Announcement

Collapse
No announcement yet.

আফগানিস্তানের ক্রিকেট টিমের বিজয়?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আফগানিস্তানের ক্রিকেট টিমের বিজয়?

    টাইটেল দেখে আশ্চর্য হতে পারেন
    মুলত একটি বিষয় জানার জন্য এমন টাইটেল দিয়েছি।
    ক্রিকেট ও ফুটবল সম্পর্কে ইসলামী শরিয়াহ'র কি ফতুয়া
    তা হয়তো ফোরামের সকলেরই জানা আছে।

    সাম্প্রতিক সময়ে জন মহলে অনেক আলোচনা হচ্ছে >কে জিতবে আর কে হারবে?
    আর ক্রিকেট টিমের মধ্যে আমরা আফগানিস্তানেরও একটি টিম দেখছি। এমনকি গতকাল নাকি তারা খেলায় জিতেছেও। এই বিষয় নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ ঝগড়াও করছে। কেউ দলিল দিচ্ছেন শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিঃ এর লেকচার দিয়ে। আবার কেউ বলছেন এতে (খেলায়) হারামের কি আছে?

    কেউ প্রশ্ন তুলছেন ইমারাতে ইালামিয়া কেন এখনো ক্রিকেট নিষিদ্ধ করেন নি?

    বিশেষ করে তালিবুল ইলমদের মাঝে এই ঝগড়াটা হচ্ছে।
    আর কেউ বলছেন যেহেতু আফগানিস্তান খেলে তাই হারামের কিছু নাই হারাম হলে তারা খেলতেন না??

    উক্ত বিষয় গুলোর সুস্পষ্ট জবাব চেয়ে এই পোস্ট।
    Munshi abdur Rahman ভাই সহ মডারেটর ভাই দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
    বিশেষ করে মুফতিয়ানে কিরামগণের। ​​​​

  • #2
    প্রশ্নটি অনেক মুল্যাবান।
    এর উত্তরে বেরিয়ে আসবে অনেক বাস্তবতা ও নিরসন, যে সংশয় গুলো কেবল জনসাধারণেরই নয় বড় অনেক আলিম গনেরও। আশাকরি সকল আলিম ভাইগন উত্তর প্রদান করবেন। আর এর মাধ্যমে উম্মাহ উপকৃত হবেন নানান উপকারে।

    প্রশ্নকারী ভাইকে অনেক জাযা-কাল্লা-হু খাইরান আহসানালা জাযা-
    Last edited by tahsin muhammad; 08-28-2022, 09:44 PM.
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      Originally posted by ALQALAM View Post
      প্রশ্নটি অনেক মুল্যাবান।
      এর উত্তরে বেরিয়ে আসবে অনেক বাস্তবতা ও নিরসন, যে সংশয় গুলো কেবল জনসাধারণেরই নয় বড় অনেক আলিম গনেরও। আশাকরি সকল আলিম ভাইগন উত্তর প্রদান করবেন। আর এর মাধ্যমে উম্মাহ উপকৃত হবেন নানান উপকারে।

      প্রশ্নকারী ভাইকে অনেক জাযা-কাল্লা-হু খাইরান আহসানালা জাযা-
      واياك ايضا وبارك الله في حياتك وعلمك ودينك يااخي الكريم

      Comment


      • #4
        এই বিষয়ে অনেক ভাই প্রশ্ন করছেন? সদুত্তর মেলেনি এখনো ,তাই এটার খোলাসা চাচ্ছি...!

