ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে অনেকে আনন্দিত হয়েছেন, আবার অনেকে ব্যথিত হয়েছেন। যারা আনন্দিত হয়েছেন, তারা ইরানের সরকার ও বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক সিরিয়া,ইয়েমেন,ইরাক ও লেবাননে শিয়া ইরানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের লক্ষ লক্ষ অনুসারীদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করার অপরাধে এই অবস্থান নিয়েছেন। এই অবস্থান খুবই যৌক্তিক। যদিও রাইসি ক্ষমতায় এসেছে ২০২১ সালে এবং তার পূর্বেই অধিকাংশ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তথাপিও তার ধারাবাহিকতা রক্ষার কাজটি সে করেছে।
আর যারা ব্যথিত হয়েছেন, তারা অনেকে রাইসি মুসলিম উম্মাহর একনিষ্ঠ বীর সিপাহসালার, অকুতোভয় নেতা, উম্মাহর কাণ্ডারি ইত্যাদি নানা অভিধায় অভিহিত করে শোক প্রকাশ করছেন। এমনকি শিয়া সুন্নি বিভেদ ভুলে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। তারা এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইরানের ভূমিকাকে সামনে রেখে এমনটি করছেন।
মতবাদগত দিক বিবেচনায় শিয়াদের মধ্যকার অনেক গ্রুপ আছে, এটা সত্য। কিছু গ্রুপ সুস্পষ্ট কাফির, আর কিছু গ্রুপ কুফুরি ও জঘন্য বিদ’আত মিশ্রিত, আর কিছু গ্রুপ আহলুস সুন্নাহর কাছাকাছি। ইরানের মতবাদগত অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা কিংবা ব্যাখ্যার অবকাশ থাকলেও সিরিয়ায় নুসাইরি কাফির সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার বাশার আল আসাদ এবং তার কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইরানের সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিয়া মতবাদের বাইরে তাদের আরেকটি কুফুরি অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অবস্থান অনেকটাই রাজনৈতিক। এটি বুঝতে খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা না। কারণ ইরান একদিকে সিরিয়া,ইয়েমেন,ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে কুফুরি মতবাদ টিকিয়ে রাখছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দরদ পেশ করছে। যদি ইসলামের জন্যই হতো, তাহলে নিশ্চয়ই কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখতে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যায় শরিক থাকতো না। কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখা ও লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা নিশ্চয়ই রাজনৈতিক বিষয় নয় ?!?
এখন ইমারতে ইসলামির শোকবার্তার প্রসঙ্গে আসি। ইমারতে ইসলামি রাইসির মৃত্যুতে একটি শোকবার্তা দিয়েছে। বার্তাটি ইমারতের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ হাফি. এর নামে প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্তাটি ইমারত সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে প্রতিবেশি একটি দেশের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রদান করা হয়েছে। এখন বাহ্যিকভাবে যেহেতু ইরান একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই তার রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য মাগফিরাতের দুয়া করা হয়েছে।
ইমারতে ইসলামি মুসলিম দেশগুলোর শাসকবর্গকে তাকফিরে মুয়াইয়ান তথা ব্যক্তিগতভাবে তাকফির করে না। এটি ইমারতের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান,যার সাথে আল কায়েদার অবস্থানের পার্থক্য রয়েছে।
আমরা মনে করি, রাইসিকে নিয়ে ইমারতে ইসলামির এই বক্তব্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিবেচনায় প্রদান করা হয়েছে। আমাদের এই অবস্থান ইমারতে ইসলামির আকিদা, চিন্তাধারা ও অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে জানার পর বলছি।
ইমারতে ইসলামির এই বার্তা নিয়ে দুটি শ্রেণি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে। একশ্রেণি: যারা রাইসিকে মুসলিম উম্মাহর কাণ্ডারি ভাবেন, তারা ইমারতের এই রাজনৈতিক বার্তাকে নিজেদের মত ও চিন্তার সপক্ষে পেশ করছে।
