Announcement

Collapse
No announcement yet.

সুদের ঘৃন্যতা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সুদের ঘৃন্যতা।

    قال رسول الله صلّى الله عليه وسلّم: «إياك والذنوب التي لا تغفر. الغلول فمن غل شيئا أتى به يوم القيامة، وأكل الربا فمن أكل الربا بعث يوم القيامة مجنونا يتخبط»
    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তুমি এমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাক যেটাকে ক্ষমা করা হয় না। গনিতের মালের মধ্যে খেয়ানত করা কেননা এখানে যে খেয়ানত করবে সে তা নিয়ে কিয়ামতের ময়দানে উপস্থিত হবে। এবং সুদ খাওয়া কেননা যে সুদ খেল তাকে কিয়ামতের ময়দানে মোহাবিষ্ট পাগল করে উঠান হবে।

    وقال علي بن أبي طلحة ، عن ابن عباس : ( فإن لم تفعلوا فأذنوا بحرب من الله ورسوله ) فمن كان مقيما على الربا لا ينزع عنه فحق على إمام المسلمين أن يستتيبه ، فإن نزع وإلا ضرب عنقه . এবং আলী ইবনে আবু তালহা বলেছেন তিনি ইবনে আব্বাস থেকে বর্ননা করেছেন সুতরাং তোমরা যদি বিরত না হও তাহলে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দাও সুতরাং যে সুদের উপর অটল থাকে এর থেকে বিরত হয় না তখন মুসলিমদের ইমামের উপর আবশ্যক হল যে তাকে তাওবা করানো যদি সে এর থেকে বিরত হয় অন্যথায় তার গর্দান উড়িয়ে দেবে।
    وروى الدارقطني عن عبد الله بن حنظلة غسيل الملائكة أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : لدرهم ربا أشد عند الله تعالى من ست وثلاثين زنية في الخطيئة وروي عنه عليه السلام أنه قال : الربا تسعة وتسعون بابا أدناها كإتيان الرجل بأمه يعني الزنا بأمه . এবং দারুল কুতনি আবদুল্লাহ ইবনে হানজালাহ থেকে বর্ননা করেছেন যেই হানজালাহ কে ফিরিস্তারা গোসল করিয়ে ছিল।যে নিশ্চই নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সুদের এক দিরহাম হল ছয়ত্রিশ বার জিনা করা থেকেও মারাত্মক এবং নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্নিত রয়েছে তিনি বলেন সুদের অপরাধের নিরানব্বইটি স্থর রয়েছে তার মধ্যে সর্ব নিম্ন হল আপন মায়ের সাথে জিনা করার সমতুল্য।
    وقال ابن مسعود آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهده ملعون على لسان محمد صلى الله عليه وسلم حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة ، حدثنا الحسن بن موسى ، عن حماد بن سلمة ، عن علي بن زيد ، عن أبي الصلت ، عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " أتيت ليلة أسري بي على قوم بطونهم كالبيوت ، فيها الحيات ترى من خارج بطونهم . فقلت : من هؤلاء يا جبريل ؟ قال : هؤلاء أكلة الربا " . এবং ইবনে মাসউদ রা বলেছেন সুদ গ্রহীতা এবং সুদ দাতা এবং তার লিখক এবং তার সাক্ষীদাতা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখে লানত প্রাপ্ত আমাদেরকে আবু বকর ইবনে আবু শাইবা হাদিস বর্ণনা করেছেন আমাদেরকে হাসান বিন মূসা হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি হাম্মাদ ইবনে সালামা থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি আলী ইবনে জায়েদ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি আবু সুলত থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি আবু হুরায়রা রা থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি মেরাজের রাতে এমন একটি সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছি তাদের পেট হল ঘরের মত সেই পেটের মধ্যে সাপ রয়েছে যা বাহির থেকে দেখা যাচ্ছে আমি বললাম এরা কারা হে জিবরাঈল। তিনি বললেন এরা হল সুদখোর।
    ولكن أهل الفتنة في زماننا ، يحاولون أن يهونوا على الناس أمر الربا ، وقد عظمه الله وقبحه ، وآذن العامل به بحرب من الله ورسوله ، في الدنيا والآخرة ، ومن أضل ممن يهون على الناس حرب ربه يوم يقوم الناس لرب العالمين . فاللهم اهدنا ولا تفتنا كما فتنت رجالا قبلنا ، وثبتنا على دينك الحق ، وأعذنا من شر أنفسنا في هذه الأيام التي بقيت لنا ، وهي الفانية وإن طالت ، وصدق رسول الله بأبي هو وأمي إذ قال : "يأتي على الناس زمان يأكلون فيه الربا . قيل له : الناس كلهم؟! قال : من لم يأكله ناله من غباره" . (سنن البيهقي 5 : 275) ، فاللهم انفض عنا وعن قومنا غبار هذا العذاب الموبق
