ইসলামপন্থী দ্বায়ীগণ, যারা জিওপলটিক্স নিয়ে একটু পড়েছেন তাদের কাছে চীন ও রাশিয়া কেমন যেনো চোখের মণি হয়ে উঠেছে। তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে রুশ এবং চীনের সাথে জোটবদ্ধ হতে বলেন বিভিন্ন পোস্ট ও স্ট্যাটাসে।
এই টাইপের কিছু ভাইদের লিখা দেখলে মনে হয় যে মুজাহিদরা আমেরিকাকে মসনদ থেকে নামিয়ে রুশ এবং চীনকে ক্ষমতায় বসাবে! এসব কথা লিখতে গিয়ে ওনারা হয়তো উইঘুর এবং সিরিয়ার মুসলিমদের কথা বেমালুম ভুলে যান। জিওপলিটিক্স ও এস্কেটোলজি নিয়ে অধ্যয়ন কি ভাইদেরকে এভাবেই একচোখা বানিয়ে দিচ্ছে?
ভাবখানা এমন যে, মুজাহিদরা রুশ এবং চীনকে ছাড়া কিছুই না! রুশ আর চীন ক্ষমতায় না গেলে মুসলিমরা না খেয়ে মরবে!
কিছু ভাইয়েরা তো আবার আগ-বাড়িয়ে রাশিয়ার প্রশংসাও করে ফেলেন! "রাশিয়ানদের নৈতিক মূল্যবোধ অনেক উপরে", "তারা কতইনা ধার্মিক", "তাদের সামরিক সক্ষমতা কত বেশি"...... ব্লা,ব্লা,ব্লা....... ইত্যাদি আরো কত কী!
কেন ভাই? আফগানে আমাদের ভাইরা ২০ বছর রক্ত দিয়েছে কী রুশের রাজ্য অভিষেক করার জন্য? নাকি ক্ষমতার পথে চীনের জন্য লাল গালিচা বেছানোর জন্য? রিজিক কী চীন থেকে আসে? রাশিয়া কী খালিক নাকি মালিক?
তাদেরকে ছাড়া কী মুজাহিদরা কিছুই না? মুজাহিদরা কী কাঙাল?
যদি আপনারা মুজাহিদদের কাঙাল ভেবে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন এই কাঙালরাই রুশ এবং আমরিকাকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে! এই মুজাহিদরাই মালি-সোমালিয়ায় বিদ্রোহ করেছে! এই মুজাহিদরাই সিরিয়ায় তীব্র অবরোধেও প্রতিরোধের বীজ বপন করেছে! এতগুলো মুসলিম নামধারী দেশগুলো যেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ ছাড়া কিছুই করতে পারছে না সেখানে এই মুজাহিদরাই বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
জেনে রাখুন, মুজাহিদরা আমাদের সন্তানদের রক্তের নদী পাড়ি দেয়া রাশিয়াকে মসনদে বসাবে না! আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে তামাশা করা চীনাদের রাজ্য অভিষেক করবে না!
আপনারা যারা বলেন এই কাফিরদের সাহায্য ছাড়া মুজাহিদরা শক্তিশালী হতে পারবে না, কাফেরদের সাথে জোট বদ্ধ হতে উৎসাহ প্রদান করছেন, কোরআন সুন্নাহর কোন দলিল ছাড়াই এত বড় বড় পোস্ট দিচ্ছেন, লেকচার শোনাচ্ছেন, তাদের নিকট প্রশ্ন,,,,
ইবরাহীম (আঃ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল তখন কী তিনি কোনো কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি তিনি ভরসা করেছিলেন মহান আল্লাহর উপরে?
ফেরাউনের অত্যাচার হতে বাঁচতে মুসা (আঃ) - কি কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি ভরসা শুধু আল্লাহর উপরে করেছিলেন?
