কয়েক দশক ধরে সমগ্র মুসলিম মিল্লাতে চলছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। ফিলিস্তিন থেকে আফগান, কাশ্মির থেকে তুর্কিস্তান সমগ্র ভূখন্ডই আজ লালে লাল হচ্ছে উম্মাতে মুহাম্মদির রক্তে। এগুলো মোটামুটি সবাই জানে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনও চলছে সমান তালে, যা সম্পর্কে উম্মাহর অধিকাংশ সদস্যই বেখবর। কুফফাররা শুধু আমাদের ভূখন্ড দখল করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না। তারা আমাদের মস্তিষ্কও ছিনিয়ে নিচ্ছে। তৈরি করছে কিছু চিন্তাগত দাস। যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে তাদের প্রতিটি কাজকে সমর্থন করে অন্ধের মতো। হাল যামানার মডারেট নামধারী কিছু শরিয়াহ বিকৃতিকারী মুসলিম যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ইসলামি ভাবধারার বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র বহু পুরোনো। যুগে যুগে এটিকে শুধু আপডেট করা হয়। এর পদ্ধতি পরিবর্তন হয়, রং পাল্টানো হয়। এই রং বদলের কারসাজিতে ধোঁকাগ্রস্থ হয় বহু মুসলমান। অবশেষে এই ধোঁকাগ্রস্থ মুসলমানরাই প্রকৃত মুসলমানকে মনে করে পিছিয়ে পড়া, ঘুনে ধরা। একদল আরেকদলের বিরুদ্ধে কলম ধরে। ধোঁকাগ্রস্থরা নিজেদেরকে নব্য প্রভুদের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে শরিয়াহকে কাট-ছাঁট করে। গড়ে তুলে মিথ্যার বেসাতি। বিনিময়ে হাসিল করে পশ্চিমা মালিকদের অনুগ্রহ౼ নোবেল, স্বর্নপদকসহ আরো কত কি।
পশ্চিমাদের অন্যতম একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে ইসলামি ইতিহাস ও শরিয়াহ আইনকে বিকৃত করে উপাস্থাপন করা। প্রমাণিত করা যে, ইসলামি রীতি-নীতি আধুনিক যুগে বেমানান। এর জন্য তারা ব্যাপক পরিসরে কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন করে। খুঁজে খুঁজে এমন জায়গা বের করে যেখানে বিকৃতি ঘটানো সম্ভব। অতঃপর এগুলো ছড়িয়ে দেয় দুনিয়ার আনাচে কানাচে। মুসলিম সমাজে বসবাসরত পরাজিত মানসিকতার চিন্তাগত দাসরা এগুলো গ্রহণ করে অবলীলায়। ক্ষমতাসীনরা যখন বলেছে তাহলে তো তা সত্য হওয়ারই কথা। ব্যস, অতঃপর কেউ তার দ্বীন পরিত্যাগ করে। নাম লেখায় নাস্তিক, মুরতাদদের খাতায়। আর কেউ ইসলাম ত্যাগ না করলেও মুসলিম হিসেবে চরম হীনমন্যতায় ভোগে। ভাবে, মুসলিম হয়ে জন্ম নিয়ে বড় বিপদে পড়ে গেলাম। হরেক রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। ফলে সে প্রকৃত মুসলিমদের কট্টরপন্থি মনে করে। কেউ কেউ তো আরো এক কাটি সরেস। তারা ভেবে বসে, সব জায়গায় কঠোরভাবে ইসলাম পালনকারীদের জন্যই মুসলমানদের আজ বিশ্বে দাম নেই। তাদের মতে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারাটাই স্মার্টনেস। এতে যদি শরিয়াহকে কাঁট-ছাঁট করা লাগে তো করা যাবে, সমস্যা নেই।
অবশেষে আমরা এমন একটি জেনারেশন দেখতে পাই যারা জিহাদ বাদ দিয়ে ইসলাম কায়েম করার স্বপ্ন দেখে। জিহাদ শব্দটি শুনলে কাফেরদের আগে তারাই নাক ছিটকায়। কারণ পশ্চিমারা জিহাদকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দিয়েছে। তাই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মুসলিমরাও হয়ত ভাবে, ইস! যদি কুরআনে জিহাদের কথা বলা না হতো। যখন তাদেরকে অমুসলিমরা জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তারা বলে কুরআনে জিহাদ শব্দটি এসেছে এতোবার, আর বাইবেলে এসেছে এর দ্বিগুণ বার। তারমানে বুঝাতে চাচ্ছে, জিহাদ একটি খারাপ জিনিস। আমাদের ইসলাম যেহেতু ভালো তাই এই খারাপ শব্দটি কুরআনে কম এসেছে। অমুসলিমরা খারাপ। তাই তাদের গ্রন্থে এই খারাপ শব্দটি বেশি এসেছে। নাউযুবিল্লাহ।