    কিন্তু আমাদের যুগের ফেৎনাবাজরা চেষ্টা করে যে মানুষদের উপর সুদের বিষয়টি হালকা করে তোলা অথচ আল্লাহ তায়ালা এটাকে মহা এবং গুরুতর বলেছেন এবং যারা এই কাজ করে তাদেরকে দুনিয়া এবং আখেরাতের মধ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা কারি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে
    সুতরাং তার থেকে বিপথগামী আর কে হতে পারে যারা মানুষদের জন্য হালকা মনে করবে যে তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে কিয়ামতের দিন যুদ্ধ করবে সুতরাং হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে হিদায়াত দাও এবং তুমি আমাদেরকে ফিতনা গ্রস্থ করিও না যেই ফেতনা তুমি আমাদের পূর্ববর্তী লোকদেরকে করেছ। এবং তুমি আমাদেরকে তোমার সত্য দ্বীনের উপর বহাল রাখ। এবং আমাদেরকে আমাদের নফসের ক্ষতি থেকে রক্ষা কর আমাদের অবশিষ্ট দিন গুলোতে এবং তা নিঃশেষ হয়ে যাবে ।যদিও এটি দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যি বলেছেন এবং আমার পিতা মাতা তার জন্য কুরবান হোক। তিনি বলেছেন মানুষের উপর এমন একটি যুগ আসবে তখন তারা সুদ খাবে । তাকে বলা হল প্রতিটি মানুষকি সুদ খাবে। তিনি বললেন কেউ যদি না খায় তাহলে এর ধূলা সে পাবে ।। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক আপনি আমাদেরকে এবং আমাদের সম্প্রদায়কে এই ধ্বংসকারী শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
    قال أبو جعفر: يعني جل ثناؤه: وأحلّ الله الأرباح في التجارة والشراء والبيع (12) =" وحرّم الربا "، يعني الزيادةَ التي يزاد رب المال بسبب زيادته غريمه في الأجل، وتأخيره دَيْنه عليه. يقول عز وجل: فليست الزيادتان اللتان إحداهما من وَجه البيع، (13) والأخرى من وجه تأخير المال والزيادة في الأجل، سواء. وذلك أنِّي حرّمت إحدى الزيادتين = وهي التي من وجه تأخير المال والزيادة في الأجل = وأحللتُ الأخرى منهما، وهي التي من وجه الزيادة على رأس المال الذي ابتاع به البائع سلعته التي يبيعها، فيستفضلُ فَضْلها. فقال الله عز وجل: ليست الزيادة من وجه البيع نظيرَ الزيادة من وجه الربا، لأنّي أحللت البيع، وحرَّمت الرّبا، والأمر أمري والخلق خلقي، أقضي فيهم ما أشاء، وأستعبدهم بما أريد، ليس لأحد منهم أن يعترض في حكمي، ولا أن يخالف أمري، وإنما عليهم طاعتي والتسليمُ لحكمي.
    আবু জাফর বলে থাকেন যে এখানে আল্লাহ তায়ালার কথার মর্ম এই যে আল্লাহ তায়ালা ব্যবসা, ক্রয় ,বিক্রয়ের মধ্যে লাভকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। অর্থাৎ যেই অতিরিক্ত টাকা ঋন দাতাকে দেওয়া হয় ঋন গ্রহীতাকে সে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার কারণে এবং তার ঋনকে পরে দেওয়ার কারণে । সুতরাং এই দুই ধরনের অতিরিক্ত জিনিস। একটি হল ক্রয় বিক্রয়ের পদ্ধতি এবং অপরটি হল মালকে দেরিতে দেওয়া এবং সময়কে বৃদ্ধি করা আর এই দুইটি জিনিস এক নয়। সুতরাং আমি একটির ক্ষেত্রে অতিরিক্ততাকে হারাম করেছি। আর তা হল মালকে বিলম্বিত করে দেওয়া এবং মেয়াদ দীর্ঘ হবার কারণে যেটা হয়ে থাকে।
    এবং এই দুইটির মধ্য থেকে অপরটিকে আমি হালাল করেছি। আর তা হল যেটা বিক্রেতা বিক্রিত পন্যের বিনিময়ে নিয়ে থাকে। সুতরাং বিক্রয়ের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন এটা সুদের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করার মত নয়। কেননা আমি বিক্রিকে হালাল করেছি এবং সুদকে হারাম করেছি। সুতরাং আমার আদেশই আদেশ এবং আমার সৃষ্টিি সৃষ্টি। এবং আমি তাদের মধ্যে যে ভাবে চাই সে ভাবে ফায়সালা করব। এবং আমি যে ভাবে চাই সে ভাবে তাদের থেকে ইবাদত অন্বেষণ করব। সুতরাং আমার আদেশের মধ্যে কারো প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই । এবং আমার আদেশের অবাধ্য হওয়ার অধিকার নেই। সুতরাং তাদের জন্য আবশ্যক হল আমার অনুসরণ করা এবং আমার আদেশ মেনে নেওয়া


