Announcement

Collapse
No announcement yet.

স্বাস্থ্য টিপস: হাঁটার নানাবিধ উপকারিতা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • স্বাস্থ্য টিপস: হাঁটার নানাবিধ উপকারিতা

    স্বাস্থ্য টিপস: হাঁটার নানাবিধ উপকারিতা

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    আপনারা জানেন যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাঁটার অপরিসীম উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু আধুনিক এই যাস্ত্রিক যুগে আলসেমি বা ব্যস্ততার অজুহাতে আমরা অনেকেই হাঁটাহাঁটি এড়িয়ে চলি।
    নিকটদূরে যেতে হলেও যানবাহনে চড়ে বসি। বাসায় উঠতে গিয়ে সিঁড়ির বদলে নিমিষেই লিফটে উঠে যাই। ফলশ্রুতিতে আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি আমাদের অনেকেরই স্বাস্থ্য/স্থূলতা বেড়ে যায়। কারো বা মেদ-ভুরি দৃষ্টিকটুভাবে সামনে বেরিয়ে পড়ে।
    এর সমাধানকল্পে তো আমাদেরকে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। যারা ভারী কোন ব্যায়াম করতে না পারেন, তারা কমপক্ষে হাঁটাহাঁটির ব্যায়াম তো করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। কারণ, এটি সবচে সহজসাধ্য একটি ব্যায়াম। যা সকলের জন্য সমানভাবে উপযোগী।

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    নিজের আগ্রহের জন্য এবং আপনাদের আগ্রহকে বাড়ানোর জন্য হাঁটার উপর লিখিত দুটি প্রতিবেদন অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে নিচে দিচ্ছি। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে নিয়মিত ব্যায়াম করার, বিশেষ করে হাঁটার ব্যায়াম করার তাওফিক দান করেন। আমীন

    ****
    কেন আমাদের আরো বেশি হাঁটা প্রয়োজন?
    এরকম ৮টি কারণ

    আমরা সবাই হাঁটি। কিন্তু কম মানুষই আছেন যারা যথেষ্ট হাঁটেন।

    এই হাঁটার আছে অনেক উপকারিতা- এর ফলে পেশী সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়, হজমে সাহায্য করে, এবং মস্তিষ্ককেও সতেজ রেখে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

    এর পাশাপাশি হাঁটার ফলে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ বা মুড ভালো রাখে এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
    স্নায়ুবিজ্ঞানী প্রফেসর শেন ও'মারা হাঁটার কিছু উপকারিতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ডাবলিনে ট্রিনিটি কলেজে মস্তিষ্ক বিষয়ে গবেষণা করেন।

    ১. মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে

    নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ শরীরে পেশীর শক্তি কমে যাওয়া। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা এর ফলে মস্তিষ্কও শুকিয়ে মরে যেতে শুরু করে। আমরা যখন হাঁটি তখন পেশীতে তৈরি হওয়া মলিকিউল বা অণু আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

    তার মধ্যে একটি বিশেষ অণু মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের ব্রেনের কোষগুলো বিকশিত হয়। ফলে হাঁটলে মস্তিষ্ক আরো শক্তিশালী হয়।

    ২. হার্ট ভালো থাকে

    হৃৎপিণ্ড ভালো থাকার জন্য হাঁটা খুবই উপকারী। আমাদের পূর্ব-পুরুষরা, যারা শিকার করে জীবন ধারণ করতেন, তারা দিনে ১৫ থেকে ১৭ মাইল হাঁটতেন।

    "এখনকার মানুষের হার্টের তুলনায় তাদের হার্ট সত্যিই অনেক ভাল ছিল," বলেন শেন ও'মারা।

    দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে সিমানে নামের একটি গোত্র আছে যাদের ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তির হার্ট ৫০ বছর বয়সী একজন আমেরিকানের হার্টের মতো কাজ করে। এর কারণ হলো তারা সারাদিনই সক্রিয় থাকে।