তবে আশার বাণী হলো, ক্রমাগত নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হতে হতে উম্মাহর যুবা-তরুণরা আজ বুঝে ফেলছে দাসত্বে কোনো শান্তি নেই। শান্তি শুধু বীরত্বে। ইসলামের শত্রুদের বানানো পন্থায় কখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কেবল ইসলামের নবীর বাতানো পদ্ধতিতে। কাফেরদের পুরস্কার অথবা তিরস্কারে মুসলমানদের কিছুই যায় আসে না। সম্মান আর অসম্মানের মানদন্ড কেবলই শরিয়তে ইসলামি। সুতরাং এই উম্মাহকে এখন আর দমিয়ে রাখা যাবে না। ইনশাআল্লাহ, এই শতাব্দী বিজয়ের শতাব্দী।
ইসলামি ভাবধারার বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র বহু পুরোনো। যুগে যুগে এটিকে শুধু আপডেট করা হয়। এর পদ্ধতি পরিবর্তন হয়, রং পাল্টানো হয়। এই রং বদলের কারসাজিতে ধোঁকাগ্রস্থ হয় বহু মুসলমান। অবশেষে এই ধোঁকাগ্রস্থ মুসলমানরাই প্রকৃত মুসলমানকে মনে করে পিছিয়ে পড়া, ঘুনে ধরা। একদল আরেকদলের বিরুদ্ধে কলম ধরে। ধোঁকাগ্রস্থরা নিজেদেরকে নব্য প্রভুদের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে শরিয়াহকে কাট-ছাঁট করে। গড়ে তুলে মিথ্যার বেসাতি। বিনিময়ে হাসিল করে পশ্চিমা মালিকদের অনুগ্রহ౼ নোবেল, স্বর্নপদকসহ আরো কত কি।
পশ্চিমাদের অন্যতম একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে ইসলামি ইতিহাস ও শরিয়াহ আইনকে বিকৃত করে উপাস্থাপন করা। প্রমাণিত করা যে, ইসলামি রীতি-নীতি আধুনিক যুগে বেমানান। এর জন্য তারা ব্যাপক পরিসরে কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন করে। খুঁজে খুঁজে এমন জায়গা বের করে যেখানে বিকৃতি ঘটানো সম্ভব। অতঃপর এগুলো ছড়িয়ে দেয় দুনিয়ার আনাচে কানাচে। মুসলিম সমাজে বসবাসরত পরাজিত মানসিকতার চিন্তাগত দাসরা এগুলো গ্রহণ করে অবলীলায়। ক্ষমতাসীনরা যখন বলেছে তাহলে তো তা সত্য হওয়ারই কথা। ব্যস, অতঃপর কেউ তার দ্বীন পরিত্যাগ করে। নাম লেখায় নাস্তিক, মুরতাদদের খাতায়। আর কেউ ইসলাম ত্যাগ না করলেও মুসলিম হিসেবে চরম হীনমন্যতায় ভোগে। ভাবে, মুসলিম হয়ে জন্ম নিয়ে বড় বিপদে পড়ে গেলাম। হরেক রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। ফলে সে প্রকৃত মুসলিমদের কট্টরপন্থি মনে করে। কেউ কেউ তো আরো এক কাটি সরেস। তারা ভেবে বসে, সব জায়গায় কঠোরভাবে ইসলাম পালনকারীদের জন্যই মুসলমানদের আজ বিশ্বে দাম নেই। তাদের মতে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারাটাই স্মার্টনেস। এতে যদি শরিয়াহকে কাঁট-ছাঁট করা লাগে তো করা যাবে, সমস্যা নেই।
অবশেষে আমরা এমন একটি জেনারেশন দেখতে পাই যারা জিহাদ বাদ দিয়ে ইসলাম কায়েম করার স্বপ্ন দেখে। জিহাদ শব্দটি শুনলে কাফেরদের আগে তারাই নাক ছিটকায়। কারণ পশ্চিমারা জিহাদকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দিয়েছে। তাই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মুসলিমরাও হয়ত ভাবে, ইস! যদি কুরআনে জিহাদের কথা বলা না হতো। যখন তাদেরকে অমুসলিমরা জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তারা বলে কুরআনে জিহাদ শব্দটি এসেছে এতোবার, আর বাইবেলে এসেছে এর দ্বিগুণ বার। তারমানে বুঝাতে চাচ্ছে, জিহাদ একটি খারাপ জিনিস। আমাদের ইসলাম যেহেতু ভালো তাই এই খারাপ শব্দটি কুরআনে কম এসেছে। অমুসলিমরা খারাপ। তাই তাদের গ্রন্থে এই খারাপ শব্দটি বেশি এসেছে। নাউযুবিল্লাহ।
তবে আশার বাণী হলো, ক্রমাগত নির্যাতিত-নিষ্পেষিত হতে হতে উম্মাহর যুবা-তরুণরা আজ বুঝে ফেলছে দাসত্বে কোনো শান্তি নেই। শান্তি শুধু বীরত্বে। ইসলামের শত্রুদের বানানো পন্থায় কখন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কেবল ইসলামের নবীর বাতানো পদ্ধতিতে। কাফেরদের পুরস্কার অথবা তিরস্কারে মুসলমানদের কিছুই যায় আসে না। সম্মান আর অসম্মানের মানদন্ড কেবলই শরিয়তে ইসলামি। সুতরাং এই উম্মাহকে এখন আর দমিয়ে রাখা যাবে না। ইনশাআল্লাহ, এই শতাব্দী বিজয়ের শতাব্দী।
Comment