অথচ ইমারতের শোকবার্তা আর তাদের অনুভূতির মধ্যে আসমান-যমিন তফাৎ রয়েছে। ইমারতের উলামায়ে কিরাম শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য কিতাব লিখেছেন এবং আহলুস সুন্নাহকে সর্বদা শিয়া মতবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছেন। এমনকি শিয়াদেরকে লক্ষ্য করে নিয়মিত দাওয়াতি কার্যক্রমও পরিচালনা অব্যাহত আছে। এছাড়া ইমারতের এই বার্তায় কোথাও রাইসিকে মুসলিম উম্মাহর কিছুই আখ্যা দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে এই শ্রেণির মানুষেরা শিয়াদের কুফুরি ও ভ্রান্তিগুলো জানেও না এবং জানতে চায়ও না। এমনকি তারা শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বকে অনেকটা ইখতিলাফি বিষয়ের মতো মনে করে (নাউযুবিল্লাহ)।
বিভ্রান্ত আরেকটি শ্রেণি হচ্ছে চরমপন্থী তাকফিরি শ্রেণি, যারা ইমারতের এই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিবৃতিকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার মানদণ্ড বানিয়ে ইমারতকে তাকফির করে থাকে।
এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে অতীতের ২ টি দৃষ্টান্ত পেশ করবো।
১। মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমারতে ইসলামি এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি প্রদান করেছিল। উক্ত বিবৃতিকে কেন্দ্র করে উপরোল্লিখিত দুটি গ্রুপ দুটি বিভ্রান্ত অবস্থান গ্রহণ করেছিল। একশ্রেণি: ইমারতের এই বিবৃতিকে সামনে এনে মুরসির গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের পন্থাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
আর চরমপন্থী তাকফিরি আরেকটি শ্রেণি (খারিজি আই@এস) একইভাবে মুরসির অপসারণের বিরুদ্ধে দেওয়া বিবৃতিকে গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন এবং সেটিকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার মানদণ্ড বানিয়ে ইমারতকে তাকফির করেছিল।
এই দুই শ্রেণির অবস্থানই ছিল মিথ্যা ও ভ্রান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা তখনও বলেছি, ইমারতের এই অবস্থান একটি কূটনৈতিক বিবৃতি, এর সাথে চিন্তাধারা সমর্থনের কোনো সম্পর্ক নেই। দুনিয়া সাক্ষী ইমারতে ইসলামি এক মুহুর্তের জন্যও গণতান্ত্রিক পন্থাকে সমর্থন করেনি, গণতন্ত্র অনুসরণতো দূরের কথা।
২। ইমারতে ইসলামি যখন আমেরিকার সাথে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল, তখন এধরণের বিভিন্ন কূটনৈতিক বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করে, যেগুলো নিয়ে উপরে বর্ণিত এই দুই শ্রেণি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছিল। এক শ্রেণি এসব বক্তব্য বিবৃতিতে তাদের গণতান্ত্রিক পন্থার জন্য বৈধতা খুঁজে পেতো। আর চরমপন্থী শ্রেণিটি এসবের মাধ্যমে সরাসরি তাকফির করতো। উদাহরণস্বরূপ: দোহা চুক্তিকে খারিজি আই@এস ইমারতে ইসলামির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। এভাবেই এই চরমপন্থী খারিজি দলটি ইমারতে ইসলামিকে তাকফির করেছিল। ( প্রমাণ-খারিজি আইএসের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আন নাবা, সংখ্যা-২৯১)
দুনিয়া সাক্ষী, দোহা চুক্তির মাধ্যমে ইমারতে ইসলামি এক সেকেন্ডের জন্যও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মেনে নেয়নি। আজ প্রমাণিত যে উপরে বর্ণিত এই দুইটি শ্রেণি ইমারতের বার্তা-বিবৃতির ব্যাপারে চরম মনগড়া বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আজকের ইমারতে ইসলামির অবস্থান খারিজিদের মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রমাণ । এভাবেই ইমারতের বক্তব্যের মাধ্যমে এই দুই শ্রেণি নিজেদের বাতিল অবস্থান জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারেই তারা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এধরণের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে বিষয়টি বুঝার জন্য। যেমন- এরদোগানের বিজয়ে দেওয়া বিবৃতি। অনুরুপ আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে।
এই বিভ্রান্ত শ্রেণিগুলো কি ইমারতের ব্যাপারে তাদের অতীত ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিবে ? নাকি নিজেদের গোমরাহির নতুন নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে ? বিভ্রান্ত শ্রেণিগুলো কি আকিদা, মানহাজ এবং কূটনৈতিক-রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে তফাৎ বুঝতে শিখবে ? নাকি বিভ্রান্তির আঁধারে নিমজ্জিত থেকেই দিনাতিপাত করবে !
