Announcement

Collapse
No announcement yet.

স্বর্ণযুগের উত্থান ও পরিসমাপ্তি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • স্বর্ণযুগের উত্থান ও পরিসমাপ্তি


    আশির দশকে আফগানে সোভিয়েতের বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু হবার পরে সারা বিশ্বে জিহাদের ডাক পৌঁছে যায়। বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম যুবকরা আফগানের দিকে মাইগ্রেশন শুরু করে। দশ বছরের জিহাদে শুধু আরব থেকেই ৩০ হাজারের মতো মুসলিম নওজোয়ান আফগান জিহাদে যোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার এর মত।

    বাইতুল মোকাররমের সামনে বসে ডাকা হতো, জিহাদে কে যাবেন! লিস্ট করা হতো। তারপর তাদেরকে এদেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আফগানে প্রেরণ করা হতো। সরকারের কোনো মাথাব্যথা ছিলো না।

    আফগান জিহাদের এক মুজাহিদ প্রধান গুলবুদ্দীন হিকমাতইয়ার বাংলাদেশে আসলেন। ইসলামী ঘরানার ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট এরশাদকে একটি রিভলবার উপহার দিয়ে গেলেন।

    একটা পর্যায়ে আফগান বিজয় হলো। এদেশে বিভিন্ন দেশের মুজাহিদীন তাদের স্ব স্ব ভূখণ্ডে ফিরে গেলেন। এদেশের মুজাহিদরাও ফিরে আসলেন। তাদের কেউ ঘর সংসার করায় মন দিলেন। কেউ আবার চিন্তা করলেন এদেশে কিভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায়।

    সেই থেকে শুরু হলো এদেশে জি-হাদের যাত্রা। হারাকাত আল জিহাদ আগে থেকেই ছিলো নতুন প্রতিষ্ঠা হলো জা-মাআতুল মুজাহিদীন।
    ________________
    সর্বহারা পার্টি নামক এই কমিউনিস্ট সন্ত্রাসীদের যন্ত্রণায় উত্তরবঙ্গের লোকেরা আতংকে দিন যাপন করতো।

    চাঁদাবাজি, হত্যা, গুম, খুন সব তাদের কাছে ছিলো নিত্যদিনের ব্যাপার। প্রশাসন ছিলো এই অস্ত্রধারীদের সামনে অকেজো। প্রশাসনকে কোনো কেয়ারই করেনি তারা।

    জামাআতুল মুজাহিদীন প্রতিষ্ঠার পরপরই উত্তরবঙ্গে নাস্তিক সর্বহারা পার্টির দিকে নজর দেয় এবং তাদেরকে গুম ও হত্যা শুরু করে। মানুষের সামনে থেকে এই সর্বহারা পার্টির বিলুপ্তি ঘটতে থাকে।

    যার ফলে দেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলটাতে এই জামাআহ্ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ওলামায়ে কেরাম এই জামাতকে ব্যাপক সমর্থন করেন।

    পাশাপাশি তারা তাদের প্রতিনিধি দল পাঠায় দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের দরবারে। বিশেষ করে ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবার পর তাদের চালানো ক্যাম্পেইন তাদের জন্য এই ভূমির দরজা খুলে দেয়।

    ব্যাপক জনসমর্থন থাকার কারণে প্রশাসন তাদেরকে এড়িয়ে যায়। এমনও হয়েছে যে ডিসি অফিসের সামনে তাদের প্রতিনিধি বক্তব্য দিয়েছেন।

    সাংবাদিকরা অপেনলি তাদের আব্দুর রহমান(রহ) এর সাক্ষাতকার নিয়েছে।
    জামাআতুল মুজাহিদীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে। এটা ছিলো এক দুর্দিন, এমন এক সময় যখন দেশব্যাপী মুসলিমদের উপর আওয়ামী লীগ ব্যাপক স্টিম রোলার চালাচ্ছে।

    ৯৬ সালে হাসিনা পট্টি মাথায় ও তসবি হাতে নিয়ে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ক্ষমতায় যায়। গিয়েই চোখ পাল্টিয়ে ফেলে। তাদের ইসলামবিদ্বেষ এতটাই উপরে উঠেছিলো যে মু'জি'বকে তারা আল্লাহর সাথে তুলনা করার ধৃষ্টতা দেখায়। ২০০১ সালে দেশব্যাপী ২৬ হাজার উলামা-তোলাবাকে গ্রেফতার করে।

    শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক(রহ)কে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে গিয়েছিলো, এক মাস উযূ গোসলের পানি দেয়নি।
    ফলে তারা ২০০১ সালের নির্বাচনে মাত্র ৪ টি আসন পায় সারা দেশে। এমনকি তার নিজের এলাকার লোকেরাও ভোট দেয়নি।
    জানা যায় ওই সময়ে গোপালগঞ্জের লোকেরা নিজেদেরকে হাসিনার পরিচয়ে পরিচয় দেয়ার পরিবর্তে জামাতুল মুজাহিদীন এর নেতৃবৃন্দের পরিচয়ে পরিচয় দিতো।

    মুজাহিদদের এই উত্থানে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শরীয়াহ বিচ্ছিন্ন এই ভূখণ্ড যেনো নতুন এক শরীয়াহ চালিত হুকুমতের ঘ্রাণ পাচ্ছিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা ছিলো ভিন্ন।
    _________

    বিভিন্ন অপারেশনে সাউন্ড ব্লাস্ট এর ব্যবহার, বোম্বিং প্রভৃতির কারণে এই জামআতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেটা করুক, কিন্তু ব্যাপক জনসমর্থনপ্রাপ্ত ও উলামায়ে কেরাম কর্তৃক সাপোর্টেড একটা জামাআতের নেতৃবৃন্দের পক্ষে সম্ভব ছিলো ধৈর্য সহকারে নতুন কৌশল খাটানো। যে কৌশল খাটিয়েছিলেন হাজী শরীয়তুল্লাহ(রহ)।

    কিন্তু এই সময়টাতে জামাআতের নেতৃবৃন্দ এক কৌশলগত ভুল করে বসেন। আর এটাই ছিলো সেই ভুল যা এদেশের মাটিকে মুজাহিদদের জন্য একেবারে সংকীর্ণ করে ফেলে। তারা সিদ্ধান্ত নেন স'রকারকে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাতে সারা দেশে সাউন্ড ব্লাস্ট এর আয়োজন করবেন।

    তারা সারা দেশে সর্বাত্মক সাউন্ড ব্লাস্ট এর আয়োজন করেন এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেন। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হয়।
    মিডিয়া এটাকে ব্যাপকভাবে বোম্বিং হিসেবে প্রচার করে। সারা বিশ্বে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে থেকে চাপ আসতে থাকে।
    ৫০০ বোমা হামলায় তেমন হতাহত হয়নি। কারণ বোমাতে তারা কোনো শার্পনেল ব্যবহার করেনি। Sharpnel হলো ওইসব ধাতব টুকরা যা বিস্ফোরণের সাথে ছুটে গিয়ে হতাহতের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
    কিন্তু বোমা হামলা তো বোমা হামলাই, সেটা পটকা নাকি আতশ... দেখার অপেক্ষা কেউ করবে না।

    সরকার তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। আর্মি নেমে পড়ে তাদের বিরুদ্ধে। সরকার ওই সময়ে কুখ্যাত র‍্যাব তৈরি করে। এদেশের ইতিহাসে মুজাহিদদের জন্য নেমে এক মুসিবতের অধ্যায়। শতশত মুজাহিদদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তাদের ফ্যামিলিকে।

    তাদের নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলায় ত্বা-গুত বাহিনী।
    উলামায়ে কেরাম এই জামাআতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান। রোদে পুড়ে আন্দোলন করে জানিয়ে দেন তারা জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন না।
    আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বই লেখেন 'ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ'। রাতারাতি এদেশে জামাআতুল মুজাহিদিনের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
    _____________
    যদিও জামাআতুল মুজাহিদিনের নেতৃবৃন্দের কৌশলগত ভুলকে এই ক্র্যাকডাউন এর জন্য দায়ী করা হয় তারপরও এই ঘটনা ছিলো বাংলাদেশের জিহাদের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা।
    এর পরেই এদেশে গ্লোবাল জিহাদের দরজা খুলে যায় এবং মুজাহিদীন নতুন কৌশলে নিজেদের যুদ্ধকৌশল প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

    মুজাহিদীন বুঝতে পারেন এই ভুখন্ডে শরীয়াহ কায়েম একটা দীর্ঘ ধৈর্য, কোরবানীর দাবি। শুধুমাত্র একটি কৌশলগত ভুলের কারণে মুজাহিদদের এমন কিছু ফেইস করা লাগতে পারে যা তাদের হিসাবের মধ্যে ছিলো না।

    তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো এই ঘটনা জিহাদের বন্ধু ও শত্রুদের সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয় যা এর আগে সম্পূর্ণ অস্পষ্ট ছিলো। আর জি-হাদের বন্ধু ও শত্রু(Friends and Foe) সঠিকভাবে না চিহ্নিত করতে পারার কারণে অতীতে বহু জিহাদী জামাআত বিলুপ্ত হয়ে গেছে।



    (collected)
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-24-2023, 10:17 AM.

