সম্প্রতি কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে চারিদিকে উড়ছে রংবেরঙের পতাকা। কেউ আরজেন্ট্রিনা, কেউ ব্রাজিল, কেউ ফ্রান্স। এভাবেই নিজ প্রিয় দলের পতাকা হাতে, জার্সি গায়ে, রাস্তার মুড়ে মুড়ে, বাজারে-হাটে দেখা মিলছে অনেক মুসলিম সন্তানকে।
কাছ থেকে স্বীয় প্রিয় দলের খেলাকে উপভোগ করার জন্য অনেক ফুটবলপ্রেমি মুসলিম হতভাগারা ছুটে চলেছেন কাতারে। চতুর্দিকে শুধু ফুটবল উন্মাদনা বিরাজমান! কে কত বেশি বিধর্মীদের পতাকা লাগাতে পারে তাতে প্রতিযোগিতা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা। অনেকে আবার ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে কাতারের কিছু বাহ্যিক ইসলামিক কাজকর্মকে দেখে আওয়াজ তুলছে, এবারের বিশ্বকাপ হালাল। (মাআজাল্লাহ)
এমন অজ্ঞতাপ্রসূত বুলি আওরানো থেকে আল্লাহ হেফাজত রাখুন।
আজ আমার মুসলিম ভাইদের কী হয়েগেল?! তারা কোন খেলাকে হালাল বলছে।
যে খেলায় একটি, দুটি সুন্নাহ মিসওয়াক,আতর ইত্তাদি বিতরণ করা হচ্ছে এই খেলাকে কী হালাল বলছেন?
যেখানে ইসলামের অনেক ফরজ বিধাণ লঙ্ঘিত হচ্ছে, এটা কী তাদের চুখে পরে না? যে খেল-তামাশাকে ঘিরে কোটি কোটি টাকা এমন লোকদের পিছনে ব্যয় করা হচ্ছে, যারা আমার মুসলিম ভাই বোনদের রক্ত ঝরাচ্ছে। এমন খেলাকে কি তারা হালাল বলছেন,,?
যে বিশ্বকাপকে ঘিরে আরবের গাদ্দার শাসকরা নাপাক ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে জাজীরাতুল আরবে জায়গা দিচ্ছে। এমন বিশ্বকাপকে কি আমার মুসলিম ভাই-বোনরা সাপুর্ট করছেন,,?
আফসোস আমার এই মুসলিম ভাই বোনদের জন্য!
তারা এমন লোকদেরকে তাদের আইডল বানাচ্ছে, যারা আমাদেরি-ই মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
যাদের অর্থায়নে মুসলিম ভূখন্ডে বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
কাফিররা আমাদের যুবকদেরকে এই খেলা-ধুলায় ব্যস্ত রাখছে। আমরা তাদের পতাকা,জার্সি নিয়ে টিভির পর্দায় আটকে আছি।
অন্য দিকে তারা আমার মা-বোনদেরকে ধর্ষণ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।
ছোট্ট শোনামণিদের দেহ বোমা মেরে রক্তাক্ত করছে।
আমরা কবে জাগ্রত হবো?
আমাদের অনূভুতি কবে সতেজ হবে?
এরা আমার নিজ মা-বোন না হওয়ায় কী আমরা নিশ্চিত আছি?
আমরা কী নবীজির কথা ভূলে গেছি,,,,,,
➤ হযরত নুমান বিন বশির রাযিঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
ترى المؤمنين فى تراحمهم و توادهم و تعاطفهم كمثل الجسد ، إذا اشتكى عضوا تداعى له سائر جسده بالسهر و الحمى
পরস্পর মহব্বত, দয়া ও অনুগ্রহের ক্ষেত্রে মুমিনদেরকে এক দেহের ন্যায় দেখতে পাবে।যখন তার এক অঙ্গ অসুস্থ হয়, তখন তার পুরো দেহ বিনিদ্রা ও জ্বরে অসুস্থ হয়ে পরে।
➤ হযরত আবু মুসা আশআরি রাযিঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إن المؤمن للمؤمن كالبنيان ، يشد بعضه بعضا و شبك اصابعه
মুমিনগণ পরস্পর একটি প্রসাদের ন্যায়। যার একাংশ অন্য অংশকে শক্তিশালী করে। এই বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাতের আঙুলসমূহ অপর হাতের আঙুলসমূহে প্রবেশ করালেন।
আমরা কি এক দেহের ন্যায় নয়?
