েমের নতুন চিঠি, নতুন বার্তা
আপনারাই আপনাদের রক্ত দিয়ে উন্মোচন করেছিলেন
নববী ধারার এক নতুন দিগন্ত...
আজ আপনাদের পদাঙ্কের অনুসরণেই
শত সহস্র যুবক জেগে উঠেছে
আপনাদের শাহাদাহ প্রতিটি শুকনো যমীনকেই উর্বর করে ছেড়েছে
এ তো আপনাদের কুরবানীরই ফসল।
আপনাদেরই লাশের স্তূপে গড়ে উঠেছে সে পুলসিরাত যা দিকভ্রান্ত, নিস্তেজ উম্মাহকে তার ঠিকানা দিয়েছে
আপনাদেরই হাত ধরে আজ মুমূর্ষু উম্মাহের মাঝে জাগরণ দেখা যায়
আজ দিক-দিগন্ত থেকে শোনা যায় জিহাদের গুঞ্জন
নতুন এক আযানের সুর....
পৃথিবীর প্রতিটি ভূমি থেকে প্রতিধ্বনিত হয় 'আল্লাহু আকবার'।
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের এ যেন এক অবিশ্বাস্য আলেখ্য
এ তো আপনাদেরই ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল।
আপনারা আপনাদের বীরত্বের গাঁথুনীতে গড়েছেন
শত সহস্র বীরত্বের ইমারত
আপনাদের অভিজ্ঞতার ছায়ায় লিখেছেন
কুফফারদের ধ্বংসের চিঠি
উম্মাহকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন
সফলতার আসল চূড়া......
আজ আপনারা পৌঁছে গেছেন আপনাদের আসল ঠিকানায়
শাহাদাতের অমীয় সুধার স্বাদ নিয়ে গেছেন ইনশাআল্লাহ
এমন রবের সাক্ষাতে, যিনি কখনোই মরবেন না
কিন্তু পেছনে ফেলে গেছেন
এক সত্যিকারের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও বাস্তবতা
যা থেকে কেউ পালাতে পারে না,
সত্যান্বেষীদের জন্য খোরাক, পথ চলার পাথেয়।
সাহাবাওয়ালা ঈমান ও নববী মানহাজের বার্তা নিয়ে
আপনাদেরই অনুসরণ করে ও আপনাদেরই দেখানো স্বপ্ন বুকে নিয়ে চলমান আছে এক কাফেলা
আর এই কাফেলা চলমান থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত বিইযনিল্লাহ
যতদিন না এ পৃথিবী ইসলামের স্নিগ্ধ বারিধারা দ্বারা প্রশান্ত হয়
শিরকের আগাছা উপড়ে ফেলা হয়
আর শুধুমাত্র এক ইলাহের রাজত্ব কায়েম হয়.....
হে স্বপ্নদ্রষ্টা ও উম্মাহের বীর সন্তানেরা!
আল্লাহ আপনাদের কুরবানীগুলো কবুল করুন।
আপনাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন।
কোনো নিন্দুকের সমালোচনায় চাঁদের ঔজ্জ্বল্যতা যেমন হারিয়ে যায় না
সূর্যের আলো যেমন নিস্তেজ হয়ে যায় না
আপনাদের হেয় কারীরাও ঠিক তেমনই...
তারা তো আকাশের দিকে থুথু নিক্ষেপকারী
যা কেবল তাদের নিজেদের মুখেই ফিরে আসে...
নিশ্চয়ই লাঞ্চিত ও সম্মানিত ব্যক্তিরা কখনোই এক নয়
অগ্রগামী ও পশ্চাৎপদরা এক নয়.....
হে উম্মাহর অতন্দ্রপ্রহরীরা!