আর যারা ব্যথিত হয়েছেন, তারা অনেকে রাইসি মুসলিম উম্মাহর একনিষ্ঠ বীর সিপাহসালার, অকুতোভয় নেতা, উম্মাহর কাণ্ডারি ইত্যাদি নানা অভিধায় অভিহিত করে শোক প্রকাশ করছেন। এমনকি শিয়া সুন্নি বিভেদ ভুলে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছেন। তারা এক্ষেত্রে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ইরানের ভূমিকাকে সামনে রেখে এমনটি করছেন।
মতবাদগত দিক বিবেচনায় শিয়াদের মধ্যকার অনেক গ্রুপ আছে, এটা সত্য। কিছু গ্রুপ সুস্পষ্ট কাফির, আর কিছু গ্রুপ কুফুরি ও জঘন্য বিদ’আত মিশ্রিত, আর কিছু গ্রুপ আহলুস সুন্নাহর কাছাকাছি। ইরানের মতবাদগত অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা কিংবা ব্যাখ্যার অবকাশ থাকলেও সিরিয়ায় নুসাইরি কাফির সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার বাশার আল আসাদ এবং তার কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইরানের সকল প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিয়া মতবাদের বাইরে তাদের আরেকটি কুফুরি অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অবস্থান অনেকটাই রাজনৈতিক। এটি বুঝতে খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা না। কারণ ইরান একদিকে সিরিয়া,ইয়েমেন,ইরাকে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে কুফুরি মতবাদ টিকিয়ে রাখছে, অন্যদিকে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দরদ পেশ করছে। যদি ইসলামের জন্যই হতো, তাহলে নিশ্চয়ই কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখতে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যায় শরিক থাকতো না। কুফুরি শাসনকে টিকিয়ে রাখা ও লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা নিশ্চয়ই রাজনৈতিক বিষয় নয় ?!?
এখন ইমারতে ইসলামির শোকবার্তার প্রসঙ্গে আসি। ইমারতে ইসলামি রাইসির মৃত্যুতে একটি শোকবার্তা দিয়েছে। বার্তাটি ইমারতের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা মুহাম্মাদ হাসান আখুন্দ হাফি. এর নামে প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্তাটি ইমারত সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে প্রতিবেশি একটি দেশের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রদান করা হয়েছে। এখন বাহ্যিকভাবে যেহেতু ইরান একটি মুসলিম রাষ্ট্র তাই তার রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য মাগফিরাতের দুয়া করা হয়েছে।
ইমারতে ইসলামি মুসলিম দেশগুলোর শাসকবর্গকে তাকফিরে মুয়াইয়ান তথা ব্যক্তিগতভাবে তাকফির করে না। এটি ইমারতের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান,যার সাথে আল কায়েদার অবস্থানের পার্থক্য রয়েছে।
আমরা মনে করি, রাইসিকে নিয়ে ইমারতে ইসলামির এই বক্তব্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিবেচনায় প্রদান করা হয়েছে। আমাদের এই অবস্থান ইমারতে ইসলামির আকিদা, চিন্তাধারা ও অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে জানার পর বলছি।
ইমারতে ইসলামির এই বার্তা নিয়ে দুটি শ্রেণি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে। একশ্রেণি: যারা রাইসিকে মুসলিম উম্মাহর কাণ্ডারি ভাবেন, তারা ইমারতের এই রাজনৈতিক বার্তাকে নিজেদের মত ও চিন্তার সপক্ষে পেশ করছে।
অথচ ইমারতের শোকবার্তা আর তাদের অনুভূতির মধ্যে আসমান-যমিন তফাৎ রয়েছে। ইমারতের উলামায়ে কিরাম শিয়া মতবাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য কিতাব লিখেছেন এবং আহলুস সুন্নাহকে সর্বদা শিয়া মতবাদের ব্যাপারে সতর্ক করে আসছেন। এমনকি শিয়াদেরকে লক্ষ্য করে নিয়মিত দাওয়াতি কার্যক্রমও পরিচালনা অব্যাহত আছে। এছাড়া ইমারতের এই বার্তায় কোথাও রাইসিকে মুসলিম উম্মাহর কিছুই আখ্যা দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে এই শ্রেণির মানুষেরা শিয়াদের কুফুরি ও ভ্রান্তিগুলো জানেও না এবং জানতে চায়ও না। এমনকি তারা শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বকে অনেকটা ইখতিলাফি বিষয়ের মতো মনে করে (নাউযুবিল্লাহ)।
