Announcement

Collapse
No announcement yet.

💝কেন চারদিকে এতো অনর্থক কাজ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 💝কেন চারদিকে এতো অনর্থক কাজ?


    💝কেন চারদিকে এতো অনর্থক কাজ?



    {{{এই লিখাটির ভিতর কোন ভুল থাকলে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ রইল}}}



    💮বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের অধিকাংশ কাজই অহেতুক ও অনর্থক। এমন কাজে লিপ্ত যে কাজের কোন দুনিয়াবী কিংবা পরকালের সরিষা পরিমান কোন ফায়দা নাই।দেখা যায় প্রচুর টাকা খরচ করে পড়াশুনা করে, কিন্তু পড়াশুনা ও টাকা উভয়টাই বেকার যায়। বিদেশ গিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে টাকা রুজি করে। কিন্তু সেই পরিশ্রমের টাকা বিভিন্ন অনর্থক কাজ ব্যায় হয়, প্রচুর পরিমান অপচয় হয়। বহু যুবককে দেখা যায় বিয়ের আগেই চার পাঁচটা মেয়ের সাথে প্রেম অনাহুত প্রচুর চোখের পানি ফেলে। দেখা যায় যা দুশ্চিন্তার বিষয় নয় তা নিয়ে মানুষ দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায় লিপ্ত থাকে। তাকদীরে যা আছে তাতো আসবেই তবুও দেখা যায় কত অনাহুত চিন্তা মনে ভিতর ঘুরপাক খায়।দেখা যায় সামর্থ্য থাকার পরেও জীবনের বিশাল একটা অংশ অবিবাহিত থাকার কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।


    প্রশ্ন হলো কেন এতো অনর্থক কাজে লিপ্ত, কেন এতো অহেতুক কাজে মুসলিমরা লিপ্ত?

    পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেনঃ

    قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۱﴾الَّذِیۡنَ ہُمۡ فِیۡ صَلَاتِہِمۡ خٰشِعُوۡنَ ۙ﴿۲﴾ وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ ﴿ۙ۳﴾

    অবশ্যই বিশ্বাসীগণ সফলকাম হয়েছে।যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র। যারা অসার ক্রিয়া-কলাপ হতে বিরত থাকে। (সূরা মুমিনুন ১-৩)

    এখানে আল্লাহ তা'য়ালা প্রথমে বলেছেন মুমিনরা সফল হয়ে গেছে। যে ব্যক্তি মুমিন সেই সফল। এছাড়া আর কেউ সফল নয়। দুনিয়াতেও নয় পরকালেও নয়।সাহাবীরা ছিলেন খাঁটি মুমিন। যার ফলে উনারা দুনিয়াতেও সফল হয়েছেন পরকালেও সফল হয়েছেন। হযরত ওমর রাঃ অর্ধ পৃথিবীর খলিফা ছিলেন, অথচ ক্ষমতার লোভ উনার সরিষা পরিমান ছিলো না, এক পয়সাও তিনি ক্ষমতার জন্য ব্যয় করতে হয় নি। কিন্তু অর্ধ পৃথিবীর খলিফা হয়েছেন কত সাহাবীর পায়ের কাছে দুনিয়া এসে ধরা দিয়েছে, কিন্তু উনারা তা ছুঁড়ে ফেলেছেন। দুনিয়া উনাদের আখিরাত নষ্ট করতে পারে নি। এমনি সাহাবী ছিলেন যাদের মৃত্যুর পর স্বর্ন কুঠার দিয়ে কাটতে হয়েছিলো। কিন্তু উনারা রবের গোলামী করেছেন, আর আজ মানুষ দুনিয়ার গোলামী করে সব হারাচ্ছে , ব্যর্থ হচ্ছে ।

    এরপর আল্লাহ মুমিনদের কিছু গুনবলী উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথম গুন হলো মুমিন নামাযে বিনয়ী হবে এরপর দ্বীতিয় গুন হলো মুমিন অনর্থক কথা ও কাজে লিপ্ত হবে না। এরপরে আরো কিছু গুনের কথা বলা হয়েছে, পাঠক সূরা থেকে জেনে নিবেন ইনশাআল্লাহ ।

    এখানে দেখুন প্রথমে বলা হয়েছে সফলতা পেতে হলে মুমিন হতে হবে। সম্পূর্ন শিরক কুফর থেকে মুক্ত হতে হবে। সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ মুমিন হতে হবে,কৌশলের দোহাই দিয়ে কোন শিরক, কুফরের ব্যাপারে আপোষ কিংবা শিথিলতা করা যাবে না। যেভাবে আমাদের প্রিয় নবী কৌশলের খাতিরে কোন শিরক, কুফরের ব্যাপারে শিথিলতা বা নমনীয়তা না করে তিনি পরিপূর্ণ ভাবে স্বষ্টভাবে তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন।উনার দাওয়াতের মাঝে বিন্দুমাত্র অস্পষ্টতা ছিলো না।

