Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধেয়ে আসছে হিন্দুত্ববাদে (রামরাজত্বের) আগ্রাসন।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধেয়ে আসছে হিন্দুত্ববাদে (রামরাজত্বের) আগ্রাসন।

    ভারতের মুসলিমরা মহা সংকটে অবস্থান করছে। পুরো ভারত জুড়ে বিশেষত বিহার-উত্তর প্রদেশে রমজান মাসে অনেক গুলো মসজিদে হামলা করা হয়েছে, পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকটি মসজিদ। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বহু মুসলিমকে। যেগুলোর খবর প্রচার ও প্রকাশ উভয়ই সেনসর করে ফেলা হয়েছে। সর্বশেষ দুইজন সাবেক mla-কে অপেনলি লাইভে পুলিশের সামনে গুলি করে মারা হয়েছে। নিঃসন্দেহে বর্তমানে পুরো বিশ্বে ভারতের মুসলিমরাই সবচে বেশি নির্যাতিত। গুজরাট গণহত্যায় মোদীর রোল নিয়ে বিবিসির ডকুমেন্টারি ভারত আগেই ব্যান করেছে, এরপর টুইটারকে এই কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলতে ভারত চাপ দেয়। ইলন মাস্ক নিজেই বলেন, ভারতে নিযুক্ত টুইটার প্রতিনিধিদের জেলে বন্দী করার থ্রেট ছিল বলে তা সরানো হয়।


    বিশ বছর ধরে মুসলিমদের সেকুলার লিবারেল করে গড়ে তোলার জন্য, মধ্যমপন্থার নামে তথাকথিত নরমপন্থা ও কো-এক্সিস্ট - ইন্টারফেইথ আইডিওলোজি মুসলিমদের গিলানো হয়েছে। এতে মুসলিমদের করে দেয়া হয়েছে নরম থেকে নরম, গান্ধী টাইপ। অন্যদিকে কংগ্রেস বিরোধী মোদী হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ তথা চরমপন্থার প্রসার ঘটিয়েছে। রেডিকালাইজ করে ফেলেছে কোটি কোটি হিন্দু যুবকদের। অবস্থা এতটা ভয়াবহ যে নিজেদের অতীত ইতিহাস সব মিটিয়ে সংঘাত ও মুসলিম নিধনের ইতিহাস রচনা করা হয়েছে, ট্রেইনিং দিয়ে লম্পট, অসভ্য, মূর্খ ও অন্ধ হিন্দু তৈরি করা হয়েছে।


    মুসলিমদের সেকুলার পাঠ দাও, আর হিন্দুদের পাঠ দাও চরমপন্থার। তাদের ভাষায় বলা যায়- মুসলিমদের হিজড়া বা খাসি বানানো হয়েছে আর হিন্দু যুবকদের ভুলভাল ইতিহাস চিনিয়ে পুরুষত্ব জাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল না তথাকথিত মুসলিম নামধারী হিন্দু নায়ক ও স্টাররা, এবং তথাকথিত আলেমরা যারা ভারত জাতীয়তাবাদের উপাসনা করত, যাদের পরম পূজনীয় বাপ-দাদারা ব্রিটিশ সৈন্যে চাকরী করা অবস্থায় ইয়াহুদিদের পক্ষ হয়ে ফিলিস্তিন দখল করেছিল, যারা তৎকালীন খেলাফতে উসমানিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ঝান্ডার তলে যুদ্ধ করেছিল। তাদের বংশধররা মুসলিম যুবকদের নরমপন্থার পাঠ দিচ্ছে, আর হিজাবী, বোরকাওয়ালী যুবতীদের পাঠ দিচ্ছে হিন্দু যুবকদের মাধ্যমে প্রেগনেন্ট হতে। (আমি আরো কড়া ভাষায় লিখতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু পারছি না)। এরা ২০ বছর কংগ্রেসের সাথে মিলে মসুলিম যুবকদের দুধ কলা খাইয়ে খাসি বানিয়ে ফেলেছে। তাই এদের কেউ মারতে আসলে, তারা প্রতিরোধ করে না, কান্না কাটি করে, কাপুরুষতার চাদর মুড়ে ধরে। অন্যদিকে যে সকল স্বাধীন চেতা যুবক প্রতিরোধ গড়ে তাদেরকে এরাই বর্জন করে। আল্লাহ এদের বুঝ দিক। আমি মাঝে মাঝে মনে করি এটা আল্লাহর ওয়েকাপ কল, আবার পরে ভাবি না এটা মনে হয় শাস্তিস্বরূপ নতুবা কি করে মুসলিমরা যুবকরা এখনো বলিউড, টিকটক ও আইটেম সং-এ মজে আছে? আল্লাহ ততদিন ঐ জাতির অবস্থা পরিবর্তন করবেন না যতদিন না তারা নিজেরা অবস্থা পরিবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা করে।


    অন্যদিকে আরেকটি দেশের সভ্য, শাহবাগী, লিবারেল, সেকুলার, দুধ কলা খাওয়া মূর্খ-গোলাম মুসলিমরা হিন্দু সংস্থা বিদ্যানন্দে যাকাতের টাকা দিচ্ছে। চরম পর্যায়ের হাস্যকর। আমি অবাক হই এদের আই-কিউ লেভেল দেখে। সংস্কৃতির নামে এদের হিন্দু বানানো হচ্ছে, কো-এক্সিস্ট গিলানো হচ্ছে অন্যদিকে হিন্দু গ্রুপগুলোতে মুসলিম যুবতীদের প্রেগনেন্ট বানানোর পাঠ দেয়া হচ্ছে।


