Announcement

Collapse
No announcement yet.

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ, অন্তবর্তীকালীন সরকার, ভারতের চলমান আগ্রাসন এবং আমাদের করণীয়।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ, অন্তবর্তীকালীন সরকার, ভারতের চলমান আগ্রাসন এবং আমাদের করণীয়।


    ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ এ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের পর বাংলার এই আল্লাহর জমিন যে অরাজকতা দেখেছে তা পূর্বের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ সকল ফিতনা ফাসাদকে হার মানায়। এমন কোনো অপরাধ ছিলো না যা আওয়ামী লীগ কতৃক সংঘটিত হয় নি। হত্যা, গণহত্যা, গুম, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, দূর্নীতি, চাঁদাবাজির দরূন বাংলা জমিনে এমন কোনো ঘর বাকী ছিলো না আতংকগ্রস্থ হয় নি, জুলুমের শিকার হয় নি, চোখের পানি ঝড়ে নি। ডান, বাম, ধনী, গরীব, ছাত্র, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান এমন কোনো ঘর ছিলো না যেখানে আওয়ামী লীগের কালো হাতের থাবা প্রবেশ করে নি। রক্তাক্ত জুলাইয়ের কথা তো সবারই জানা ডান পাড়া, বাম পাড়া, মুসলিম পাড়া, হিন্দু পাড়া, সেকুলার পাড়া এমন কোনো পাড়া ছিলো না যেখানে গুলি প্রবেশ করে নি। ফলসরূপ ৫ আগস্ট সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে ছিলো। পুরো বিশ্ব দেখেছে হাজার বছরের নিকৃষ্ট বাঙ্গালী ‍মুজিব ও তার পরিবারকে সমূলে উৎখাত করার মিশনে নেমে ছিলো সকল স্তরের জনগণ।


    কিন্তু আজ মুজিবের কিছু পেতাত্মা অন্তবর্তীকালীন রবের আসনে বসে সেই হাজার বছরের নিকৃষ্ট বাঙ্গালী মুজিব ও তার পরিবারকে পুনরায় বাংলার এই আল্লাহর জমিনে ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আল্লাহর এ জমিনে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ কিছু রক্ত চোষা ভয়ংকর রাক্ষসের চোরাচক্রে পতিত হয়েছে। বিভিন্ন টকশো, নিউজ চ্যানেল ও পাবলিক প্লেসে নীতি বাক্য ঝাড়া মানুষগুলো জলজ্যান্ত মানুষ রূপি রাক্ষস। বাড়ে বাড়ে সাধারণ মানুষের রক্ত নিয়ে খেলছে। আর আমরা বোকা, আধপাগল মানুষ তাদের নীতি বাক্য শুনে মনে গদগদ ভাব নিয়ে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চলে যাই।

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন, “রাজনৈতিক দল হিসাসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না”। মনে প্রশ্ন জাগে না, আওয়ামী লীগ তাহলে কি হিসেবে প্রায় গত ১৬ বছর মানবতা বিরোধী অপরাধ গুলো সংঘঠিত করেছে? সর্বস্তরের সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে দলগত সশস্ত্র অত্যাচার করার পরও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন নয়! নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগকে দল গোছাতে বলেন, দল পুনর্গঠন করে শেখ হাসিনাকে দেশে এসে রাজনীতি করতে বলেন। অথচ ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনও রাস্তা থেকে মুছে যায় নি।


    মিডিয়া পাড়ায় নতুন করে এক মাস্টারমাইন্ডের উদ্ভব ঘটেছে, নাম মাহফুজ আলম। বর্তমানে সে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। সে নাকি ছিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিছনের মাস্টারমাইন্ড। দাবি করা হচ্ছে তার প্ল্যানেই জনগণ ময়দানে নেমে গণঅভ্যুন্থান করেছে। মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম বর্তমানে নাকি জনগণকে নিয়ে দেশ গড়ার মাস্টারপ্ল্যান করতেছে। মাস্টারপ্ল্যানের মূল সারাংশ-

    (১) তিনি শাপলা-শাহবাগ নামে জাতির মধ্যে মেরুকরণ মেনে নেবে না, ইসলামপন্থীদের রাষ্ট্রকল্প ও সামাজিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধেও ছিলো তাদের অবস্থান।

    (২) গণঅভ্যুন্থানে সকল শক্তিগুলোকে জনগণের অংশ হিসেবে স্বাগত জানালেও কোনো ভাবে জনগণের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্ব যেন ইসলামপন্থিদের হাতে না যায়, সেই লড়াই জারি রাখবে।

