আদর্শ নেতৃত্যের গুনাবলী, নেতার করনীয়এবং
পরিকল্পনার ক্ষেত্রে করনীয় "নেতৃত্বের গুনাবলী"
একজন নেতা/কমান্ডারকে অবশ্যই কত গুলো মানবিক গুনাবলীতে গুনান্বিত হতে হয়। সে গুলো নিম্নরূপ!!! ১। আত্নপ্রত্যয়ী...... নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী হতে হবে। ২। উপস্থিত বুদ্ধি..... তাৎক্ষনিক পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হবে। ৩। সহনশীলতা........ সহকর্মীদের দোষত্রুটি ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার ক্ষমতা। ৪। বুদ্ধিমত্তা......... একজন নেতাকে তার আয়ত্বাধীন যে কোন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। ৫। নিঃস্বার্থ........... আত্নত্যাগী ও নিঃস্বার্থ বাদী হতে হবে। ৬। সামাজিক সচেতনতা........ সমাজবদ্ধ মানুষের মাঝে সামাজিক সচেতন বোধ বৃদ্ধি করতে হবে। ৭। দক্ষতা.........দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে যা একজন নেতার অন্যতম গুন। ৮। নেতৃত্বদানের ক্ষমতা....... সংগঠনের জনবলকে পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ৯। পেশাগত জ্ঞান.........প্রত্যেক নেতাকে তার পেশাগত জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। ১০। সাহসী.........একজন নেতার অন্যতম ধর্ম,ভয় ভীতি এ মনকি সর্ব প্রকার প্রতিবন্ধকতা দুর করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ১১। কার্যসম্পাদনের উপযোগী.......কাজের প্রতি আগ্রহী। ১২। মানসিক ও দৈহিক সুস্থ্যতা......মেধা ও মন সুস্থ্য ও সাবলীল হতে হবে। ১৩। উত্তম শ্রোতা........ একজন নেতাকে উত্তম শ্রোতা হতে হবে। ১৪। বিবেক........... একজন নেতাকে অবশ্যই বিবেক বান হতে হবে। ১৫। সাধুতা..........সৎ চরিত্র ও নৈতিক আচরনের অধিকারী হতে হবে। ১৬। আনুগত্য...........দেশ,ইউনিট উর্দ্ধতন ও অধিন্যস্তদের প্রতি আনুগত্য পোষন করতে হবে। ১৭। বিচার ক্ষমতা........বিভিন্ন রকম পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে ন্যায় বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ১৮। দায়িত্ব শীল........... দায়িত্ব শীল হতে হবে। ১৯। বিয়ারিং............একজন নেতাকে আশু প্রয়োজন বলিষ্ঠ চরিত্র, পোষাক আশাকে মার্জিত ও রুচিশীল ভাব এবং বিনয়ী হতে হবে। ২০। উদারতা................ নেতার অন্যতম গুন উদারতা সহকর্মীদের প্রতি উদারভাব থাকতে হবে। ২১। কুট কৌশলী................তীক্ষ্ণ ও সুক্ষ কৌশলী হতে হবে। ২২। চরিত্রে কঠোরতা ও কোমলতার মিশ্রন..........শারিরীক ও মানসিক ভাব দুঃখ ক্লান্তি,চাপ ও কঠোরতা দূর করার ক্ষমতা। ২৩। উদ্দীপনা...................কর্তব্য পালনে উৎসাহ ও আগ্রহ প্রকাশ। ২৪। দূরদৃষ্টি............... যে কোন অবস্থার পূর্বাভাস বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। ২৫। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা...............একজন নেতাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। ২৬। তীক্ষ বুদ্ধি সম্পন্ন..............একজন নেতাকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে। ২৭। নিরপেক্ষতা........... নিরপেক্ষতা থাকতে হবে একজন নেতাকে তাতে কাজের মান উন্নত হবে। ২৮। স্পষ্টভাষী............... সহজ সরল প্রকাশ ভঙ্গি হবে যা সহজে সবাই বুঝতে পারে। ২৯। নিয়মানুবর্তিতা.................. সময় জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি হতে পারে নেতা। ৩০।