ইসলামে সামর্থ্য হলেই বিয়ে করতে বলা হয়েছে, সে হিসেবে অনেকে ১২/১৩ বছরের পরেই সামর্থ্য বান হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও আমরা সেখান থেকে হিসেব না করে আসুন বিয়ে নিয়ে বিশ বছর থেকে কিছু হিসেব করি।
মনে করুন আপনার বয়স যখন বিশ বছর তখন আপনি বিয়ে করলেন, বিয়ে করার একবছর পর যদি আপনার একটা সন্তান হয় তাহলে আপনার ত্রিশ বছর বয়সে সেই সন্তানের বয়স হবে দশ বছর। এর মাঝে আপনার ২৫ বছরের ভিতরে যদি আরো তিনচার জন সন্তান হয় তাহলে তাদের বয়স ৫/৬ /৭বছর হবে। এরপর যখন আপনার বয়স হবে পয়ত্রিশ তখন আপনার বড় সন্তানের বয়স হবে পনেরো বছর।
তারমানে আপনার যৌবন থাকা অবস্থাতেই আপনার বড় সন্তান রুযিরোযগার করার উপযুক্ত হয়ে গেলো।
অপরদিকে আপনার এখনো গায়ে শক্তি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় আপনি আস্তে আস্তে অবসরের দিকে কিন্তু চলে যাচ্ছেন। আপনার জন্য দায়িত্ব আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।এরপর আপনার বয়স যখন চল্লিশ হবে তখন আপনার বড় সন্তান পূর্নসামর্থবান হয়ে গেলো। এবার যদি আপনি বড় সন্তান বিয়ে দেন তাহলে অল্প বয়সেই দেখা যাবে ছোট নাতি নাতনি ভরে গেছে আপনার ঘর।
অপরদিকে আপনার ছোট সন্তানরাও কিন্তু এতোদিনে অনেক বড় হয়ে গেলো।
কিন্তু আপনি যদি ত্রিশ বছরে বিয়ে করেন তাহলে দেখা যাবে বিয়ে করার কয়দিন পর সন্তান হবে তারতো কোন গ্যারান্টি নাই। যদি বিয়ে করার পাঁচ বছর পর আপনার সন্তান হয় তাহলে আপনি কত পিছিয়ে গেলেন। যেখানে পয়ত্রিশ বছরে আপনার সন্তানের বয়স পনেরো হওয়ার কথা সেখানে আপনার সন্তানের বয়স হবে এক কিংবা দেড় বছর। আর যদি সন্তান নাই হয় তাহলেতো আপনি ত্রিশ বছরের পর আরেকটা বিয়ে করা আপনার জন্য বড়ই কঠিন হবে। বর্তমানে যেভাবে সাংসারিক সমস্যা বা পরকিয়ার কারনে বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে যদি আপনার সংসারটাও ভেঙ্গে যায় তাহলে আরো কয়বছর পর আবার বিয়ে করতে পারেন তারও কোন গ্যারান্টি নাই। যদি আপনার স্ত্রী খারাপ হয়ে থাকে এবং যদি তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করা লাগে তাহলে আপনি কত পিছিয়ে গেলেন তা কি চিন্তা করেছেন?
