বন্ধু চিনতে হলে আগে শত্রু চিনতে হবে।

[আহনাফ মুত্তাকী]

মুসলিম উম্মাহর একটি বড় সমস্যা হলো মুসলিম উম্মাহ শত্রু চিনে না।যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ শত্রু চিনে না ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ প্রকৃত বন্ধুও চিনে না।

আর যদি মানুষ কাউকে শত্রু হিসেবে ভাবতে শুরু করে তখন সেই শত্রুর সাথে যারাই শত্রুতা করে তাদেরকে বন্ধু ভাবতে থাকে।

যেমনঃ বর্তমানে আওয়ামী লীগকে দেশের অধিকাংশ মানুষ শত্রু হিসেবে জানে। এখন যারাই আওয়ামী লীগের সাথে শত্রুতা করে তাদেরকেই মানুষ বন্ধু ভাবে।
এমনকি দেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষও যদি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাদের মানুষ বন্ধু ভাবে৷

১৯৭১ সালে মানুষ পাকিস্তান কে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে।আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেই কথা বলেছে সেই মানুষের বন্ধু হয়েছে। এমনকি শেখ মুজিব ভালো নাকি খারাপ এতো কিছু ভেবে দেখে নাই।


ঠিক আজকেও যদি উম্মাহ তাদের শত্রুদের ভয়ংকর রুপ জানতো তাহলে উম্মাহ তাদের বন্ধুকেও চিনতো।

উম্মাহ এখনো আমরিকা ইউরোপের ভয়ংকর রুপ জানে না। তাদের কে তারা সভ্য, ভদ্র মনে করে। তাদের খুব উন্নত মনে করে। অথচ তাদের হিংস্রতা সম্পর্কে জানে না।

তারা কত কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে, কত নারীকে ধর্ষন করেছে তা উম্মাহ জানে না।

কয়জন মানুষ আফিয়া সিদ্দিকা ও বোন ফাতিমা সম্পর্কে জানে? কয়জন উইঘুর, কাশ্মির, বসনিয়া, চেচনিয়া সম্পর্কে জানে?



মানুষ শত্রুদের হিংস্রতা না জানার কারণে
আজ মুজাহিদদের সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী হিসেবে দেখে। কিন্তু যদি আসল শত্রু সম্পর্কে জানতো তখন উম্মাহ তাদের আসল বন্ধুও চিনতো। মুজাহিদদের কাজকে সমর্থন করে নিতো।

[media jihad]

সব কথার মূল কথা হলো উম্মাহ দ্বীন থেকে দূরে থাকার কারনে এই সমস্যা গুলো হয়।যদি তারা দ্বীনের গন্ডির ভেতরে থাকতো তাহলে এই ভুল করতো না ।তখন ঠিকই আল ওয়ালা ওয়াল বারা চিহ্নিত করতে পারতো