দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর বিশ্ব জুড়ে আমেরিকা একক ক্ষমতা তৈরি করার দিকে অগ্রসর হয়। সোভায়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্যে দিয়ে তারা একক ক্ষমতাধর হয়ে উঠে। এরপর পুরো বিশ্বে এমন কোনো রাষ্ট্র, সংগঠন, কোনো ক্ষমতা বাকি ছিল না যারা আমেরিকার জন্য থ্রেট হতে পারত। আমেরিকার জিওগ্রাফিকাল লোকেশন, ও মানব ইতিহাসের সবচে শক্তিশালী হবার দাবীকারী আমেরিকান সামরিক শক্তি তাবত বিশ্ব থেকে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডকে নিরাপদ রেখেছিল। তারা যা বলত বিশ্ব তাই মেনে নিত। জলে, স্থলে, আকাশে, মহাকাশে তারা ছিল একছত্র ক্ষমতার অধিকারী। ইউরোপ ছিল কলোনীর মত। ইউরোপের প্রায় সকল রাষ্ট্রে মোতায়েন ছিল তার সেনাবাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যেও তাই। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছিল তার স্লেভ। জাপানে আমেরিকার দখল কৃত অঞ্চলে জাপানীরাও প্রবেশাধিকার পেত না। জার্মানরাও স্বাধীন ভাবে কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করতে পারত না। চীন অর্থনীতি ভাবে ছিল অচল। সোভায়তে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া নিজের পায়ে দাঁড়াতেও পারেনি, জন্ম নিয়েছে কেবল। তখনকার পুরো বিশ্ব একত্র হলেও আমেরিকার সাথে মোকাবেলায় সক্ষম ছিল না।
এমন এক সময় যখন কেবল আমেরিকা তার মহা সিংহাসনে আসিন হল। পুরো বিশ্ববাসী এক বিস্ময়কর ঘটনা দেখল। যা মানব ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সকালে উঠে আমেরিকানরা দেখলে যেন তাদের উপর কিয়ামত নেমে এসেছে। কে হামলা করেছে, কোথায় কোথায় করছে, উদ্দেশ্য কী, কিছুই তারা জানে না। পুরো অ্যামেরিকায় বিমান সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপ্রতি বাংকারে আশ্রয় নেয়। আমেরিকানরা এই বিভীষিকাময় অবস্থা দেখে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। বিশ্ববাসী তাকিয়ে থাকে অবাক করে। যে ভূখণ্ড প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেও ছিল পুরো নিরাপদ, যে ভূখণ্ডে বৈদেশিক শত্রুর একটি গুলি ছোড়ারও ইতিহাস নেই। সেখানে এত বড় হামলা। এটি অবশ্যই বিশ্ববাসীর জন্য খুশির দিন ছিল।
প্রফেসর আলেক্সান্ডার-এর ভাষায়, ''এটা ছিল আশ্চর্যজনক যে এক বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ইউনিপলার বিশ্বের সমাপ্তির ঘন্টা বেজে যায়। এসময় ইউনোপলারিটিতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। ইউনোপলার বিশ্বে '৯/১১ আক্রমণ' নামের কিছু থাকার কথা ছিল না। আমেরিকাকে আক্রমণ করার মত কোনো রাষ্ট্র ছিল না, কোনো আদর্শ ছিল না, কোনো সভ্যতা ও সাম্রাজ্য ছিল না, কোনো নিউক্লিয়ার বোমাও ছিল না। কোনো কাঠামো ছিল না যা আমেরিকার ক্ষতি করতে পারতো। এই সময় ইউনিপোলার বিশ্বের সমাপ্তি ঘটে।''
তথাকথিত পরাক্রম দাবীদার আমেরিকার এমন নাজেহাল অবস্থা কেই বা ভাবতে পারত। এই বিভীষিকাময় ঘটনা আমেরিকার জন্য পুরো বিশ্ব সমীকরণ বদলে দেয়। বদলে যায় পুরো ওয়াল্ড অর্ডার। ৯/১১ এর মাধ্যমে শুরু হয় আমেরিকান এম্পায়ারের পতন। যা এখনো চলমান----
(সংগ্রহীত)
এমন এক সময় যখন কেবল আমেরিকা তার মহা সিংহাসনে আসিন হল। পুরো বিশ্ববাসী এক বিস্ময়কর ঘটনা দেখল। যা মানব ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সকালে উঠে আমেরিকানরা দেখলে যেন তাদের উপর কিয়ামত নেমে এসেছে। কে হামলা করেছে, কোথায় কোথায় করছে, উদ্দেশ্য কী, কিছুই তারা জানে না। পুরো অ্যামেরিকায় বিমান সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপ্রতি বাংকারে আশ্রয় নেয়। আমেরিকানরা এই বিভীষিকাময় অবস্থা দেখে ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। বিশ্ববাসী তাকিয়ে থাকে অবাক করে। যে ভূখণ্ড প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেও ছিল পুরো নিরাপদ, যে ভূখণ্ডে বৈদেশিক শত্রুর একটি গুলি ছোড়ারও ইতিহাস নেই। সেখানে এত বড় হামলা। এটি অবশ্যই বিশ্ববাসীর জন্য খুশির দিন ছিল।
প্রফেসর আলেক্সান্ডার-এর ভাষায়, ''এটা ছিল আশ্চর্যজনক যে এক বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই ইউনিপলার বিশ্বের সমাপ্তির ঘন্টা বেজে যায়। এসময় ইউনোপলারিটিতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। ইউনোপলার বিশ্বে '৯/১১ আক্রমণ' নামের কিছু থাকার কথা ছিল না। আমেরিকাকে আক্রমণ করার মত কোনো রাষ্ট্র ছিল না, কোনো আদর্শ ছিল না, কোনো সভ্যতা ও সাম্রাজ্য ছিল না, কোনো নিউক্লিয়ার বোমাও ছিল না। কোনো কাঠামো ছিল না যা আমেরিকার ক্ষতি করতে পারতো। এই সময় ইউনিপোলার বিশ্বের সমাপ্তি ঘটে।''
তথাকথিত পরাক্রম দাবীদার আমেরিকার এমন নাজেহাল অবস্থা কেই বা ভাবতে পারত। এই বিভীষিকাময় ঘটনা আমেরিকার জন্য পুরো বিশ্ব সমীকরণ বদলে দেয়। বদলে যায় পুরো ওয়াল্ড অর্ডার। ৯/১১ এর মাধ্যমে শুরু হয় আমেরিকান এম্পায়ারের পতন। যা এখনো চলমান----
(সংগ্রহীত)
Comment