আপনাদের উপর রহমত বর্ষিত হোক।
আপনাদের প্রতি আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসা কবুল হোক।
রাব্বে কারীম, জান্নাতের বাগানে আপনাদের সাথে আমাদেরও একটু জায়গা দিক।
সবুজ পাখিদের দলে আমাদেরও নাম লিখা হোক।(আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামীন)
বি.দ্রঃ এটা শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিঃ এর শাহাদাহ নিয়ে লিখা নয়। কোনো এক কালে মুজাদিদদের কণ্টকাকীর্ণ পথের স্মরণে লিখেছিলাম। লিখার অভিজ্ঞতা নেই। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।
কোথাও আপনারাই লিখেছিলেন বিজয়ের ইনকিলাব,
নিজেদের দুনিয়া ছেড়ে বেছে নিয়েছিলেন
দূর কোনো গন্তব্যের ঠিকানা।
ইসলামের শত্রুদের আগ্রাসন, মাজলুমের হাহাকার, সম্ভ্রম হারানো নারীর আর্তচিৎকার
শিশুদের ক্ষত-বিক্ষত ও ছিন্নভিন্ন দেহ
আর জালিমের আস্ফালনে যখন প্রকম্পিত হচ্ছিল এ পৃথিবী
নিঃস্বার্থভাবে আপনারাই এগিয়ে গিয়েছিলেন-
দ্বীনের শান ও মান রক্ষার্থে, দ্বীনকে জীবিত করতে,
মাজলুম ও মূমুর্ষ উম্মাহের মাঝে প্রাণ সঞ্চার করতে।
ঈমানের জৌলুস আপনাদের ঘরে থাকতে দেয় নি,
তাই তো বেঁধে নিয়েছিলেন মাথায় কাফন
ছুটেছেন দ্বীনের অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে।
পুরো দুনিয়া যখন আপনাদের বিরুদ্ধে
আপনারাই এক হাতে কুরআন, অন্য হাতে অস্ত্র নিয়ে
ছুটেছেন ময়দান থেকে ময়দানে।
আগ্রাসীদের আগ্রাসনের প্রতিউত্তরে উড়িয়েছিলেন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ঝান্ডা।
হাজারো পথ ও পন্থা ছেড়ে ধরেছিলেন নবীয়ে মালহামার সুন্নাহ
জীবিত করেছিলেন দীর্ঘ দিনের অনুলেখ্য এক ফরজ,
স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অবহেলিত এক দায়িত্বের কথা।
আপনারাই নিজেদের সিনাকে টান টান করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন
'আমরা পরাজিত হই না, আমরা পরাজিত হতে শিখি নি-
আমরা মৃত্যুভয়ে ভীত নই, বরং মৃত্যুর খোঁজে দিশেহারা।
এই কণ্টকাকীর্ণ পথের সব কাঁটাই তো বিঁধে নিলেন আপনারা আপনাদের শরীরে;
পরোয়া করেন নি কোনো নিন্দুকের নিন্দার
পরোয়া করেন নি এ পথে প্রাপ্ত আঘাত ও নির্যাতনের মাত্রার।
পরোয়া করেন নি নিজের পরিবার, সন্তানের
ছেড়েছেন যা কিছু ছাড়তে হয়েছে
ছুড়ে ফেলেছেন যা বাঁধা ও ফিতনা এসেছে
ঈমানের স্ফুলিঙ্গ দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন এক দাবানল
ভীত-প্রকম্পিত করেছেন জালিমদের
আর তারা ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমনের!!
আগ্রাসীদের এই নির্লিপ্ত অভিযানে, সন্ত্রাসবাদের এই ধোঁয়া তোলা গুঞ্জনে
এমনকি আপনাদের প্রতি এই উম্মাহের বিরাট অংশের প্রত্যাখ্যাত শব্দে, নির্লজ্জ চক্রান্তে
আপনারা ভীত হন নি, দমে যান নি
অব্যাহত রেখেছিলেন দাওয়াহ, ইদাদ ও জিহাদের যাত্রা
নিজেদের শাহাদাহর স্তূপে লিখেছিলেন
দ্বীন কায়েমের নতুন চিঠি, নতুন বার্তা
আপনারাই আপনাদের রক্ত দিয়ে উন্মোচন করেছিলেন
নববী ধারার এক নতুন দিগন্ত...