    (৩) ইসলামের নামে জঙ্গিবাদকে উস্কে দিয়ে গণতন্ত্র ও বিচারিক প্রতিষ্ঠানের বিরোধীতা করলে তিনি ইসলামপন্থিদের ছেড়ে কথা বলবেন না। তিনি আরো দারি করেন এমন ফিতনা ও ফাসাদ করলে বাংলার মাটি ইসলামপন্থিদের গ্রহণ করবে না।


    গত প্রায় ১৬ বছর লেডি ফেরাউন শেখ হাসিনা দাবি করতো দেশটা তার বাপ হাজার বছরের নিকৃষ্ট বাঙ্গালী শেখ মুজিবের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফেসবুক পোস্টে দুই চারটা শব্দের ব্যবহার করে মাস্টারমাইন্ড বুনে যাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দাবি দেশটা জনগণের, দেশের মালিক জনগণ। ইসলামপন্থিরা তোমাদের মতো জালিমদের মনে করে দিতে চায় এ জমিনের মালিক আল্লাহ তা’আলা।

    আল্লাহ তা’আলা সূরা ইবরাহীমে বলেন,


    اللّٰهِ الَّذِىۡ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ​ؕ وَوَيۡلٌ لِّـلۡكٰفِرِيۡنَ مِنۡ عَذَابٍ شَدِيۡدِ ۙ‏ ٢

    অর্থঃ আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই; কঠিন শাস্তির দুর্ভোগ কাফিরদের জন্য। (সূরা ইবরাহীম: ২)

    আল্লাহ তা’আলা সূরা আল-বাকারাহতে বলেন,


    وَاِذَا قِيۡلَ لَهُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡا فِىۡ الۡاَرۡضِۙ قَالُوۡاۤ اِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُوۡنَ‏ ١١ اَلَا ۤ اِنَّهُمۡ هُمُ الۡمُفۡسِدُوۡنَ وَلٰـكِنۡ لَّا يَشۡعُرُوۡنَ‏ ١٢

    অর্থঃ তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করো না’ তারা বলে, ‘আমরা তো সংশোধনকারী’। মূলতঃ তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা তা বুঝতে পারে না। (সূরা আল বাকারাহ: ১১-১২)

    মহান আল্লাহ তা’আলার আইন বাদ ‍দিয়ে, আল্লাহর জমিনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, মানুষের তৈরি সংবিধান দ্বারা বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসলামপন্থিদের বলছে ফিতনা ও ফাসাদ সৃষ্টিকারী। ইসলামপন্থিরা তোমাদের মতো জালিমদের স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চায় আল্লাহর জমিন তোমাদের গ্রহণ করবে না। ইসলামপন্থিরা তোমাদের মতো জালিমদের আরো জানিয়ে দিতে চায় লেডি ফেরআউনের পতনের মূল কারণ সে নিজেই। তোমার তথাকথিত মাস্টারপ্ল্যানের কারনে সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলনে নামে নি। জনগণ মাঠে নেমেছে সন্তানের রক্ত দেখে. বোনের রক্ত দেখে, ভাইদের রক্ত দেখে, বন্ধুর রক্ত দেখে, তারা এর শেষ দেখেই ছাড়তে চেয়েছে। বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা এই জনপথের মানুষকে লেডি ফিরআউন শেখ হাসিনার হাত থেকে বাঁচিয়েছে। তোমার মতো জালিমদের অন্তরের যন্ত্রনা আর একটু বাড়িয়ে দিই। জানো জনগণকে আল্লাহু আকবার বলে বন্দুকের সামনে দাড়াতে কে শিখিয়েছে? শাপলা চত্তরের ইসলামপন্থিরা শিখিয়েছে। তোমাদের জুলুম যদি নামে বেনামে চলতে থাকে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় যদি কোনো জালিমের পক্ষ থেকে বাঁধা আসে তবে মনে করে দিতে চাই শাপলা চত্তরের ইসলামপন্থিরা জনগণকে আল্লাহু আকবার বলে যখন বন্দুকের সামনে দাড়িয়ে যেতে শিখাতে পেরেছে, আল্লাহু আকবার বলে ৪৭ চালানোও শিখিয়ে ‍দিবে ইনশা-আল্লাহ।

    আল্লাহ তা’আলা বলেন,


    وَقَاتِلُوۡا فِىۡ سَبِيۡلِ اللّٰهِ الَّذِيۡنَ يُقَاتِلُوۡنَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ الۡمُعۡتَدِيۡنَ‏ ١٩٠

