সাহাবারা ছিলেন এই উম্মতের সর্বোত্তম প্রজন্ম।
তারা কিন্তু বসে-বসেই সর্বোত্তম প্রজন্ম হয়ে যান নি!
সাহাবারা সম্মানিত এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম প্রজন্ম কারণ তারাই সেই প্রজন্ম যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
যখন তাবে’ঈনরা আসলেন তখন তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই সবকিছু প্রস্তুত ছিলো। ফলে তাঁরা ইলম শিক্ষা করা এবং দেওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন।
সাহাবারা কিন্তু এই বিলাসিতার সুযোগ পান নি! সাহাবাদের দিন কেটেছিল এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আরেক যুদ্ধক্ষেত্রে, এক বিপর্যয় থেকে আরেক বিপর্যয়ের মোকাবেলায়।
সাহাবাদের অভিনব বৈশিষ্ট্য হল, তাঁরা ছিলেন সংখ্যালঘু। যারা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তাবে’ঈনদের স্রোতের বিপরীতে যেতে হয় নি। কিন্তু সাহাবাদের স্রোতের বিপরীতে যুদ্ধ করতে হয়েছিলো। সারা দুনিয়া সাহাবাদের বিপক্ষে ছিল! এমনও সময় ছিল যে সাহাবারা ঘরের বাইরে যেতে আতঙ্কিত বোধ করতেন। {যেমন খন্দকের যুদ্ধের সময় এরূপ অবস্থা হয়েছিলো।}
সাহাবারা সর্বোত্তম, কারণ তারাই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন।
এখন সাহাবাদের তৈরি সেই ভবন ভেঙ্গে গেছে। তাই আজ নতুন এক প্রজন্মের সামনে সুযোগ আছে এই ভবন পুনঃনির্মাণের। তাই আমাদের প্রজন্মের সামনে সুযোগ আছে আমলের দিক দিয়ে সাহাবা কেরাম [রাঃ] এর সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী প্রজন্ম হবার।
রাসূল্ললাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] একটি হাদীসে বলেছেন,
“ইয়েমেনের আদ’আন আব’ইয়ান থেকে বারো হাজার সৈন্যর উত্থান ঘটবে, তাঁরা সংখ্যায় হবে ১২,০০০”। {মুসনাদ ইমাম আহমেদ [হাদীস ১/৩৩৩] এবং আত তাবারানী আল মুজাম আল কাবীর [১১০২৯] এ বর্ণিত হয়েছে}
রাসূল্ললাহ (সাঃ) আরও বলেছেন, “তাঁরা আমার এবং তাঁদের মধ্যবর্তী সকল লোকের মধ্যে শ্রেষ্ঠ”।
রাসুলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] আরও বলেন,
“এবং তাঁরা হবে তাঁদের সময়কার শ্রেষ্ঠ মুমিন”
অর্থাৎ ইসলামের সম্পূর্ণ ইতিহাসে এই প্রজন্ম হবে সাহাবা [রাঃ]-এর পরেই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্ম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এ প্রজন্ম হবে অত্যন্ত সম্মানিত এবং গুরুত্বপূর্ণ এক প্রজন্ম। তাঁরা হবে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আমরা ঈমান এবং আমলের দিক দিয়ে সাহাবাদের অতিক্রম করতে পারবোনা। কিন্তু যদি আমরা সাহাবাদের পরবর্তী সর্বোত্তম প্রজন্ম হতে চাই তবে আমাদের জন্য এই সুযোগটা হাতছাড়া করা কখনোই উচিৎ হবে না। আমরা রাসুলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] এর সোহবত লাভ করতে পারি নি, কিন্তু যদি ঈসা [আলাইহিস সালাম] এর পক্ষে যদি অস্ত্র ধরতে না পারি তাহলে এজন্য আমাদের অবশ্যই আফসোস করতে হবে।
চিন্তা করে দেখুন যারা পরের দিকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন সেই সাহাবারা কি রকম আক্ষেপ করতেন! কারণ তাঁরা আরো আগে ইসলাম গ্রহণ করেন নি। তাঁরা কেন একদিন আগে মুসলিম হলেন না, তাঁরা এটা নিয়ে পর্যন্ত আক্ষেপ করতেন।