    আমি অনেক এনালিস্ট ও এক্সপার্টদের লেখা পড়েছি, তারা ভারতের হিন্দুত্ববাদের উত্থানকে প্রথমে ভেবেছিল 'কতিপয় বখাটে যুবকরা এতে জড়িয়ে আছে। আর কিছু আবেগে এই সব হচ্ছে। নতুবা এত বিশাল সংখ্যক সাধারণ হিন্দু কেন এভাবে ভিন্ন ধর্মী বিশেষত মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের উপর এটাক করবে।' আসলে সমস্যার গভীরে তারা কখনোই খেয়াল করেননি। হিন্দু ব্রাহ্মণদের মতে, দলিত ও মুসলিম-খ্রিষ্টানরা হল অচ্ছুৎ জাতের। এরা পূর্বের জন্মে খুব খারাপ ছিল, অপরাধী ছিল তাই ঈশ্বর এদের নিচু শ্রেণীতে জন্ম করেছে। এদের কাজ হল ব্রাহ্মণের সেবা করা। যেহেতু এরা পাপী, অপরাধী তাই এদের পিটালেও দোষ নেই। যেভাবে ইচ্ছা মেরে ফেললেও দোষ নেই। এদের নারী ভোগ সর্ব অবস্থায় বৈধ। পিটিয়ে মারার সময় এদের আহাজারীও তাদের কানে লাগে না, কেননা তারা ভেবে নিয়েছে এরা অপরাধী-পাপী, ব্রাহ্মণদের হাতে অপমানিত হওয়াই এদের ভাগ্য এখন। এই রকম আইডিওলজির কারনে এরা মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিক এমনকি নিম্ন বর্ণ দলিত হিন্দুদের মেরে ফেলতেও কোনো চিন্তা করে না। তাদের বিবেকে বাঁধে না।


    দুনিয়ার সবচে অসভ্য যুবক শ্রেণী হল ভারতের হিন্দুত্ববাদী চেতনাধারী হিন্দুরা। এরা বড় হয়েছে আইটেম সং শোনে, এরা নারীদের সম্মান জানে না। অন্য ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কে জানে না। দুনিয়ার সবচে বাজে লিরিক্সের গান শুনে শুনে বড় হওয়ায় যুবকরা তাই মেয়েদের উত্তক্ত করে মজা পায়, মুসলিমদের হত্যা করতে মজা পায়, নিজ পূজা উৎসবে মুসলিম নারীদের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদেরও অপমানিত করে মজা পায়। সব মিলিয়ে মোদীর বিজেপি এদেরকে জম্বীতে রূপান্তর করেছে।

    যাইহোক, এই অবস্থা কি হঠাৎ করে বদলেছে? না কখনোই নয়। যাদের বাসিরাত ছিল তারা পূর্বেই এই সব স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিল। শাইখ ইসরার আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বিস্তারিত প্রেডিকশন করে গিয়েছিলেন। কিন্তু পদলেহনে ব্যস্ত ও ভারত বন্দনায় ব্যস্ত তথাকথিত ভারতীয় আলেমরা এর কিছুই আঁচ করতে পারেনি। আঁচ করতে পারেনি হক্কানি সাধারণ আলেম ও দাঈরাও।

    অবস্থায় ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে সাম্প্রতি দারুল উলুম দেওবন্দের ভাইস চান্সেলর মুফতি আবুল কাসিম নু'মানী হাফিজাহুল্লাহ মুসলিমদের প্রতি বিশেষ নসিহত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'গুনাহ ছেড়ে তাওবা করতে, মৃত্যুকে ভয় না করতে এবং কোনো যালিম যদি তাদের জান ও মালের ক্ষতি করতে আসে তাহলে ছাদের উপর গিয়ে তাকবির না দিয়ে, বরং যুলমের প্রতিরোধ করতে। এই অবস্থায় মারা গেলে তা হবে সম্মানের মৃত্যু, শহীদি মৃত্যু। কাপুরুষের মত নিজের জীবন ও সম্পদকে যালিমের হাতে দিয়ে দেয়া কোনো মু'মিনের কাজ হতে পারে না।'

    (সংগ্রহকৃত)




  • #2
    তাদের সাথে আমাদের সর্বদা আদর্শিক লড়াই লেগেই থাকবে তাই তাদেরকে সর্বদা দমন করে রাখতে হবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      অবস্থায় ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে সাম্প্রতি দারুল উলুম দেওবন্দের ভাইস চান্সেলর মুফতি আবুল কাসিম নু'মানী হাফিজাহুল্লাহ মুসলিমদের প্রতি বিশেষ নসিহত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'গুনাহ ছেড়ে তাওবা করতে, মৃত্যুকে ভয় না করতে এবং কোনো যালিম যদি তাদের জান ও মালের ক্ষতি করতে আসে তাহলে ছাদের উপর গিয়ে তাকবির না দিয়ে, বরং যুলমের প্রতিরোধ করতে। এই অবস্থায় মারা গেলে তা হবে সম্মানের মৃত্যু, শহীদি মৃত্যু। কাপুরুষের মত নিজের জীবন ও সম্পদকে যালিমের হাতে দিয়ে দেয়া কোনো মু'মিনের কাজ হতে পারে না।'



      হিন্দের মূল ভূমির মুসলিমদের মধ্যে জিহাদ করার ও শাহাদাতের তামান্না না আসলে, বাহির থেকে মুজাহিদদের চেষ্টাগুলো বৃথা যাবে...
      জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

      কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

      Comment

      Working...
      X