    যদি সত্যিকারে কেউ খাঁটি মুমিন হতে পারে, তাহলে তার মাঝে কিছু গুন চলে আসবে,সেই কিছু গুনাবলির অধিকারী হবে। তার মধ্যে প্রথম গুন হবে সে নামাযে বিনয়ী হবে। আর দ্বীতিয় গুন হলো একজন খাঁটি মুমিন অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবে। তার দ্বারা এমন কাজ হবে না যে কাজের কোন ফায়দা নেই। এমন কথা বের হবে না যে কথার কোন ফায়দা নাই।বরং সত্যিকারের মুমিনের মুখ থেকে এমন কথা বের হবে যা দ্বারা উম্মাহ উপকৃত হবে।
    এখন প্রশ্ন হলো কুরআনে কাদেরকে মুমিন বলা হয়েছে?
    আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
    اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا وَ جٰہَدُوۡا بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصّٰدِقُوۡنَ ﴿۱۵﴾

    বিশ্বাসী তো তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং নিজেদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ। (সুরা হুজরাত ১৫)


    সাহাবীদের মধ্য হতে যারা ইমান এনেছেন তারাই জিহাদ করেছেন, কোন সাহাবী বাদ ছিলেন না। ফলে উনাদের দ্বারা কোন অনর্থক কাজ বা কথা সংঘটিত হয় নি। কেননা উনারা ইমান এনেছেন আল্লাহ ও রাসূলের উপর এবং জিহাদ করেছেন যার ফলে কুরআনে বর্নীত খাঁটি মুমিন হয়েছেন উনারা। মনে রাখতে হবে জিহাদের ক্ষেত্রে যত বেশি গাফিলতি করা হবে ততবেশি অনর্থক কাজে লিপ্ত হতে হবে।

    মহান আল্লাহ বনী ইসরাইল কে জিহাদ করান আদেশ করলেন, কিন্তু তারা সে আদেশ অমান্য করলো। তারা বললো মূসা তুমি ও তোমার আল্লাহ ও জিবরাইল আঃ মিলে জিহাদ করো। ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব নাযিল করলেন। ৪০ বছর অনর্থক কাজে তারা লিপ্ত হলো। তারা তীহ নামক প্রান্তর থেকে বের হওয়ার জন্য সারাদিন চেষ্টা করতো কিন্তু দিন শেষে তারা নিজদের সেখানেই দেখতো যেখান থেকে রওয়ানা করেছে। আজ ঠিক এমনিই অবস্থা চলতেছে সারা বিশ্বে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য,জুলুম নির্যাতন বন্ধ করার জন্য , দ্বীন কায়েমের জন্য কত চেষ্টা পরিশ্রম চলে। অথচ বেশির ভাগই বেকার যায়।


    আপনি রাসূল সাঃ এর গোটা জীবনে একটা অনর্থক কাজ দেখাতে পারবেন না। উনার জীবনে কোন শহীদের রক্ত বৃথা যায় নি। আপনি দেখুন রাসূর সাঃ মক্কার তেরোটি বছর যখন দাওয়াত দিয়েছেন তখন খুব অল্প সংখ্যক সাহাবী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। মাক্কী জীবনে প্রায় ২০০ জনেরও কম মানুষ ইমান এনেছে আর উনারাই নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, হ্যাঁ এটা সত্য যে উনাদের উপর অভাবনীয় নির্যাতন করা হয়েছে,কঠিন থেকে কঠিন কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে । কিন্তু সংখ্যা বেশি ছিলো না, এরপর মাত্র অল্প সংখ্যক সাহাবী শহীদ হতে হয়েছে।তেরো বছরে প্রায় ২/৩জন সাহাবী শহীদ হতে হয়েছে।

    কিন্তু উনাদের এক ফোঁটা রক্তও বৃথা যায় নি। এদিকে মদীনাতে যারা ইমান এনেছেন তাদেরতো মাজলুম হতে হয় নি।উনারা ইসলামের সাহায্যে এগিয়ে আসলেন। সাহাবীদের মাঝে সবাই মাজলুম ছিলেন না কিন্তু সবাই ত্যাগী সাহাবী ছিলেন , প্রত্যেক সাহাবী দ্বীনের জন্য বিশাল বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

    অপরদিকে আজ ত্যাগ স্বীকার কারী মুসলিমদের সংখ্যা কম, কিন্তু মাজলুম মুসলমানের সংখ্যা খু্বই বেশি।এমনকি বর্তমানে খুব কম মুসলিমই বাদ আছে যে কিনা কোন না কোন ভাবে জুলুমের স্বীকার হচ্ছে না। কখনো আর্থিক, কখনো শারীরিক, কখনো মানষিক।


