Announcement

Collapse
No announcement yet.

মার্কিন আর্মিতে গত ৪৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত সৈনিক নিয়োগে ঘাটতি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মার্কিন আর্মিতে গত ৪৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত সৈনিক নিয়োগে ঘাটতি

    কয়েক সপ্তাহ আগে একটা খবরে বেশ বড়সড় আলোড়ন তৈরী হয়।

    মার্কিন আর্মিতে গত ৪৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত সৈনিক নিয়োগে ঘাটতি দেখা দেয়। এবং তা মোটেও ছোটখাটো পরিমাণে না, সংবাদ হবার মত বড়। যেমন, পদাতিকে ৬৫,০০০ সৈনিক নিয়োগ দেবার কথা থাকলেও মাত্র ৫০,০০০ ফিট পাওয়া যায়, অর্থাৎ ২৫% ঘাটতি। একইভাবে, নেভিতে ২৬%, এয়ারফোর্সে ১১% ঘাটতি। সোজা বাংলায়, ইউএস আর্মিতে যোগ দেওয়ার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

    এদের মধ্যে ৭৭%ই বাদ পড়েছে ফিটনেস না থাকার কারণে। ভর্তি এক সৈনিক জানান, তাদের ১৩ জনের মধ্যে মাত্র দুইজন টানা ১ মাইল দৌড় শেষ করতে পেরেছে।

    অবস্থা এতটাই খারাপ, যে লোক না পাওয়ায় গত এপ্রিল মাসে মার্কিন এয়ার ফোর্সের ফিটনেস রিকোয়ারমেন্ট কমিয়ে এনেছে। আগে যেখানে ২০% বডি ফ্যাট অ্যালাউ করা হতো সেখানে ২৬% পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে, সহজ ভাষায় বলতে, মোটা মানুষ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

    কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে? যে মার্কিন আর্মি আগে সৈনিকের সংখ্যার ভিত্তিতে ১ নম্বরে ছিল, এই জোরে পুরো দুনিয়ায় দাদাগিরি করেছে, তারা কেন ভারতেরও নিচে চলে গেলো আর নিজের দেশেই কেন যুদ্ধ করার মত লোক পাচ্ছে না? আর এর জন্য কেন লিবারেলিজম-ফেমিনিজম দায়ী?
    চলুন দেখা যাক।

    ১।
    একের পর এক যুদ্ধে হেরে তাদের জনগণ ইউএস আর্মিকে মোটেও আর হিরোর চোখে দেখে না। গত বছরের জরিপ বলছে, নতুন প্রজন্মের মাত্র ৯% আর্মিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক, এক জেনারেশন আগেও যা ছিলো ৫৪%।
    সর্বশেষ আফগানে গো-হারা হেরে ৮৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে তারা (বাংলাদেশের এবারের বাজেট ৭১ বিলিয়ন)। ইভেন শেষ মুহুর্তে কাবুল এয়ারপোর্টে নিহত হওয়া ১৩ মার্কিন সৈন্যের প্রতিশোধ তারা এখনো নিতে পারেনি। এসব ঘটনা আর্মির ইমেজ একদম ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।

    ২।
    একইসাথে সমাজের সব পর্যায়ে ফেমিনিজম আর সমকামীতা ঢোকাতে গিয়ে বাদ যায়নি আর্মিও। ২০১১ সালের আগে আর্মিতে নিজে গে পরিচয় দেয়া নিষেধ ছিলো।

