Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাকিস্তানে শাহাদাত বরণকারী কিছু ওলামায়ে কিরাম (রহিমাহুমুল্লাহ)

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাকিস্তানে শাহাদাত বরণকারী কিছু ওলামায়ে কিরাম (রহিমাহুমুল্লাহ)

    পাকিস্তানে শাহাদাত বরণকারী কিছু ওলামায়ে কিরাম।




    ১. মাওলানা ডক্টর আদিল খাঁন রহিমাহুল্লাহ।
    মুহতামিম জামিয়া ফারুকিয়া করাচি।
    যিনি বর্তমান সময়ে আজমাতে সাহাবার উপর যথেষ্ট কাজ করছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে সুন্নি উলামায়ে কিরাম ঐক্যবদ্ধরূপে আত্মপ্রকাশ করছিলো। ১০ই অক্টোবর ২০২০ সালে করাচির ফয়সাল কলোনিতে অজ্ঞাত কেউ গুলি করে ড্রাইভারসহ তাঁকে শহিদ করে দেন।
    ২. ২০১৮ সালের ২রা নভেম্বর জামিয়া হক্কানিয়া আকুড়া খাটাকের মুহতামিম ও শাইখুল, মাওলানা সামিউল হক হক্কানি রহিমাহুল্লাহকে তাঁর নিজ বাসভবনে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ছুড়িকাঘাতে শহিদ করে দেন।
    ৩. ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জামিয়া বিন্নুরিয়া আলামিয়ার উস্তাদ, মুফতি নাঈম রহ. এর জামাতা মাওলানা মাসউদ বেগকে শহিদ করা হয়।
    ২০১৪ সালের ১৮ই জানুয়ারি সিন্ধের জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের নেতা ও গুলিস্তানে জওহরে অবস্থিত জামিয়াতুল খায়েরের মুহতামিম মুফতি উসমান ইয়ার খান রহিমাহুল্লাহকে করাচিতে শহিদ করা হয়।
    ৪. ২০১৪ সালের এপ্রিলে মুফতি নিজামুদ্দিন শামজায়ি রহ.–এর ভাই ড. আজিজুদ্দীনকে তাঁর পৌত্র ও দুই কর্মচারি সমেত বোমা মেরে শহিদ করে দেওয়া হয়।
    ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের ইফতার প্রধান জিম্মাদার ও উস্তাজুল হাদিস মুফতি আবদুল মাজিদ দীনপুরি এবং মুফতি সালেহ মুহাম্মদকে করাচিতে শহিদ করে দেওয়া হয়। অথচ তখন তিনি মাদরাসায় হাদিসের দরস দেওয়ার জন্য আসতে ছিলেন।
    ৫. ২০১১ সালে মাওলানা ইরশাদুল্লাহ আব্বাসিকে শহিদ করে দেওয়া হয়।
    ৬. ২০১২ সালের ১৩ই মে দায়ি ও আশেকে কুরআন মাওলানা আসলাম শাইখপুরিকে করাচিতে তার ড্রাইভারসহ শহিদ করে দেওয়া হয়।
    ৭. ২০১০ সালের মার্চ মাসে মাওলানা সাঈদ আহমাদ জালালপুরি, তাঁর ছেলে হাফেয মুহাম্মদ হুযায়ফা, খাদেম মাওলানা ফখরুজ্জামানকে ড্রাইভারসহ করাচিতে শহিদ করা হয়। মাওলানা সাঈদ আহমদ জালালপুরি জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার ভাষ্যকর 'মাহনামা বাইয়িনাতের মুদির ও ইন্টারন্যাশনাল মজলিসে খতমে নবুয়াত করাচির আমির ছিলেন। যিনি পুরোটা জীবনই খতমে নবুয়াতের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং মুনকিরিনে নবুয়াতের জম হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শাহাদাতকালে তিনি মসজিদে খাতামুন নাবিয়্যিনের জিকিরের মজলিস থেকে ফিরতে ছিলেন।
    ৮. ২০১০ সালের ৩১ই মার্চ সিপাহে সাহাবা করাচির আমির মাওলানা আবদুল গফুর নাদিমকে তার ছেলে ও সাথীসমেত শহিদ করা হয়।
    ৯. ২০০৯ সালের ১৭ই আগস্ট ততকালীন সিপাহে সাহাবার প্রধান, আল্লামা আলি শের হায়দারি রহিমাহুল্লাহকে খয়েরপুরের নিকটে শহিদ করে দেওয়া হয়।
    ১০. ১০ই জুলাই ২০০৭ সালে মাওলানা আবদুর রশিদ গাজি রহিমাহুল্লাহকে তাগুত প্রশাসন লাল মসজিদ জামিয়া হাফসায় শহিদ করে দেয়।
    ১১. ২০০৫ সালের ২৩ অক্টোবর জামিয়া উলুমিল ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস মুফতি আতিকুর রহমান রহিমাহুল্লাহকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা শহিদ দেয়। যিনি তখন কয়েক বছর অবধি করাচি বিজনেস রোডে অবস্থিত মদিনা মসজিদে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে দরস দিতেন। এবং শাহাদাতকালে তিনি দরস দিয়ে ফিরতে ছিলেন।
