তালেবান সরকারের আফগানিস্তান সবুজায়ন ও কৃষায়ন প্রকল্প এবং আমাদের অনুভূতি
মুসলিম শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে,
বিশিষ্ট সাহাবীয়ে রাসূল জাবের রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু ওয়ানহুম বলেন, “কোন মুসলিম চারা রোপন করলে, সেই চারা হতে উৎপন্ন ফল থেকে যা খাওয়া হবে তা তার জন্য সাদাকা হবে, তা থেকে কিছু চুরি হলে তাও তার জন্য সাদাকাহ হবে, কোন হিংস্র প্রাণী তা থেকে খেলে তাও তার জন্য সাদাকা হবে, পাখি খেলেও সাদাকা হবে এবং কেউ তা থেকে কিছু হ্রাস করলেও তা তার জন্য সাদাকা হবে।” -সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৫৫২
এ জাতীয় হাদীসগুলোর উপর পর্যালোচনা করতে গিয়ে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ (৬৭৬ হি.) বলেছেন, “ এ সকল হাদীসে গাছ লাগানো ও কৃষিকাজের ফযীলত বিবৃত হয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে, চারা রোপনকারী ও কৃষকের প্রতিদান অব্যাহত থাকবে যতদিন রোপিত চারা ও কৃষিক্ষেত ও তা থেকে উৎপন্ন জিনিস বাকি থাকবে!”
সুবহানাল্লহ। তার মানে আমি ধান চাষ করলাম, এই ধানের বীজ নিয়ে আরেক জন চাষ করবে এভাবে এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে আর আমি সাওয়াব পেতে থাকবো।
এরপর ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
কোন পেশা উত্তম এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মাঝে ইখতেলাফ আছে, কেউ বলেছেন, ব্যবসা উত্তম, কেউ বলেছেন, হস্তশীল্প উত্তম, কেউ বলেছেন, কৃষিকাজ উত্তম। শেষোক্ত মতটিই সহীহ!
প্রিয় ভাই! উনার কথাটি ভালোভাবে চিন্তা করুন! সুবহানাল্লহ! কৃষিকাজ সবচেয়ে উত্তম পেশা! এই জন্য ইমারতে ইসলামিয়া শুরু থেকে দেশকে কৃষায়নে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। আল্লাহ তাদের কাজে বারাকাহ দান করুন। আমীন।
আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা যারা পারি, যাদের সুযোগ আছে, নিজের চারপাশকে সবুজায়নের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। অন্যদেরকেও দাওয়াত দিবো। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
হাসীনার ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশের কৃষিখাত ও কৃষকদের মনোবল ধ্বংস করেছে, কৃষিখাতকে উপেক্ষা করে দেশকে পুনঃগঠনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে হাত দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, আজকে আমাদের পেয়াজ-কাঁচা মরিচের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যগুলো ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, অথচ বাল্যকালে আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে কত পেয়াজ চাষ হত! অনেক কৃষক, প্রতি সিজনে কয়েক বিঘা শুধু পেয়াজই চাষ করতেন, কিন্তু আজ তারা সাহস করেন না!
অন্যদিকে আফগানিস্তানের দিকে দেখুন, সেখানে কৃষকরা নবউদ্যমে কৃষিখাতে ঝেপে পড়েছেন, তালিবান যারপর নাই কৃষিখাতে ইনভেস্ট করছে, আমরা দেখতে পারছি, তালিবান উমারা-প্রশাসকগণ নিজে কাঁধে করে কৃষকদের মাঝে ফ্রী সার-বীজ বিতরণ করছেন!
প্রিয় ভাই, ইসলামী শাসন আর গণতন্ত্র-সৈরতন্ত্রের মধ্যকার আকাশ-জমিন তফাৎ দেখছেন!
বাংলাদেশ সরকার তিস্তাবিষয়ক প্রকল্পে হাত দিতে ভয় পাচ্ছে, ওদিকে তালিবানকে দেখুন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে চোখ রেখে খালকেটে পানি এনে জনগণের মাঝে ফ্রীতে পানি বিতরণ করছে! আফগান কৃষকদের মুখে এখন হাঁসি। বিভিন্ন দেশে তারা কৃষিপন্য রপ্তানি করছে।
আল্লাহ তাআলা আামাদেরকেও এমন একটা ইসলামী শাসনের ব্যবস্থা করে দিন। আমাদেরকে এই শাসন প্রতিষ্ঠার অগ্রনায়কদের অন্তর্ভূক্ত করুন।
মুসলিম শরীফে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে,
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا إِلَّا كَانَ مَا أُكِلَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةً، وَمَا سُرِقَ مِنْهُ لَهُ صَدَقَةٌ، وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ مِنْهُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ، وَمَا أَكَلَتِ الطَّيْرُ فَهُوَ لَهُ صَدَقَةٌ، وَلَا يَرْزَؤُهُ أَحَدٌ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَة."