    যারা আর্মির ব্যাপারে জানেন, এটা নিশ্চয় ধারণা রাখেন সেখানে কিরকম মাত্রাছাড়া কঠোর ব্যবহার, গালিগালাজ আর অপমান করা হয়। অথচ, মার্কিন আর্মিতে ২০১৮ সালে আইন করে ট্রান্সজেন্ডার জোকসহ বেশকিছু কঠোর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ড্রিল সার্জেন্টের কোর্ট-মার্শাল কিংবা চাকরিও হারাতে হতে পারে। ইভেন অতিরিক্ত কঠোর মনে হওয়ায় কিছু পরিভাষাও তারা চেঞ্জ করে। যেমন, মানসিক স্থিতিশীলতার পরীক্ষা 'শার্ক অ্যাটাক' যেখানে সৈনিককে একের পর এক কঠোর আদেশ দিয়ে হতবিহবল করে ফেলা হয়। এই টার্ম তারা চেঞ্জ করে কিছু দুর্বল এক্সারসাইজ এনেছে। (যেন শত্রুরা এসব আজগুবি জিনিস দেখে খুব কোমল আচরণ করবে!)

    ২০১৭ সালে প্রথম ট্রান্স সৈনিকদের প্রকাশ্যে আসার অনুমতি দেয়। ইভেন কেউ ট্রান্স হতে চাইলে সে টাকার ব্যবস্থাও করবে আর্মি। গত বছর ইউএস আর্মি ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছে কেবল ট্রান্স সৈনিকদের 'মানসিক' স্বাস্থ্যের পিছনে।
    এবং ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রথমবারের মত একজন পুরু*ষাঙ্গ কেটে নারী হওয়া ট্রান্স ফোর স্টার জেনারেল হয়।

    সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের মে মাসে। এই মাসের ১৩ তারিখে মার্কিন আর্মি একটা বিজ্ঞাপন প্রচার করে, যেটা নিয়ে এখনো পুরো দুনিয়ায় হাসাহাসি হয়। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় একজন নারী সৈনিক, যে দুইজন লেসবিয়ানের কাছে বড় হয়েছে, সে কিভাবে মার্কিন আর্মির আইকন হয়ে দাড়ায়। এই অ্যাড মার্কিন ডানপন্থিদের মারাত্মক খেপিয়ে দেয়।

    উল্লেখ্য, মার্কিন আর্মির বড় একটা অংশ ডানপন্থি পরিবারগুলো থেকে আসে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, ইউএস আর্মির ৮০% সৈনিকের ফ্যামিলিতে কেউ না কেউ সৈনিক ছিল।

    আপনি ইউটিউবে 'Emmy Recruitment Ad' লিখে সার্চ দিয়ে কেবল ভিডিওর কমেন্টগুলো পড়বেন, সাধারণ আমেরিকানরা যে কিরকম আপসেট। যেমন, "ছয়ফুটি রাশিয়ানের সামনে পিচ্চি লেসবিয়ান - কে জিতবে?"
    এই বিজ্ঞাপন মার্কিন সমাজ তো বটেই, খোদ আর্মিতেও যে আত্নবিধ্বংসি কার্যকলাপ চলছে তা ভালোভাবে স্পষ্ট করে।

    ৩।
    করোনার মধ্যে আর্মিতে ভ্যাক্সিন বাধ্যতামুলক করা হয়। কিন্তু ডানপন্থিদের একটা বড় অংশ এটা নিতে চায়নি। ফলে প্রায় ২২,০০০ সৈনিককে ডিসচার্জ করা হয়, ৯,০০০ সৈনিকের চাকরিই চলে যায়।

    ৪।
    অবসরে যাওয়া সৈনিকদের বাজেভাবে ট্রিট করার ব্যপারে আমেরিকার বেশ কুখ্যাতি আছে।
    যুদ্ধ থেকে ফেরার পর সৈনিকদের নিজস্ব সংগঠন ছাড়া সরকার তেমন খোজ নেয়না। এছাড়া আপনি যতই আহত বা পঙ্গু হন না কেন, নির্দিষ্ট কিছু রোগ ছাড়া অন্য কিছুর জন্য আপনাকে সাহায্য করবে না।

    আর্মিতে যাওয়া কমপক্ষে ৭০% সৈনিকের গার্লফ্রেন্ড/স্ত্রী চিট করে (পরকীয়া) , ৩০% এর ডিভোর্স হয়ে যায়। প্রায় ৫০% সৈনিক হোমলেস অর্থাৎ গৃহহীন হয়ে যায়, মানে পথে বসে যায়।