ইসা (আঃ)- কে যখন শত্রুরা হত্যার জন্য খুজছিলো তখন কি তিনি কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি ভরসা শুধু আল্লাহর উপর করেছিলেন?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- এত জুলুম কষ্টের মাঝেও কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি। ওনার ভরসা ছিল শুধু মহান আল্লাহ। তার কাছে অফার গিযয়েছিলো জোট বাধার। কিন্তু তিনি তা করেননি।
হযরত আবু বকর (রাঃ)- হতে আলী (রাঃ)- কেউই কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি।
আলি (রাঃ) এবং মুয়াবিয়া (রাঃ)- এর মধ্য প্রচন্ড যুদ্ধের সময় হাজার হাজার সাহাবি(রাঃ)- শহিদ হয়েছেন তারপরেও সুযোগ থাকা স্বত্তেও তারা কেউই কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি।
এমন কি এতগুলো কুফফার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আল কায়দা , কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়নি।
বিশ বছরের জিহাদে তালিবান কোন দেশের কাছ থেকে সাহায্য নেয়নি। সময়ে সময়ে অভিযোগ উঠেছে ইরান বা রাশিয়া তাদের সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো স্রেফ থিওরি মাত্র। ভরসা শুধু আল্লাহর উপর।
ইমাম মাহদি সরাসরি দাজ্জালি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকবেন। তিনিও কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হবেননা।
দাজ্জালকে হত্যা করতে ইসা (আঃ) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করবেন মাহান আল্লাহ। তিনিও কোন কাফেরদের সারিতে যুক্ত হবেন না। সবাই ভরসা করেছেন, করেন এবং করবেন মহান আল্লাহর উপর।
রাশিয়া মুসলিম উম্মাহর পুরাতন এক দুশমন। রাশিয়া আফগানিস্তান, চেচনিয়া, বসনিয়া, সিরিয়াসহ বিভিন্ন ভূমিতে লাখো মুসলিম হত্যা করেছে। কত লাখ নারীদের ধর্ষণ এবং শিশুদের হত্যা করেছে তার শেষ নেই।
চীনের ইউঘুরে ২০ লাখ মুসলিমকে বন্দী রেখে নারিদের ধর্ষন, পুরুষদের বলৎকার, হত্যা এবং নির্মম নির্যাতন করছে চীনের সরকার। মসজিদকে মদ, জুয়া এবং পতিতাদের আস্তাবল বানাচ্ছে চীন।
আমেরিকার বিরুদ্ধে এসব দুশমন দেশের সাথে জোটবদ্ধ হতে বলবেন! আর এটা করলেও এরা এটাকে ধোকাটা অবশেষে মুসলিমদেরই খেতে হবে! যেটা পূর্বেও হয়েছে। দেখা যাবে যুদ্ধের নামে আমাদের ভূখন্ড "মিত্র"দের জন্য নিরাপদ গোয়েন্দা সেইফ হাউসে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধের সময় তারা যে আমাদের বলির পাঠা বানাবে না এটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার তারা যে আমাদের বিরুদ্ধেই বন্দুকের নল ঘুরিয়ে ধরবে না এটার নিশ্চয়তাও কেও দিতে পারবে না! কারণ কাফেররা বরাবরই আমাদের দুশমন।
হ্যাঁ হতে পারে মুসলিমরা খেলাফত ঘোষণার পূর্বেই আমেরিকা এবং রাশিয়া ও চায়নার যুদ্ধ বেধে গেলো। সেখানে মুজাহিদরা কৌশলগত কারণে হতে পারে রাশিয়া ও চায়নাকে সমর্থন দিলেন। যেমনটা বদর যুদ্ধের পূর্বে মুসলিমরা রোমানদের সমর্থন দিয়েছিলেন এবং পারসিকদের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ রোমানরা ছিলো খ্রিষ্টান এবং পারসিকরা ছিলো মূর্তিপূজারী। কিন্তু যখন মুসলিমরা ক্ষমতায় গেলেন, তখন রোমান এবং পারসিকরা জোট বেধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে গেলো। মুসলিমরাও তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করলেন এবং অবশেষে মুসলিমরা আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করলেন।
এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো মুজাহিদরা কাকে সমর্থন দিবে, কাকে সাহায্য করবে, কাকে করবে না, কাকে সমর্থন দিবেন না এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। এই ব্যপারে তাদের আমীর-উমারাগণ যে সিদ্ধান্ত নিবেন মুজাহিদরা তা-ই মানবেন। এও হতে পারে যে তারা যুদ্ধের সময় নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে। এই নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিংবা ফেসবুকে এমন ভাব নিয়ে পোস্ট দেয়ার কিছুই নেই যে মুজাহিদরা রুশ এবং চীনকে ছাড়া ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
আর আমেরিকা দূর্বল হলে মুজাহিদরাই ক্ষমতার আসন দখল করে ইসরাইলের গলায় ছুড়ি চালাবেন এবং খেলাফত ঘোষণা করবেন। এটাই কাম্য। এক কাফিরের পরিবর্তে অন্য আরও জঘন্য একটা কাফেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো বোকা মুজাহিদরা না। এমন বোকা হলে শায়খ ওসামাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়ে শান্তির জীবন-যাপন করার পূর্ণ সুযোগ মুজাহিদদের হাতে ছিলো। কিন্তু এ ধরনের ভুল তারা কখনো করেন নি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না ইনশাআল্লাহ।
সব কথার এক কথা, ফেসবুকে রুশ এবং চীনের দালালি করে কোনো লাভ নাই। আমাদের জন্য এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আকীদা এবং মানহাজের দিকে ফোকাস করা। মুজাহিদীনরা যা করবেন তা নিশ্চয়ই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হবে। মুমিনরা এক গর্তে দুইবার দংশিত হয়না। ইনশাআল্লাহ, মুজাহিদরাও পূর্বসূরিদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিবেন এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করবেন।
আল্লাহ মুমীনদের সাহায্য করুন এবং তাদেরকে সর্বোত্তম বিজয় দ্বারা পুরষ্কৃত করুন। ইয়া রাব, আপনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবাদের সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। আমীন ইয়া রাব্বিল আল-আমীন।
এই টাইপের কিছু ভাইদের লিখা দেখলে মনে হয় যে মুজাহিদরা আমেরিকাকে মসনদ থেকে নামিয়ে রুশ এবং চীনকে ক্ষমতায় বসাবে! এসব কথা লিখতে গিয়ে ওনারা হয়তো উইঘুর এবং সিরিয়ার মুসলিমদের কথা বেমালুম ভুলে যান। জিওপলিটিক্স ও এস্কেটোলজি নিয়ে অধ্যয়ন কি ভাইদেরকে এভাবেই একচোখা বানিয়ে দিচ্ছে?
ভাবখানা এমন যে, মুজাহিদরা রুশ এবং চীনকে ছাড়া কিছুই না! রুশ আর চীন ক্ষমতায় না গেলে মুসলিমরা না খেয়ে মরবে!
কিছু ভাইয়েরা তো আবার আগ-বাড়িয়ে রাশিয়ার প্রশংসাও করে ফেলেন! "রাশিয়ানদের নৈতিক মূল্যবোধ অনেক উপরে", "তারা কতইনা ধার্মিক", "তাদের সামরিক সক্ষমতা কত বেশি"...... ব্লা,ব্লা,ব্লা....... ইত্যাদি আরো কত কী!
কেন ভাই? আফগানে আমাদের ভাইরা ২০ বছর রক্ত দিয়েছে কী রুশের রাজ্য অভিষেক করার জন্য? নাকি ক্ষমতার পথে চীনের জন্য লাল গালিচা বেছানোর জন্য? রিজিক কী চীন থেকে আসে? রাশিয়া কী খালিক নাকি মালিক?
তাদেরকে ছাড়া কী মুজাহিদরা কিছুই না? মুজাহিদরা কী কাঙাল?
