তাকলীদ সম্পর্কে কিছু কথা
তাকলীদ অর্থ অনুসরণ অনুকরণ।মানব জীবনে কারো না কারো তাকলীদ ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু কেউ কেউ বলতে চায় আমরা তাকলীদ করি না/ মানিনা। আমি বলি তারা তাদের দাবিতে মিথ্যাবাদী,তারা অবশ্যই কারো না কারো তাকলীদ করে। তবে দেখার বিষয় হলো কে কাকে অনুসরণ করে?সে কি কোন ভাল মানুষকে অনুসরণ করে নাকি মন্দ মানুষকে অনুসরণ করে? সে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণ করে নাকি শয়তানের দেখানো কুপ্রবৃত্তি ও মুবদি' এর মুখরোচক কথাগুলোর অনুসরণ করে?দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণের তৌফিক দান করেন।
আল্লাহ তাআলা দ্বীনকে মোকাম্মাল করে দিয়েছেন।যুগে যুগে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন,তাবে তাবেঈন, আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন,সালাফে সালেহীন, উলামায়ে হাক্কানি সেই দিনেরই প্রচার প্রসার করেছেন। আমরা সেই দ্বীনকেই মানবো যেই দ্বীন আমাদের কাছে পৌঁছিয়েছেন প্রত্যেক যুগের হক্কানী আলেমগণ।
তবে আমরা যাচাই করে নিব কে হক্কানী আলেম আর কে ধাক্কানী আলেম? আর এ যাচাই এর তরিকা ও ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। কোরআন-সুন্নাহ ও এজমায়ে সাহাবা দিয়ে যাচাই করব, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই তিনটার আলোকে করা কিয়াসের মাধ্যমেও যাচাই করব যেগুলোর প্রত্যেক টি ই হেদায়েত। এই হেদায়েত যার কাছে যতক্ষণ পাবো তার থেকে ততক্ষণ দ্বীন গ্রহণ করব। আর যখন যার থেকে এই হেদায়েত ফিউজ হয়ে যাবে,এই হেদায়েতের আলো নিভে যাবে তখন তার থেকে সরে গিয়ে যার কাছে এই হেদায়েতের আলো পাওয়া যাবে তার থেকে গ্রহণ করব। কোন লোকের তাকলীদ ততক্ষণ করবো যতক্ষণ তার কাছে উক্ত হেদায়েতের আলো বিদ্যমান থাকবে। আর যখন যে ক্ষেত্রে তার কাছে হেদায়েতের আলো থাকবে না তখন সে ক্ষেত্রে তার তাকলীদ না করে যার কাছে হেদায়েতের আলো আছে তার তাকলীদ করব। এমনটাই কোরআনে বর্ণিত হয়েছেاوليك الذين هداهم الله فبهداهم اقتده، আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে দ্বীনের বিশুদ্ধ জ্ঞান দান করেছেন তাদেরকে হেদায়েতের এক আলো দান করেছেন। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে বলেছেন فبهداهم اقتده তাদের (ওই হেদায়েতের আলো-প্রাপ্ত লোকদের) হেদায়েতের অনুসরণ/তাকলীদ করো।
যুগের মুরব্বিদের ততক্ষণ অনুসরণ করব যতক্ষণ তাদের কাছে হেদায়েতের আলো থাকবে। যখনই ওই মুরুব্বির নিকট জিহাদের মত হেদায়েতের আলো না থাকবে তখন সে ক্ষেত্রে সেই মুরুব্বিকে বর্জন করে ঐ মুরুব্বির তাকলিদ করব যার কাছে জিহাদের মত হেদায়েতের আলো থাকবে।