নেতৃত্বের গুনাগুন আল্লাহ প্রদত্ত,, তবে কিছু কিছু অর্জন করা যায় তবে এটা খুবই কম। ৩১। গাড়ী এবং বাইক চালাতে দিয়ে দেখতে হবে সে কেমন ড্রাইভ করে। এটা থেকে বুঝা যাবে সে কেমন ড্রাইভার। ৩২। সে ভালো দোকানদার কি না,, একি সাথে অনেকগুলো কাষ্টমারকে বিদায় করতে পারে কি না,, কারন তাকে অনেকদিকে এক সাথে সামলাইতে পারে কি না এটা যাচাই হবে। ৩৩। দায়িত্বশীল সব সময় জ্ঞান অর্জন (বই পড়া, উস্তাদের সহবত) এর উপর থাকতে হবে। ৩৪। সব সময় সব বিষয়ে সঠিক খবরগুলো জানা থাকতে হবে। ৩৫। সৃজনশীলতা থাকতে হবে ( যোগউপযোগী এবং সময় উপযোগী জ্ঞান থাকতে হবে এবং এর উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ----------------------------------------------------------------------- উপরোক্ত গুনের অধিকারী ব্যক্তিই পারে একজন সুদক্ষ ও সুপরিচিত নেতা হিসাবে গড়ে উঠতে। কাজেই মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন ব্যক্তি একজন আর্দশবান নেতা/কমান্ডার হওয়ার জন্য যোগ্য। নেতার করনীয় “নেতা জন্মায় নাকি তৈরি হয়” সেটা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। তবে জন্মের সাথে সাথে কেউ কেউ নেতৃত্ব গুণ নিয়ে জন্মাতে পারে আবার সময়ের সাথে সাথে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নেতৃত্বের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব গুণ তৈরি হয়। তাই আপনার যদি নেতৃত্ব গুন থেকে থাকে সেটাকে আরো বেশী ঝালাই করে নিন আর যদি নেতৃত্ব গুণ তৈরি করতে চান আরো বেশী অনুশীলন করুন। কেউ কোন ভুল করলে কিছুটা রাগ আপনি করতে পারেন তবে সেটা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন। যখন কোন সংগঠনের কারোরই সত্য বলার ক্ষমতা থাকে না, সেটা দলের দুর্যোগ টেনে নিয়ে আসে। সব সময় যদি আপনি প্রশংসা শুনতে থাকেন আপনার সর্ম্পকে তবে সেটা বিপদজনক। আপনি কোন কিছু বললেন সেটাকেই সর্বশেষ বলে ধরে নিবেন না, অন্যদের এর সমালোচনা করতে দিন। তাহলে আপনি সহজেই সমস্যাগুলো খুজে পাবেন আর এতে সহকর্মীদের অংশগ্রহনমূলক আচরণ তৈরি হবে। আপনি যখন সামনে থেকে সবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার মাঝেই কখনো কখনো তাদের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সামনে এগিয়ে দিন, আর আপনি পেছন থেকে নেতৃত্ব দিন। একজন ভালো নেতা সেই, যে কখনো সামনে থেকে আবার কখনো পেছনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। সহকর্মী ভুল করলে, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিন বুঝিয়ে দিন কি করলে ভুলগুলো শোধরানো যাবে এবং ভবিষ্যতে ভুল না হবার জন্য কি কি বিষয় অনুসরণ করতে হবে। তাদের কে ভুলের মাধ্যমেই শিখতে দিন। সবার সাথেই কাজের মাধ্যমে অর্থপূর্ন সর্ম্পক তৈরি করুন, এতে সহকর্মীদের সাথে আপনার সম্পৃক্ততা বাড়বে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিন এবং আপনি মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শুনুন। আপনার নিজের আচরণগত কোন ক্রটি আছে কিনা, আপনার উপর অন্যের বিশ্বাস কতটুকু, আপনার কোন আচরন অন্যের ভালো লাগে কোনটা ভালো লাগে না জানার চেষ্টা করুন। ভালো একজন দলনেতার উপর অন্যের আস্থা এবং ভাললাগা থাকাটা জরুরী। নিজের আচরণগত কোন