    শুধু তাই নয় রাসূল সাঃ নবুওয়াতের পুরো জীবনীতে খুব অল্প সংখ্যক সাহাবীই শহীদ হয়েছেন। প্রায় ২০০ জনের চেয়ে সামান্য কম বেশী হবে। অথচ উনার জীবনীতেই ইসলামের বিজয় বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে।আরব উপদ্বীপ পেরিয়ে রোম পারস্য পর্যন্ত চলে গেছে।
    সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হলো খন্দকের যুদ্বে মুসলিমদের বড় ভয়ংকর অবস্থা হয়ে গেছে, মুসলিমরা ভিতর ও বাহির থেকে আক্রমনের স্বীকার হয়েছেন, এমনকি কাফেররা মরন কামড় দিয়েছিলো।কিন্তু সেই যুদ্বে একজন সাহাবীও শহীদ হন নি।

    মোটকথা সাহাবীদের সময় একটা অনর্থক কাজও হয় নি, সাহাবীদের কোন ত্যাগও বৃথা যায় নি।
    আর আজ দেখুন, মুসলিমদের কত রক্ত, কত সম্পদ, কত ত্যাগ অনর্থক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।আজকে যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন, আজকে শত্রুতা গুলোও অনর্থক, যাদের সাথে শত্রুরা হওয়ার কথা নয় তাদের সাথেই দেখা যায় শত্রুতা। ভাইয়ে ভাইয়ে, বাবা ছেলে, কিংবা আলিমে আলিমে ও ইসলামী দল একটা আরেকটার সাথে শত্রুতায় লিপ্ত। কিন্তু কেন? মদীনাতে দুইটা গোত্র ছিলো আউস ও খাযরায, যারা নিজেরা শত শত বছর যুদ্ব করেছে, একে অপরের প্রতি কত হিংসা বিদ্বেষ ছিলো। কিন্তু ইমান তাদের মাঝে এমন এক বন্ধন তৈরী করে দেয় যে,যারা এক সময় নিজেরা নিজেদের সাথে অনাহুত শত্রুতা করতো তারাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাফেরদের সাথে যুদ্ব করতো। কিন্তু আজ ইমানহীনতা বা ইমানের দূর্বলতা সব পরিবর্তন করে দিয়েছে। অনাহুত শত্রুতা ও বন্ধুতায় লিপ্ত করে দিয়েছে,

    এর কারন হলো ইমানেই মূল সমস্যা। গনতন্ত্রের মত কুফরীকে স্বাভাবিক ভাবে নিলে কিভাবে একজন খাটি মুসলিম হবে?



    আজ ইমানের সমস্যার কারনেই কোন কিছু ঠিক হচ্ছে না,যতসব অনর্থক বেহুদা কাজে লিপ্ত। এমনকি যাহার ব্যাপারে স্বষ্ট দলিল আছে সেক্ষেত্রেও দেখা যায় দলিলের ভ্রুক্ষেপ না করে উল্টো কাজ করছে। যেমন কেউ নবীর শানে বেয়াদবি করলে তার একমাত্র পাওনা হলো হত্যা করা। কিন্তু আমরা পারছি না।
    আসলে সব কিছুর মূলেই হলো তাওহীদের সঠিক দাওয়াত। সকল প্রকার শিরক ও কুফর থেকে মুক্ত হওয়া। সকল প্রকার তাগুতকে ত্যাগ দেওয়া।

    দেখুন পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুরতাদ হলো শয়তান।কিন্তু সে মুরতাদ হওয়ার পর চূড়ান্ত পর্যায়ের অনর্থক কাজ বেঁচে নিয়েছে। সারা পৃথিবীর সকল মানুষকে সে যদি জাহান্নামে নেয় তাহলে তার বিন্দুমাত্র কোন উপকার হবে? অথচ সে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষকে পথভ্রষ্ট করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। কাফেরদের অবস্থা ঠিক তেমনি, তারা যে মাটির উপর দিয়ে হাঁটে, পায়খানা করে, পশ্রাব করে, সেই মাটি দিয়ে তারা মূর্তি বানিয়ে কত পূজা করে।
    কত বড় অনাহুত কাজে তারা লিপ্ত।
    তাই মুমিন হতে হবে, সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত হতে হবে।

    মহান আল্লাহ বলেনঃ

    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ قُوۡلُوۡا قَوۡلًا سَدِیۡدًا ﴿ۙ۷۰}یُّصۡلِحۡ لَکُمۡ اَعۡمَالَکُمۡ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ فَقَدۡ فَازَ فَوۡزًا عَظِیۡمًا ﴿۷۱﴾


    হে বিশ্বাসীগণ ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।তাহলে তিনি তোমাদের কর্মকে ক্রটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, তারা অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে।(সূরা ৭০-৭১)