    وقال ابن خويزمنداد : ولو أن أهل بلد اصطلحوا على الربا استحلالا كانوا مرتدين ، والحكم فيهم كالحكم في أهل الردة ، وإن لم يكن ذلك منهم استحلالا جاز للإمام محاربتهم

    قال أبو جعفر: وهذه الأخبار كلها تنبئ عن أن قوله: (فأذنوا بحرب من الله) إيذان من الله عز وجل لهم بالحرب والقتل، لا أمر لهم بإيذان غيرهم. এবং ইবনে খুয়াজমান্দ বলেছেন যদি কোন শহর বাসি সুদকে বৈধতার উপর মিমাংসা করে নেয় তাহলে তারা মুরতাদ হয়ে যাবে এবং তাদের ক্ষেত্রে হুকুম হল সেটাই যেটা আহলে রিদ্দাতের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে । কিন্তু যদি এটাকে বৈধতা দেওয়ার ভিত্তিতে না হয়ে থাকে তাহলে ইমামের জন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বৈধ রয়েছে।
    আবু জাফর বলেন এই সকল সংবাদ থেকে এই বিষয়টি প্রমানিত হচ্ছে যে (فأذنوا بحرب من الله এর ব্যাখ্যা হল এখানে আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে যুদ্ধ এবং তাদেরকে হত্যা করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং এখানে তাদেরকে এই আদেশ দেননি যে তারা অন্য কারো কাছে এই ঘোষণা দিবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

  • #2
    আমার কাছে তো সুদখোরকে দুনিয়াতেই পাগলের মত লাগে ! ! !
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

    Comment


    • #3
      Originally posted by mahmud123 View Post
      তিনি বললেন কেউ যদি না খায় তাহলে এর ধূলা সে পাবে ।
      কয়েকদিন আগে এক সুদখোরের পাশে বসে সলাত আদায় করেছিলাম। পরে বাসায় এসে নতুন করে আবার গোসল করেছি ও সেই সাথে পাঞ্জাবী-পায়জামাও ধৌত করেছি!
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment

      Working...
      X