        Comment


        • #5
          শরয়ী মূলনীতির আলোকে যেটা হারাম, সেটা হারাম-ই থাকবে। ইমারতে ইসলামী অনেক কিছু নিষেধ করতে পারেননি বা বিভিন্ন মাসলাহাতের কারণে করেননি।
          কারণ, দেশ স্থিতিশীলতার দরকার আগে। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে নেক ধারণা করি। তারা পর্যায়ক্রমে শরীয়াহ বাস্তবায়ন করছেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            এই প্রশ্নের জবাব মুফতিয়ানে কিরাম দিবেন আমি এখানে আমাদের চিন্তার কিছু বিষয় উল্ল্যেখ করছি ইংশাআল্লাহ।
            একদল লোক খেল-তামাশা কে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছে , আবার কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌছার বাহন হিসেবে খেলাকে উপকরন বানিয়েছে উভয়ের মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে ।
            সীমিত পরিমানে বিনোদন এর অবকাশ ইসলামেতো রয়েছে কিন্তু জীবনের উদ্দ্যেশ্যভুলে সীমাতিরিক্ত সব কিছুই সীমালঙ্ঘনের পর্যায়ে ।
            যেমন মুশাআরাঃ কোরআনে সায়েরদের অনুসারিদের গুমরাহ আখ্যায়িত করা হয়েছে , আবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসসান ইবনে সাবেত রাঃ কে বলেছেন হাসসান তোমি (কবিতার মাধ্যমে ) তাদের নিন্দা করো , তোমার কবিতার বাণ শত্রুদের অন্তরে তীরের চেয়ে প্রচন্ডভাবে আঘাত হানে ।
            কবিতার আধিক্যের ব্যপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বমি দিয়ে পেট ভরা কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে ভালো, উলামেয়ে কিরাম দ্বীনি বিষয়ে কী পরিমাণ কবিতা চর্চা করেছেন, এগুলো অবশ্যই সেই নিষিদ্ধ কাব্য চর্চা ছিলোনা।
            ফাতহে মক্কায় কাফেরদের দেখানোর জন্য বেশি চুলা জালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন , কাফের শুত্রুদের ভিত করার মতই মুসলিম সৈনিকদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য কোন বৈধ ব্যবস্থা গ্রহন একটি কাম্য বস্তু ।
            মুশরিক পারসিকদের বিরোদ্ধে আহলে কিতাব রুমিদের বিজয়ে মুসলিমরা আগ্রহি ছিলেন এব্যপারে উতসাহবোধ করেছেন, বাজিও ধরেছেন।
            হাবশি লোকদের মাসজিদে নববিতে বর্ষা নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব প্রদর্শন আয়েশা রাঃ কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাধে চিবুক স্থাপন করে উপভোগ, মুল বিষয়ের বৈধতা প্রমান করে ।
            এমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ সালামা ইবনেল আকওয়া উনাদের দৌড়, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতাও বিষয়টি সুরাহার সাথে সম্পর্কিত।
            মুমিনের তিন বিষয়ে খেলাদুলার অনুমতির কারন উদ্ঘাটন ও বিশ্লেশন করলে শরয়ি মাকাসিদ হুছুলের উপকরনের বৈধতা বুঝে আসে ।
            নিজেদের মনকে কখনো কখনো বিনোদন/প্রফুল্লতা প্রদান করো আমি তোমাদের দ্বীনে কঠোরতা/জড়তা অপছন্দ করি। ( তিরমিযি সম্ভবত)
            সব নবিকে আল্লাহ তায়ালা আপন কওমের ভাষায় পারদর্শি করে পাঠিয়েছেন , বর্তমান সময় এই ভাসাগুলো মানুষ ভালভাবে বুঝে , পাকিস্তানের ইমরান খান উইরোপিনানদের কাছে খেলার পরিচিতির সুবাদে তাদেরকে নিজের বক্তব্য শুনানোর ভালো সুযোগ পেয়েছে, নিজ দেশের লোকদের কাছেও গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে , কেহ যদি নিজের এই প্রতিভাকে দ্বীনের দাওয়াতের সহায়ক উপকরন বানাতে পাড়ে এটা তার জন্য শরিয়তের নযরে পছন্দনীয় না হওয়ার কোন কারন নেই।
            তবে প্রাসঙ্গিক বিষয় কে মুল বিষয় উপর যেন প্রাধান্য দেয়া না হয়ে যায় এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ফুকাস ঠিক রাখা জরুরী অবশ্যই।
            আমরা এমন এক জাতি যাদের কে আল্লাহ তায়ালা ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত শক্তিশালী করেছেন , যখনই আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুতে সম্মান ও শক্তি তালাশ করব আমাদের তিনি লাঞ্চিত করে ছাড়বেন,...উমার ইবনুলখাত্তাব রাঃ এর এই বাণীর সাথে বিষয়টিকে যেন আমরা সাঙ্ঘর্শিক বানিয়ে না ফেলি।
            আবার কিতাল ই ফিতনা নির্মুল এবং পরিপুর্ন দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যম আল্লাহর এই ঘোষণার ব্যপারে ও যেন আমরা দ্বিধায় না পড়ে যায়।
            আল্লাহর শত্রুরা যেন আমাদের ধোকায় নে ফেলে দিতে না পারে , তাদের প্রতারনার ফাদে যেন তারা আটকে মরে।