সমস্যা অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করলে সেগুলো ঠিক করার উপর জোর দিন। আপনি দলনেতা বলে নিজেকে ক্রটির উর্দ্ধে ভাববেন না কখনো। চেষ্টা করুন সবার সাথে সবার সম্প্রীতির বন্ধনটুকু দৃঢ় করতে। কোথাও কোন সমস্যা মনে হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার দিকে সমান মনোযোগ দিন। কারো যেন মনে না হয় আপনি কাউকে বেশী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। একজন ভালো নেতা বিনয়ের সাথে অন্যের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেন এবং তার প্রয়োজনের দিকে নজর রাখেন। ব্যক্তিগত চিন্তা ও পর্যবেক্ষণের জন্য সময় বের করুন। নিজের ভুল স্বীকার করুন। কাজের মান অথবা পরিকল্পনাকে উন্নত করা দরকার হলে তা স্বীকার করে নিন। আপনার সমালোচনা করার সুযোগ দিন। এটা আপনাকে একজন অনেক ভালো নেতা হিসেবে তৈরি করবে। জন ম্যাক্সওয়েল বলেন- একজন ভালো নেতা ক্রেডিট নেন কম, দায় নেন বেশি। মানুষ তাকেই অনুসরন করে যাকে সে বিশ্বাস করতে পারে। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন সবার কাছে। আপনার কথা এবং কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখুন। দায়িত্বশীলদের করনীয় ইখলাস এবং নিয়ত প্রতি কাজের শুরুতে নবায়ন করা,, আমলে,, কাজে,, নিয়তে সততা অবলম্বন করা অধিকাংশ সময় দ্বীনের জন্য ফিকির এবং কাজ করা অযথা কথা এবং কাজে সময় নষ্ট না করা অলস সময় ব্যয় না করা। দৈনিক কাজের রুটিন থাকা এবং কাজ শেষ করা,, সামনের কাজের ফিকির করা,, সাথিদের পর্যাক্রমে সময় দেয়া এবং তার মান উন্নয়নের ফিকির করা এবং তা বাস্তবায়ন করা সময়ের কাজ সময় মতো শেষ করা।
(সংগৃহীত)
পরিকল্পনার ক্ষেত্রে করনীয় "নেতৃত্বের গুনাবলী"
একজন নেতা/কমান্ডারকে অবশ্যই কত গুলো মানবিক গুনাবলীতে গুনান্বিত হতে হয়। সে গুলো নিম্নরূপ!!! ১। আত্নপ্রত্যয়ী...... নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাসী হতে হবে। ২। উপস্থিত বুদ্ধি..... তাৎক্ষনিক পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি থাকতে হবে। ৩। সহনশীলতা........ সহকর্মীদের দোষত্রুটি ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার ক্ষমতা। ৪। বুদ্ধিমত্তা......... একজন নেতাকে তার আয়ত্বাধীন যে কোন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। ৫। নিঃস্বার্থ........... আত্নত্যাগী ও নিঃস্বার্থ বাদী হতে হবে। ৬। সামাজিক সচেতনতা........ সমাজবদ্ধ মানুষের মাঝে সামাজিক সচেতন বোধ বৃদ্ধি করতে হবে। ৭। দক্ষতা.........দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে যা একজন নেতার অন্যতম গুন। ৮। নেতৃত্বদানের ক্ষমতা....... সংগঠনের জনবলকে পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ৯। পেশাগত জ্ঞান.........প্রত্যেক নেতাকে তার পেশাগত জ্ঞান সম্পন্ন হতে হবে। ১০। সাহসী.........একজন নেতার অন্যতম ধর্ম,ভয় ভীতি এ মনকি সর্ব প্রকার প্রতিবন্ধকতা দুর করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ১১। কার্যসম্পাদনের উপযোগী.......কাজের প্রতি আগ্রহী। ১২। মানসিক ও দৈহিক সুস্থ্যতা......মেধা ও মন সুস্থ্য ও সাবলীল হতে হবে। ১৩। উত্তম শ্রোতা........ একজন নেতাকে উত্তম শ্রোতা হতে হবে। ১৪। বিবেক........... একজন নেতাকে অবশ্যই বিবেক বান হতে হবে। ১৫। সাধুতা..........