    ৩. হজমে সাহায্য করে

    হাঁটা মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্যেও বন্ধুর মতো কাজ করে। "মানুষ যখন অনেক হাঁটা-চলা করে তখন তার খাবারও বেশি হজম হয়," বলেন শেন।

    "কোষ্ঠকাঠিন্য কাটাতে ওষুধ না খেয়ে আপনি যদি হাঁটতে বের হন, সেটা অনেক ভাল। এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই হজমের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।"

    ৪. সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে

    হাঁটা যে আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এর ফলে অনেক সমস্যা সমাধান করাও সহজ হয়।

    "আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করছেন তখন হতাশ হয়ে এক জায়গায় বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করলে সেটা সমস্যা সমাধানে অনেক সহায়ক হয়।"

    "অনেক বড় বড় লেখক, দার্শনিক এবং গণিতজ্ঞদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি যে হাঁটতে হাঁটতে তারা কিভাবে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন।"

    উদাহরণ হিসেবে বলে যায় ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিং এর কথা। তিনি নিয়মিত হাঁটতে বের হন এবং প্রচুর হাঁটেন।

    দার্শনিক ও লেখক বার্ট্রান্ড রাসেলও যখন হাঁটতে বের হতেন তখন ছোট্ট একটি কাগজে তার অনেক চিন্তাভাবনা টুকে রাখতেন।

    এবং পরে তিনি এসব ব্যবহার করে দুর্দান্ত সব গদ্য রচনা করেছেন।

    ৫. বিষণ্ণতা কাটাতে সাহায্য করে

    স্নায়ুবিজ্ঞানী শেন ও'মারা বলেছেন, বিষণ্ণতার সঙ্গে বসে থাকার সম্পর্কে রয়েছে।

    "সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বেলাতে বিষণ্ণতা দেখা যায় বেশি। অন্যভাবে বললে সহজ করে বলা যায়, যতোই সক্রিয় থাকা যায় ততোই ভালো।

    রক্ত প্রবাহের সমস্যা থেকেও বিষণ্ণতা তৈরি হয় বলে ধারণা রয়েছে।

    "আপনি যদি প্রচুর হাঁটেন, রক্ত প্রবাহের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে সেগুলো কমে যায়। সেটা নাটকীয়ভাবেই হ্রাস পায়," বলেন তিনি।

    কোন কোন ক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি করা এক ধরনের ভ্যাকসিন বা টীকার মতো কাজ করে। সাহায্য করে বিষণ্ণতা কমাতে।

    হাঁটলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে বেশি।

    ৬. আরো বেশি খোলা মনের ও বহির্মুখী হতে সাহায্য করে

    এবিষয়ে একটি তত্ত্বে বলা হয় যে আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বে কতোগুলো বিষয় আছে এবং সক্রিয় থাকার সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক আছে। যেমন অকপটতা, বিবেক দিয়ে পরিচালিত হওয়া, বহির্মুখী হওয়া, কোন কিছুর ব্যাপারে সম্মত হওয়া ইত্যাদি।

    পরীক্ষায় দেখা গেছে, যারা নিষ্ক্রিয় থাকে তারা কম খোলা মনের হয়, কম বহির্মুখী হয় এবং তাদের স্নায়ু-জনিত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়।

    উল্টো করে আপনি যদি সক্রিয় কোন ব্যক্তিকে দেখেন তাহলে দেখবেন তাদের মধ্যে এই বিষয়গুলো খুব বেশি কাজ করে না। খুব সহজেই তারা অসুখবিসুখেও আক্রান্ত হয় না।

    ৭. বিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে

    আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি সেটা বিভিন্ন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। হাঁটাহাঁটি করা এই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

    পরীক্ষায় দেখা গেছে, সারা দিন ধরে যদি অল্প মাত্রাতেও সক্রিয় থাকা যায় সেটা জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করার চাইতেও অনেক বেশি উপকারী।

    অনেকে এই জিমে যাওয়াকে অনেক বড় করে দেখেন। সারা দিন শুয়ে বসে কাটিয়ে তারা মনে করেন ওই এক ঘণ্টায় জিম করেই তারা সুস্থ থাকবেন।