আজ আপনাদের পদাঙ্কের অনুসরণেই
শত সহস্র যুবক জেগে উঠেছে
আপনাদের শাহাদাহ প্রতিটি শুকনো যমীনকেই উর্বর করে ছেড়েছে
এ তো আপনাদের কুরবানীরই ফসল।
আপনাদেরই লাশের স্তূপে গড়ে উঠেছে সে পুলসিরাত যা দিকভ্রান্ত, নিস্তেজ উম্মাহকে তার ঠিকানা দিয়েছে
আপনাদেরই হাত ধরে আজ মুমূর্ষু উম্মাহের মাঝে জাগরণ দেখা যায়
আজ দিক-দিগন্ত থেকে শোনা যায় জিহাদের গুঞ্জন
নতুন এক আযানের সুর....
পৃথিবীর প্রতিটি ভূমি থেকে প্রতিধ্বনিত হয় 'আল্লাহু আকবার'।
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের এ যেন এক অবিশ্বাস্য আলেখ্য
এ তো আপনাদেরই ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল।
আপনারা আপনাদের বীরত্বের গাঁথুনীতে গড়েছেন
শত সহস্র বীরত্বের ইমারত
আপনাদের অভিজ্ঞতার ছায়ায় লিখেছেন
কুফফারদের ধ্বংসের চিঠি
উম্মাহকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন
সফলতার আসল চূড়া......
আজ আপনারা পৌঁছে গেছেন আপনাদের আসল ঠিকানায়
শাহাদাতের অমীয় সুধার স্বাদ নিয়ে গেছেন ইনশাআল্লাহ
এমন রবের সাক্ষাতে, যিনি কখনোই মরবেন না
কিন্তু পেছনে ফেলে গেছেন
এক সত্যিকারের স্বপ্ন, লক্ষ্য ও বাস্তবতা
যা থেকে কেউ পালাতে পারে না,
সত্যান্বেষীদের জন্য খোরাক, পথ চলার পাথেয়।
সাহাবাওয়ালা ঈমান ও নববী মানহাজের বার্তা নিয়ে
আপনাদেরই অনুসরণ করে ও আপনাদেরই দেখানো স্বপ্ন বুকে নিয়ে চলমান আছে এক কাফেলা
আর এই কাফেলা চলমান থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত বিইযনিল্লাহ
যতদিন না এ পৃথিবী ইসলামের স্নিগ্ধ বারিধারা দ্বারা প্রশান্ত হয়
শিরকের আগাছা উপড়ে ফেলা হয়
আর শুধুমাত্র এক ইলাহের রাজত্ব কায়েম হয়.....
হে স্বপ্নদ্রষ্টা ও উম্মাহের বীর সন্তানেরা!
আল্লাহ আপনাদের কুরবানীগুলো কবুল করুন।
আপনাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন।
কোনো নিন্দুকের সমালোচনায় চাঁদের ঔজ্জ্বল্যতা যেমন হারিয়ে যায় না
সূর্যের আলো যেমন নিস্তেজ হয়ে যায় না
আপনাদের হেয় কারীরাও ঠিক তেমনই...
তারা তো আকাশের দিকে থুথু নিক্ষেপকারী
যা কেবল তাদের নিজেদের মুখেই ফিরে আসে...
নিশ্চয়ই লাঞ্চিত ও সম্মানিত ব্যক্তিরা কখনোই এক নয়
অগ্রগামী ও পশ্চাৎপদরা এক নয়.....
হে উম্মাহর অতন্দ্রপ্রহরীরা!
আপনাদের উপর রহমত বর্ষিত হোক।
আপনাদের প্রতি আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসা কবুল হোক।
রাব্বে কারীম, জান্নাতের বাগানে আপনাদের সাথে আমাদেরও একটু জায়গা দিক।
সবুজ পাখিদের দলে আমাদেরও নাম লিখা হোক।(আমিন, ইয়া রাব্বাল আলামীন)
বি.দ্রঃ এটা শাইখ আইমান আল জাওয়াহিরী হাফিঃ এর শাহাদাহ নিয়ে লিখা নয়। কোনো এক কালে মুজাদিদদের কণ্টকাকীর্ণ পথের স্মরণে লিখেছিলাম। লিখার অভিজ্ঞতা নেই। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ।
Comment