আমাদেরও যেন এমন আক্ষেপ করতে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত। তাই আমরা যদি আক্ষেপ করতে না চাই তাহলে আমাদের উচিত হবে এই মহান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। এই নববী কাফেলায় যুক্ত হওয়ার জন্য নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
আল্লাহ যে আমাদের এমনি-এমনি সর্বোত্তম প্রজন্ম বানিয়ে দিবেন তা ভাববেন না! সর্বোত্তম প্রজন্ম হওয়ার জন্য আপনার যা প্রয়োজন হবে তা হল আত্মত্যাগের স্পৃহা।
আল্লাহর জন্য যাই প্রয়োজন তা ত্যাগ করার জন্য আপনার প্রস্তুত হতে হবে। এটা হতে পারে আপনার নিজের জীবন, আপনার সময়, সম্পদ, পরিবার হতে পারে আপনি যেই ইসলামী দলের সদস্য সেটা আপনাকে ত্যাগ করতে হবে। যেকোন কিছু ঘটতে পারে। আপনি জানেন না যে কি ঘটবে।
তাই কিছুকেই নিশ্চিত হিসেবে ধরে নেয়া যাবে না। আল্লাহ্ আপনার কাছে যা চান সেটা উৎসর্গ করার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি এটা বলছি কারণ আত্মত্যাগ অনেক ক্ষেত্রেই শুধু দুনিয়াবী বস্তুর (যেমন- সময়, অর্থ, সম্পদ) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এমনও হতে পারে যে আপনার প্রিয় শায়খ {তিনি যেই হোন} ভুল পথে আছেন। এরকম হলে, আপনি কি তাঁর অনুসরণ করবেন? নাকি আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যা বলেছেন সেটার অনুসরণ করবেন?
নিজেকে আল্লাহর পথের একজন কর্মী হিসেবে ভাবতে শিখুন। আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন আর ফলাফল আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেবেন। এবং আপনার রব আপনার কাছে যাই চাইবেন, আপনি সেটা দিতে প্রস্তুত থাকবেন।
আল্লাহ আমাদেরকে সর্বোত্তম প্রজন্মের অংশ হওয়ার তৌফিক দিন। আমীন ইয়া রাব্বিল আল-আমীন।
তারা কিন্তু বসে-বসেই সর্বোত্তম প্রজন্ম হয়ে যান নি!
সাহাবারা সম্মানিত এবং সর্বাপেক্ষা উত্তম প্রজন্ম কারণ তারাই সেই প্রজন্ম যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
যখন তাবে’ঈনরা আসলেন তখন তাঁদের জন্য ইতিমধ্যেই সবকিছু প্রস্তুত ছিলো। ফলে তাঁরা ইলম শিক্ষা করা এবং দেওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন।
সাহাবারা কিন্তু এই বিলাসিতার সুযোগ পান নি! সাহাবাদের দিন কেটেছিল এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আরেক যুদ্ধক্ষেত্রে, এক বিপর্যয় থেকে আরেক বিপর্যয়ের মোকাবেলায়।
সাহাবাদের অভিনব বৈশিষ্ট্য হল, তাঁরা ছিলেন সংখ্যালঘু। যারা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তাবে’ঈনদের স্রোতের বিপরীতে যেতে হয় নি। কিন্তু সাহাবাদের স্রোতের বিপরীতে যুদ্ধ করতে হয়েছিলো। সারা দুনিয়া সাহাবাদের বিপক্ষে ছিল! এমনও সময় ছিল যে সাহাবারা ঘরের বাইরে যেতে আতঙ্কিত বোধ করতেন। {যেমন খন্দকের যুদ্ধের সময় এরূপ অবস্থা হয়েছিলো।}
সাহাবারা সর্বোত্তম, কারণ তারাই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন।
এখন সাহাবাদের তৈরি সেই ভবন ভেঙ্গে গেছে। তাই আজ নতুন এক প্রজন্মের সামনে সুযোগ আছে এই ভবন পুনঃনির্মাণের। তাই আমাদের প্রজন্মের সামনে সুযোগ আছে আমলের দিক দিয়ে সাহাবা কেরাম [রাঃ] এর সর্বাপেক্ষা নিকটবর্তী প্রজন্ম হবার।
রাসূল্ললাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] একটি হাদীসে বলেছেন,