  • #2
    আল্লাহ্‌ তায়ালা সকল মুজাহিদদের ত্যাগ, কুরবানীগুলো কবুল করুন। আমীন
    এখন আমাদের জন্য জরুরি হচ্ছে- গ্লোবাল জিহাদের আমীর-উমারা’র দিকনির্দেশনা ভালোভাবে মেনে চলা ও স্ট্যাটেজি অনুযায়ী কাজ সামনে আগানো ইনশা আল্লাহ।
    আল্লাহ্‌ তায়ালা এই ভূমিকে শরীয়ার ভূমিতে পরিণত করে দিন। আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      মুজাহিদীন বুঝতে পারেন এই ভুখন্ডে শরীয়াহ কায়েম একটা দীর্ঘ ধৈর্য, কোরবানীর দাবি। শুধুমাত্র একটি কৌশলগত ভুলের কারণে মুজাহিদদের এমন কিছু ফেইস করা লাগতে পারে যা তাদের হিসাবের মধ্যে ছিলো না।

      Comment


      • #4
        এই বিষয়টি এখন ইতিহাসের অংশ।
        আর ইতিহাসের দাবী হল, এর থেকে শিক্ষা নেয়া। আমরা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হই, তবে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আমাদের মাঝে বারবারই হতে থাকবে।
        এই জন্য গ্লোবাল জিহাদের শাইখদের স্ট্যাটেজিগুলোতে আস্থা রাখাই আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে ইনশা আল্লাহ্‌। কারণ, সেগুলো অনেক ইতিহাস, চিন্তা, জ্ঞান, হিকমাহ সম্বলিত।
        আল্লাহ আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
        জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

        কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

        Comment


        • #5
          তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইসলামি শরীয়াহ্ দাবি করে প্রত্যাখিত হয়েও আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অনুগ্রহে আজও টিকে আছে। তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি এবং তাদের দাবি থেকেও সরে আসেনি। বরং ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সামনে বাড়ছেন, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তুু, সেদিন তাদের অপদস্তকারী সেক্যুলার, ইসলামি গণতান্ত্রিক জামাতগুলোর অবস্থা কি? তারা গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সেবক হওয়া সত্ত্বেও কি পশ্চিমাদের কোন অনুগ্রহ পেল, নাকি বিশ্বে এতগুলো মুসলিম দেশে ইসলাম নামধারী দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তাদের কোন সাহায্যে আসলো? পিটার হাস সামনের নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তার বাসায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক করেছে, কোন ইসলামি দলকে সেখানে আহ্বান করেনি যদিও বৃহৎ ইসলামি গণতান্ত্রিক দলগুলো বিগত চৌদ্দ বছরে গণতান্ত্রের জন্য নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন!
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-28-2023, 02:24 PM.

          Comment


          • #6
            তখনকার ভাইয়েরা খুব ডেয়ারিং ছিল। আমাদের বর্তমান জেনারেশনের মত নই যে সারা রাত মোবাইল টিপে, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে ঘুরে। অনেক জিহাদপ্রেমী ভাইয়ের অবস্থাও এমন। তখনকার যুবকদের একটা হিট ছিল। এখনকার যুবকদের এই যোগ্যতাই নেই ঘরের হাট বাজার কিভাবে করতে হয়। জিহাদ কি করবে? শুধুমাত্র গুটিকয়েক মুজাহিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল ফলভোগ করছি আমরা সবাই।
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-30-2023, 01:52 PM.
            হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

            Comment


            • #7
              মুমিনরা একই গর্তে বারবার পড়ে না ।
              আমরা যেন ঘটে যাওয়া এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নেই এবং সামনে এধরনের পরিস্থিতির সামনে না পড়তে হয় তার ব্যাপারে যথাসাধ্য ফিকির করি ইনশাআল্লাহ। মুজাহিদ শাইখদের দিকনির্দেশনাগুলোকে আমলের ক্ষেত্রে যেন কোন গাফিলতি না করি।

              আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন

              Comment


              • #8
                Originally posted by Ibn Daud View Post
                তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইসলামি শরীয়াহ্ দাবি করে প্রত্যাখিত হয়েও আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অনুগ্রহে আজও টিকে আছে। তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়নি এবং তাদের দাবি থেকেও সরে আসেনি। বরং ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে সামনে বাড়ছেন, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তুু, সেদিন তাদের অপদস্তকারী সেক্যুলার, ইসলামি গণতান্ত্রিক জামাতগুলোর অবস্থা কি? তারা গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সেবক হওয়া সত্ত্বেও কি পশ্চিমাদের কোন অনুগ্রহ পেল, নাকি বিশ্বে এতগুলো মুসলিম দেশে ইসলাম নামধারী দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তাদের কোন সাহায্যে আসলো? পিটার হাস সামনের নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে তার বাসায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক করেছে, কোন ইসলামি দলকে সেখানে আহ্বান করেনি যদিও বৃহৎ ইসলামি গণতান্ত্রিক দলগুলো বিগত চৌদ্দ বছরে গণতান্ত্রের জন্য নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছেন!
                Abdul Khalek vai, appropriate true. গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামি শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা, এটা অত্যন্ত বিপদজনক চিন্তাধারা , এটি শুধু পদ্ধতিগত ভুল নয় বরং প্রক্রিয়াগত অত্যন্ত বিষাক্ত |

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ আমাদের ভূমি বাংলাদেশকেও ইসলামের জন্য কবুল করুন আমিন

                  Comment


                  • #10
                    সত্যিই। ভাবতেই অবাক লাগে এ জন্মভূমির মাটিও জিহাদের ঘাঁটি ছিল। মুজাহিদদের সমর্থন মুসলিমের ঘরে ঘরে ছিল৷ এ ইতিহাস জানা ছিলনা ইতিপূর্বে। Omar Abdur Rahman ভাইকে অনেক অনেক জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা এ ইতিহাস জানিয়ে ও স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।

                    আর ভাবতে এটাও অবাক লগে, এ মাটিরই কিছু আলিম এ মাটিতে স্বশস্ত্র জিহাদকে অসম্ভব বলে এবং মুজাহিদদের তাচ্ছিল্য করে। আর উম্মাহকে ভেলকি দিয়ে গনতন্ত্রের পঁচা গোবরকে বরকতময় জিহাদের সমান বানিয়ে দেয়।

                    ভাবতেই অবাক লাগে, বহু সেক্যু দেশ দরদীরা যারা দেশের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে নিজেকে চূড়ান্ত সত্যবাদী দাবী করে ; অথচ এই মহান পার্ট উপস্থাপনের কোন প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেনা।

                    ভাবতেই অবাক লাগে, এ উম্মাহ ত্বাগুত ও জালিমের প্রচারণায় তাদের আদর্শ ও দ্বীনকে বিসর্জন দিয়ে দিলো। আ---হ! আলিমরাও?!! :'(

                    বরং বুকটাকে চিরে টুকরো টুকরো করে দেয় আলিমদের প্রতিবাদও বিরুধীতা গুলো। হায় আফসোস!
                    ​​​​​জিহাদকে দমন করার জন্য তৈরী "RAB" এর নিকট আলিমরাই মুজাহিদদের বিরুদ্ধে নালিশ করে।

                    ​​​​​কৌশলগত ভুলকে যদি আলিমগন বুঝতে না পারেন, তবে উম্মাহর কি দশা হবে তা সহজেই অনুমেয়।

                    যাই হোক!, ইতিহাসের এ অধ্যায় সত্যিই জীহাদের বন্ধু ও দুশমনকে চিনিয়ে দিয়েছে। উম্মাহর উচিত এ শিক্ষা সর্বোচ্চ লালন করা।

                    আল্লাহ তা'আলা এ মাটিকে আবারও বরকতময় করুক আমিন! আমাদেরকে গ্লোবাল জিহাদের জন্য এ ভুমিকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন আমিন!

                    গত হওয়া এ মাটির মুজাহিদদেরকে মাফ করে দাও হে রব্বী! তাঁদের ভুল গুলো ক্ষমা করে দাও! তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের নসীব করো! আমিন!

                    হে আল্লাহ! আমাদেরকে সাহায্য করো! আমিন!
                    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                    Comment