    ১২. ২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর মুফতি ইউসুফ লুধিয়ানাভি রহিমাহুল্লাহর খলিফা মাওলানা জামিল খাঁন ও তাঁর সাথী ইন্টারন্যাশনাল মজলিসে খতমে নবুয়াত করাচির মুবাল্লিগ মাওলানা নজির আহমদ তুনসি রহিমাহুমাল্লাহকে শহিদ করা হয়েছিলো। মাওলামা জামিল খাঁন রহিমাহুল্লাহ করাচির ইকরা রওজাতুল উলুমের প্রতিষ্ঠাতা, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের সুনামধন্য উস্তাজ, রোজনামা জং–এর ইসলামি পাতা 'ইকরা'–এর ইনচার্জ ও ইন্টারন্যাশনাল মজলিসে খতমে নবুয়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নায়েবে আমির ছিলেন।
    ১৩. ২০০৪ সালের ৩০ই মে জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের শাইখুল হাদিস মুফতি নিজামুদ্দিন শামযায়ি রহিমাহুল্লাহকে ঘর থেকে জামিয়ায় যাওয়ার পথে করাচির রাস্তায় শহিদ করে দেওয়া হয়। যিনি উলুমুল হাদিস শাস্ত্রে কিংবদন্তি ছিলেন এবং প্রায় বিশ বছর জামিয়া ফারুকিয়ার হাদিসের উস্তাজ ছিলেন। যিনি তার জীবনের ৪৮ বছর ইফতা ও ফতোয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং শাহাদাতকালেও বিন্নুরি টাউনের ইফতা বিভাগের জিম্মাদার ছিলেন।
    ১৪. ২০০৩ সালের ৪ অক্টোবর সিপাহে সাহাবার তখনকার প্রধান, জাবালে ইস্তিকামাত মাওলানা আজম তারিক রহিমাহুল্লাহকে ইসলামাবাদের রাস্তায় শহিদ করে দেওয়া হয়। যখন ৪০ টি গুলি তাঁর শরিরে লেগেছিল।
    ১৫. ২০০২ সালের ১৮ই মে জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের উস্তাজুল হাদিস ও ইন্টারন্যাশনাল তাহাফফুজে খতমে নবুয়াতের নায়েবে আমির আল্লামা ইউসুফ লুধিয়ানভি রহিমাহুল্লাহকে সকাল ১০ টায় খতমে নবুয়াতের মারকাযে যাওয়ার মুহূর্তে শহিদ করে দেওয়া হয়েছিলো। যিনি ফিরাকে বাতিলার মুখোশ উন্মোচনে এক নতুন দিগান্তের দিশারি হয়েছিলেন এবং উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে কলমি সৈনিকরূপে শতাধিক কিতাব লিপিবদ্ধ করেছিলেন। রোজনামা জং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং সেটায় সাধারণ মুসলমানদের জিজ্ঞাসার জবাব 'আপ কে সওয়াল আওয়ার উন কে হাল' নিয়মিত প্রকাশ করছিলেন। যা পরবর্তীতে কিতাব আকারে প্রকাশ পায়।
    ১৬. ১৯৯৮ সালে লাল মসজিদের প্রথম খতিব মাওলানা আবদুল্লাহকে শহিদ করে দেওয়া হয়েছিলো।
    ১৯৯৭ সালের ৩রা নভেম্বর জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউনের মুহতামিম মাওলানা হাবিবুল্লাহ মুখতার ও নাজেম মুফতি আবদুস সামিকে করাচির চলন্ত রাস্তায় লোকজনের সামনে ড্রাইভারসহ শহিদ করা হয়েছিল।
    ১৭. ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে মাওলানা আনিসুর রহমান দরখাস্তি রহিমাহুল্লাহকে করাচিতে গুলি করে শহিদ করা হয়েছিল। যিনি ছিলেন হাফিজুল হাদিদ মাওলানা আবদুল্লাহ দরখাস্তি রহিমাহুল্লাহর নাতি এবং নর্থ করাচি আদম টাউনে অবস্থিত জামিয়া আনওয়ারুল কুরআনের মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস।
    ১৮. ১৯৯৭ সালের ১৮ই জানুয়ারি ততকালীন সিপাহে সাহাবার প্রধান, খতিবুল উম্মাহ, মুয়াররিখে ইসলাম মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকি রহিমাহুল্লাহকে লাহর সেসন কোর্ট চত্বরে বোমা মেরে শহিদ করা হয়েছিল।
    ১৯. ১৯৯৩ সালের ১৫ই জুন হক নাওয়াজ শহিদ মসজিদের নায়েবে খতিব ও সিপাহে সাহাবা জং-এর সভাপতি মাওলানা মুখতার আহমদ সিয়াল রহিমাহুল্লাহকে তার বাড়ির সামনে শহিদ করা হয়েছিল।
    ২০. ১৯৯১ সালের ১০ ই জানুয়ারি জং– এর এমপি, সিপাহে সাহাবার নায়েবে সদর মাওলানা ইসারুল হক কাসেমিকে শহিদ করা হয়েছিল।
    ২১. ১৯৯১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মাওলানা সাইয়্যেদ সাদিক হুসাইন শাহ, মাওলানা রশিদ আহমদ, কারি হুযায়ফা,হাবিবুর রহমান ও হাজি আজিজুর রহমানকে জং-এ শহিদ করা হয়েছিল।
    ২২. ১৯৯০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সিপাহে সাহাবার প্রতিষ্ঠা, আশিকে সাহাবা মাওলানা হক নেওয়াজ জাংভি রহিমাহুল্লাহকে ঘরের দরজায় শহিদ করা হয়েছিল।
    বি.দ্র. এটা একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা। আপনাদের আরো জানা থাকলে কমেন্টে জানানোর অনুরোধ রইলো। ইন শা আল্লাহ পরবর্তীতে এ্যাড করে নিব।

    Collected
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.
Working...
X