    অর্থ: তোমরা আল্লাহর পথে সেই লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু সীমা অতিক্রম করো না। আল্লাহ নিশ্চয়ই সীমা অতিক্রমকারীকে ভালবাসেন না। (সূরা বাকারা: ১৯০)

    আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,


    اَلَا تُقَاتِلُوۡنَ قَوۡمًا نَّكَثُوۡۤا اَيۡمَانَهُمۡ وَهَمُّوۡا بِاِخۡرَاجِ الرَّسُوۡلِ وَهُمۡ بَدَءُوۡكُمۡ اَوَّلَ مَرَّةٍ​ ؕ اَتَخۡشَوۡنَهُمۡ​ ۚ فَاللّٰهُ اَحَقُّ اَنۡ تَخۡشَوۡهُ اِنۡ كُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِيۡنَ‏ ١٣

    অর্থ: তোমরা কি সেই দলের সাথে ‍যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সংকল্প নিয়েছে রাসূলকে বহিষ্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় করো? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা আত-তওবা: ১৩)


    আমরা চিরজীবনই জাতিকে শাপলা ও শাহবাগে মেরুকরণ করবো। হককে বাতিল থেকে আলাদা করবো। এটা ইসলামপন্থিদের তাদের মহান রবের সাথে ওয়াদা। কিন্তু তোমার মতো নিরপেক্ষ জালিমের পরিণতি কেমন হবে জানো? শাপলা আর শাহবাগের মাঝে পরে জয় বাংলা হয়ে যাবে। ইসলামপন্থিরা তোমার মতো জালিমের মৃত্যতে গাইবে “এমন মরণ মাওলা তুমি কাউকে দিও না”।



    ভারতের চলমান আগ্রাসন



    মুসলিমদের প্রতি মুশরিকদের এই দুশমনী আজকের নয় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মুশরিকরা আমাদের প্রতি আগ্রাসন চালাতে কোনো ত্রুটি করে না। আমাদের প্রতি তারা মুখে যে বিদ্বেষ প্রকাশ করে, আর যা তাদের অন্তরে লুকিয়ে আছে তা আরো অনেক বেশি জঘন্য।

    আল্লাহ তা’আলা বলেন,


    ۞ لَـتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّـلَّذِيۡنَ اٰمَنُوا الۡيَهُوۡدَ وَالَّذِيۡنَ اَشۡرَكُوۡا​ ۚ

    অর্থঃ তুমি মুমিনদের বিরুদ্ধে ইহুদি ও মুশরিকদের কঠোরতম দুশমন হিসেবে দেখতে পাবে। (সূরা মায়েদা: ৮২)

    আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,



    یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا بِطَانَۃً مِّنۡ دُوۡنِكُمۡ لَا یَاۡلُوۡنَكُمۡ خَبَالًا ؕ وَدُّوۡا مَا عَنِتُّمۡ ۚ قَدۡ بَدَتِ الۡبَغۡضَآءُ مِنۡ اَفۡوَاهِهِمۡ ۚۖ وَ مَا تُخۡفِیۡ صُدُوۡرُهُمۡ اَكۡبَرُ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَكُمُ الۡاٰیٰتِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ


    অর্থ: হে ইমারদারগণ! তোমরা মুমিন ব্যতিত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের অমঙ্গল সাধনে কোন ত্রুটি করে না-তোমরা কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশি জঘন্য। তোমাদের নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেওয়া হলো, ‍যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও। (সূরা আল ইমরান: ১১৮)

    হে আমার মুসলিম উম্মাহ আপনাদের কাছে আজও কি আল্লাহর নিদর্শনগুলো প্রকাশিত হয় নি? আমরা কি আজও মুশরিকদের অনুধাবন করতে সমর্থ হই নি? মুশরিকদের অন্তরে লুকিয়ে থাকা জঘন্য ইচ্ছাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে না? আজ মুশরিকদের টার্গেট মুসলিম উম্মাহর নারী ও শিশু। কত জঘন্য তারা মুসলিম উম্মাহর নারীদের রাস্তায় ফেলে ধর্ষণ করতে আহ্বান করছে। মুসলিম উম্মাহর বেখেয়াল নারীদের পেটে বাচ্চা পয়দা করে পালিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের অন্তরগুলো কি মরে গিয়েছে! এতকিছু দেখেও অন্তরে অস্থিরতা কাজ করে না! চোখে অশ্রু আসে না!? আপনারা কি করে মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চাইতে পারেন। জানতাম মুসলিম উম্মাহর অধঃপতন হয়েছে কিন্তু এতোটা যে অধঃপতন হয়েছে আমরা সাধারণরা বুঝতে পারি নি। আল্লাহ তা’আলা স্পষ্ট বলছেন ইহুদি ও মুশরিকরা আমাদের প্রকাশ্য নিকৃষ্ট শত্রু, আর আপনারা চাইছেন বন্ধুত্বের সম্পর্ক? রাজনৈতিক প্রজ্ঞার নাম দিয়ে এমন মূর্খের মতো বেফাঁস কথাবার্তা মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদা সম্পন্ন যুবকরা মেনে নিবে না। আপনারা যদি এ জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার পর বলতেন বন্ধুদের সম্পর্ক চাই। তবে এটা হতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা। মুশরিকদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা যেতো চোখ রাঙালে, চোখ তুলে হাতে ধরিয়ে দিবো।