যদি আপনারা মুজাহিদদের কাঙাল ভেবে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন এই কাঙালরাই রুশ এবং আমরিকাকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে! এই মুজাহিদরাই মালি-সোমালিয়ায় বিদ্রোহ করেছে! এই মুজাহিদরাই সিরিয়ায় তীব্র অবরোধেও প্রতিরোধের বীজ বপন করেছে! এতগুলো মুসলিম নামধারী দেশগুলো যেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ ছাড়া কিছুই করতে পারছে না সেখানে এই মুজাহিদরাই বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
জেনে রাখুন, মুজাহিদরা আমাদের সন্তানদের রক্তের নদী পাড়ি দেয়া রাশিয়াকে মসনদে বসাবে না! আমাদের মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে তামাশা করা চীনাদের রাজ্য অভিষেক করবে না!
আপনারা যারা বলেন এই কাফিরদের সাহায্য ছাড়া মুজাহিদরা শক্তিশালী হতে পারবে না, কাফেরদের সাথে জোট বদ্ধ হতে উৎসাহ প্রদান করছেন, কোরআন সুন্নাহর কোন দলিল ছাড়াই এত বড় বড় পোস্ট দিচ্ছেন, লেকচার শোনাচ্ছেন, তাদের নিকট প্রশ্ন,,,,
ইবরাহীম (আঃ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল তখন কী তিনি কোনো কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি তিনি ভরসা করেছিলেন মহান আল্লাহর উপরে?
ফেরাউনের অত্যাচার হতে বাঁচতে মুসা (আঃ) - কি কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি ভরসা শুধু আল্লাহর উপরে করেছিলেন?
ইসা (আঃ)- কে যখন শত্রুরা হত্যার জন্য খুজছিলো তখন কি তিনি কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন নাকি ভরসা শুধু আল্লাহর উপর করেছিলেন?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- এত জুলুম কষ্টের মাঝেও কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি। ওনার ভরসা ছিল শুধু মহান আল্লাহ। তার কাছে অফার গিযয়েছিলো জোট বাধার। কিন্তু তিনি তা করেননি।
হযরত আবু বকর (রাঃ)- হতে আলী (রাঃ)- কেউই কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি।
আলি (রাঃ) এবং মুয়াবিয়া (রাঃ)- এর মধ্য প্রচন্ড যুদ্ধের সময় হাজার হাজার সাহাবি(রাঃ)- শহিদ হয়েছেন তারপরেও সুযোগ থাকা স্বত্তেও তারা কেউই কাফেরদের সাথে যুক্ত হননি।
এমন কি এতগুলো কুফফার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা আল কায়দা , কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হয়নি।
বিশ বছরের জিহাদে তালিবান কোন দেশের কাছ থেকে সাহায্য নেয়নি। সময়ে সময়ে অভিযোগ উঠেছে ইরান বা রাশিয়া তাদের সাহায্য দিচ্ছে। কিন্তু এগুলো স্রেফ থিওরি মাত্র। ভরসা শুধু আল্লাহর উপর।
ইমাম মাহদি সরাসরি দাজ্জালি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত থাকবেন। তিনিও কোন কাফেরদের সাথে যুক্ত হবেননা।
দাজ্জালকে হত্যা করতে ইসা (আঃ) কে দুনিয়ায় প্রেরণ করবেন মাহান আল্লাহ। তিনিও কোন কাফেরদের সারিতে যুক্ত হবেন না। সবাই ভরসা করেছেন, করেন এবং করবেন মহান আল্লাহর উপর।
রাশিয়া মুসলিম উম্মাহর পুরাতন এক দুশমন। রাশিয়া আফগানিস্তান, চেচনিয়া, বসনিয়া, সিরিয়াসহ বিভিন্ন ভূমিতে লাখো মুসলিম হত্যা করেছে। কত লাখ নারীদের ধর্ষণ এবং শিশুদের হত্যা করেছে তার শেষ নেই।
চীনের ইউঘুরে ২০ লাখ মুসলিমকে বন্দী রেখে নারিদের ধর্ষন, পুরুষদের বলৎকার, হত্যা এবং নির্মম নির্যাতন করছে চীনের সরকার। মসজিদকে মদ, জুয়া এবং পতিতাদের আস্তাবল বানাচ্ছে চীন।