এটা মুরুব্বিদের প্রতি বিদ্বেষ নয় বরং দ্বীনের আমানত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা। আমরা তাকলীদ করবো আবশ্যকীয় ভাবে, তবে অন্ধভাবে নয় সজাগ দৃষ্টিতে। এখন কেউ বা বলতে পারে অমুক বেশি বুঝেছে তার আকাবির বা মুরুব্বী থেকে। এমনটা বলার কোন সুযোগ/গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ এটা দ্বীন এটার জবাবদিহিতা আল্লাহর সামনে করতে হবে প্রত্যেককেই।তখন ঐ মুরুব্বির নাম বিক্রি করে খাওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। তার নাম বলে মুক্তি পাওয়া ও যাবে না। নিজের জবাবদিহিতা নিজেকেই করতে হবে।
মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিজাহুল্লাহসুন্দর বলেছেনঃ
আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে এমন কিছু اصاغر ও তৈরি করে দেন যারা আকাবিরদের বিচ্যুতি হলে ধরিয়ে দিবে।একমাত্র কারণ যাতে মানুষ অন্ধভাবে কোন আকাবীরের তাকলিদ বা অনুসরণ না করে। অথবা এটা মনে না করে যে আকাবিদের কোন ভুল বা বিচ্যুতি নেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়েতের আলো দান করেন। হকের উপর অটল অবিচল থাকার তৌফিক দান করেন। আমিন। ইয়া রাব্বাশ শুহাদায়ে ওয়াসসালিহিন।
প্রিয় ভাইয়েরা এই ছোট্ট মেধায় ও স্বল্প জ্ঞানে কিছু বড় বড় কথা বলে ফেললাম ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
شكرا جزاكم الله
আমি আবেগী হতে পারি, তবে নই বাস্তবতায় বিমুখ, জানি কারাগার কেড়ে নিতে পারে মোর জীবনের সব সুখ।
জেনে বুঝেই আমি বেছে নিয়েছি শত কষ্টের এই পথ, যে পথ নিয়ে যাবে জান্নাতে, সে পথে অটল থাকার করেছি শপথ।”
******************
“অসত্যের কাছে কভু নত নহে শির
ভয়ে মরে কাপুরুষ; লড়ে যায় বীর”
________________________________
তাকলীদ অর্থ অনুসরণ অনুকরণ।মানব জীবনে কারো না কারো তাকলীদ ছাড়া চলা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু কেউ কেউ বলতে চায় আমরা তাকলীদ করি না/ মানিনা। আমি বলি তারা তাদের দাবিতে মিথ্যাবাদী,তারা অবশ্যই কারো না কারো তাকলীদ করে। তবে দেখার বিষয় হলো কে কাকে অনুসরণ করে?সে কি কোন ভাল মানুষকে অনুসরণ করে নাকি মন্দ মানুষকে অনুসরণ করে? সে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণ করে নাকি শয়তানের দেখানো কুপ্রবৃত্তি ও মুবদি' এর মুখরোচক কথাগুলোর অনুসরণ করে?দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের অনুসরণের তৌফিক দান করেন।
আল্লাহ তাআলা দ্বীনকে মোকাম্মাল করে দিয়েছেন।যুগে যুগে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন,তাবে তাবেঈন, আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীন,সালাফে সালেহীন, উলামায়ে হাক্কানি সেই দিনেরই প্রচার প্রসার করেছেন। আমরা সেই দ্বীনকেই মানবো যেই দ্বীন আমাদের কাছে পৌঁছিয়েছেন প্রত্যেক যুগের হক্কানী আলেমগণ।