    আমাদের করণীয়



    সামাজিক ভাবে বর্তমানে আমাদের করণীয়, সাধারণ মানুষের কাছে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও সুফল সম্পর্কে সবার অবস্থান থেকে দাওয়াতি কাজ করা। আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার কাজ আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) এর বাতলানো পথেই হতে হবে, তাছাড়া এর কোনো ফায়দা নেই তা প্রজ্ঞার সাথে তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে উপস্থাপন করতে হবে। ‍বর্তমানে একাজ শুধু আলেমদের নয়, আমাদের সকলের। গণতন্ত্রপন্থি তথাকথিত ইসলামিক দলগুলোর নেতা কর্মীদের সাথে কোনো প্রকার তর্ক বিতর্ক করা যাবে না। বরং ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে, তা সম্ভব না হলে এড়িয়ে চলতে হবে। আমাদেরকে জনসাধারণ ও আলেমদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। নিজ পাড়া-মহল্লায় সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ জারি রাখতে হবে। প্রকাশ্যে যেসব আলেম হকের দাওয়াত দেয় তাদের লেকচার, ইউটিউব চ্যালেন, ফেসবুক আইডি আত্মীয়, বন্ধু ও পরিচিত মহলে প্রচার করতে হবে। আর একটি কাজ আমাদের বিশেষ গুরুত্বের সাথে করা উচিত। তা হলো ছোট বাচ্চাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের নামাজে ডেকে আনা। নামাজে না আসলে খোঁজ নেওয়া। দেখা পাওয়ার সাথে সাথে আগে সালাম দেওয়া। তাদের ছোট ছোট গিফট দেওয়া।

    পারিবারিক ভাবে বর্তমানে আমাদের করণীয় ভাই-বোন, মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, মামা, চাচাদের আসন্ন ফিতনা সম্পর্কে সচেতন করা। তবে আমাদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি যেনো না হয়। কথা বলার সময় শব্দ চয়নে খেয়াল রাখবো। আর সব সময় কোনো আলেমের বক্তব্য রেফার করবো। মিউজিক বক্সে জোরে কোরআন তেলাওয়াত, নাশিদ, রাসূল (সাঃ) এর জীবনী, সাহাবীদের জীবনী শুনবো যাতে বাড়ির লোকজন কাজ করতে করতে শুনতে পায় (বিশেষ করে Baseera & Raindrop media থেকে)। কোরআন তেলাওলাত শুনতে বিশেষ গুরুত্ব দিবো। কোরআন তেলাওয়াত মানুষের মনকে নরম করে। আর আমরা যারা বিবাহিত, ছেলে-মেয়ে আছে তারা অবসর সময় ঘরে অবস্থান করার চেষ্টা করবো। বাচ্চাদের ব্যায়াম করা শিখাবেন ছোট থেকেই, স্ত্রীকে আত্মপ্রতিরক্ষার কৌশল শেখাবেন। বাড়িতে আত্মপ্রতিরক্ষার জন্য সাধ্য মতো অস্ত্র রাখবেন। মনে রাখবেন অস্ত্র মুমিন-মুজাহিদের হাতের সৌন্দর্য।

    ​​

    __________________________________________________ _

    [পাঠক ভাইদের প্রতি আমার নিবেদন, পড়া শেষে দুই হাত তুলে এবং প্রত্যেক ভালো কাজের পর আল্লাহ তা'আলার কাছে আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ তা'আলা যেনো আমার গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দেন এবং সকল গুণাহ থেকে হেফাজত করেন।

    এবং আল্লাহ তা'আলা যেনো তার বরকতময় দুইটি বাহিনীতে কবুল করেন একটি হিন্দুস্থান থেকে একটি ইয়েমেন থেকে ও তার প্রিয় বান্দাদেন সাথে শামে একত্রিত করেন এবং শহীদ হিসেবে কবুল করেন]