আমেরিকার বিরুদ্ধে এসব দুশমন দেশের সাথে জোটবদ্ধ হতে বলবেন! আর এটা করলেও এরা এটাকে ধোকাটা অবশেষে মুসলিমদেরই খেতে হবে! যেটা পূর্বেও হয়েছে। দেখা যাবে যুদ্ধের নামে আমাদের ভূখন্ড "মিত্র"দের জন্য নিরাপদ গোয়েন্দা সেইফ হাউসে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধের সময় তারা যে আমাদের বলির পাঠা বানাবে না এটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার তারা যে আমাদের বিরুদ্ধেই বন্দুকের নল ঘুরিয়ে ধরবে না এটার নিশ্চয়তাও কেও দিতে পারবে না! কারণ কাফেররা বরাবরই আমাদের দুশমন।
হ্যাঁ হতে পারে মুসলিমরা খেলাফত ঘোষণার পূর্বেই আমেরিকা এবং রাশিয়া ও চায়নার যুদ্ধ বেধে গেলো। সেখানে মুজাহিদরা কৌশলগত কারণে হতে পারে রাশিয়া ও চায়নাকে সমর্থন দিলেন। যেমনটা বদর যুদ্ধের পূর্বে মুসলিমরা রোমানদের সমর্থন দিয়েছিলেন এবং পারসিকদের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ রোমানরা ছিলো খ্রিষ্টান এবং পারসিকরা ছিলো মূর্তিপূজারী। কিন্তু যখন মুসলিমরা ক্ষমতায় গেলেন, তখন রোমান এবং পারসিকরা জোট বেধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে গেলো। মুসলিমরাও তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করলেন এবং অবশেষে মুসলিমরা আল্লাহর সাহায্যে বিজয় লাভ করলেন।
এই কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো মুজাহিদরা কাকে সমর্থন দিবে, কাকে সাহায্য করবে, কাকে করবে না, কাকে সমর্থন দিবেন না এটা তাদের নিজস্ব বিষয়। এই ব্যপারে তাদের আমীর-উমারাগণ যে সিদ্ধান্ত নিবেন মুজাহিদরা তা-ই মানবেন। এও হতে পারে যে তারা যুদ্ধের সময় নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে। এই নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কিংবা ফেসবুকে এমন ভাব নিয়ে পোস্ট দেয়ার কিছুই নেই যে মুজাহিদরা রুশ এবং চীনকে ছাড়া ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
আর আমেরিকা দূর্বল হলে মুজাহিদরাই ক্ষমতার আসন দখল করে ইসরাইলের গলায় ছুড়ি চালাবেন এবং খেলাফত ঘোষণা করবেন। এটাই কাম্য। এক কাফিরের পরিবর্তে অন্য আরও জঘন্য একটা কাফেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো বোকা মুজাহিদরা না। এমন বোকা হলে শায়খ ওসামাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়ে শান্তির জীবন-যাপন করার পূর্ণ সুযোগ মুজাহিদদের হাতে ছিলো। কিন্তু এ ধরনের ভুল তারা কখনো করেন নি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না ইনশাআল্লাহ।
সব কথার এক কথা, ফেসবুকে রুশ এবং চীনের দালালি করে কোনো লাভ নাই। আমাদের জন্য এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আকীদা এবং মানহাজের দিকে ফোকাস করা। মুজাহিদীনরা যা করবেন তা নিশ্চয়ই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হবে। মুমিনরা এক গর্তে দুইবার দংশিত হয়না। ইনশাআল্লাহ, মুজাহিদরাও পূর্বসূরিদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিবেন এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করবেন।
আল্লাহ মুমীনদের সাহায্য করুন এবং তাদেরকে সর্বোত্তম বিজয় দ্বারা পুরষ্কৃত করুন। ইয়া রাব, আপনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবাদের সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করুন। নিঃসন্দেহে আপনি সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী। আমীন ইয়া রাব্বিল আল-আমীন।
Comment