    অর্থাৎ, আপনি কিছু দরিদ্র-নির্দোষ মুসলমান মেরে ঘরে ফিরে দেখলেন আপনার ঘরবাড়ি, সংসার, টাকা কিছুই নেই। যাদের জন্য লড়লেন তারা চার পয়সা দাম দেয় না, সাথে হয়ত আপনার একটা ইঞ্জুরি আছে। আর PTSD তো ফ্রিতেই পাবেন।
    যুদ্ধ থেকে ফেরার পর PTSD তে আক্রান্ত হয়। ইউটিউবে PTSD লিখে সার্চ দিলে বুঝতে পারবেন কত ভয়ংকর এই মানসিক সমস্যা।
    এই মরণফাঁদে কে পা দিতে চায়?

    ৫।
    ২০১৩ সালের আগে নারী সৈনিকদের অ্যাক্টিভ যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হত না। ২০১৩ সালে এটা প্রথম চালু হয়। কাকতালীয়ভাবে, ২০১৩ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন আর্মি কোনো মেজর কমব্যাট ভিক্টরি পায়নি!

    একইসাথে আর্মির মধ্যে সে*ক্সুয়াল অ্যা*সল্টের ঘটনা বেড়ে যায় ১০০ গুণ!
    (মানে এরা কী ভেবেছিল আসলে? মেয়েরা পুরুষ সেনাদের সাথে বিদেশে একই ব্যারাকে থাকবে, এক রুমে ঘুমোবে, একই টয়লেট ইউজ করবে আর এরকম কিছু ঘটবে না? )

    আমেরিকাসহ পুরো পশ্চিমে এখন ছেলেদের তথা মাস্কুলিনিটির বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পুরুষালি যেকোনো কিছুকে অপমান করা হচ্ছে প্রতিদিন। মিডিয়া, সরকার আর স্কুল-কলেজগুলো প্রতিনিয়ত ছেলেদের একঘরে করে চলেছে। পুরুষ হওয়া যেন অপরাধ। এমন ঘটনাও আছে, ছাত্রদেরকে ছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ানো হয়েছে কেবল ছেলে হয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে।
    এক স্কুলে দুই ছাত্র ফ্রেন্ডলি ফাইট করছিল। এক শিক্ষিকা তাদের শাসায়, এই স্কুলে এরকম টক্সিক মাস্কুলিনিটির চর্চা চলবে না।

    'ছেলেদের জিমে যাওয়া উচিত, নিজের জন্য বেটার লাইফ গড়া উচিত' কেবল এই কথাটা বলার জন্য অ্যান্ড্রু টেইটকে চুড়ান্ত হেনস্থা করা হচ্ছে।
    এতকিছুর পর তারা এখন অবাক হচ্ছে, ছেলেরা কেন যুদ্ধে যেতে চাচ্ছে না।

    ঐ যে, 'শত্রু যখন নিজেকে ধ্বংসে ব্যস্ত...'।

    ==Collected==
    Last edited by Rakibul Hassan; 07-21-2023, 12:08 PM.

  • #2
    well 'collected' !

    Comment


    • #3
      এটাই আসলে পশ্চিমের বাস্তব চিত্র। ২০১৯ সালে বৃটেন ঘোষণা দিয়েছিলো যে, সেনাবাহিনীতে সৈনিক সংকটে তারা কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলো থেকে সৈনিক নিয়োগ দেবে।আর আমেরিকা তো এখন ভারত আর বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ করার পায়তারা করছে, নিজের সেনা দিয়ে লড়ার হিম্মত নাই। যার ফলে ভারতের হাজার হাজার মানবাধিকার ইস্যু আর পশ্চিমা স্বার্থের লঙ্ঘনকে আমেরিকা ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখছে।
      Last edited by Rakibul Hassan; 07-22-2023, 05:18 AM.

      Comment

      Working...
      X