    এখানে অত্র আয়াতে দেখুন, প্রথমে বলা হয়েছে আল্লাহকে ভয় করতে এবং তারপর বলা হয়েছে সঠিক কথা বলতে। তাহলে আল্লাহ নিজে কর্মের ইসলাহ করে দিবেন। এখন প্রশ্ন হলো কেউ যদি কৌশলের দোহাই দিয়ে কুফর কে কুফর না বলে, শিরককে শিরক না বলে, দ্বীনের সকল চেষ্টা প্রচেষ্টাকে যদি জিহাদ বলে এমনকি ইহুদী খ্রীষ্টানের আবিষ্কৃত ভোট কে জিহাদ বলে সে কি সঠিক কথা বললো?
    সুতরাং সঠিক কথা না বললে কর্মের সংশোধনতো আসবে না। সঠিক কথা না বললে সঠিক ভাবে দ্বীন কায়েমের কাজও করা সম্ভব হবে না।
    এরপরে আল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও রাসূর সাঃ এর আনুগত্য করার জন্য তাহলে মহা সাফল্য অর্জন করবে।

    এখন কেউ যদি রাসূল সাঃ তরীকা বাদ দিয়ে নিজের মনগড়া তরীকায় অন্যায় দূর করতে চায়, কিংবা আব্রাহাম লিংকনের তরীকাকে কাটছাট করে সমাজ পরিবর্তন করতে চায় বা ভুল ভাবে দ্বীন কায়েম করতে চায় সেতো মহা সফলতা পাবে না।
    সেতো দিন যত যাবে ততই অনর্থক ও বেহুদা কাজেই লিপ্ত হবে।

    মনে রাখবেন, যার ইমান যত মজবুত হবে, যার ইমান সকল প্রকার শিরক, কুফর মুক্ত হবে তার চিন্তা চেতনা তত উন্নত হবে, তার কাজ কর্মও তত ফলফসু হবে।তার দ্বারা সবচেয়ে উন্নত কাজ হবে। যেমন হাদিসে আছঃ


    عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم يقول: «من رأى منكم منكراً فليُغيِّره بيده، فإلم يستطع فبلسانه، فإلم يستطع فبقلبه، وذلك أضعف الإيمان».
    [صحيح] - [رواه مسلم]

    আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ““তোমাদের থেকে যে কোনো অন্যায় দেখবে সে যেন তা হাত দ্বারা পরিবর্তন করে, যদি সে না পারে তবে তার জিহ্বা দ্বারা, আর যদি সে তাও না পারে তবে তার অন্তর দ্বারা।আর এটা হচ্ছে ঈমানের সর্বনিম্ন পর্যায়।”
    সহীহ - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।

    এখানে বলা হয়েছে, যার ইমান সবচেয়ে বেশি সে অন্যায় হাত দ্বারা প্রতিহত করবে।তার ইমান অনুযায়ীই তার কাজ হবে। আর তার কাজই হবে সর্বাধিক ফলফসু। আর যার ইমান দূর্বল সে অন্তর দ্বারা পরিবর্তনের চিন্তা করবে। তার মানে একজন মুমিনের কাজের গতি, প্রকৃত তার ইমানের উপর নির্ভর করে। এখন একজন ব্যক্তি ইমানের ভিতরে যদি শিরক লুকায়িত থাকে তার দ্বারা দ্বীনের আর কি কাজ হবে!তার দ্বারাতো দ্বীনের বিপরীত কাজ হবে।

    যার ইমান যত উঁচু পর্যায়ের তারা চিন্তাচেতনা ও কথাবার্তা তত উঁচু হয়। তার দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞা হয় সুউচ্চ, তাই চেষ্টা করুন মজবুত ইমানদ্বারা হতে, যদি তা হতে নাই পারেন কমপক্ষে তাদের সাথে উঠাবসা ও পরামর্শ গ্রহন করুন যাদের ইমান খুবই শক্তিশালী।


    আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুন।

    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 03-19-2023, 07:15 PM.

  • #2
    এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল যে প্রতিটি বিধান বাস্তবায়নের জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় । তেমনি ভাবে ভোটাভুটির বিধান বাস্তবায়নের জন্যও শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং ভোটের মাধ্যমে বিজয় হলেই পুরো শক্তি বিজয়ী প্রার্থীদের হতে চলে আসছে না। মূল শক্তি কিন্তু খারাপ লোকদের হাতে থেকে যাচ্ছে। সুতরাং খারাপ লোকেরা কখনোই ইসলাম কায়েমের পিছনে তাদের শক্তি ব্যয় করবে না। সুতরাং ইসলাম কায়েম করতে হলে এই সকল খারাপ লোকদের থেকে শক্তি ছিনিয়ে আনতে হবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment

    Working...
    X