            Comment


            • #7
              Originally posted by murabit View Post
              এই প্রশ্নের জবাব মুফতিয়ানে কিরাম দিবেন আমি এখানে আমাদের চিন্তার কিছু বিষয় উল্ল্যেখ করছি ইংশাআল্লাহ।
              একদল লোক খেল-তামাশা কে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছে , আবার কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌছার বাহন হিসেবে খেলাকে উপকরন বানিয়েছে উভয়ের মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে ।
              সীমিত পরিমানে বিনোদন এর অবকাশ ইসলামেতো রয়েছে কিন্তু জীবনের উদ্দ্যেশ্যভুলে সীমাতিরিক্ত সব কিছুই সীমালঙ্ঘনের পর্যায়ে ।
              যেমন মুশাআরাঃ কোরআনে সায়েরদের অনুসারিদের গুমরাহ আখ্যায়িত করা হয়েছে , আবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসসান ইবনে সাবেত রাঃ কে বলেছেন হাসসান তোমি (কবিতার মাধ্যমে ) তাদের নিন্দা করো , তোমার কবিতার বাণ শত্রুদের অন্তরে তীরের চেয়ে প্রচন্ডভাবে আঘাত হানে ।
              কবিতার আধিক্যের ব্যপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বমি দিয়ে পেট ভরা কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে ভালো, উলামেয়ে কিরাম দ্বীনি বিষয়ে কী পরিমাণ কবিতা চর্চা করেছেন, এগুলো অবশ্যই সেই নিষিদ্ধ কাব্য চর্চা ছিলোনা।
              ফাতহে মক্কায় কাফেরদের দেখানোর জন্য বেশি চুলা জালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন , কাফের শুত্রুদের ভিত করার মতই মুসলিম সৈনিকদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য কোন বৈধ ব্যবস্থা গ্রহন একটি কাম্য বস্তু ।
              মুশরিক পারসিকদের বিরোদ্ধে আহলে কিতাব রুমিদের বিজয়ে মুসলিমরা আগ্রহি ছিলেন এব্যপারে উতসাহবোধ করেছেন, বাজিও ধরেছেন।
              হাবশি লোকদের মাসজিদে নববিতে বর্ষা নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব প্রদর্শন আয়েশা রাঃ কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাধে চিবুক স্থাপন করে উপভোগ, মুল বিষয়ের বৈধতা প্রমান করে ।
              এমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ সালামা ইবনেল আকওয়া উনাদের দৌড়, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতাও বিষয়টি সুরাহার সাথে সম্পর্কিত।
              মুমিনের তিন বিষয়ে খেলাদুলার অনুমতির কারন উদ্ঘাটন ও বিশ্লেশন করলে শরয়ি মাকাসিদ হুছুলের উপকরনের বৈধতা বুঝে আসে ।
              নিজেদের মনকে কখনো কখনো বিনোদন/প্রফুল্লতা প্রদান করো আমি তোমাদের দ্বীনে কঠোরতা/জড়তা অপছন্দ করি। ( তিরমিযি সম্ভবত)
              সব নবিকে আল্লাহ তায়ালা আপন কওমের ভাষায় পারদর্শি করে পাঠিয়েছেন , বর্তমান সময় এই ভাসাগুলো মানুষ ভালভাবে বুঝে , পাকিস্তানের ইমরান খান উইরোপিনানদের কাছে খেলার পরিচিতির সুবাদে তাদেরকে নিজের বক্তব্য শুনানোর ভালো সুযোগ পেয়েছে, নিজ দেশের লোকদের কাছেও গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে , কেহ যদি নিজের এই প্রতিভাকে দ্বীনের দাওয়াতের সহায়ক উপকরন বানাতে পাড়ে এটা তার জন্য শরিয়তের নযরে পছন্দনীয় না হওয়ার কোন কারন নেই।
              তবে প্রাসঙ্গিক বিষয় কে মুল বিষয় উপর যেন প্রাধান্য দেয়া না হয়ে যায় এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ফুকাস ঠিক রাখা জরুরী অবশ্যই।
              আমরা এমন এক জাতি যাদের কে আল্লাহ তায়ালা ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত শক্তিশালী করেছেন , যখনই আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুতে সম্মান ও শক্তি তালাশ করব আমাদের তিনি লাঞ্চিত করে ছাড়বেন,...উমার ইবনুলখাত্তাব রাঃ এর এই বাণীর সাথে বিষয়টিকে যেন আমরা সাঙ্ঘর্শিক বানিয়ে না ফেলি।
              আবার কিতাল ই ফিতনা নির্মুল এবং পরিপুর্ন দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যম আল্লাহর এই ঘোষণার ব্যপারে ও যেন আমরা দ্বিধায় না পড়ে যায়।
              আল্লাহর শত্রুরা যেন আমাদের ধোকায় নে ফেলে দিতে না পারে , তাদের প্রতারনার ফাদে যেন তারা আটকে মরে।
              جزاك الله خيرا