কিন্তু যিনি বিশ বছরে বিয়ে করেছেন তিনি চাইলে ত্রিশ বছরের ভিতরে আরো দুই তিনটি বিয়ে করা অনেকটা সহজ। কেননা ত্রিশ বছরের ভিতরে একজন মানুষের রুযি রোযগারের শক্তি, উদ্যমতা অনেক বেশি থাকে। যদি স্ত্রীর শারীরিক সমস্যা কারনে সন্তান না হয় তাহলে দেখা যাবে ২৫ বছরের ভিতরে হয়ত তিনি আরেকটা বিয়ে করতে পারবেন। আর যদি স্ত্রী খারাপ হওয়ার কারনে তালাক দেওয়া লাগে সেক্ষেত্রেও অল্প বয়সে আবার আরেকটা বিয়ে করা অনেকটা সহজ।
আর সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা তা হলো, যিনি বিশ বছরে বিয়ে করবেন তিনি বহু গুনাহ থেকে বেঁচে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
আর যিনি দশ বছর পর বিয়ে করবেন তিনি এই দশ বছর বিয়ে না করে যে গুনাহ গুলো করলেন সেই গুনাহের বোঝা বহন করতে হবে।
আর আমরা জানি গুনাহ হলো রিযিকের বরকত লাভের প্রধান বাঁধা।
যিনি বিশ বছরে বিয়ে করবেন তিনি দশ বছর আগে দ্বীনের অর্ধেক পূরন করলেন আর যিনি ত্রিশ বছরে বিয়ে করলেন তিনি দশটি বছর দ্বীনের অর্ধেক পূরন করলেন না।
আরেকটা বিষয় হলো যিনি সামর্থ্য থাকার পরেও দশ বছর পরে বিয়ে করলেন তিনি রাসূল সাঃ এর হাদিস অনুযায়ী এই দশ বছর শয়তানের ভাই হয়ে থাকলেন।
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে—রাসূলুল্লাহ্ (সা) হযরত ওকাফ (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার স্ত্রী আছে কি ? তিনি বললেন : না! আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন শরীয়তসম্মত বাঁদী আছে কি ? উত্তর হলো না। প্রশ্ন হলো : তুমি কি আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যশীল ? উত্তর হলো : হ্যাঁ।
উদ্দেশ্য এই যে, তুমি কি বিবাহের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের সামর্থ্য রাখ? তিনি উত্তরে হ্যাঁ বললে রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ তাহলে তো তুমি শয়তানের ভাই। তিনি আরও বললেনঃ বিবাহ আমাদের সুন্নত। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নিকৃষ্টতম, যে বিবাহহীন এবং তোমাদের মৃতদের মধ্যে সে সর্বাধিক নীচ, যে বিবাহ না করে মারা গিয়েছে। [তাফসিরে মাযহারী উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর]
মনে করুন আপনার বয়স যখন বিশ বছর তখন আপনি বিয়ে করলেন, বিয়ে করার একবছর পর যদি আপনার একটা সন্তান হয় তাহলে আপনার ত্রিশ বছর বয়সে সেই সন্তানের বয়স হবে দশ বছর। এর মাঝে আপনার ২৫ বছরের ভিতরে যদি আরো তিনচার জন সন্তান হয় তাহলে তাদের বয়স ৫/৬ /৭বছর হবে। এরপর যখন আপনার বয়স হবে পয়ত্রিশ তখন আপনার বড় সন্তানের বয়স হবে পনেরো বছর।
তারমানে আপনার যৌবন থাকা অবস্থাতেই আপনার বড় সন্তান রুযিরোযগার করার উপযুক্ত হয়ে গেলো।
অপরদিকে আপনার এখনো গায়ে শক্তি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় আপনি আস্তে আস্তে অবসরের দিকে কিন্তু চলে যাচ্ছেন। আপনার জন্য দায়িত্ব আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে।এরপর আপনার বয়স যখন চল্লিশ হবে তখন আপনার বড় সন্তান পূর্নসামর্থবান হয়ে গেলো। এবার যদি আপনি বড় সন্তান বিয়ে দেন তাহলে অল্প বয়সেই দেখা যাবে ছোট নাতি নাতনি ভরে গেছে আপনার ঘর।
অপরদিকে আপনার ছোট সন্তানরাও কিন্তু এতোদিনে অনেক বড় হয়ে গেলো।
কিন্তু আপনি যদি ত্রিশ বছরে বিয়ে করেন তাহলে দেখা যাবে বিয়ে করার কয়দিন পর সন্তান হবে তারতো কোন গ্যারান্টি নাই। যদি বিয়ে করার পাঁচ বছর পর আপনার সন্তান হয় তাহলে আপনি কত পিছিয়ে গেলেন। যেখানে পয়ত্রিশ বছরে আপনার সন্তানের বয়স পনেরো হওয়ার কথা সেখানে আপনার সন্তানের বয়স হবে এক কিংবা দেড় বছর। আর যদি সন্তান নাই হয় তাহলেতো আপনি ত্রিশ বছরের পর আরেকটা বিয়ে করা আপনার জন্য বড়ই কঠিন হবে। বর্তমানে যেভাবে সাংসারিক সমস্যা বা পরকিয়ার কারনে বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে যদি আপনার সংসারটাও ভেঙ্গে যায় তাহলে আরো কয়বছর পর আবার বিয়ে করতে পারেন তারও কোন গ্যারান্টি নাই। যদি আপনার স্ত্রী খারাপ হয়ে থাকে এবং যদি তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করা লাগে তাহলে আপনি কত পিছিয়ে গেলেন তা কি চিন্তা করেছেন?