সৎ চরিত্র ও নৈতিক আচরনের অধিকারী হতে হবে। ১৬। আনুগত্য...........দেশ,ইউনিট উর্দ্ধতন ও অধিন্যস্তদের প্রতি আনুগত্য পোষন করতে হবে। ১৭। বিচার ক্ষমতা........বিভিন্ন রকম পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে ন্যায় বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে। ১৮। দায়িত্ব শীল........... দায়িত্ব শীল হতে হবে। ১৯। বিয়ারিং............একজন নেতাকে আশু প্রয়োজন বলিষ্ঠ চরিত্র, পোষাক আশাকে মার্জিত ও রুচিশীল ভাব এবং বিনয়ী হতে হবে। ২০। উদারতা................ নেতার অন্যতম গুন উদারতা সহকর্মীদের প্রতি উদারভাব থাকতে হবে। ২১। কুট কৌশলী................তীক্ষ্ণ ও সুক্ষ কৌশলী হতে হবে। ২২। চরিত্রে কঠোরতা ও কোমলতার মিশ্রন..........শারিরীক ও মানসিক ভাব দুঃখ ক্লান্তি,চাপ ও কঠোরতা দূর করার ক্ষমতা। ২৩। উদ্দীপনা...................কর্তব্য পালনে উৎসাহ ও আগ্রহ প্রকাশ। ২৪। দূরদৃষ্টি............... যে কোন অবস্থার পূর্বাভাস বুঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। ২৫। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা...............একজন নেতাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকতে হবে। ২৬। তীক্ষ বুদ্ধি সম্পন্ন..............একজন নেতাকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে। ২৭। নিরপেক্ষতা........... নিরপেক্ষতা থাকতে হবে একজন নেতাকে তাতে কাজের মান উন্নত হবে। ২৮। স্পষ্টভাষী............... সহজ সরল প্রকাশ ভঙ্গি হবে যা সহজে সবাই বুঝতে পারে। ২৯। নিয়মানুবর্তিতা.................. সময় জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি হতে পারে নেতা। ৩০।নেতৃত্বের গুনাগুন আল্লাহ প্রদত্ত,, তবে কিছু কিছু অর্জন করা যায় তবে এটা খুবই কম। ৩১। গাড়ী এবং বাইক চালাতে দিয়ে দেখতে হবে সে কেমন ড্রাইভ করে। এটা থেকে বুঝা যাবে সে কেমন ড্রাইভার। ৩২। সে ভালো দোকানদার কি না,, একি সাথে অনেকগুলো কাষ্টমারকে বিদায় করতে পারে কি না,, কারন তাকে অনেকদিকে এক সাথে সামলাইতে পারে কি না এটা যাচাই হবে। ৩৩। দায়িত্বশীল সব সময় জ্ঞান অর্জন (বই পড়া, উস্তাদের সহবত) এর উপর থাকতে হবে। ৩৪। সব সময় সব বিষয়ে সঠিক খবরগুলো জানা থাকতে হবে। ৩৫। সৃজনশীলতা থাকতে হবে ( যোগউপযোগী এবং সময় উপযোগী জ্ঞান থাকতে হবে এবং এর উপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ----------------------------------------------------------------------- উপরোক্ত গুনের অধিকারী ব্যক্তিই পারে একজন সুদক্ষ ও সুপরিচিত নেতা হিসাবে গড়ে উঠতে। কাজেই মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন ব্যক্তি একজন আর্দশবান নেতা/কমান্ডার হওয়ার জন্য যোগ্য। নেতার করনীয় “নেতা জন্মায় নাকি তৈরি হয়” সেটা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক আছে। তবে জন্মের সাথে সাথে কেউ কেউ নেতৃত্ব গুণ নিয়ে জন্মাতে পারে আবার সময়ের সাথে সাথে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নেতৃত্বের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব গুণ তৈরি হয়। তাই আপনার যদি নেতৃত্ব গুন থেকে থাকে সেটাকে আরো বেশী ঝালাই করে নিন আর যদি নেতৃত্ব গুণ তৈরি করতে চান আরো বেশী অনুশীলন করুন। কেউ কোন ভুল করলে কিছুটা রাগ আপনি করতে