বিভ্রান্ত আরেকটি শ্রেণি হচ্ছে চরমপন্থী তাকফিরি শ্রেণি, যারা ইমারতের এই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিবৃতিকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার মানদণ্ড বানিয়ে ইমারতকে তাকফির করে থাকে।
এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে অতীতের ২ টি দৃষ্টান্ত পেশ করবো।
১। মিসরের প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমারতে ইসলামি এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি প্রদান করেছিল। উক্ত বিবৃতিকে কেন্দ্র করে উপরোল্লিখিত দুটি গ্রুপ দুটি বিভ্রান্ত অবস্থান গ্রহণ করেছিল। একশ্রেণি: ইমারতের এই বিবৃতিকে সামনে এনে মুরসির গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের পন্থাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
আর চরমপন্থী তাকফিরি আরেকটি শ্রেণি (খারিজি আই@এস) একইভাবে মুরসির অপসারণের বিরুদ্ধে দেওয়া বিবৃতিকে গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন এবং সেটিকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার মানদণ্ড বানিয়ে ইমারতকে তাকফির করেছিল।
এই দুই শ্রেণির অবস্থানই ছিল মিথ্যা ও ভ্রান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা তখনও বলেছি, ইমারতের এই অবস্থান একটি কূটনৈতিক বিবৃতি, এর সাথে চিন্তাধারা সমর্থনের কোনো সম্পর্ক নেই। দুনিয়া সাক্ষী ইমারতে ইসলামি এক মুহুর্তের জন্যও গণতান্ত্রিক পন্থাকে সমর্থন করেনি, গণতন্ত্র অনুসরণতো দূরের কথা।
২। ইমারতে ইসলামি যখন আমেরিকার সাথে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল, তখন এধরণের বিভিন্ন কূটনৈতিক বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান করে, যেগুলো নিয়ে উপরে বর্ণিত এই দুই শ্রেণি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছিল। এক শ্রেণি এসব বক্তব্য বিবৃতিতে তাদের গণতান্ত্রিক পন্থার জন্য বৈধতা খুঁজে পেতো। আর চরমপন্থী শ্রেণিটি এসবের মাধ্যমে সরাসরি তাকফির করতো। উদাহরণস্বরূপ: দোহা চুক্তিকে খারিজি আই@এস ইমারতে ইসলামির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। এভাবেই এই চরমপন্থী খারিজি দলটি ইমারতে ইসলামিকে তাকফির করেছিল। ( প্রমাণ-খারিজি আইএসের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন আন নাবা, সংখ্যা-২৯১)
দুনিয়া সাক্ষী, দোহা চুক্তির মাধ্যমে ইমারতে ইসলামি এক সেকেন্ডের জন্যও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মেনে নেয়নি। আজ প্রমাণিত যে উপরে বর্ণিত এই দুইটি শ্রেণি ইমারতের বার্তা-বিবৃতির ব্যাপারে চরম মনগড়া বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আজকের ইমারতে ইসলামির অবস্থান খারিজিদের মিথ্যা অপবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রমাণ । এভাবেই ইমারতের বক্তব্যের মাধ্যমে এই দুই শ্রেণি নিজেদের বাতিল অবস্থান জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারেই তারা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এধরণের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে বিষয়টি বুঝার জন্য। যেমন- এরদোগানের বিজয়ে দেওয়া বিবৃতি। অনুরুপ আরো অনেক দৃষ্টান্ত আছে।
এই বিভ্রান্ত শ্রেণিগুলো কি ইমারতের ব্যাপারে তাদের অতীত ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিবে ? নাকি নিজেদের গোমরাহির নতুন নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে ? বিভ্রান্ত শ্রেণিগুলো কি আকিদা, মানহাজ এবং কূটনৈতিক-রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে তফাৎ বুঝতে শিখবে ? নাকি বিভ্রান্তির আঁধারে নিমজ্জিত থেকেই দিনাতিপাত করবে !
Comment