    আসলে এধরনের ব্যায়াম মানুষকে নিষ্ক্রিয় থাকার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারে।

    "কারণ শরীর তখন বলতে থাকে তুমি তো তোমার কাজটা করেই ফেলেছ, সুতরাং তুমি এখন বসে থাকতে পারো, খেতে পারো। তখন আসলে বিপাক প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়।"

    ৮. শারীরিক গঠন অটুট রাখতে সাহায্য করে

    আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদেরকে সারাদিন চেয়ারে, সোফায় কিম্বা গাড়িতে বসে কাজ করতে হয়।

    এর ফলে শারীরিক গঠনে, বিশেষ করে পিঠে - ব্যথা হতে পারে।

    "মানুষের দেহ এমনভাবে তৈরি নয় যা সারাদিন একটি অবস্থানে থাকতে পারে। এটা আপনার জন্যে খুবই খারাপ।

    চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করা আপনাকে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

    ****
    হাঁটার ১০ উপকারিতা

    হাঁটা সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। ছোট-বড় যে কেউ নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন। প্রশ্ন জাগতে পারে ব্যায়ামের জন্য এত কিছু থাকতে হাঁটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? হাঁটলে প্রাকৃতিকভাবে পাবেন সুস্থতা ও প্রাণবন্ত অনুভূতি। আরও রয়েছে শত উপকার। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টেসকো লিভিং ডটকম থেকে নেওয়া হাঁটার ১০টি উপকারিতা নিয়ে এই প্রতিবেদন।

    ১. সুস্থ হৃদপিণ্ড, সুন্দর জীবন

    যারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন তাদের হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এছাড়া হাঁটার সময় শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর-এর মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে।

    এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক এসোসিয়েশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়া নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে শতকরা ২৭ ভাগ পর্যন্ত উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা কমে। ফলে হার্টের বিভিন্ন রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

    এদিকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ও স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞরা।

    ২. বাড়বে সুস্থতা

    যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ডাক্তারের পরামর্শে তারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। এতে অবশ্য তারা উপকার পান। মজার কথা এতে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিয়মিত হাঁটলে ৬০ ভাগ পর্যন্ত কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। এটা স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো।

    ৩. ওজন নিয়ন্ত্রণের অসাধারণ ব্যায়াম

    ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন রকম ব্যায়াম করতে দেখা যায়। যদি ওজন কমাতে চান, তবে প্রতিদিন ৬০০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে হবে। যেটা একদিনের খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালরির চেয়ে বেশি। যার ওজন ৬০ কেজি তিনি যদি প্রতিদিন ঘণ্টায় ২ মাইল গতিতে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করেন, তবে ৭৫ ক্যালরি শক্তি ক্ষয় করতে পারেন। যদি ঘণ্টায় ৩ মাইল গতিতে হাঁটতে অভ্যস্ত হন তবে, ৯৯ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। ঘন্টায় ৪ মাইল গতিতে হাঁটলে আরও বেশি ক্যালরি ক্ষয় করতে পারবেন। এতে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫০। হাঁটলে দেহের পেশীগুলো আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

    ৪. স্মৃতিশক্তি বাড়ে

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সাধারণত মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায়। ৬৫ বা এর বেশি বয়সীদের মধ্যে প্রতি ১৪ জনের মধ্যে ১ জনের স্মৃতিভ্রম হয়। আর ৮০ বা এর বেশি বয়সীদের ৬ জনের মধ্যে ১ জনের দেখা দেয় স্মৃতি হারানোর রোগ। নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম অনুশীলনে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে। এতে স্মৃতিহানি হওয়ার ঝুঁকি ৪০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল পথ হাঁটেন তাদের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে।

    ৫. জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি নেই

    নিয়মিত হাঁটাচলা করলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমে যায়। সাধারণত বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন হাড় ও সংযোগস্থলে ব্যথা করে। শরীরের জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে হাঁটা নিঃসন্দেহে খুবই কার্যকর ব্যায়াম।