তাদের আঘাতগুলো কি আমার অন্তরে আঘাত হানে না?
তাহলে আমরা কিসের অপেক্ষায়?
কেন আমরা কাশ্মির, ফিলিস্তিনের মাজলুম মা-বোনদেরকে আমাদের মা-বোনের ন্যায় মনে করছি না?
যখন ভারতের হিন্দু মালাউনরা আমাদের মা-বোনের উপর হায়নার মতো ঝাপিয়ে পরবে, তখন কী আমরা জাগ্রত হবো?
প্রিয় ভাইয়েরা ততক্ষনে তো বড্ড দেরি হয়ে যাবে! তাই আর দেরি না করে কাফেরদের তন্ত্রমন্ত্রের জালকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নববী ছায়ার তলে একত্রিত হই।
আমাদের আবেগ কী এত্ত সস্তা যে, তা কাফিরদের এই চার,ছক্কা আর গোলে আটকে যাবে,?
যখন উম্মাহর সিংহপুরুষ মুজাহিদরা কাফিরদেরকে নাস্তানাবুদ করে দেয়, তখন আমাদের আবেগ কোথায় থাকে?
আমরা এমন পতাকা উড়াচ্ছি, যা লাঞ্ছনার ও অপমানের। সাহাবায়ে কেরামও পতাকা উড়িয়েছেন, সেটা ছিল সম্মান ও ইজ্জতের।
প্রিয় ভাই! আমরা আমদের চিন্তা-ফিকীর এই মাজলুম উম্মাহর জন্য ব্যয় করি। এই দিন তো আর বেশি দূরে নয় যে দিন গোটা বিশ্বে কালিমার পতাকা পতপত করে উড়বে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহিহ বুঝ দান করুন। মুসলিম উম্মার যুবকদেরকে কাফিরদের জন্য ভীতিসঞ্চারক করে দিন। আমিন
কাছ থেকে স্বীয় প্রিয় দলের খেলাকে উপভোগ করার জন্য অনেক ফুটবলপ্রেমি মুসলিম হতভাগারা ছুটে চলেছেন কাতারে। চতুর্দিকে শুধু ফুটবল উন্মাদনা বিরাজমান! কে কত বেশি বিধর্মীদের পতাকা লাগাতে পারে তাতে প্রতিযোগিতা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা। অনেকে আবার ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে কাতারের কিছু বাহ্যিক ইসলামিক কাজকর্মকে দেখে আওয়াজ তুলছে, এবারের বিশ্বকাপ হালাল। (মাআজাল্লাহ)
এমন অজ্ঞতাপ্রসূত বুলি আওরানো থেকে আল্লাহ হেফাজত রাখুন।
আজ আমার মুসলিম ভাইদের কী হয়েগেল?! তারা কোন খেলাকে হালাল বলছে।
যে খেলায় একটি, দুটি সুন্নাহ মিসওয়াক,আতর ইত্তাদি বিতরণ করা হচ্ছে এই খেলাকে কী হালাল বলছেন?
যেখানে ইসলামের অনেক ফরজ বিধাণ লঙ্ঘিত হচ্ছে, এটা কী তাদের চুখে পরে না? যে খেল-তামাশাকে ঘিরে কোটি কোটি টাকা এমন লোকদের পিছনে ব্যয় করা হচ্ছে, যারা আমার মুসলিম ভাই বোনদের রক্ত ঝরাচ্ছে। এমন খেলাকে কি তারা হালাল বলছেন,,?
যে বিশ্বকাপকে ঘিরে আরবের গাদ্দার শাসকরা নাপাক ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে জাজীরাতুল আরবে জায়গা দিচ্ছে। এমন বিশ্বকাপকে কি আমার মুসলিম ভাই-বোনরা সাপুর্ট করছেন,,?