কিন্তু যিনি বিশ বছরে বিয়ে করেছেন তিনি চাইলে ত্রিশ বছরের ভিতরে আরো দুই তিনটি বিয়ে করা অনেকটা সহজ। কেননা ত্রিশ বছরের ভিতরে একজন মানুষের রুযি রোযগারের শক্তি, উদ্যমতা অনেক বেশি থাকে। যদি স্ত্রীর শারীরিক সমস্যা কারনে সন্তান না হয় তাহলে দেখা যাবে ২৫ বছরের ভিতরে হয়ত তিনি আরেকটা বিয়ে করতে পারবেন। আর যদি স্ত্রী খারাপ হওয়ার কারনে তালাক দেওয়া লাগে সেক্ষেত্রেও অল্প বয়সে আবার আরেকটা বিয়ে করা অনেকটা সহজ।
আর সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা তা হলো, যিনি বিশ বছরে বিয়ে করবেন তিনি বহু গুনাহ থেকে বেঁচে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
আর যিনি দশ বছর পর বিয়ে করবেন তিনি এই দশ বছর বিয়ে না করে যে গুনাহ গুলো করলেন সেই গুনাহের বোঝা বহন করতে হবে।
আর আমরা জানি গুনাহ হলো রিযিকের বরকত লাভের প্রধান বাঁধা।
যিনি বিশ বছরে বিয়ে করবেন তিনি দশ বছর আগে দ্বীনের অর্ধেক পূরন করলেন আর যিনি ত্রিশ বছরে বিয়ে করলেন তিনি দশটি বছর দ্বীনের অর্ধেক পূরন করলেন না।
আরেকটা বিষয় হলো যিনি সামর্থ্য থাকার পরেও দশ বছর পরে বিয়ে করলেন তিনি রাসূল সাঃ এর হাদিস অনুযায়ী এই দশ বছর শয়তানের ভাই হয়ে থাকলেন।
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে—রাসূলুল্লাহ্ (সা) হযরত ওকাফ (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার স্ত্রী আছে কি ? তিনি বললেন : না! আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন শরীয়তসম্মত বাঁদী আছে কি ? উত্তর হলো না। প্রশ্ন হলো : তুমি কি আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যশীল ? উত্তর হলো : হ্যাঁ।
উদ্দেশ্য এই যে, তুমি কি বিবাহের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের সামর্থ্য রাখ? তিনি উত্তরে হ্যাঁ বললে রাসূলুল্লাহ্ (সা) বললেনঃ তাহলে তো তুমি শয়তানের ভাই। তিনি আরও বললেনঃ বিবাহ আমাদের সুন্নত। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নিকৃষ্টতম, যে বিবাহহীন এবং তোমাদের মৃতদের মধ্যে সে সর্বাধিক নীচ, যে বিবাহ না করে মারা গিয়েছে। [তাফসিরে মাযহারী উপরোক্ত আয়াতের তাফসীর]
Comment