পারেন তবে সেটা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন। যখন কোন সংগঠনের কারোরই সত্য বলার ক্ষমতা থাকে না, সেটা দলের দুর্যোগ টেনে নিয়ে আসে। সব সময় যদি আপনি প্রশংসা শুনতে থাকেন আপনার সর্ম্পকে তবে সেটা বিপদজনক। আপনি কোন কিছু বললেন সেটাকেই সর্বশেষ বলে ধরে নিবেন না, অন্যদের এর সমালোচনা করতে দিন। তাহলে আপনি সহজেই সমস্যাগুলো খুজে পাবেন আর এতে সহকর্মীদের অংশগ্রহনমূলক আচরণ তৈরি হবে। আপনি যখন সামনে থেকে সবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার মাঝেই কখনো কখনো তাদের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সামনে এগিয়ে দিন, আর আপনি পেছন থেকে নেতৃত্ব দিন। একজন ভালো নেতা সেই, যে কখনো সামনে থেকে আবার কখনো পেছনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। সহকর্মী ভুল করলে, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দিন বুঝিয়ে দিন কি করলে ভুলগুলো শোধরানো যাবে এবং ভবিষ্যতে ভুল না হবার জন্য কি কি বিষয় অনুসরণ করতে হবে। তাদের কে ভুলের মাধ্যমেই শিখতে দিন। সবার সাথেই কাজের মাধ্যমে অর্থপূর্ন সর্ম্পক তৈরি করুন, এতে সহকর্মীদের সাথে আপনার সম্পৃক্ততা বাড়বে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিন এবং আপনি মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শুনুন। আপনার নিজের আচরণগত কোন ক্রটি আছে কিনা, আপনার উপর অন্যের বিশ্বাস কতটুকু, আপনার কোন আচরন অন্যের ভালো লাগে কোনটা ভালো লাগে না জানার চেষ্টা করুন। ভালো একজন দলনেতার উপর অন্যের আস্থা এবং ভাললাগা থাকাটা জরুরী। নিজের আচরণগত কোন সমস্যা অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করলে সেগুলো ঠিক করার উপর জোর দিন। আপনি দলনেতা বলে নিজেকে ক্রটির উর্দ্ধে ভাববেন না কখনো। চেষ্টা করুন সবার সাথে সবার সম্প্রীতির বন্ধনটুকু দৃঢ় করতে। কোথাও কোন সমস্যা মনে হলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার দিকে সমান মনোযোগ দিন। কারো যেন মনে না হয় আপনি কাউকে বেশী সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। একজন ভালো নেতা বিনয়ের সাথে অন্যের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেন এবং তার প্রয়োজনের দিকে নজর রাখেন। ব্যক্তিগত চিন্তা ও পর্যবেক্ষণের জন্য সময় বের করুন। নিজের ভুল স্বীকার করুন। কাজের মান অথবা পরিকল্পনাকে উন্নত করা দরকার হলে তা স্বীকার করে নিন। আপনার সমালোচনা করার সুযোগ দিন। এটা আপনাকে একজন অনেক ভালো নেতা হিসেবে তৈরি করবে। জন ম্যাক্সওয়েল বলেন- একজন ভালো নেতা ক্রেডিট নেন কম, দায় নেন বেশি। মানুষ তাকেই অনুসরন করে যাকে সে বিশ্বাস করতে পারে। নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলুন সবার কাছে। আপনার কথা এবং কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখুন। দায়িত্বশীলদের করনীয় ইখলাস এবং নিয়ত প্রতি কাজের শুরুতে নবায়ন করা,, আমলে,, কাজে,, নিয়তে সততা অবলম্বন করা অধিকাংশ সময় দ্বীনের জন্য ফিকির এবং কাজ করা অযথা কথা এবং কাজে সময় নষ্ট না করা অলস সময় ব্যয় না করা। দৈনিক কাজের রুটিন থাকা এবং কাজ শেষ করা,, সামনের কাজের ফিকির করা,, সাথিদের পর্যাক্রমে সময় দেয়া এবং তার মান উন্নয়নের ফিকির করা এবং তা বাস্তবায়ন করা সময়ের কাজ সময় মতো শেষ করা।
(সংগৃহীত)