আফসোস আমার এই মুসলিম ভাই বোনদের জন্য!
তারা এমন লোকদেরকে তাদের আইডল বানাচ্ছে, যারা আমাদেরি-ই মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
যাদের অর্থায়নে মুসলিম ভূখন্ডে বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
কাফিররা আমাদের যুবকদেরকে এই খেলা-ধুলায় ব্যস্ত রাখছে। আমরা তাদের পতাকা,জার্সি নিয়ে টিভির পর্দায় আটকে আছি।
অন্য দিকে তারা আমার মা-বোনদেরকে ধর্ষণ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।
ছোট্ট শোনামণিদের দেহ বোমা মেরে রক্তাক্ত করছে।
আমরা কবে জাগ্রত হবো?
আমাদের অনূভুতি কবে সতেজ হবে?
এরা আমার নিজ মা-বোন না হওয়ায় কী আমরা নিশ্চিত আছি?
আমরা কী নবীজির কথা ভূলে গেছি,,,,,,
➤ হযরত নুমান বিন বশির রাযিঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
ترى المؤمنين فى تراحمهم و توادهم و تعاطفهم كمثل الجسد ، إذا اشتكى عضوا تداعى له سائر جسده بالسهر و الحمى
পরস্পর মহব্বত, দয়া ও অনুগ্রহের ক্ষেত্রে মুমিনদেরকে এক দেহের ন্যায় দেখতে পাবে।যখন তার এক অঙ্গ অসুস্থ হয়, তখন তার পুরো দেহ বিনিদ্রা ও জ্বরে অসুস্থ হয়ে পরে।
➤ হযরত আবু মুসা আশআরি রাযিঃ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إن المؤمن للمؤمن كالبنيان ، يشد بعضه بعضا و شبك اصابعه
মুমিনগণ পরস্পর একটি প্রসাদের ন্যায়। যার একাংশ অন্য অংশকে শক্তিশালী করে। এই বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাতের আঙুলসমূহ অপর হাতের আঙুলসমূহে প্রবেশ করালেন।
আমরা কি এক দেহের ন্যায় নয়?
তাদের আঘাতগুলো কি আমার অন্তরে আঘাত হানে না?
তাহলে আমরা কিসের অপেক্ষায়?
কেন আমরা কাশ্মির, ফিলিস্তিনের মাজলুম মা-বোনদেরকে আমাদের মা-বোনের ন্যায় মনে করছি না?
যখন ভারতের হিন্দু মালাউনরা আমাদের মা-বোনের উপর হায়নার মতো ঝাপিয়ে পরবে, তখন কী আমরা জাগ্রত হবো?
প্রিয় ভাইয়েরা ততক্ষনে তো বড্ড দেরি হয়ে যাবে! তাই আর দেরি না করে কাফেরদের তন্ত্রমন্ত্রের জালকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নববী ছায়ার তলে একত্রিত হই।
আমাদের আবেগ কী এত্ত সস্তা যে, তা কাফিরদের এই চার,ছক্কা আর গোলে আটকে যাবে,?
যখন উম্মাহর সিংহপুরুষ মুজাহিদরা কাফিরদেরকে নাস্তানাবুদ করে দেয়, তখন আমাদের আবেগ কোথায় থাকে?
আমরা এমন পতাকা উড়াচ্ছি, যা লাঞ্ছনার ও অপমানের। সাহাবায়ে কেরামও পতাকা উড়িয়েছেন, সেটা ছিল সম্মান ও ইজ্জতের।
প্রিয় ভাই! আমরা আমদের চিন্তা-ফিকীর এই মাজলুম উম্মাহর জন্য ব্যয় করি। এই দিন তো আর বেশি দূরে নয় যে দিন গোটা বিশ্বে কালিমার পতাকা পতপত করে উড়বে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহিহ বুঝ দান করুন। মুসলিম উম্মার যুবকদেরকে কাফিরদের জন্য ভীতিসঞ্চারক করে দিন। আমিন
Comment