                    • #11
                      মূল বক্তব্য এবং বার্তা ঠিক আছে। তবে দুই/একটি তথ্যে সামান্য ফাঁকফোকর রয়েছে। জামাতুল মুজাহিদীনের সাথে মুনসালেক ভাইরা বিশেষ চিন্তাধারার ধারক হওয়ার কারনে এবং হরকতের সাথে জিহাদি নযরিয়ার সকল উলামার সমর্থন থাকার কারনে উক্ত সংগঠনটি উলামার ব্যাপক সমর্থন হাসিল করতে পারেনি। তাছাড়া শায়েখ আব্দুর রহমান হরকত থেকে প্রৃথক হয়ে তার উক্ত সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরে তার প্রতি আম মুজাহিদীনের তেমন সমর্থন ছিলো না। যদিও তিনি হরকতের শুরার বিশেষ বিশেষ সদস্যের সাথে স্বতন্ত্র ভাবে এবং বড় বড় উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন। এবং ৬৩ জেলায় একযোগে ঐ হামলার আগে বেশ কিছু বৈঠকের পরে হরকতের দুই/তিনটা ফ্যাকশনের সাথে জোট গঠন করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি তার সমর্থক বাংলা ভাইয়ের গ্রুপের সাথে মিলে সেই হামলা পরিচালনা করেন। কিছু ভাইকে সেই সময় আল্লাহ তাআলা বিচক্ষনতা প্রদান করেছিলেন, যার কারনে তারা মুজাহিদীন নেতৃত্বকে মাশওয়ারার মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তাদের সাথে এলাইনস করে এই ধরণের কাজে বা সরাসরি বিদ্রোহে অংশ নেয়াটা অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে।

                      Comment


                      • #12
                        আলহামদুলিল্লাহ, ভাই খুব ভালো লিখেছেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের আলেমদের মধ্যে বেশি সংখ্যক আজ জিহাদের বিরোধীতা করে। কাউকে একটু তাদের আদর্শের উল্টো পেলে , চরমোনাইয়ের বই ধরিয়ে নানান সবক দেয়। তাদের প্রতি করনিয় কি?


                        [উলামায়ে কেরাম আসলে জিহাদের বিরোধিতা করেন না, তবে অনেক সময় মুজাহিদদের বিভিন্ন কাজের বিরোধিতা/সমালোচনা করেন। তবে সেটাও উনাদের দৃষ্টিতে দ্বীনের খাতিরেই করেন। যদিও বাস্তবতা অনেক সময়ই ভিন্ন হয়। কারণ, ময়দানের হালাত মুজাহিদরা ভালো জানেন।

                        আর চরমোনাই মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত একটি জামাত। সে হিসেবে তাদের প্রতি কল্যাণকামী হওয়া উচিত আমাদের। তাদের দ্বারা যদি কখনো ভুল হয়, তাহলে সেগুলো আদব ও সম্মানের সাথে উপস্থাপন করা উচিত। যাতে সংশোধনের ও কল্যাণকামিতার পথ সুগম হয়। আল্লাহু আলাম- মডারেটর]

                        Last edited by Rakibul Hassan; 05-31-2023, 09:42 PM.
                        “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Talib Khan View Post
                          মূল বক্তব্য এবং বার্তা ঠিক আছে। তবে দুই/একটি তথ্যে সামান্য ফাঁকফোকর রয়েছে। জামাতুল মুজাহিদীনের সাথে মুনসালেক ভাইরা বিশেষ চিন্তাধারার ধারক হওয়ার কারনে এবং হরকতের সাথে জিহাদি নযরিয়ার সকল উলামার সমর্থন থাকার কারনে উক্ত সংগঠনটি উলামার ব্যাপক সমর্থন হাসিল করতে পারেনি। তাছাড়া শায়েখ আব্দুর রহমান হরকত থেকে প্রৃথক হয়ে তার উক্ত সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরে তার প্রতি আম মুজাহিদীনের তেমন সমর্থন ছিলো না। যদিও তিনি হরকতের শুরার বিশেষ বিশেষ সদস্যের সাথে স্বতন্ত্র ভাবে এবং বড় বড় উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন। এবং ৬৩ জেলায় একযোগে ঐ হামলার আগে বেশ কিছু বৈঠকের পরে হরকতের দুই/তিনটা ফ্যাকশনের সাথে জোট গঠন করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি তার সমর্থক বাংলা ভাইয়ের গ্রুপের সাথে মিলে সেই হামলা পরিচালনা করেন। কিছু ভাইকে সেই সময় আল্লাহ তাআলা বিচক্ষনতা প্রদান করেছিলেন, যার কারনে তারা মুজাহিদীন নেতৃত্বকে মাশওয়ারার মাধ্যমে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তাদের সাথে এলাইনস করে এই ধরণের কাজে বা সরাসরি বিদ্রোহে অংশ নেয়াটা অস্তিত্ব সংকট তৈরি করবে।
                          ইতিহাস গুলো জানা থাকা প্রয়োজন, যাতে একই গর্তে বারবার পতিত না হওয়া লাগে। তাই নিরপেক্ষ ভাবে এবং আরেকটু বিস্তারিত জানতে চাই।
                          জাযাকাল্লাহ খাইর

                          Comment

                          Working...
                          X