    ৬. পায়ের শক্তি বাড়ায়

    হাঁটলে শুধু পায়ের শক্তিই বাড়ে না পায়ের আঙুলেরও ব্যায়াম হয়। এছাড়া কোমর এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ নড়াচড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ থাকে।

    ৭. বাড়ে পেশীশক্তি

    হাঁটলে শুধু পা চলে না দুহাতও সমান তালে চলে। এতে হাতের প্রতিটি জয়েন্ট, ঘাড় ও কাঁধের ব্যায়াম হয়। ব্যাকপেইনের সমস্যা কমে যেতে পারে নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে।

    ৮. ভিটামিন ডি

    দিনের আলোতে, বিশেষ করে সকালে হাঁটার অভ্যাস করলে শরীর ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। দৈনন্দিন খাবার থেকে খুব অল্প পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪ হাজার ৪৪৩ জনের শরীরে ভিটামিন ডি-এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে। দেখা গেছে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ সময় রোগটির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে পারে।

    গবেষকরা আরও জানান, ভিটামিন ডি অন্যান্য কোষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। এতে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ সহজে অন্যকোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এ জন্য হাঁটা হতে পারে উত্তম ব্যায়াম।

    ৯. প্রাণবন্ত শরীর ও মন

    সকালের প্রকৃতি এমনিতেই থাকে স্নিগ্ধ। এ সময় হাঁটার মজাই আলাদা। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের সময় মন স্বাভাবিকভাবেই ফুরফুরে থাকে, শরীর ও মন সতেজ হয়। শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে অক্সিজেনের প্রাণপ্রবাহে মাংসপেশীগুলো শিথিল ও রিলাক্সড হয়।

    ১০. সুখ প্রতিক্ষণ

    যাদের নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস, তাদের সঙ্গীর অভাব হয় না। একজন আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন আনন্দের মুহূর্তগুলো। সামাজিক পরিমণ্ডলে প্রভাব বাড়ার পাশাপাশি মানসিকচাপ ও টেনশন কমে শুরু করে।

    ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক জরিপে দেখা গেছে, নিয়মিত হাঁটাচলা করলে একাকিত্বের অনুভূতি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়। এছাড়া জরিপে অংশ নেওয়া ৮৩ ভাগ মানুষ জানিয়েছেন নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এতে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

    ****

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    আসুন! আমরা নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করি। বাহিরে বের হলে যথাসম্ভব হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করি। বাসায় উঠার সময় লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করি।
    বিশেষ করে যে সমস্ত ভাই দীর্ঘ সময় অফিসে/বাসায়/কর্মক্ষেত্রে বসে কাজ করেন, তাদের জন্য হাঁটা আরও বেশী জরুরী। তাদের অবহেলা করা কখনোই উচিত না।

    কোমল বাতাসে ও দূষণমুক্ত পরিবেশে
    সকালের সময়টা হাঁটার জন্য বেশ উপযোগী ও উপকারী। দুঃখজনক হলো- সে সময়ে আমরা অনেকেই ঘুমিয়ে থাকি! রিযিক ও সময়ের বারাকাহ থেকে বঞ্চিত থাকি। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে এই দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি দান করুন। আমীন

    আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমলের তাওফিক দান করুন। আমীন

    সকল ভাইদের নিকট দুয়ার আবেদন রইল।

    জাযাকুুমুল্লাহু খাইরান।

    ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

    *****
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    খুবই প্রয়োজনীয় আলোচনা। অনেক অনেক জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা মুহতারাম।
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ খাইরান
      হাঁটার এত উপকারিতা!
      শহুরে জীবন আমাদের থেকে হাঁটার অভ্যাস যেন বিদেয় করে দিয়েছে।

      Comment


      • #4
        যাজাকুমুল্লাহ আঁখি!

        অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন।আল্লাহ পাক আমাদের আমল করার তাওফিক দিন।

        Comment


        • #5
          সুস্থ্য শরীর সুস্থ্য মন।

          Comment

          Working...
          X