Announcement

Collapse
No announcement yet.

উপদেশ দেওয়ার আদব

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উপদেশ দেওয়ার আদব

    উপদেশ দেওয়ার আদব
    ১. মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণ কামনা করা এবং অকল্যাণ দূর করার লক্ষ্যে উপদেশ দেওয়া।
    ২. উপদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইনসাফ থাকা মুসলিম ভাইয়ের উপর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার কোন ইচ্ছা যেন একদম না থাকে।
    ৩. উপদেশমূলক কথাগুলো যেন নির্ভেজাল হয় প্রতারণা ও খেয়ানতমুক্ত হয়।
    ৪. উপদেশ দেওয়ার উদ্দেশ্য যেন দোষারোপ করা বা ভৎসনা করা না হয়।
    ৫. ইসলামী ভাতৃত্ব ও ভালোবাসার চেতনা নিয়ে উপদেশ দেয়া তাতে যেন অনুরূপ রুক্ষতা ও রুঢ়তা না থাকে।
    ৬. ইলম নির্ভর, ব্যাখ্যামূলক ও যুক্তিভিত্তিক কথা দিয়ে উপদেশ দেয়া।
    ৭. গোপনে উপদেশ দেয়া। প্রকাশ্যে সবার সামনে উপদেশ না দেয়া। কল্যাণের দিক প্রবল হলে প্রকাশ্য ও উপদেশ দেওয়া যেতে পারে।
    ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহ আলাইহি বলেন, "কাউকে উপদেশ দিতে চাইলে গোপনে উপদেশ দিতেন এমনকি তাদের কেউ কেউ বলেছেন কাউকে গোপনে উপদেশ দিলে সেটাই হয় আসলে উপদেশ সবার সামনে দিলে তো সেটা হয় ভৎসনা সেটা আর উপদেশ থাকে না"।
    ইমাম ইবনে হাজম রহমতুল্লাহি বলেন, "কাউকে উপদেশ দিতে দিলে গোপনে দাও, প্রকাশ্যে দিওনা এবং ইশারা ইঙ্গিতে বলো, সরাসরি বলো না, সে যদি তোমার ইঙ্গিত না বুঝে তাহলে তো সরাসরি বলতে হবে"।
    ৮. উপদেশ দেয়ার দেয়ার জন্য সবচেয়ে সুন্দর ভাষা নির্বাচন করা এবং যাকে উপদেশ দেওয়া হবে, তার সাথে কোমল হওয়া এবং নম্র ভাষায় কথা বলা।
    ৯. উপদেশ দেওয়ার কারণে কারো থেকে কোন কষ্ট পেলে তার সহ্য করা।
    ১০. গোপন বিষয়ে গোপন রাখা। মুসলিমের দোষ ত্রুটি লুকিয়ে রাখা। তার সম্মানে আঘাত না দেয়া, উপদেশদাতা দয়ালু, কোমলপ্রাণ, কল্যাণকামী এবং দোষ গোপনকারি হবে।
    ১১. (কাউকে বিশেষ কোনো বিষয়ে) উপদেশ দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া (আসলে তার মধ্যে তা আছে কি না) ধারণার উপর ভিত্তি করে কাউকে কিছু না বলা। যেন কোন মুসলমান ভাইয়ের মাঝে যে দোষ নেই তা তার উপর আরোপ করা না হয়।
    ১২. উপদেশ দেয়ার জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করা।
    ১৩. উপদেশদাতা মানুষকে যে উপদেশ দিবে, নিজেও তার উপর আমল করা।
Working...
X