তবে আমরা যাচাই করে নিব কে হক্কানী আলেম আর কে ধাক্কানী আলেম? আর এ যাচাই এর তরিকা ও ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। কোরআন-সুন্নাহ ও এজমায়ে সাহাবা দিয়ে যাচাই করব, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই তিনটার আলোকে করা কিয়াসের মাধ্যমেও যাচাই করব যেগুলোর প্রত্যেক টি ই হেদায়েত। এই হেদায়েত যার কাছে যতক্ষণ পাবো তার থেকে ততক্ষণ দ্বীন গ্রহণ করব। আর যখন যার থেকে এই হেদায়েত ফিউজ হয়ে যাবে,এই হেদায়েতের আলো নিভে যাবে তখন তার থেকে সরে গিয়ে যার কাছে এই হেদায়েতের আলো পাওয়া যাবে তার থেকে গ্রহণ করব। কোন লোকের তাকলীদ ততক্ষণ করবো যতক্ষণ তার কাছে উক্ত হেদায়েতের আলো বিদ্যমান থাকবে। আর যখন যে ক্ষেত্রে তার কাছে হেদায়েতের আলো থাকবে না তখন সে ক্ষেত্রে তার তাকলীদ না করে যার কাছে হেদায়েতের আলো আছে তার তাকলীদ করব। এমনটাই কোরআনে বর্ণিত হয়েছেاوليك الذين هداهم الله فبهداهم اقتده، আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে দ্বীনের বিশুদ্ধ জ্ঞান দান করেছেন তাদেরকে হেদায়েতের এক আলো দান করেছেন। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে বলেছেন فبهداهم اقتده তাদের (ওই হেদায়েতের আলো-প্রাপ্ত লোকদের) হেদায়েতের অনুসরণ/তাকলীদ করো।
যুগের মুরব্বিদের ততক্ষণ অনুসরণ করব যতক্ষণ তাদের কাছে হেদায়েতের আলো থাকবে। যখনই ওই মুরুব্বির নিকট জিহাদের মত হেদায়েতের আলো না থাকবে তখন সে ক্ষেত্রে সেই মুরুব্বিকে বর্জন করে ঐ মুরুব্বির তাকলিদ করব যার কাছে জিহাদের মত হেদায়েতের আলো থাকবে।
এটা মুরুব্বিদের প্রতি বিদ্বেষ নয় বরং দ্বীনের আমানত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা। আমরা তাকলীদ করবো আবশ্যকীয় ভাবে, তবে অন্ধভাবে নয় সজাগ দৃষ্টিতে। এখন কেউ বা বলতে পারে অমুক বেশি বুঝেছে তার আকাবির বা মুরুব্বী থেকে। এমনটা বলার কোন সুযোগ/গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ এটা দ্বীন এটার জবাবদিহিতা আল্লাহর সামনে করতে হবে প্রত্যেককেই।তখন ঐ মুরুব্বির নাম বিক্রি করে খাওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। তার নাম বলে মুক্তি পাওয়া ও যাবে না। নিজের জবাবদিহিতা নিজেকেই করতে হবে।
মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিজাহুল্লাহসুন্দর বলেছেনঃ
আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে এমন কিছু اصاغر ও তৈরি করে দেন যারা আকাবিরদের বিচ্যুতি হলে ধরিয়ে দিবে।একমাত্র কারণ যাতে মানুষ অন্ধভাবে কোন আকাবীরের তাকলিদ বা অনুসরণ না করে। অথবা এটা মনে না করে যে আকাবিদের কোন ভুল বা বিচ্যুতি নেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেদায়েতের আলো দান করেন। হকের উপর অটল অবিচল থাকার তৌফিক দান করেন। আমিন। ইয়া রাব্বাশ শুহাদায়ে ওয়াসসালিহিন।
প্রিয় ভাইয়েরা এই ছোট্ট মেধায় ও স্বল্প জ্ঞানে কিছু বড় বড় কথা বলে ফেললাম ভুল হলে শুধরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
شكرا جزاكم الله
আমি আবেগী হতে পারি, তবে নই বাস্তবতায় বিমুখ, জানি কারাগার কেড়ে নিতে পারে মোর জীবনের সব সুখ।
জেনে বুঝেই আমি বেছে নিয়েছি শত কষ্টের এই পথ, যে পথ নিয়ে যাবে জান্নাতে, সে পথে অটল থাকার করেছি শপথ।”
******************
“অসত্যের কাছে কভু নত নহে শির
ভয়ে মরে কাপুরুষ; লড়ে যায় বীর”
________________________________
Comment