              Comment


              • #8
                Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
                শরয়ী মূলনীতির আলোকে যেটা হারাম, সেটা হারাম-ই থাকবে। ইমারতে ইসলামী অনেক কিছু নিষেধ করতে পারেননি বা বিভিন্ন মাসলাহাতের কারণে করেননি।
                কারণ, দেশ স্থিতিশীলতার দরকার আগে। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে নেক ধারণা করি। তারা পর্যায়ক্রমে শরীয়াহ বাস্তবায়ন করছেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
                جزاك الله خيرا يااخي الكريم
                জী ভাই অবশ্যই আমরা নেক ধারণা রাখি।
                এবং আল্লাহর দীনের জন্য উনাদেরকে ভালোবেসে আসছি সেই ১৬ সাল থেকেই আলহামদুলিল্লাহ।
                কিন্তু বর্তমানে ইলমি অঙ্গনে এ বিষয়টি নিয়ে খুব ঝগড়া চলছে। আর আমি কিন্তু উপরে এটাও বলছি যে কেউ হারাম নয় এর পক্ষে দলিল দিচ্ছেন আফগানকে দিয়ে। তাই এই বিষয়ে মুখ খোলা জরুরী ভাই।
                Last edited by Munshi Abdur Rahman; 08-30-2022, 07:02 PM.

                Comment


                • #9
                  এসব খেলায় জুয়া ধরা হয় হেতু শরীয়ত এসব নিষিদ্ধ করেছে। উপরন্তু জুয়া না থাকলেও এসব লাহওয়া ও লায়িবা বা খেল-তামাশার জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে খরচ করায় শরয়ী বাঁধা রয়েছে; নিষেধ রয়েছে।

                  এখন কথা হল- আফগান ক্রিকেট ফেডারেশন জাতীয় কিছু ‘আপাতত’ স্বাধীন কি না অর্থাৎ তালিবান প্রশাসনের প্রতি তাঁদের সরাসরি আর্থিক কোন মুখাপেক্ষিতা রয়েছে কি না? এসব বিবেচনা না করে একটি ইসলামি ইমারতের ব্যাপারে হুটহাট কিছু বলা যায় না।