  • #2
    বাংলাদেশে ভারতের সামরিক হামলা চালানোর সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

    লক্ষ্য করলে দেখবেন মোদি নির্বাচিত হওয়ার পর ভারত জাতিগত ভাবে অহংকারী হয়ে পড়েছে, নিজেদের অপ্রতিরোধ্য ভাবতে শুরু করেছে। মুসলিমদের উপর নির্যাতন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমাদের কাছে স্পষ্ট ছিলো ভারত বাংলাদেশ দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা অনেকে মনে করতেছি ভারতের বাংলাদেশে আর হামলা করার সামর্থ নাই। তার মধ্য একদিকে চীন, পাকিস্তান, অন্যদিকে ভারতের অঙ্গরাজ্য গুলোর মধ্যে অন্তঃকন্দল তাই আমাদের কাছে ভারতের হামলা অসম্ভব মনে হচ্ছে।

    কিন্তু আমাদের চিন্তা করা উচিত ভারত সেভেন সিস্টার্স বাঁচাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে। একটু চিন্তা করলে দেখবেন, সেভেন সিস্টার্স বাঁচাতে এক মাত্র উপায় চিকেন নেক দখল করা। অর্থাৎ ভারতের সীমানা বৃদ্ধি করা। চিকেন নেক দখল করে ভারত চীনকে প্রতিরোধ ও সেভেন সিস্টার্স বাঁচার চেষ্টা করতে পারে। অন্যান্য যেকোনো পরিকল্পনার চেয়ে ভারত এটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে পারে। তার বেশ কয়েকটি কারণ আছে।

    ১. বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
    ২. মুসলিমদের প্রতি ভারতের জাতিগত ঘৃণা।
    ৩. বাংলাদেশ দখল করে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার বাসনা।
    ৪. ১৬ বছরে ধরে বাংলাদেশ প্রশাসনের রন্ধে রন্ধে দালাল তৈরির ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো সহজ।
    ৫, তার সাথে প্রতিশোধ হিসেবে আওয়ামী লীগের পূ্র্ণ সমর্থন।
    ৬. মোদি সরকার পাবে জাতিগত ভাবে পূর্ণ সমর্থন।
    ৭. বাংলাদেশে হামলা করলে ভারতের অভ্যন্তরে মুসলিম নিধন অধিকতর সহজ হয়ে যাবে। অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করার মোক্ষম ‍সুযোগ।

    তার সাথে রয়েছে আমাদের মারাত্বক ভুল ধারণা, “ভারত হামলা করলে চীন আমাদের সাহায্য করবে”। উইঘুর মুসলিম ভাইদের ভুলে গেলে চলবে না চীন তাদের উপর কিভাবে গণহত্যা চালিয়েছে। রোহিঙ্গা ভাইদের কথা ভুলে গেলে চলবে না। রোহিঙ্গা মুসলিম ভাইদের গণহত্যায় চীনের ছিলো পূর্ণ সমর্থন। চীনও চায় বাংলাদেশের মুসলিমদের গণহত্যা করতে আজ হোক আর কাল। চীন মুসলিমদের হুমকি হিসেবেই দেখে। চীন চাইবে ভারত বাংলাদেশ যুদ্ধ করে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ুক। এতে চীনের ব্যবসায়িক ও সামরিক উভয় দিক থেকেই লাভ।

    ভারতের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা বা নৈতিক সক্ষমতা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বা ভবিষ্যৎ নির্বাচিত সরকারের নেই। কারণ ব্রিটিশ দ্বারা গঠিত প্রশাসনের জিহাদ করার মতো নৈতিক সক্ষমতা না থাকায় স্বাভাবিক। তাই আমার মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জিহাদের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদের বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের তাড়িয়ে আল্লাহ তা’আলা আমাদের প্রস্ততি নেওয়ার সুযোগ করে দিযেছেন। আল্লাহু আকবার।

    Comment


    • #3
      সামাজিক ভাবে বর্তমানে আমাদের করণীয়, সাধারণ মানুষের কাছে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও সুফল সম্পর্কে সবার অবস্থান থেকে দাওয়াতি কাজ করা।
      এদেশে দাওয়াতি কাজ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। যেহেতু কালো মেঘ কেটে গেছে আল্লাহ্‌র রহমতে, এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাওয়াতি কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত, আল্লাহ্‌ তাআলা তাওফিক দিন, আমীন।

      Comment

      Working...
      X