বিশিষ্ট সাহাবীয়ে রাসূল জাবের রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু ওয়ানহুম বলেন, “কোন মুসলিম চারা রোপন করলে, সেই চারা হতে উৎপন্ন ফল থেকে যা খাওয়া হবে তা তার জন্য সাদাকা হবে, তা থেকে কিছু চুরি হলে তাও তার জন্য সাদাকাহ হবে, কোন হিংস্র প্রাণী তা থেকে খেলে তাও তার জন্য সাদাকা হবে, পাখি খেলেও সাদাকা হবে এবং কেউ তা থেকে কিছু হ্রাস করলেও তা তার জন্য সাদাকা হবে।” -সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১৫৫২
এ জাতীয় হাদীসগুলোর উপর পর্যালোচনা করতে গিয়ে ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ (৬৭৬ হি.) বলেছেন, “ এ সকল হাদীসে গাছ লাগানো ও কৃষিকাজের ফযীলত বিবৃত হয়েছে, এবং বলা হয়েছে যে, চারা রোপনকারী ও কৃষকের প্রতিদান অব্যাহত থাকবে যতদিন রোপিত চারা ও কৃষিক্ষেত ও তা থেকে উৎপন্ন জিনিস বাকি থাকবে!”
সুবহানাল্লহ। তার মানে আমি ধান চাষ করলাম, এই ধানের বীজ নিয়ে আরেক জন চাষ করবে এভাবে এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে আর আমি সাওয়াব পেতে থাকবো।
এরপর ইমাম নববী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
কোন পেশা উত্তম এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মাঝে ইখতেলাফ আছে, কেউ বলেছেন, ব্যবসা উত্তম, কেউ বলেছেন, হস্তশীল্প উত্তম, কেউ বলেছেন, কৃষিকাজ উত্তম। শেষোক্ত মতটিই সহীহ!
প্রিয় ভাই! উনার কথাটি ভালোভাবে চিন্তা করুন! সুবহানাল্লহ! কৃষিকাজ সবচেয়ে উত্তম পেশা! এই জন্য ইমারতে ইসলামিয়া শুরু থেকে দেশকে কৃষায়নে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। আল্লাহ তাদের কাজে বারাকাহ দান করুন। আমীন।
আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
واعلم أن الحرث والمزارعة ملاك العالم، لا يتم نظامه إلا به. -فيض الباري على صحيح البخاري (3/ 543)، ط. دار الكتب العلمية بيروت – لبنان
“জেনে রাখো, কৃষিপেশা বিশ্বের নিয়ন্ত্রক। বিশ্ব ব্যবস্থা ও পৃথিবীর নেযাম কৃষিকর্ম ছাড়া পূর্ণতা পাওয়া সম্ভবই নয়।” –ফয়যুল বারী: ৩/৫৪৩প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা যারা পারি, যাদের সুযোগ আছে, নিজের চারপাশকে সবুজায়নের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। অন্যদেরকেও দাওয়াত দিবো। আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
হাসীনার ফ্যাসিস্ট সরকার, দেশের কৃষিখাত ও কৃষকদের মনোবল ধ্বংস করেছে, কৃষিখাতকে উপেক্ষা করে দেশকে পুনঃগঠনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে হাত দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, আজকে আমাদের পেয়াজ-কাঁচা মরিচের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যগুলো ভারত থেকে আমদানি করতে হচ্ছে, অথচ বাল্যকালে আমরা দেখেছি, আমাদের দেশে কত পেয়াজ চাষ হত! অনেক কৃষক, প্রতি সিজনে কয়েক বিঘা শুধু পেয়াজই চাষ করতেন, কিন্তু আজ তারা সাহস করেন না!
অন্যদিকে আফগানিস্তানের দিকে দেখুন, সেখানে কৃষকরা নবউদ্যমে কৃষিখাতে ঝেপে পড়েছেন, তালিবান যারপর নাই কৃষিখাতে ইনভেস্ট করছে, আমরা দেখতে পারছি, তালিবান উমারা-প্রশাসকগণ নিজে কাঁধে করে কৃষকদের মাঝে ফ্রী সার-বীজ বিতরণ করছেন!
প্রিয় ভাই, ইসলামী শাসন আর গণতন্ত্র-সৈরতন্ত্রের মধ্যকার আকাশ-জমিন তফাৎ দেখছেন!
বাংলাদেশ সরকার তিস্তাবিষয়ক প্রকল্পে হাত দিতে ভয় পাচ্ছে, ওদিকে তালিবানকে দেখুন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে চোখ রেখে খালকেটে পানি এনে জনগণের মাঝে ফ্রীতে পানি বিতরণ করছে! আফগান কৃষকদের মুখে এখন হাঁসি। বিভিন্ন দেশে তারা কৃষিপন্য রপ্তানি করছে।
আল্লাহ তাআলা আামাদেরকেও এমন একটা ইসলামী শাসনের ব্যবস্থা করে দিন। আমাদেরকে এই শাসন প্রতিষ্ঠার অগ্রনায়কদের অন্তর্ভূক্ত করুন।
Comment