“ইয়েমেনের আদ’আন আব’ইয়ান থেকে বারো হাজার সৈন্যর উত্থান ঘটবে, তাঁরা সংখ্যায় হবে ১২,০০০”। {মুসনাদ ইমাম আহমেদ [হাদীস ১/৩৩৩] এবং আত তাবারানী আল মুজাম আল কাবীর [১১০২৯] এ বর্ণিত হয়েছে}
রাসূল্ললাহ (সাঃ) আরও বলেছেন, “তাঁরা আমার এবং তাঁদের মধ্যবর্তী সকল লোকের মধ্যে শ্রেষ্ঠ”।
রাসুলুল্লাহ [সাল্লাললাহু ওয়ালাইহী ওয়া সাল্লাম] আরও বলেন,
“এবং তাঁরা হবে তাঁদের সময়কার শ্রেষ্ঠ মুমিন”
অর্থাৎ ইসলামের সম্পূর্ণ ইতিহাসে এই প্রজন্ম হবে সাহাবা [রাঃ]-এর পরেই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্ম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এ প্রজন্ম হবে অত্যন্ত সম্মানিত এবং গুরুত্বপূর্ণ এক প্রজন্ম। তাঁরা হবে উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আমরা ঈমান এবং আমলের দিক দিয়ে সাহাবাদের অতিক্রম করতে পারবোনা। কিন্তু যদি আমরা সাহাবাদের পরবর্তী সর্বোত্তম প্রজন্ম হতে চাই তবে আমাদের জন্য এই সুযোগটা হাতছাড়া করা কখনোই উচিৎ হবে না। আমরা রাসুলুল্লাহ [সাল্লাললাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম] এর সোহবত লাভ করতে পারি নি, কিন্তু যদি ঈসা [আলাইহিস সালাম] এর পক্ষে যদি অস্ত্র ধরতে না পারি তাহলে এজন্য আমাদের অবশ্যই আফসোস করতে হবে।
চিন্তা করে দেখুন যারা পরের দিকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন সেই সাহাবারা কি রকম আক্ষেপ করতেন! কারণ তাঁরা আরো আগে ইসলাম গ্রহণ করেন নি। তাঁরা কেন একদিন আগে মুসলিম হলেন না, তাঁরা এটা নিয়ে পর্যন্ত আক্ষেপ করতেন।
আমাদেরও যেন এমন আক্ষেপ করতে না হয় সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত। তাই আমরা যদি আক্ষেপ করতে না চাই তাহলে আমাদের উচিত হবে এই মহান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। এই নববী কাফেলায় যুক্ত হওয়ার জন্য নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
আল্লাহ যে আমাদের এমনি-এমনি সর্বোত্তম প্রজন্ম বানিয়ে দিবেন তা ভাববেন না! সর্বোত্তম প্রজন্ম হওয়ার জন্য আপনার যা প্রয়োজন হবে তা হল আত্মত্যাগের স্পৃহা।
আল্লাহর জন্য যাই প্রয়োজন তা ত্যাগ করার জন্য আপনার প্রস্তুত হতে হবে। এটা হতে পারে আপনার নিজের জীবন, আপনার সময়, সম্পদ, পরিবার হতে পারে আপনি যেই ইসলামী দলের সদস্য সেটা আপনাকে ত্যাগ করতে হবে। যেকোন কিছু ঘটতে পারে। আপনি জানেন না যে কি ঘটবে।
তাই কিছুকেই নিশ্চিত হিসেবে ধরে নেয়া যাবে না। আল্লাহ্ আপনার কাছে যা চান সেটা উৎসর্গ করার জন্য আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি এটা বলছি কারণ আত্মত্যাগ অনেক ক্ষেত্রেই শুধু দুনিয়াবী বস্তুর (যেমন- সময়, অর্থ, সম্পদ) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এমনও হতে পারে যে আপনার প্রিয় শায়খ {তিনি যেই হোন} ভুল পথে আছেন। এরকম হলে, আপনি কি তাঁর অনুসরণ করবেন? নাকি আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যা বলেছেন সেটার অনুসরণ করবেন?
নিজেকে আল্লাহর পথের একজন কর্মী হিসেবে ভাবতে শিখুন। আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করবেন আর ফলাফল আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেবেন। এবং আপনার রব আপনার কাছে যাই চাইবেন, আপনি সেটা দিতে প্রস্তুত থাকবেন।
আল্লাহ আমাদেরকে সর্বোত্তম প্রজন্মের অংশ হওয়ার তৌফিক দিন। আমীন ইয়া রাব্বিল আল-আমীন।
Comment