বাংলাদেশে বিদ্যমান ইসলামবিদ্বেষের পেছনে দুটি প্রধান শক্তি রয়েছে। একটি অভ্যন্তরীন একটি বাহ্যিক।
অভ্যন্তরীনভাবে বাংলাদেশে ইসলামবিরোধীতা প্রতিষ্ঠার পেছনে সক্রিয় শক্তি হল সেক্যুলার-কালচারাল এলিট গোষ্ঠী। যারা নিজেদের প্রগতিশীল, সুশীল সমাজ, ইত্যাদি বলে থাকে।
বাংলাদেশে ইসলামবিরোধিতার পেছনে প্রধান বাহ্যিক শক্তি হল ভারত। ভারত তাদের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক স্বার্থসহ বিভিন্ন কারণে ইসলামকে হুমকি মনে করে। বিশেষ করে তাদের পূর্ব সীমান্তে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির উত্থান ভারতের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক গোষ্ঠী দুটো একে অপরের সহযোগী।
অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটও বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির উত্থানের বিরোধী। দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে তারা ভারতের ঘনিষ্ট মিত্র। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের এবং ভারতের নীতি এক ও অভিন্ন। তবে তাদের বিরোধিতার ধরণ অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা।
ব্যাপারটা এভাবে চিন্তা করা যায়। অ্যামেরিকা-ইউরোপ মুসলিমদের ওপর যুলুম করে, যেমনটা আমরা আফগানিস্তান কিংবা ইরাকে দেখেছি। আবার ভারতও মুসলিমদের ওপর যুলুম করে, যেমনটা আমরা কাশ্মীরে এবং বর্তমানে ভারতের ভেতরে দেখছি।
দুটোই বিরোধিতা কিন্তু দুটোর ধরণ, মাত্রা, তীব্রতা এক না। তাছাড়া নিকটবর্তিতা এবং ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর ভারত যেভাবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি করতে পেরেছে, সংগত কারণে পশ্চিমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হয়নি।
(✍ বিশিষ্ট মুহতারাম দায়ী ।)
অভ্যন্তরীনভাবে বাংলাদেশে ইসলামবিরোধীতা প্রতিষ্ঠার পেছনে সক্রিয় শক্তি হল সেক্যুলার-কালচারাল এলিট গোষ্ঠী। যারা নিজেদের প্রগতিশীল, সুশীল সমাজ, ইত্যাদি বলে থাকে।
বাংলাদেশে ইসলামবিরোধিতার পেছনে প্রধান বাহ্যিক শক্তি হল ভারত। ভারত তাদের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক স্বার্থসহ বিভিন্ন কারণে ইসলামকে হুমকি মনে করে। বিশেষ করে তাদের পূর্ব সীমান্তে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির উত্থান ভারতের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক গোষ্ঠী দুটো একে অপরের সহযোগী।
অ্যামেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটও বাংলাদেশে ইসলামী শক্তির উত্থানের বিরোধী। দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে তারা ভারতের ঘনিষ্ট মিত্র। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের এবং ভারতের নীতি এক ও অভিন্ন। তবে তাদের বিরোধিতার ধরণ অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা।
ব্যাপারটা এভাবে চিন্তা করা যায়। অ্যামেরিকা-ইউরোপ মুসলিমদের ওপর যুলুম করে, যেমনটা আমরা আফগানিস্তান কিংবা ইরাকে দেখেছি। আবার ভারতও মুসলিমদের ওপর যুলুম করে, যেমনটা আমরা কাশ্মীরে এবং বর্তমানে ভারতের ভেতরে দেখছি।
দুটোই বিরোধিতা কিন্তু দুটোর ধরণ, মাত্রা, তীব্রতা এক না। তাছাড়া নিকটবর্তিতা এবং ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর ভারত যেভাবে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি করতে পেরেছে, সংগত কারণে পশ্চিমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হয়নি।
(✍ বিশিষ্ট মুহতারাম দায়ী ।)
Comment