                  ওয়াল্লাহু ‘আলাম।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by murabit View Post
                    এই প্রশ্নের জবাব মুফতিয়ানে কিরাম দিবেন আমি এখানে আমাদের চিন্তার কিছু বিষয় উল্ল্যেখ করছি ইংশাআল্লাহ।
                    একদল লোক খেল-তামাশা কে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছে , আবার কেউ জীবনের লক্ষ্যে পৌছার বাহন হিসেবে খেলাকে উপকরন বানিয়েছে উভয়ের মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে ।
                    সীমিত পরিমানে বিনোদন এর অবকাশ ইসলামেতো রয়েছে কিন্তু জীবনের উদ্দ্যেশ্যভুলে সীমাতিরিক্ত সব কিছুই সীমালঙ্ঘনের পর্যায়ে ।
                    যেমন মুশাআরাঃ কোরআনে সায়েরদের অনুসারিদের গুমরাহ আখ্যায়িত করা হয়েছে , আবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসসান ইবনে সাবেত রাঃ কে বলেছেন হাসসান তোমি (কবিতার মাধ্যমে ) তাদের নিন্দা করো , তোমার কবিতার বাণ শত্রুদের অন্তরে তীরের চেয়ে প্রচন্ডভাবে আঘাত হানে ।
                    কবিতার আধিক্যের ব্যপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বমি দিয়ে পেট ভরা কবিতা দিয়ে পেট ভরার চেয়ে ভালো, উলামেয়ে কিরাম দ্বীনি বিষয়ে কী পরিমাণ কবিতা চর্চা করেছেন, এগুলো অবশ্যই সেই নিষিদ্ধ কাব্য চর্চা ছিলোনা।
                    ফাতহে মক্কায় কাফেরদের দেখানোর জন্য বেশি চুলা জালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন , কাফের শুত্রুদের ভিত করার মতই মুসলিম সৈনিকদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য কোন বৈধ ব্যবস্থা গ্রহন একটি কাম্য বস্তু ।
                    মুশরিক পারসিকদের বিরোদ্ধে আহলে কিতাব রুমিদের বিজয়ে মুসলিমরা আগ্রহি ছিলেন এব্যপারে উতসাহবোধ করেছেন, বাজিও ধরেছেন।
                    হাবশি লোকদের মাসজিদে নববিতে বর্ষা নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব প্রদর্শন আয়েশা রাঃ কর্তৃক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাধে চিবুক স্থাপন করে উপভোগ, মুল বিষয়ের বৈধতা প্রমান করে ।
                    এমনিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ সালামা ইবনেল আকওয়া উনাদের দৌড়, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতাও বিষয়টি সুরাহার সাথে সম্পর্কিত।
                    মুমিনের তিন বিষয়ে খেলাদুলার অনুমতির কারন উদ্ঘাটন ও বিশ্লেশন করলে শরয়ি মাকাসিদ হুছুলের উপকরনের বৈধতা বুঝে আসে ।
                    নিজেদের মনকে কখনো কখনো বিনোদন/প্রফুল্লতা প্রদান করো আমি তোমাদের দ্বীনে কঠোরতা/জড়তা অপছন্দ করি। ( তিরমিযি সম্ভবত)
                    সব নবিকে আল্লাহ তায়ালা আপন কওমের ভাষায় পারদর্শি করে পাঠিয়েছেন , বর্তমান সময় এই ভাসাগুলো মানুষ ভালভাবে বুঝে , পাকিস্তানের ইমরান খান উইরোপিনানদের কাছে খেলার পরিচিতির সুবাদে তাদেরকে নিজের বক্তব্য শুনানোর ভালো সুযোগ পেয়েছে, নিজ দেশের লোকদের কাছেও গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে , কেহ যদি নিজের এই প্রতিভাকে দ্বীনের দাওয়াতের সহায়ক উপকরন বানাতে পাড়ে এটা তার জন্য শরিয়তের নযরে পছন্দনীয় না হওয়ার কোন কারন নেই।
                    তবে প্রাসঙ্গিক বিষয় কে মুল বিষয় উপর যেন প্রাধান্য দেয়া না হয়ে যায় এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, ফুকাস ঠিক রাখা জরুরী অবশ্যই।
                    আমরা এমন এক জাতি যাদের কে আল্লাহ তায়ালা ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত শক্তিশালী করেছেন , যখনই আমরা ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুতে সম্মান ও শক্তি তালাশ করব আমাদের তিনি লাঞ্চিত করে ছাড়বেন,...উমার ইবনুলখাত্তাব রাঃ এর এই বাণীর সাথে বিষয়টিকে যেন আমরা সাঙ্ঘর্শিক বানিয়ে না ফেলি।
                    আবার কিতাল ই ফিতনা নির্মুল এবং পরিপুর্ন দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যম আল্লাহর এই ঘোষণার ব্যপারে ও যেন আমরা দ্বিধায় না পড়ে যায়।
                    আল্লাহর শত্রুরা যেন আমাদের ধোকায় নে ফেলে দিতে না পারে , তাদের প্রতারনার ফাদে যেন তারা আটকে মরে।
                    আমাদের মনে রাখতে হবে লক্ষ্য সৎ থাকলেই কখনো হারাম হালাল হবেনা,যেমন খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্যে কোনভাবেই গণতন্ত্র বৈধ নয়।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by অশ্বারোহী জঙ্গী View Post
                      আমাদের মনে রাখতে হবে লক্ষ্য সৎ থাকলেই কখনো হারাম হালাল হবেনা,যেমন খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার মহান লক্ষ্যে কোনভাবেই গণতন্ত্র বৈধ নয়।
                      জী ভাই
                      جزاك الله خيرا

                      Comment

                      Working...
                      X